Logo
শিরোনাম

পলিথিন ও পলিপ্রোপিলিন ব্যাগ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোন পলিথিন পলিপ্রোপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদেরকে দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসেবে সব সুপারশপে বা এর সম্মুখে পাট কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের ক্রয়ের জন্য রাখা হবে। যেখানে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে অক্টোবরের শপিং ব্যাগের ব্যানের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার হবে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহের মধ্যে সব সুপারশপের সঙ্গে সভা করে পাটের শপিং ব্যাগের সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পরিবেশ অধিদফতর ইএসডিও এর সঙ্গে মিলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি /পাট/ বস্ত্রের ব্যাগের উৎপাদনকারীদের নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করবে। মেলায় সুপার শপের কর্তৃপক্ষ এবং উৎপাদনকারীরা নিজেদের চাহিদা এবং সরবরাহার বিষয়ে আলোচনা করতে পারবে।

পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সুপার শপের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।

সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি জানান, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো কাজ করে যাচ্ছে।

এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে।


আরও খবর



শেখ হাসিনার পতন সুচিত হয়েছিল বিএনপির একযুগের ত্যাগে

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে দলের সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জুলাই গণহত্যায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত  ৮৭৫ জন শহীদ হয়েছেন এদেরমধ্যে ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।

শুরু থেকেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিএনপি কাজ করেছে।সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগে দশ দফা যেটা পরে ৩১ দফায় পরিনত হয়েছিল। সেটারই চূড়ান্ত রূপ ছিলো এক দফার আন্দোলন।

শেখ হাসিনা হঠানো আন্দোলনে বিএনপির অবদান খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।। খেয়াল করে দেখবেন আওয়ামী লীগ তাদের পতনের পেছনে বিএনপি দায়ী করে নানান বক্তব্য দিয়েছিল। তাদের পতন সুচিত হয়েছিল বিএনপির একযুগের ত্যাগে।  স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ বিএনপির হাজার হাজার নেতারা কারাবরণ করেছে অনেকের নামে শতাধিক মামলা। হাবিবুন নবী সোহেলের নামে রেকর্ড ৪৫১ টি মামলা দেয়া হয়েছে। 

বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে গেলো ১৬ বছর নেতাকর্মীদের অকথ্য নির্বাচন করেছে। ব্যবসায়ী যারা বিএনপির রাজনীতি করেন তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় যারা বিএনপিকে সমর্থন করেছেন তাদের ওপরও নির্মম নির্যাতন করেছে। এগুলোই কি যথেষ্ট নয় যে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করতে বিএনপির ত্যাগ সবচেয়ে বেশি ছিলো?

পত্রিকায় বিএনপির আন্দোলনকে খাটো করে দেখিনোর চেষ্টা হচ্ছে। এখনো দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করা যায়নি কারণ তারা অনেক ভেতরে ঢুকে বসে আছে। দায়িত্বশীল জায়গায় থেকেও অনেকে বিএনপির প্রতি অসম্মান করে বক্তব্য দিয়েছে। পত্রিকায় সংখলঘু নিয়ে আবারও প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে এগুলো চক্রান্তের অংশ মনে করে বিএনপি।  

নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কারের কথা বিএনপি স্পষ্ট করে বলেছে সব প্রতিষ্ঠানে সংস্কার কাজ এই সরকার চইলেও করতে পারবে না। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়া। যারা ফায়দা নিতে চায় তারা বিভিন্নভাবে বিএনপিকে খাটো করার জন্য বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সাথে তুলনা করে কার্যত অথচ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যাকারী আর বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দল।


আরও খবর



স্বস্তির খবর নেই কাঁচা বাজারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিত্য পণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। নিত্য পণ্যের দামে স্বস্তি নেই নগরবাসীর। সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজি, মাছ ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে জাতীয় মাছ ইলিশ।

শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং কাঁচামরিচ কেজিতে ১৪০ টাকা বেড়ে প্রকারভেদে ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ কম থাকায় কাঁচামরিচের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচ কেজিতে ১০০ টাকা ওপরে দাম বেড়েছে। কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন না বলেও জানান অনেক ব্যবসায়ী।

এদিকে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একই সঙ্গে সোনালি মুরগি ২৭০- ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি শিম ৩২০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা এবং জলপাই ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আলু কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে বাজারে সরবরাহ বাড়লেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। এসব বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫৫০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে ৫ কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনি কেট চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং নাজির সের ৭৫ থেকে ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




নতুন ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

২০২৪ সালে নতুন ই পাসপোর্ট করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এটি করতে আপনাকে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে ভিজিট করে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও সংশ্লিষ্ট থানা সিলেক্ট করতে হবে। এর পর একটি ইমেইল এড্রেস ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করে সাইন ইন করতে হবে। এরপর, আবেদনকারীর তথ্য, পিতা-মাতার তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে অনলাইন আবেদন সাবমিট করতে হবে।

আবেদন সাবমিট করার পর আবেদন সামারি ও কপিটি ডাউনলোড করে এ-চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়ে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করতে হবে। কিছুদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনার পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে তা সংগ্রহ করতে পারবেন।

ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

নতুন ই পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলো-

আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ।

অনলাইন আবেদন ফরমের কপি।

আবেদনকারীর পেশাগত প্রমাণ (পেশাগত সনদ বা Employer Id)।

পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।

পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য পেজের ফটোকপি।

চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ও বাড়ির ইউটিলিটি বিলের কপি (পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য)।


ই পাসপোর্ট ফি


ই পাসপোর্টের ফি নির্ভর করে পাসপোর্টের মেয়াদকাল, পৃষ্ঠা সংখ্যা ও ডেলিভারির ধরনের উপর। সাধারণ ফি হলো-

৫ বছরের জন্য

৪৮ পৃষ্ঠা: রেগুলার – ৪,০২৫ টাকা, এক্সপ্রেস – ৬,৩২৫ টাকা, সুপার এক্সপ্রেস – ৮,৬২৫ টাকা।

৬৪ পৃষ্ঠা: রেগুলার – ৬,৩২৫ টাকা, এক্সপ্রেস – ৮,৬২৫ টাকা, সুপার এক্সপ্রেস – ১২,০৭৫ টাকা।

১০ বছরের জন্য

৪৮ পৃষ্ঠা: রেগুলার – ৫,৭৫০ টাকা, এক্সপ্রেস – ৮,০৫০ টাকা, সুপার এক্সপ্রেস – ১০,৩৫০ টাকা।

৬৪ পৃষ্ঠা: রেগুলার – ৮,০৫০ টাকা, এক্সপ্রেস – ১০,৩৫০ টাকা, সুপার এক্সপ্রেস – ১৩,৮০০ টাকা।

অনলাইন ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ

নতুন ই পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের ধাপগুলো-

রেজিস্টার করুন: https://www.epassport.gov.bd/ পোর্টালে গিয়ে Apply Online অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করুন।

লগইন করুন: সাইন ইন পেইজে গিয়ে ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করুন।

পাসপোর্ট টাইপ সিলেক্ট করুন: Ordinary Passport সিলেক্ট করুন।

ব্যক্তিগত তথ্য দিন: আবেদনকারীর নাম, পেশা, জন্মস্থান ইত্যাদি পূরণ করুন।

ঠিকানার তথ্য পূরণ করুন: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার তথ্য দিন।

আইডি ডকুমেন্ট সিলেক্ট করুন: NID Card বা জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর দিন।

পিতা-মাতার তথ্য ও বৈবাহিক অবস্থা পূরণ করুন: পিতা-মাতার নাম, পেশা, জাতীয়তা ইত্যাদি পূরণ করুন।

জরুরী যোগাযোগের তথ্য দিন: কোনো একজনের তথ্য ও মোবাইল নাম্বার দিন।

পাসপোর্ট অপশন ও ডেলিভারি অপশন সিলেক্ট করুন: পৃষ্ঠার সংখ্যা, মেয়াদ ও ডেলিভারি অপশন সিলেক্ট করুন।

আবেদন সাবমিট ও ডাউনলোড: সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর আবেদন সাবমিট করুন ও ফরম ডাউনলোড করুন।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন


অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও বায়োমেট্রিক প্রদান করতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। সেখান থেকে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করার পর আপনাকে একটি অ্যাপ্লিকেশন স্লিপ দেয়া হবে যা দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে।


পুলিশ ভেরিফিকেশন


পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করতে হবে। সেখান থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে তা সংগ্রহ করা যাবে।

শেষকথা

নতুন ই পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে আপনার মোবাইল নাম্বারে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। তারপর আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। আশা করি এই গাইডটি আপনাকে নতুন ই পাসপোর্ট করতে সাহায্য করবে।


আরও খবর



মিল্টনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফ্লোরিডা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে চরম বিপজ্জনক হ্যারিকেন মিল্টন। ভারী বৃষ্টিপাত, ঝোড়ো বাতাস ও প্রাণঘাতী জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতার মধ্যে গত বুধবার রাতে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানে ঝড়টি।

প্রাণঘাতী এই ঝড়ের তাণ্ডবে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া সামুদ্রিক ঝড় হ্যারিকেন মিল্টনের তাণ্ডবে ইতোমধ্যেই ফ্লোরিডার ৩২ লাখেরও বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি বলছে, হ্যারিকেন মিল্টনের তাণ্ডবে কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। ফ্লোরিডার ক্রুরা মিল্টনের ধ্বংসাত্মক তাণ্ডবের আরও ভালো চিত্র পাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং এর ফলে ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা আগামী দিনে বাড়তে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অফ ল এনফোর্সমেন্ট বিবিসির ইউএস নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজকে এই মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এছাড়া প্রায় ৩০ লাখ বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ নেই।

অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর রন ডিসান্টিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে আরও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মিল্টনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে না যাওয়ার জন্য ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে।

পশ্চিম উপকূলে সেন্ট পিটার্সবার্গে পানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে একটি ক্রেন একটি সংবাদপত্র ভবনে আছড়ে পড়েছে এবং একটি মেজর লীগ বেসবল স্টেডিয়ামের ছাদ উড়ে গেছে।

তাণ্ডব চালানোর পর মিল্টন আটলান্টিকের দিকে চলে গেছে। কিন্তু অঙ্গরাজ্যের অনেক অংশ প্লাবিত হয়েছে এবং কিছু লোককে নৌকায় করে উদ্ধার করা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণ সাইট পাওয়ারআউটেজ.ইউএস এর তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে ফ্লোরিডায় ৩২ লাখেরও বেশি বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে হ্যারিকেন হেলেন ওই এলাকায় আঘাত হানার পর অনেকেই তাদের বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনের অপেক্ষায় ছিলেন। আর তার মধ্যেই নতুন করে হ্যারিকেন মিল্টন আঘাত হানল।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্তা কির কাছে ঝড়টি ক্যাটাগরি ৩ মাত্রার হ্যারিকেন হিসেবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আঘাত হানে। রাতভর অঙ্গরাজ্যজুড়ে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি নিয়ে বাতাস বইতে থাকে, যার ফলে কর্তৃপক্ষ আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করে।

তবে সূর্যোদয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আটলান্টিক মহাসাগরে সরে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ঝড়টি অঙ্গরাজ্য থেকে দূরে সরে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার উত্তরাঞ্চলের একটি এলাকায় ৫ থেকে ১০ সেন্টিমিটার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।

ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে ৪১ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা অক্টোবরের গড় বৃষ্টিপাতের আটগুণ।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে টাম্পা, সেন্ট পিটার্সবার্গ, সারাসোটা এবং ফোর্ট মায়ার্স শহরও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে প্লাবিত হয়। ৩০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এই অবস্থা দীর্ঘ সময় স্থায়ী হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইউটিলিটি কোম্পানিগুলো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ মায়ামির ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস টর্নেডোর ছবি পোস্ট করে বলেছে, ফ্লোরিডা এখন দ্রুত গতির ও বিপজ্জনক টর্নেডোর ঝুঁকিতে রয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি টর্নেডো সতর্কতা জারি করেছে সংস্থাটি। ঘূর্ণিঝড় হেলেন আঘাত হানার মাত্র দুই সপ্তাহ পরই ফ্লোরিডায় মিল্টনের এই আঘাত এলো।


আরও খবর