গাজীপুর সিটি করপোরেশন
নির্বাচনে কারো পোস্টার না ছিঁড়তে অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির
প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।
তিনি
বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচন অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচটি নির্বাচনের মধ্যে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুরে। এখানে
যেকোনো মূল্যে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
টঙ্গীর
এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির স্মরণসভায়
মায়া এসব কথা বলেন। স্মরণসভায় আরো বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ
আহসান রাসেল, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য শামসুর নাহার ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয়
শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মতিন মাস্টার, গাজীপুর সিটি
করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর
মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ ফুটবল
ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্য নুরুল ইসলাম নুরু, টঙ্গী পূর্ব
থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজাদা
সেলিম লিটন।
মোফাজ্জল
হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন,
যারা বলে নির্বাচন করতে দেবে না। যারা বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে
না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা নির্বাচনে আসেন বা না
আসেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন
দেশে নির্বাচন হবেই হবে।
তিনি
বলেন, আমরা ২০১৩ সালে আজমত উল্লাহ খানের নির্বাচন করেছি। ২০১৮ সালে জিরোর
(জাহাঙ্গীর আলম) নির্বাচন করেছি। এবারও নির্বাচন করছি। আজমত উল্লাহ খান গরিব
প্রার্থী উল্লেখ করে মায়া বলেন, আপনারা চিড়ামুড়ি নিয়ে বের
হবেন। ঘরে ঘরে যাবেন। বুঝিয়ে-শুনিয়ে ভোট চাইবেন।
গাজীপুরের
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্দেশ্য করে তিনি
বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে, নৌকাকে ভালোবাসে।
আওয়ামী লীগের ছায়াতল থেকে বের হয়ে দেখুন, একজন কর্মীও খুঁজে
পাবেন না আপনার পেছনে।
এবার
নৌকার বিরোধিতা যে করবে,
তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুশিয়ারি দিয়ে
মায়া বলেন, আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকলে হিরো হয়ে থাকতে
পারবেন, নয়তো জিরো হয়ে যাবেন।