Logo
শিরোনাম

প্রাথমিক তদন্ত: বেনজীর পরিবারের সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image



 বিডি টুডেস ডেস্ক:


পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‍অনুসন্ধান টিম। প্রাথমিকভাবে এসব সম্পদের কোনো উৎস পায়নি তারা।


অবৈধ এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকায় কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা বিপুল পরিমাণ অর্থ। অনুসন্ধানের স্বার্থে এখনই এসব সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করতে চাচ্ছে না দুদক। বেনজীর পরিবারের স্থাবর ও অস্থাবর এসব সম্পদের দালিলিক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে তারা।



অনুসন্ধান টিম প্রাথমিকভাবে বেনজীর আহমেদের নামে নয় কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৫ টাকা, তার স্ত্রী জীসান মীর্জার নামে ২১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৩ টাকা, জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে আট কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৬ টাকা এবং মেজো কন্যা তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে চার কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮ টাকা থাকার কথা জানতে পেরেছে। আপাতত এ তথ্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছে অনুসন্ধান টিম।


প্রাথমিক এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণ চেয়ে ইতোমধ্যে আলাদা নোটিশ দিয়েছে দুদক।


মঙ্গলবার (২ জুলাই) সম্পদের নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানকারী টিম প্রাথমিক অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে। 



এজন্য তাদের নামে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা মোতাবেক আলাদা আলাদা সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।



তিনি বলেন, প্রাথমিক প্রমাণ ছাড়াও অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশে-বিদেশে আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এর পক্ষে প্রমাণ ও দলিল সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।



আরও খবর



জরুরি সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, নির্বাচনমুখী যেসব জরুরি সংস্কার করা দরকার তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আপনি আশ্বস্ত করেছিলেন, আবার আপনি সরে গেলেন, আপনি মনে করছেন আপনাকে জনগণ অসীম ক্ষমতাশীল বানিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো পরামর্শ আপনার মানার দরকার নেই। যদি তাই মনে করেন আপনার নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ হবে, ইতোমধ্যে কিছু কিছু উপদেষ্টা আপনার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করে উচ্চাভিলাষ প্রকাশ করছে। তাদের উদ্দেশ্য অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অনির্বাচিতভাবে যেন এই সরকার থাকতে পারে। আপনার কী উদ্দেশ্য তা অবশ্য আমরা জানি না।

খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি কোনোদিন নির্বাচনের দাবিতে এই সরকারকে ঘেরাও করতে হয়, তা হবে আমাদের জাতির জন্য একটি দুর্ভাগ্য। আপনি কি (প্রধান উপদেষ্টা) চান এই নির্বাচনের জন্য আপনার সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হোক, এ দেশের জনগণ যমুনামুখী লংমার্চ করুক।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনি সম্মানের সঙ্গে ডিসেম্বরের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার এবং বিচার চলমান প্রক্রিয়া, তা চালু থাকবে যারাই সরকারে আসুক না কেন। অনন্তকাল ধরে আপনি বিচার এবং সংস্কারের বাহানা দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কণ্টকাকীর্ণ করবেন না। যাদের পরামর্শে আপনি বিভ্রান্ত হচ্ছেন, সেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের আপনার উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অপসারণ করুন। আমরা আগেও বলেছিলাম আপনার উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর আছে, আমরা চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম। এখন কিছু বিদেশিদের দোসর আছে। এখন আমরা তাদের অপসারণের কথা বলছি। আর যারা এনজিও মার্কা উপদেষ্টা আছে, যারা আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের কথা শোনার প্রয়োজন নেই, তাদেরকে অপসারণ করুন। না হলে সসম্মানে বিদায় নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনার নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের পরে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু মনে করবেন না রোজ কেয়ামত পর্যন্ত আপনাদের আমরা এই জায়গায় দেখতে চাইবো। এখন মানুষ বলছে, আপনার সরকার এনসিপি মার্কা সরকার। আপনার সরকারে এনসিপির ২ জন প্রতিনিধি বিদ্যমান। তারা উপদেষ্টা, তারা আবার এনসিপি সংগঠন করে। যদিও অফিসিয়ালি করেন না, কিন্তু সবাই সবকিছু জানে, ওপেন সিক্রেট। যদি আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চান তাহলে এনসিপি মার্কা ২ জনকে পদত্যাগ করতে বলুন, যদি পদত্যাগ না করে আপনি বিদায় করুন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে আপনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। একজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই দেশের সেনাবাহিনী নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রতিবেদন দেবে, এটা কীভাবে ভাবলেন? তিনি রোহিঙ্গা করিডরের নামে, মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আপনি কথা বলেননি, এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা করেননি। অত্যন্ত ‘অ্যারোগ্যান্টলি’ আপনার সেই উপদেষ্টা বলছেন তাতে নাকি কিছু যায় আসে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা দাবি করছি- সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আপনি বিদায় করুন। সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হয় নিজে পদত্যাগ করবে, না হয় আপনি তাকে বিদায় করবেন। এই দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো জাতীয় দায়িত্ব বিদেশি নাগরিকের হাতে থাকতে পারে না। এই নাগরিক ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশে একটি অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য, আমরা তা হতে দেব না। এই দেশে বন্দর- করিডোর সবকিছু নাকি ইউনূস সরকারের অধিকারের মধ্যে পড়ে, বিদেশে আপনি কী কন্ট্রাক্ট করে এসেছেন জানি না। আপনি কি চুক্তি করে এসেছেন অবলীলাক্রমে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর, নদী বন্দর, করিডোর সব বিদেশিদের হাতে হস্তান্তর করবেন? আপনার একমাত্র ম্যান্ডেট দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন করা।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাকিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।


আরও খবর



কিছু জায়গায় লবণ না দেওয়ায় চামড়া নষ্ট হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সরকার এবার কাঁচা চামড়ায় লবণ দেওয়ার জন্য প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ দিয়েছে। কিন্তু কিছু জায়গায় চামড়াতে লবণ না দেওয়ার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণলায়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্প নগরীর হলরুমে ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা জানান।

এ সময় ট্যানারিতে চামড়া সংগ্রহ নিয়ে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, এবার সাভারের বিসিক শিল্পনগরী ট্যানারিতে তিন লাখ ৮৮ হাজার কুরবানির পশুর চামড়া এসেছে। সারা দেশে আরও সাত লাখ ৫০০ হাজারেরও বেশি চামড়া রয়েছে। সেগুলো খুব শিগগিরই ট্যানারি কারখানাতে ঢুকবে। সরকার চেষ্টা করেছিল এবার চামড়া সংগ্রহটা যেন ভালোভাবে হয়। যেন মূল্যটা আমরা যতদূর সম্ভব, যেভাবে নির্ধারিত করেছি সেই ভাবে পাই। সরকার এবার কাঁচা চামড়ায় লবণ দেওয়ার জন্য প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ দিয়েছে। কিন্তু কিছু জায়গায় চামড়াতে লবণ না দেওয়ার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে। আর বাকি চামড়াগুলো আস্তে আস্তে ঢাকায় আসছে। সরকার চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।

আদিলুর রহমান খান বলেন, কিছু কিছু ছোট মাদ্রাসা চামড়ায় সময়মতো লবণ লাগাতে পারেনি। তবে বড় মাদ্রাসাগুলো লবণ ঠিকমতো লাগাতে পেরেছে। সরকার শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে চায়। চামড়াটা যেন নষ্ট না হয় সেটাও চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য ট্যানারিতে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিল্প টিকিয়ে রাখতে যা করা দরকার সব করা হবে।

ট্যানারি শিল্পের খারাপ অবস্থার জন্য বিগত সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, ট্যানারি শিল্পতে খারাপ অবস্থার কারণে আগের সরকারের সময় যারা দায়িত্বে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে দুর্নীতি দমন কমিশন ডাকছে। এটা ১৭ সালের সরকার না, এটা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। এর আগে যে সরকার উল্টো কাজ করেছে, তারা পালিয়ে গেছে। এই সরকার যা করা দরকার তাই করবে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার। তবে এসব ফলের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। খুচরা থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান- সবখানেই রাজত্ব করছে আম, লিচু, তালের শাঁস, আনারস, জাম, লটকন, বেতফল, আতাফল, জামরুলের মতো নানা স্বাদের ফল। এমনকি অনলাইন প্লাটফর্মেও বিক্রি হচ্ছে ফল। কিন্তু অনেক ফলের দাম এখনও নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।

বাসাবো এলাকার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম ফরিদ বলেন, আপেল, কমলা, মাল্টা, আনার- এগুলো এখন দামি ফল। জ্যৈষ্ঠ মাসে অপেক্ষা করি সামর্থ্যরে মধ্যে দেশি ফল খাওয়ার। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি লিচু, আম, জাম- সবকিছুর দাম অনেক বেশি। একই অভিজ্ঞতা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. ওয়াহেদ উজ জামানের। তিনি বলেন, ১০০ পিস ছোট আকারের লিচুর দাম ৪০০-৫০০ টাকা। বড় আকারের রাজশাহীর লিচুর দাম আরও বেশি। জামের কেজি চাইছে ৪৫০-৫৫০ টাকা।

তবে তালের শাঁস ও আনারসের মতো কিছু ফল এখনও তুলনামূলক সস্তায় মিলছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ধারে। দিনের বেলায় গরমের মধ্যে একটু স্বস্তি পেতে পথচারীরা ভিড় করছেন এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোয়। রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ভ্যানে করে তালের শাঁস বিক্রি করছেন মো. হাসনাত রুবেল। তিনি জানান, তালশাঁসের সরবরাহ বেড়েছে, খুচরায় ১০ টাকা পিস বিক্রি করছি। আস্ত তাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।

এক ক্রেতা মো. নুরুল হক বলেন, এই গরমে পানিজাতীয় ফল খেতে ভালো লাগে। এক পিস ছোট ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা হলেও তালশাঁস মাত্র ১০ টাকায় পাচ্ছি। আনারসও ৩০-৫০ টাকায় মিলছে।

বিদেশি ফলের দাম বেড়ে অনেক আগেই নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। খুচরা বাজারে আপেলের কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। একইভাবে মাল্টা, কমলা, আনারসহ অন্যান্য বিদেশি ফলের দামেও আগুন জ্বলছে যেন। চড়া দামে এসব ফল কিনে খাওয়া অনেকের কাছে এখন বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। এমনকি মধ্যবিত্তদেরও এগুলো কিনে খেতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে। তাই সামর্থ্যরে মধ্যে রসালো ফলের খোঁজে সবার নজর এখন জ্যৈষ্ঠের ফলের দিকে।

কারওয়ানবাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশি ফলের সরবরাহ গত দুই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সাতক্ষীরা, রাজশাহী, যশোর থেকে আম আসছে। রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় আকারের লিচুর চালানও শিগগির বাড়বে।

পাইকারি বিক্রেতা মো. আসফাক আলী ও সুরুজ মিয়া জানান, দিন যত এগোবে আমের সরবরাহ বাড়বে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় লিচুর সরবরাহ বাড়বে। তখন দামও কিছুটা কমে আসবে। অন্যদিকে গাজীপুর ও সাভারের পাকা কাঁঠাল রাজধানীর বাজারে পুরোপুরি উঠতে আর সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে। জাম, লটকন, বেতফল, আতাফলসহ অন্যান্য দেশি ফলগুলোর সরবরাহ সন্তোষজনক রয়েছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ১০০-১৫০ টাকা, ১০০ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। কালোজামের কেজি ৪০০-৬০০ টাকা, আনারসের পিস ৩০-৫০ টাকা, তাল ৩০-৪০ টাকা, আর ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা।

তবে বাজারে এখনও সুলভ দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, কলা, পেয়ারা, বাঙ্গি, ও মৌসুম শেষে থাকা তরমুজ। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দেশি ফলের সরবরাহ বাড়লেও দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই বাজারে ফিরবে স্বস্তি- এই প্রত্যাশাই এখন সাধারণ ক্রেতাদের।


আরও খবর



ভেনিসে মর্যাদাপূর্ণ প্রবাস জীবন শীর্ষক সেমিনার ৩১মে, শনিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

ইতালির ভেনিসে আগামী ৩১ মে, শনিবার বিকেলে আয়োজন করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী ও গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার। 

"মর্যাদাপূর্ণ প্রবাস জীবন ও পরকালীন উন্নতি" শীর্ষক এ সেমিনারে উঠে আসবে প্রবাসীদের বাস্তবতা, দায়িত্ব ও সম্ভাবনার প্রয়োজনীয় দিক। প্রবাসীদের চিন্তা ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য এ সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ সজল তুলে ধরবেন- নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীদের দায়িত্ব। হালাল উপার্জনের গুরুত্ব ও আত্মিক উন্নয়ন নিয়ে আলোকপাত করবেন মাওলানা আরিফ মাহমুদ। 

ইতালির স্বাস্থ্যসেবা ও শ্রমিক অধিকার নিয়ে বিশ্লেষণ করবেন তরুণ চিকিৎসক তাহমিদ তিশাদ। ইতালীয় শিক্ষা ব্যবস্থার নানা দিক ব্যাখ্যা করবেন তরুণ গবেষক সম্রাট আব্দুল্লাহ। প্রবাসীদের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ ও পন্থা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ কামরুল হাছান।

ভেনিসের মেসত্রের ভিয়া পিয়াভেস্থ মসজিদুল ইত্তেহাদে আয়োজিত এই জ্ঞানগর্ভ সেমিনারে সকল বাংলাদেশি অভিবাসীদের উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিক আহ্বান জানানো হয়েছে।

যারা ইতালীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্ম, অর্থনৈতিক মুক্তি, ধর্ম পালন এবং জীবনমান সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই সেমিনার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।



আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে টেক্সটাইল ক্লাবের উদ্যোগে “Tex Quiz – 01” অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি ‎:

‎মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে “Tex Quiz – 01” শীর্ষক একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে টেক্সটাইল ক্লাব।‎

‎সোমবার (২৬ মে) দুপুর ২টায় বিভাগের নির্ধারিত কক্ষে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে টেক্সটাইল বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে আয়োজনটি অত্যন্ত উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।

‎প্রতিযোগিতাটি দুইটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত ছিল — সিনিয়র ও জুনিয়র। প্রতিটি ক্যাটাগরি থেকে সেরা তিনজন করে মোট ছয়জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। কুইজে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ শাখা যেমন— স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, ডাইং, ফিনিশিং ও গার্মেন্টস সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হয়।

‎অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী পর্বে বিভাগের সকল শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

‎টেক্সটাইল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এই ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে এবং তাদের মধ্যে পেশাগত মনোভাব গড়ে তোলে।”

‎টেক্সটাইল ক্লাবের সভাপতি সাকিব বলেন,Tex Quiz – 01 আয়োজনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের বাইরের জ্ঞান চর্চার সুযোগ করে দিয়েছি। তারা খুব উৎসাহ নিয়ে অংশ নিয়েছে, যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করতে চাই, যাতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

‎টেক্সটাইল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাকিব বলেন, “শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই আমাদের সাফল্যের মূল ভিত্তি। আমরা চাই তারা নিয়মিতভাবে এ ধরনের স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করুক।

‎টেক্সটাইল ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. হ্নদয় হোসেন বলেন,“Tex Quiz – 01 ছিল আমাদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপক সাড়া আমাদের ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আয়োজনের জন্য উৎসাহিত করেছে।”

‎উল্লেখ্য, টেক্সটাইল ক্লাব বস্ত্র প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ, পেশাদারিত্বের উন্নয়ন, উদ্যোক্তা মনোভাব গড়ে তোলা এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় টেক্সটাইল পেশাজীবীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযোগ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর