Logo
শিরোনাম

পণ্যের উচ্চমূল্য: বৈশ্বিক অস্থিরতা ও সিন্ডিকেটেড রাজনীতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যখন অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছায় তখন সেটি ‘জাতীয় সমস্যায়’ রূপ নেয়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ট্রাক সেলিং পয়েন্টগুলোতে (অস্থায়ী ভর্তুকিযুক্ত বিক্রয় পয়েন্ট) সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গরিব ও মধ্য-আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে হিমশিম খাওয়ার ফলে এই মূল্যবৃদ্ধি এখন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। কেন এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি? বাংলাদেশ কি সিন্ডিকেটেড রাজনীতির প্রভাবে একচেটিয়াভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে? নাকি উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে তা হচ্ছে? এটি কি বৈশ্বিক পণ্যমূল্যবৃদ্ধির ফল?

নব্বইয়ের দশক থেকে সোভিয়েত রাশিয়ার পতন, আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, একক রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিগুলো আন্তঃসংযুক্ততার দ্বারা বিশ্ব অর্থনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই বিশ্বায়ন রাষ্ট্রগুলোর মাঝে আন্তঃসংযুক্ততা তৈরি করেছে একই সাথে কিছু অর্থনৈতিক দুর্বলতাও ছড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে, একটি ছোট এবং অনিয়ন্ত্রিত পরিবর্তন পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে পারে এবং পুরো বিশ্বকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ১৯৯৪ সালের মেক্সিকান পেসো সঙ্কট, ১৯৯৭-৯৮ সালের এশীয় অর্থনৈতিক বিপর্যয় কিংবা ২০০৮ সালের আর্থিক সঙ্কট এবং সারা বিশ্বে এর প্রভাব এই ধরনের দাবির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

বর্তমান অস্থিতিশীল দ্রব্যমূল্যের সূচনা ২০১৮ সালে শুরু হওয়া মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন তেলের বৃহত্তম রফতানিকারক এবং চীন বৃহত্তম আমদানিকারক। বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনা সয়াবিনের আমদানি অন্তত ৩৫-৪০ শতাংশ কমেছে। এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিঘ্ন ও বিলম্বের কারণে বিশ্ববাজারে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সয়াবিনের দাম। বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব পড়েছে অন্যান্য পণ্যের দামেও। পরবর্তীতে, মহামারীর আগমন এবং সরবরাহে বাধা বিশ্বজুড়ে সঙ্কটকে আরো ঘনীভূত করে তোলে।

অন্যদিকে, করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি, মহামারী ঠেকাতে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, লকডাউনে উৎপাদনশীলতা হ্রাস এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি দেশ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে বিশ্বজুড়ে সরকারগুলো ঋণসঙ্কটে নিপতিত হচ্ছে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা হচ্ছে সঙ্কুুচিত। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নেও মহামারীর প্রভাবে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে, আর্থসামাজিক স্থিতিস্থাপকতা কমছে এবং বাড়ছে অর্থনৈতিক দুর্বলতা। ইউরোজোনে সঞ্চয়ের হারও কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২০২০ সালে যেখানে ২০ শতাংশ হারে সঞ্চয় প্রবণতা ছিল, ২০২১ সালে তা স্মরণকালের সর্বনিম্ন ১৪.৫ শতাংশে নেমে গেছে। মহামারী চলাকালীন, মূল্যস্ফীতিও ২০০৮ সালের আর্থিক সঙ্কটের পর থেকে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪.১ শতাংশে পৌঁছেছে। গত দুই বছরে ইউরোপের অর্থনীতিতেও পণ্যের দাম বেড়েছে আনুপাতিক হারে। সম্প্রতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও কাঁচামালের দামও নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০২১ সাল থেকে লোহার দাম ২৪৩ শতাংশ বেড়েছে, ইস্পাত এবং লিথিয়ামের দাম যথাক্রমে ২৫০ শতাংশ এবং ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে প্রায় সব খাদ্যদ্রব্যের দামই দ্রুত বেড়েছে।

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের মধ্য দিয়ে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইউক্রেন সঙ্কট বিশ্ববাজারে আরো প্রভাব ফেলেছে সরবরাহ ব্যাহত হওয়া ও উৎপাদনের অস্থিতিশীলতার কারণে। অপরিশোধিত তেলের দাম ইতোমধ্যেই ব্যারেলপ্রতি ১১০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গম এবং সূর্যমুখীসহ অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়বে কারণ এই অঞ্চলটি বিশ্বব্যাপী চাহিদার ৩০ শতাংশ গম এবং ৯০ শতাংশ সূর্যমুখী সরবরাহ করে। গত ১৪ এপ্রিল পর্তুগালের ভোক্তা অধিকার রক্ষা অ্যাসোসিয়েশন ডেকো প্রেটেস্ট তাদের সমীক্ষায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চিত্র প্রকাশ করতে গিয়ে দেখায় পর্তুগালের বাজারে ইউক্রেন সঙ্কট শুরুর পর থেকে অন্তত সাত দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য রফতানি ব্যাহত হওয়ায় মার্চ মাসে বিশ্বে খাবারের উচ্চমূল্য নতুন রেকর্ড গড়েছে। বিশ্ববাজারে সব খাদ্যপণ্যের দাম ৩২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

বাণিজ্যযুদ্ধ, মহামারী ও সর্বশেষ রুশ আক্রমণের ফলে মূল্যবৃদ্ধি একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি শুধু ইইউ বা বাংলাদেশের জন্যই খারাপ হচ্ছে না। তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য অংশও ভুগছে। পার্থক্য হচ্ছে কেউ এই সমস্যায় বেশি জর্জরিত আর কেউ কিছু কম। গবেষণা সংস্থা সিপিডি বলছে, প্রধানত করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব, ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য, পরিবহন খরচ ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। আর এসবের ব্যাপক প্রভাবে গরম হয়ে গেছে বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজার।

করোনা আর যুদ্ধের প্রভাবে উন্নত বা গরিব কোনো দেশই এখন আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাইরে নেই। কোভিডে নাগরিকদের বড় ধরনের প্রণোদনা দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ার রেকর্ড গড়েছে। দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৭ শতাংশে ঠেকেছে। আর ব্রিটেনে জ্বালানি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিক্ষোভও করেছে মানুষ। ইউরোজোনে যে ১৯টি দেশে ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করা হয় সেসব দেশে এই জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ শতাংশের বেশি, যা ২৩ বছর আগে ইউরো চালুর পর সর্বোচ্চ।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে- স্থানীয় বাজারে কেরোসিন, ডিজেলসহ বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং কোভিডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেয়ার কারণে। প্রশ্ন হচ্ছে বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধিই কি বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একমাত্র কারণ?

সিন্ডিকেটেড রাজনীতি
দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত অগ্রসরমান দেশ শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি অনেক দিন ধরেই টালমাটাল। ঋণের বোঝায় জর্জরিত দেশটি নিজেকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করেছে। গভীর সঙ্কট হাতছানি দিচ্ছে এ অঞ্চলের আরেক দেশ নেপালকেও। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে সরকার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। তবে সে রকম সঙ্কটে না পড়লেও বাংলাদেশের মানুষ হিমশিম খাচ্ছে দ্রব্যমূল্যের নজিরবিহীন ঊর্ধ্বগতিতে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায়, বৈশ্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি আড়তদার ও সিন্ডিকেটের অধিক মুনাফা লাভের আশায় পণ্য গুদামজাতকরণ এবং দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে। বিশেষ করে রমজান আসার আগে আগে দেখা যায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সক্রিয় হতে।

বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে দাম যতটুকু বাড়ার কথা দেশে, বাড়ে তার চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য যখন কমে আসে তখনই পণ্য বেশি দামেই কিনতে হয় ‘বাড়তি’ দামের অজুহাতে। সাম্প্রতিককালে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে চলছে তেলেসমাতি। বরাবরের মতো তেল উৎপাদনকারী এবং বড় বড় ডিলার এর পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে। তবে এটি স্পষ্ট সিন্ডিকেটেড কারসাজি এ মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম নিয়ামক।নিয়মিত বিরতিতে এ দেশের বাজারে কারসাজি চলে, পণ্যটা পাল্টে যায় শুধু। কখনো চাল, কখনো পেঁয়াজ, চিনি, তেল এমনকি কাঁচামরিচের দাম আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ খাওয়ার স্মৃতি এ দেশের মানুষের মনে এখনো তরতাজা।

জিনিসপত্রের দাম যে সবসময় বাড়েই তা নয়, কমে এমনকি মূল্যহীনও হয়ে পড়ে। পিচঢালা রাস্তায় আলু, টমেটো কিংবা সবজি ফেলে দিয়েছে কৃষক ন্যূনতম দামের অভাবে। গত কয়েকটি ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়াকে প্রায় মূল্যহীন হয়ে যেতে দেখা গেছে। অনেকে গরু অথবা ছাগলের চামড়া নামমাত্র মূল্যে বিক্রি না করে সেটি ফেলে দিয়েছে। দাম কমে ফসলের মৌসুমে যখন ফসল ওঠে। কৃষক হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে লাভ করা দূরে থাকুক, বহু সময় উঠিয়ে নিতে পারে না তার ধান, আলু কিংবা সবজি আবাদের খরচটুকুও। অর্থাৎ যেসব জিনিসের দাম বাড়লে দেশের হাতেগোনা কিছু মানুষের লাভ হবে, অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়তে দেখা গেছে সেগুলোর। আবার উল্টোদিকে যেসব জিনিসের দাম কমলে বিরাট লাভবান হবে সেই হাতেগোনা কিছু মানুষ, সেগুলোর দাম পড়ে যাবে একেবারেই। এই সিন্ডিকেটের রাজনীতি আর মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে বাজার হয়ে ওঠে অস্থিতিশীল।

করোনাভাইরাস আতঙ্ক ও ইউক্রেন সঙ্কটকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আলুসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে। বাজারে কোনো কিছুর ঘাটতি নেই, তারপরও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে আইন অনুযায়ী তাকে জেল-জরিমানা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ভোগ্যপণ্য বাজার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ অভিযান অব্যাহত রাখা একান্ত জরুরি।

সমাধান কোথায়?
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এবং মূল্যবৃদ্ধির সমস্যার জন্য বৈশ্বিক পরিস্থিতি প্রধান কারণ তবে একমাত্র নয়। কর্তৃপক্ষ সমস্যার পেছনে স্থানীয় কারণগুলোকেও প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। বাজার নিয়ন্ত্রণের অভাব, দুর্বল প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, অর্থনীতির করপোরেটাইজেশন এবং সিন্ডিকেটেড রাজনীতিও মূল্যস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির কারণ। বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে মূল্যস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধি শুধু সরকার, ব্যবসায়ী এবং জনগণের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব। যেহেতু যুদ্ধ এড়ানো একটি স্থিতিশীল সরবরাহের পূর্বশর্ত, তাই পেশিশক্তির পরিবর্তে কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য, বিকল্প আমদানি গন্তব্য খুঁজতে ও আমদানি কর কমাতে হবে। সরকারকে অবশ্যই বাজারের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে এই দেশীয় কারণগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য একটি সতর্ক ভূমিকা নিতে হবে। সরকারের উচিত পণ্যবাজার স্থিতিশীল রাখতে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং সমন্বয় সাধন করা এবং সর্বোপরি, আধিপত্যবাদী প্রতিদ্বন্দ্বীদের স্বীকার করা উচিত তাদের কর্মের প্রভাব পড়ছে বিশ্বের সাধারণ নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে।



আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।

দেশের চার জেলায় এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বয়ে যাওয়া এ দাববাহ আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সারা দেশে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।

তবে দেশের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের তুলনায় পশ্চিমাঞ্চলে এ তাপপ্রবাহ বেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় আবহাওয়া নিয়ে ভালো কোনও খবর নেই সংস্থাটির কাছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গরম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এ তাপমাত্রা বেড়ে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

প্রচণ্ড গরম পড়েছে। ঘরেও থাকা দায়। হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। লোডশেডিং আরও বাড়লে ভোগান্তি আরও বাড়বে। তাই বাচ্চাদের জন্য চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছে ইমরান হোসেন। কিন্তু দামে মিলছে না। আগের চেয়ে প্রায় ১ হাজার টাকা দাম বেশি চাইছে। একটি সিলিং ফ্যান কিনলাম সেটির দামও বেশি নিল। নবাবপুরে দাম বেশি হলে অন্য জায়গায় তো আরও বেশি হবে।


স্টেডিয়াম মার্কেটে ফ্যান কিনতে আসা রনি জানান, গরমে ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে, সেই সঙ্গে দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।


বাংলাদেশে ফ্যানের সবচেয়ে বড় বাজার নবাবপুর রোডে। সরেজমিন দেখা গেছে, নবাবপুরে প্রতিটি ইলেকট্রিক মার্কেটের সামনে রাখা যানবাহনে বিভিন্ন রকমের ফ্যান বোঝাই করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো যানবাহন থেকে ফ্যান নামিয়ে দোকানে বা গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

নবাবপুর ও গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি চার্জার ফ্যানের মান ও আকারভেদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে। বেশি বেড়েছে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যানের দাম। এসব ফ্যানের দাম পড়ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও বাড়ছে।


বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়। এ ছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়, বিদেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকায়। ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার এসির। বেড়েছে দামও।


নবাবপুরের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গরমকাল ফ্যান, রিচার্জ্যাবল ফ্যান ও এসি বিক্রির মৌসুম। এবার গরম বেশি পরায় চাহিদা বেড়েছে। বেচাকেনাও ভালো। তবে সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। বাজারে ১২, ১৪ ও ১৬ ইঞ্চির চার্জার ফ্যান বেশি চলছে। তবে স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও ভালো।


নবাবপুরের খুচরা ব্যবসায়ী আমিন জানান, তারা ডিফেন্ডার ও কেনেডি ফ্যান বিক্রি করেন। চায়না ফ্যানের দাম একটু বেশি, দেশিটার দাম একটু কম। ১২ ইঞ্চি রিচার্জ্যাবল ফ্যানের দাম ৩ হাজার ২০০ টাকা, বাংলা ফিটিং চায়নার দাম ৩ হাজার আর দেশি ফ্যানের দাম ২ হাজার ৬০০ টাকা। চায়নাটা তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা চার্জ থাকবে। বাকিগুলো কিছুটা কম চার্জ থাকবে। এ ছাড়া ১৪ এবং ১৬ ইঞ্জি ফ্যানও রয়েছে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ফ্যানের দাম কম ছিল। এখন প্রতিদিনই ৫০-১০০ টাকা বাড়ছে। গরম যত বাড়বে দামও তত বাড়তে থাকবে। তিন মাস আগেও এ ফ্যানের দাম ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। গত বছর একই ফ্যানের দাম সাড়ে ৫ হাজার পর্যন্ত উঠেছিল। এবারও যে হবে না তা বলা যাচ্ছে না। এবারও সেদিকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লে, মালের সংকট দেখিয়ে আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দেয়। দেখা যায়, সকালে যে দাম ছিল বিকালে তা আরও বেড়ে গেছে।


স্টেডিয়াম মার্কেটের নারায়ণগঞ্জ ইলেকট্রনিকসের বিক্রেতা হানিফ বলেন, গরমে চাহিদা বাড়ায় পাইকারি বাজারে ফ্যানের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আজও প্রতিটি ফ্যানে ২০০ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনেছি। কালও প্রতিটি ফ্যানে ১০০ টাকা বাড়তি দিয়েছি। বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যানুযায়ী কিনবেন।


বাংলাদেশ ইলেকট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও এফবিবিসিআই পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, এবার ফ্যানের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। দামও বেড়েছে। কারণ জিনিসপত্রের দাম এবং উৎপাদন খরচ প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ফ্যান উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ১০০ শতাংশ তামার তার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যে কাঁচামাল লাগে তার ৮০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। কপার শিট, অ্যালুমিনিয়াম শিট, এমএস শিট, বেয়ারিং ও ক্যাপাসিটর আমদানি করতে হয়। বৈশ্বিক ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ৩০-৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে। এ ছাড়া লেবারের মজুরি বেড়েছে। চাহিদার মৌসুমে লেবারদের বেশি মজুরি দিতে হয়। এসব মিলিয়ে ৪০ শতাংশ খরচ বেড়েছে। যার কারণে ফ্যানের দামও কিছুটা বেড়েছে।


আরও খবর

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধে উত্তাল বুয়েট

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)। ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৭টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে এবং দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ রাজনীতি আবার ফের শুরু করার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এতে ছাত্রলীগকে প্রবেশে সহযোগিতাকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণসহ ৬ দফা দাবি জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কিছু দাবি মেনে নেয়। কিন্তু, শিক্ষার্থীরা বলছেন তাদের সকল দাবিই মানতে হবে।

ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হল- বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে আমরা বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২৭ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল; উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসকল শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার; বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কেন, কিভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আসতে হবে; প্রথম ও দ্বিতীয় দাবি শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে সকল ডিএসডাবলুর পদত্যাগ করতে হবে; ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়াত এর প্রতিবাদ হিসেবে ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন এবং আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদান।

তাছাড়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা, রাজনীতিবিহীন পরিবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা বজায় রাখা সম্পূর্ণরুপে বিঘ্নিত হয়েছে ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার মাধ্যমে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সর্বদা বিরোধী।

 


আরও খবর



দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এল মার্চে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

দেশে মার্চ মাসে বৈধপথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। এরম‌ধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩৮৭ কোটি টাকার বেশি এসেছে।

দৈনিক গড়ে আসছে ৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বা ৭০৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বেশি।

আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৮ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। ৮১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।

এদিকে আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এসব ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২.১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

অন্যদিকের দেশের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে থাকা ডলার সংকটও কিছুটা কমছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট কমে আসার পেছনে কয়েকটি উদ্যোগ কাজে এসেছে। এর অন্যতম হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ির কারণে আমদানি কমে আসা। একইভাবে ডলারের দাম নিয়ে কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে আসায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়ে যাওয়া। পাশাপাশি টাকার সংকট কিছুটা কমে আসার কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকা অদলবদলের (সোয়াপ) সুবিধা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। দুই দেশের এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পায়। এতে হঠাৎ বেড়ে যায় আমদানি খরচ। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২২ সালের জুনে ৮৩৭ কোটি ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এলসি খোলার বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত নগদ টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়।

এ কারণে কমতে থাকে আমদানি দায়। কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আমদানি দায় পরিশোধ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। মাসটিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয় ৪৬৭ কোটি ডলারের। তার আগের মাস জানুয়ারিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয়েছিল ৫৯৬ কোটি ডলারের। আমদানি দায় পরিশোধ হলে সংশ্লিষ্ট মাসের প্রকৃত ডলার খরচ সে হিসাবে ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমে আসছে।

 


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




৮ ও ৯ এপ্রিল ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়া যাবে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারি অফিস খোলা থাকবে। এবার ঈদে ঐচ্ছিক ছুটির একটা ব্যবস্থা আছে। নিয়মানুযায়ী সেই ছুটি নেওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এবার রমজান ৩০ দিন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ফলে ঈদুল ফিতর হতে পারে ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। ১১ এপ্রিলকে ঈদুল ফিতরের দিন ঠিক করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ক্যালেন্ডারে আমাদের যেভাবে ছুটি করা আছে, ওইভাবেই ছুটিটা থাকবে। ৮ এবং ৯ তারিখে অফিস খোলা থাকবে। ওখানে (মন্ত্রিসভার বৈঠক) আলোচনা হয়েছিল। বিস্তারিত আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তই হয়েছে।

তিনি বলেন, এবার দেখা যাচ্ছে রমজান মাসের আগে দুটি মাসে ২৯ দিন ছিল। সাধারণত পরপর তিনটি মাস ২৯ দিন হয় না। এটা হলো সাধারণ ওয়ে এবং আবহাওয়া পরিদপ্তরের যে রিপোর্ট, সেটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে এ বছরের রমজান মাস ৩০ দিনে হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

ছুটি যেহেতু বাড়েনি, সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাইলে তো ছুটি নিতে পারবেন সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমাদের ঐচ্ছিক ছুটির একটা ব্যবস্থা আছে। যারা ঐচ্ছিক ছুটি নিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করবেন, তারা তো নিতেই পারবেন।

তিনি আরও বলেন, এটার(ঐচ্ছিক ছুটি) জন্য আলাদা নির্দেশ দেওয়ার দরকার নেই। এটা আমাদের ছুটি বিধিতেই আছে। প্রতি বছর আমরা যখন ক্যালেন্ডারটা করি, সেই ক্যালেন্ডারের নিচে ঐচ্ছিক ছুটির কথা লেখা থাকে।

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় ঈদের ছুটি নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা হয়।

ঈদের ছুটি এমনিতেই এবার ৫ দিন আছে জানিয়ে কয়েকজন মন্ত্রী বলেন, বাড়তি আরেকদিন ছুটি দেওয়া হলে সেটি কাজে সমস্যা করতে পারে। আলোচনার পর ৯ এপ্রিল অফিস খোলা থাকবে বলেই সিদ্ধান্ত হয়। তবে যারা দূরে ঈদ করতে যাবেন, তারা চাইলে ছুটি নিতে পারবেন বলে জানানো হয়।

এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আগামী ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করে। কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

 


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪