Logo
শিরোনাম

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়েছে। ২৭ মে’র পরিবর্তে ৩ জুন হবে এই পরীক্ষা। আজ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ২৭মে। একই দিন ৪৪তম বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষাও হবে। সে কারণেই প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, প্রথম ধাপের পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) থেকে শুরু হবে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে ২০ মে এবং শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩ জুন। উল্লেখ্য, আবেদনকারীর নিজ নিজ জেলায় সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



বেহেশতী অনুভূতির মহা সওগাত ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

------ আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ:

ঈদ আনন্দ উৎসব। পূর্ণ একটি মাস সিয়াম সাধনার পর আল্লাহর রাব্বুল আলামীনের প্রতি কৃতজ্ঞতায় অভিষিক্ত মুমিন আত্মার আবেগ বিধুর এক বেহেশতী অনুভূতির মহা সওগাত ঈদুল ফিতর। এ মধুর মুহূর্তটিতে একজন মুমিনের হৃদয় যেমন সিয়ামের লব্ধ পবিত্রতায় আলোক উদ্ভাসিত হয়ে উঠে, অপরদিকে সদ্য সমাপ্ত মাহে রমযানের বিদায়ে হয়ে উঠে দুঃখ ভারাক্রান্ত। একটি মাসের সিয়াম সাধনায় রহমত, মাগফিরাত লাভ করার মতো যোগ্য সাধনা হলো কিনা, যতটুকু হয়েছে তাও আবার গ্রহণ যোগ্য হয়েছে কিনা, ইবাদতের এক মৌসুমী মাহে রমযান আবার ভাগ্যে জুটবে কিনা, ইত্যকার ভাবনায় মুমিন অন্তর হয়ে উঠে বিষাদময়। এই আর বিষাদকাতর অবস্থাতেই অশ্রু বিগলিত হয়ে জায়নামায সিক্ত করে প্রতিটি মুমিন মাহে রমযানকে জানায়‘আল বিদা’।

এর পরই আসে হিসাব নিকাশ মিলানোর পালা। “আস-সাওমু লি, ওয়া আনা উজযা বিহী” ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এক মাস সিয়াম সাধনার বদলা-মুজুরী লওয়ার মোবারক আনন্দঘন ঈদের মূহুর্ত। ধনী-গরীব নির্বিশেষে ঈদ জামাতে এক হয়ে—দুহাত উঠিয়ে প্রভুর পক্ষ থেকে আত্মপরিতৃপ্তির সাথে পুরষ্কার গ্রহণ করে সকলে। দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম, সংযম, তিলাওয়াত, যাকাত, সাদকা – প্রভৃতি পেশ করার প্রতিদানে গ্রহণ করে নেয় রাব্বুল আলামীনের অপার সন্তুষ্টি। আর এরই নাম হলো ঈদ, এই হলো মুমিনের প্রকৃত আনন্দ উৎসব। এটাই হলো আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করার শরীয়ত সম্মত প্রক্রিয়া।

বস্তুতঃ এই শরীয়ত সম্মত আর্দশ জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করার শপথ নবায়ন করার বার্ষিক অনুষ্ঠান হলো ঈদ উৎসব। তাই যুগপত এই ঈদের প্রভাতে প্রতিটি মুমিনের মুখেই ফুটে উঠে তৃপ্তির হাসি।

পক্ষান্তরে ভোগবাদী সভ্যতার অনুকরণে অর্ধ রমযান অতিক্রান্ত হতে না হতেই শুরু হয় ঈদের সাজ-সরঞ্জাম-জুতো, জামা, শাড়ী অলংকার ও প্রসাধনের বাজারে প্রচণ্ড ভীড়। নূতন নূতন ছায়াছবি মুক্তির সমারোহ, ভিডিও কর্ণারগুলোর অমার্জিত প্রচার, আর খাওয়া-দাওয়ার রকমারী উদ্যোগ।

অথচ সিয়াম সাধনায় শরীক না হয়ে এসবের মধ্যে সকল শক্তি নিয়োগ করে মার্কেটে মার্কেটে ছুটে বেড়ানো বা ইত্যাকার ভোগসর্বস্ব যে সমস্ত ইহ হল্লা হট্টগোল ঈদ উৎসব নামে অভিহিত করা হয়, এমন ঈদের সংগে কোন মুমিনেরই পরিচিত হওয়ার অবকাশ নেই। এ গুলো ইহুদী খৃষ্টান বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যর্থ অনুকরণ ছাড়া আর কিছুই নয়।

এক কথায়—যারা রোযা রাখেনি, যারা আল্লাহর বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, কুরআনকে যারা সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মনে করেনা এবং যে রোজাদারের, যাকাত দানে অনীহা, পরশীর হক অস্বীকার করে, এ সমস্ত লোকদের কারো ঈদের জামাতে শরীক হওয়ার অধিকার নেই। ঈদের জামাতে তারা অনভিপ্রেত। তারা অবাঞ্ছিত। মুমিনের কাতারে তারা অন্যায় অনুপ্রবেশ কারী। এদের জৌলুষ, এদের বিত্তবৈভবের নগ্ন প্রদর্শনী, উদ্ধত অহংকার, এদের পশুসুলভ লালসার জিহ্বা এড়িয়ে চলা প্রতিটি ঈমানদারের জন্য একান্ত অপরিহার্য।


আরও খবর



অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু গত কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৭ নম্বরে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৬২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কার ২০৯। আর ১৯৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের শহর দিল্লি, ১৮৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের স্কোর ১৭২।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

অস্থির চালের বাজার। দাম বাড়ছেই। সারা দেশে অভিযান, জরিমানা, শুল্ক ছাড়ের পরও নিয়ন্ত্রণে নেই চালের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে ৩০ প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এসব পদক্ষেপকে পাত্তাই দিচ্ছে না অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা।

গত সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। এদিকে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ ও জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করতে চাইছে সরকার।

আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে সরু চাল, চিকন চাল, মোটা চাল এসব থেকে বের হয়ে জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একই সঙ্গে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণে মিলার, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ের জন্য একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ জন্য খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বৈঠক করে এটা চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেব। পয়লা বৈশাখ থেকে তা কার্যকর হবে।

এদিকে দাম বাড়ানো নিয়ে একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মিলারদের দুষছেন খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, রোজার সময় বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক থাকার কথা। তাদের দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই মিলগেটে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে। গুটি স্বর্ণা বা মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। ৮-১০ দিন আগে এ দুই জাতের চালের দর ছিল যথাক্রমে ৫২ থেকে ৫৪ ও ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। একই সময় চিকন বা মিনিকেট চালের কেজি ছিল ৬৮ থেকে ৭২ টাকা, ভোক্তাদের এখন কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৬ টাকা দরে। দেখা যায়, এ তিন জাতের চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা।

রাজধানীর মগবাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম দিন দনি যে হারে বাড়ছে, সে হারে বেতন বাড়ছে না। তাই আমাদের অনেক কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। রোজার শুরুতে আটাশ চাল কিনেছি ৫৪ টাকা। ২০ দিন পর একই চাল নিতে হলো ৫৮ টাকায়।

অপরদিকে দালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মিলাররা বলছেন, ধান সংকটের কথা। দায়ী করছেন মৌসুমি মজুতদারদের। তাদের অভিযোগ কৃষকের কাছ থেকে কম দরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ধান কিনে রেখেছেন। ফলে কৃষকের কাছে ধান নেই। মজুতদারের কাছ বেশি দামে থেকে ধান কিনতে বাধ্য হচ্ছেন মিলাররা। ধানের দাম বেশি হওয়ায় মিল পর্যায়ে চালের কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা বেড়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন বলছে, গত এক মাসের তুলনায় বাজারে এখন সব ধরনের চালের দাম বেশি।

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, ঢাকার বাজারে গতকাল প্রতি কেজি চিকন চাল ৬৮ থেকে ৮০, মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬০ ও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত মাসের এ সময় চিকন চালের কেজি ৬৪ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি চাল ৫২ থেকে ৫৬ ও মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ছিল। সে হিসাবে গত এক মাসে এ তিন ধরনের চাল কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন আরও বলছে, শতাংশের হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালে ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, মাঝারি চালে ৬ দশমিক ৪৮ এবং ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ দাম বেড়েছে চিকন চালের দাম।


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




"বাবাভাণ্ডারী (কঃ) দুঃখী-ভাবী-অসহায়দের আশ্রয়স্থল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লক্ষ লক্ষ আশেকানে মাইজভাণ্ডারীদের সরব অংশগ্রহণে মহান ২২শে চৈত্র, গাউসুল আযম, ফানাফিল্লাহ্, বাকাবিল্লাহ্, শেখে ফায়াল, ইউসুফে সানী, জামালে মোস্তফা, হুজুর গাউসুল আযম, শাহ্সুফি সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ) এর ৮৭তম পবিত্র ওরশ শরীফ মাইজভাণ্ডার শরীফসহ সারা বিশ্বে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে 'আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া' পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, জীবনী মুবারক আলোচনা, জিয়ারত, ওয়াজ মাহ্ফিল, ইফতার ও সাহরী আয়োজনসহ ৩ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করেছে। ৫ এপ্রিল, ২০২৪ মাইজভাণ্ডার শরীফে ইফতারের পূর্বে এবং সাহরীর পূর্বে আলোচনা ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর প্রপৌত্র, মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, "গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) আখেরী জামানার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে যুগোপযোগী এবং স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি প্রেমের অনন্য এক তরিকা, 'তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া' প্রবর্তন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী তরিকা মূলত ক্বাদেরিয়া তরিকার অনুসরণে প্রবর্তিত হয়েছে। বাংলাদেশে 'ক্বাদেরিয়া' তরিকার মূল দায়িত্ব পালন করছেন হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)। তারই স্নেহধন্য ভ্রাতুষ্পুত্র ইমামুল আউলিয়া, হুযুর গাউসুল আযম হযরত সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এ মহতী তরিকাকে পূর্ণতা দান করেছেন। তিনি গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর সুশোভিত বাগানের শ্রেষ্ঠ প্রষ্ফুটিত গোলাপ। যার সৌরভ আজ বিশ্বজুড়ে। তার মাঝে খিজিরি বেলায়তের ঐশ্বর্য বিরাজমান। তিনি শরীয়তের জ্ঞানে যেমন পারদর্শী ছিলেন, তেমনি প্রবল কষ্ট-সাধনা-রিয়াজতের মাধ্যমে মারেফাতের সীমাহীন খনি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর সুউচ্চ, দুর্গম পাহাড়ে, বনে জঙ্গলে, নির্জনে মহান আল্লাহ্ তায়ালার ধ্যানে নিমগ্ন ছিলেন। তার নূরানী রূপের আলো, আধ্যাত্নিক শক্তি, মানবিকতা, উদারতা, স্নেহ-ভালোবাসার প্রভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান পেয়েছেন। আজও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অজস্র মানুষ বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে নবীপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন, আল্লাহ্ তায়ালা ও ইসলামকে জানছেন। বিচ্ছিন্ন জনপদেও তিনি ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছেন।

মাইজভাণ্ডার শরীফকে গাউসুল আযম ক্বেবলা ক্বাবা (কঃ) ও গাউসুল আযম বাবাভাণ্ডারী (কঃ) দুই সমুদ্রের মিলনস্থলের মত মহাকাব্যিক স্থানে পরিণত করেছেন। বাবাভাণ্ডারী (রাঃ) এদেশের মাটি-মানুষের আবেগ-ভালোবাসার সাথে মিশে আছেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে এ দেশের মানুষের সকল মুক্তি সংগ্রামে এবং অগ্রযাত্রায় তার অবদান অনস্বীকার্য। বাবাভাণ্ডারী (রাঃ) অভাবী, দুঃখী, শোষিত-বঞ্চিতদের আশ্রয়স্থল ; সুখ-দুঃখের সাথী। তিনি মানুষের অন্তরে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার শিখা জ্বেলেছেন, নবীপ্রেমের জোয়ার এনেছেন, আহলে বাইতগণের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের পতাকাকে উড্ডীন করেছেন। তার বেলায়তের প্রভাব বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকে নি। কারণ গাউসুল আযম কোন নির্দিষ্ট স্থানের জন্য শুভাগমন করেন না। তিনি সকলের। বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর জীবনাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমাদেরকে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আল্লাহ্ ও রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আহলে বাইতগণের এর ভালোবাসায় জীবন সাঁজাতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, খলিফাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

দোজাহানের বাদশাহ্  হুযুরপুর নূর, আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা, প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং সম্মানিত আহলে বাইতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাতু সালাম নিবেদন শেষে মাহ্ফিলের সমাপনী মুনাজাতে বিশ্ববাসীর কল্যাণে প্রার্থণা করেন শাহ্সুফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় বাইকারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদ এলেই মহাসড়কে বেড়ে যায় মোটরসাইকেলের চলাচল। দুই চাকার এ মোটরযানে করে বাড়ি ফেরেন অনেকেই। তাই এ সময় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনাও বেড়ে যায় চোখে পড়ার মতন। এবার এ বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ প্রশাসন। মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কে ব্যবস্থা করা হচ্ছে আলাদা লেনের।

সূত্রমতে, দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন করে দেওয়া হবে এবারের ঈদযাত্রাকে ঘিরে। এক্সপ্রেসওয়ের ৪০ কিলোমিটার এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার মুন্সিগঞ্জ জেলার আওতাধীন। এই অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত দুই শতাধিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবারের ঈদযাত্রায়। মহাসড়কে তিন চাকার যান নিয়ন্ত্রণেও তদারকি করবে পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই মোটরসাইকেল চলাচল বহুগুণ বেড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনাও। তাই এবার ঈদের আগে দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।

এর অংশ হিসেবে সড়কের কোথাও যেন পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে না রাখা হয় সেটিও তদারকি করবেন পুলিশ সদস্যরা।

ঈদযাত্রা ঘিরে নিজেদের প্রস্তুতির ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেছেন, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অংশ চলে গেছে এ জেলার ওপর দিয়ে। তাই এবার ঈদে বাড়ি ফেরা নিরাপদ করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে।

তিনি জানান, এবারই প্রথম মোটরসাইকেলের জন্য স্পেশাল লাইন থাকবে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে। তিন চাকার যানবাহন যেন ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করতে না পারে সে ব্যবস্থাও থাকবে।


আরও খবর