Logo
শিরোনাম

প্রবাসীদের জন্য 'প্রক্সি' ভোটের বিকল্প দেখছেন না ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন ভবনে ওআইসিভুক্ত মিশন প্রধানদের মধ্যে ১০টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, তিন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।

এ বৈঠকে আলজেরিয়া, ব্রুনাই, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সক্ষমতা বাড়ানো, অভিজ্ঞতা ও পারস্পরিক মতবিনিময়ের বিষয়ে প্রতিনিধিদের সহায়তা চেয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, উন্নয়ন সহযোগী দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করা হচ্ছে, মতবিনিময় হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে ওআইসিভুক্ত দেশের মিশনপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

তিনি বলেন, তারা আজ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমাদের বর্তমান কার্যক্রম, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সব কাজ হাতে নিয়েছি সেসব অবহিত করেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা আশা করেছি।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যে ভোটিং পদ্ধতিই ভবিষ্যতে নির্ধারণ করুন না কেন তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছে ইসি। এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রবাসী ভোট সংক্রান্ত তারা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত সহযোগিতার বিষয়ে তাদের আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং অবজারভার টিম পাঠানোর জন্যও বলেছেন। আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং যথাসময়ে এগুলো ফরমালাইজ করব।

তিনি জানান, ইসির বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি, পরিকল্পনা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে সবাই আগ্রহী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রবাসীদের ভোটে প্রক্সি ভোটিং নিয়ে অনেকের সংশয়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, তিন ধরনের মেথডে আমরা কোনোটাকেই প্রায়োরিটিতে আনিনি। তিনটি মেথডকে (অনলাইন, পোস্টাল ব্যালট ও প্রক্সি ভোটিং) শর্ট লিস্ট করেছি।

পোস্টাল ও অনলাইন বিষয়ে তিনি জানান, পোস্টাল ব্যালটটা বর্তমানে অকার্যকরী। অনলাইন পদ্ধতি নিয়ে আজও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মিশরের রাষ্ট্রদূত জানালেন তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়, তারা চালু করে অনলাইন ভোট বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেছেন, তাদের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা ভালো, পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে চালুর অবস্থানে নেই তরা।

প্রক্সি ভোটিং এর বিষয়ে কয়েকটি দেশের অভিজ্ঞতা এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা আরেকজনের সহায়তা নিয়ে ভোট দিয়ে থাকেন। জমি জমাও পাওয়ার অব এটর্নির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। আমাদের এখন মন্দের ভালো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে চাই তাহলে কোনো না কোনো একটা অপশন বা সব অপশনের কম্বিনেশন আমাদের নিতে হবে।

তিনি বলেন, বড় পরিসরে আমাদের প্রবাসীদের ভোট দেওয়াতে চাইলে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কারণ, বাকি যে দুটো বিকল্প রয়েছে এগুলো নিয়ে পাইলটিং পর্যায়ে যাওয়া যাবে, লার্জ স্কেলে ডেপ্লয় হয়ত করা যাবে না।

তিনি জানান, আগামী এপ্রিলের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করার পর চূড়ান্ত পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি।

বৈঠক শেষে ওআইসি প্রতিনিধিদের পক্ষে বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওথমান কথা বলেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের একটি বড় সংখ্যক প্রবাসী বসবাস করছেন। এ সরকারের অধীনে সরকারের নির্বাচনী সংস্কার- সব সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করছে মালয়েশিয়া। আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ারে আগ্রহী, বিশেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিদেশি কর্মীদের বিষয়ে।


আরও খবর



পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত প্রকৃতিকন্যা সিলেট

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পর্যটনের আদর্শ স্থান হিসেবে পরিচিত সিলেট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত এই অঞ্চলে বিশেষ ছুটি ছাড়াও প্রায় সারা বছর দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। এবারে ঈদে লম্বা ছুটি আর ভারতীয় ভিসা বন্ধের সুযোগে সিলেটে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক সমাগমের আশা সংশ্লিষ্টদের।

পর্যটক বরণে এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নিরাপদ ও ভোগান্তিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিলেট প্রশাসন পর্যটকদের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলার কথাও জানিয়েছে।

জানা গেছে, এরই মধ্যে সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোতে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। পর্যটক বরণে স্পটগুলোতে শেষ সময়ের প্রস্ততি চলছে। ভ্রমণ পিপাসুদের নজর কাড়তে শেষ হয়েছে ধোয়ামোছা ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ।

এবার জাফলং, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, বিছনাকান্দি ও রাতারগুলে পর্যটক ভিড় জমবে। প্রকৃতি কন্যা খ্যাত সিলেটের উঁচু-নিচু পাহাড় আর ঢেউ খেলানো চা-বাগান পর্যটকের আকর্ষণের অন্যতম উপলক্ষ্য।

এছাড়াও হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারতের জন্য অধিকাংশ পর্যটকের পছন্দের গন্তব্য সিলেট।

এই অঞ্চলের অন্যান্য পর্যটন স্পটের মধ্যে রয়েছে, লালাখাল, শ্রীপুর, পান্তুমাই, মায়াবতি ঝর্ণা, জৈন্তিয়া রাজবাড়ী, ডিবির হাওর, লোভাছড়া, বড়লেখার মাধবকুণ্ড, জকিগঞ্জে তিন নদী সুরমা-কুশিয়ারা-বরাক মোহনা, তাহিরপুরের টেকেরঘাট, শিমুলবাগান, বর্ষার অন্যতম আকর্ষণ টাঙ্গুয়ার হাওর, মৌলভীবাজারের হাকালুকি, শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক।

সিলেট নগরে এছাড়াও দেখার মতো অনেক স্থাপনাও রয়েছে। কিনব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, চাঁদনি ঘাটের সিঁড়ি, জিতু মিয়ার বাড়ি, খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, শাহী ঈদগাহ, রাজা গৌর গোবিন্দের টিলা, লাক্কাতুরা ও মালনীছড়া চা বাগান। শিশুদের বিনোদনের জন্য ওসমানী শিশু উদ্যান ও এম সাইফুর রহমান শিশু পার্কের নগরজুড়ে গড়ে ওঠা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট পার্কসহ বিভিন্ন পার্কে ভিড় করেন স্থানীয় দর্শনার্থীরা। স্থানীয়দের পর্যটনের নতুন আকর্ষণ হিসেবে যোগ হয়েছে গোলাপগঞ্জের উঁচু-নিচু টিলাভূমিতে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা আনারস বাগান।

এবার ঈদের ছুটি সিলেটে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক সমাগমের আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে।

এদিকে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পূর্বাভাসও দিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বাসসকে জানিয়েছেন, এবার আবহাওয়া অনেকটা পর্যটকদের অনুকূলে থাকবে। 

ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ সিলেটে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে অগ্রিম বুকিং দিতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। এরই মধ্যে ৫০ ভাগ হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এপ্রিলে ৮-৯ তারিখ পর্যন্ত কেউ কেউ বুকিং দিয়ে রাখছেন।

সিলেট নগরের হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার আবু তাহির জানান, এরই মধ্যে সাড়া পাচ্ছেন তারা। এপ্রিলের ২ তারিখ থেকে বুকিং কনফার্ম করেছেন অনেকে। কেউ কেউ যোগাযোগ করে হোটেলের সুযোগ-সুবিধা ও ভাড়া জেনে নিচ্ছেন। তিনি আশা করছেন, তার হোটেলের কোনো কক্ষ খালি থাকবে না।

সিলেট হোটেল এন্ড গেস্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সুমাত নূরী জুয়েল বলেন, সবসময়ই ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সিলেট। কক্সবাজারের এবং সিলেটকে বেছে নেন সারাদেশের পর্যটকরা। তবে, বড় একটি অংশ ভারতের কলকাতা কিংবা সেভেন সিস্টার্সের দিকে ঝুঁকে থাকেন। এবার ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকা এবং সরকারি লম্বা ছুটির কারণে এইসব পর্যটক সিলেট কিংবা কক্সবাজারে যাবেন। তাই, অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে এবার সিলেটে পর্যটক বেশি হবে বলে আশা আমাদের।

সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও রেইনবো হোটেল এন্ড গেস্ট হাউজের স্বত্বাধিকারী খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, আমার জানামতে এরই মধ্যে বেশির ভাগ হোটেলের ৫০ ভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। অনুকূল পরিবেশ থাকলে এবার সিলেটে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে।

আগত পর্যটকদের জন্য কী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে প্রশাসনও উদ্যোগী হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বাসসকে বলেছেন, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও জাফলংয়ে পর্যটকদের সমাগম বেশি হবে। আগের তুলনায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় সেখানে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছি।

এছাড়া পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা-পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা একযোগে তৎপরতা চালাবেন। পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য উপজেলায় পরিবহণ, ঘাট ইজারাদার ও পর্যটন কেন্দ্রের ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয়েছে। সে ব্যাপারে তাদেরকে সচেতন করা হয়েছে।

দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজ হাসান ফেরদাউস বলেন, এবার লম্বা ছুটি হওয়াতে অন্য বছরের তুলনায় বেশি সংখ্যক পর্যটক সমাগম হবে। ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এবার চাপ আরো বাড়বে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে হোটেল-মোটেলগুলো ৬০-৭০ শতাংশ বুক হয়ে গেছে। আশা করছি এবার ভালো ব্যবসা হবে। এতে করোনা পরবর্তী বিগত বছরগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে পারবেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট অঞ্চলের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, সিলেটে ব্যাপক পর্যটক উপস্থিতির বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। পোশাকধারী ছাড়াও সাদাপোশাকেও তৎপরতা চালাবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার জানান, এবার ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রতিটি স্পটে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে জেলা পুলিশ। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করতে হবে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ইতোমধ্যে পর্যটন এলাকাগুলোয় প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পর্যটকদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ একযোগে কাজ করবে।

তিনি বলেন, প্রতিবছর সিলেটে পর্যটকদের আগমন ঘটে। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। পর্যটন এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

শের মাহবুব মুরাদ আরো বলেন, আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টে যাতে অতিরিক্ত টাকা না নেয় সেজন্য নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকরা যাতে এই এলাকায় নকল পণ্য ও কসমেটিকস কিনে প্রতারিত না হয় সেজন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয় রক্ষার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসময়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরের নয়দিনের ছুটিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে এবার রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন না অনেকে। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করলেও বাস টার্মিনালে যাত্রীচাপ কম দেখা গেছে। তবে ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির হিসাব অনুযায়ী, এবার ঈদে বৃহত্তর ঢাকা থেকে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ সড়কপথে এবং বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে যাতায়াত করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যাত্রীচাপ অনেক কম। বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় নেই, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহনও দেখা যায়নি। তবে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, প্রতি ঈদের আগের চারদিনে গড়ে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ে। কিন্তু এবার সে চিত্র ভিন্ন। শ্যামলী, কল্যাণপুর ও মহাখালী বাস কাউন্টারে যাত্রীদের উপস্থিতি কম। কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার নাসিম জানান, এবার যাত্রীর চাপ নেই। সড়কের অবস্থাও ভালো, গাড়ি সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভিড় ছাড়াই মানুষ যেতে পারছে।

অনেকে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ঢাকা ছাড়তে চাইছেন না। গাবতলী বাস টার্মিনালে আবুল বাশার নামে এক যাত্রী জানান, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে ফাঁকা বাসা রেখে গেলে ফিরে কিছু পাওয়া যাবে না। তাই স্ত্রী-সন্তানদের ঢাকায় রেখে একাই রংপুর যাচ্ছি। একইভাবে, মোশাররফ হোসেন নামে এক বেসরকারি কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। পাশের বাসায় চুরি হয়েছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরিস্থিতি নেই।

ডিএমপি জানিয়েছে, ঈদের সময় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের বাজারে কড়া নজরদারি থাকবে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, থানা-পুলিশ, পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ মিলে ১৫ হাজার পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আবাসিক এলাকায় টহল বাড়ানো হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হবে।

 


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের সব জায়গায় ঈদের জামাতে যারা শরীক হয়েছেন ও নারী-প্রবাসী শ্রমিকসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে স্থায়ীভাবে সেই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।

জাতীয় ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস।তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে,‌ সব প্রতিকূলতার সত্ত্বেও সেই ঐক্য অটুট রাখতে হবে।

সেই সঙ্গে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি ও বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।

এ সময় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন এবং হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন ছিল।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



ডোপ টেস্ট দিয়ে শাবিপ্রবিতে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

২০১৯-২০ সেশন থেকে ষষ্ঠবারের মতো ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে এ ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ জানা থাকে না। সেজন্য প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন সঞ্চালন রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের পরীক্ষা করছে। এরপর ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। এ টেস্টে কোন শিক্ষার্থী পজিটিভ হলে তাকে কাউন্সেলিং করা হবে।

এবার ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস পদ্ধতিতে। ভর্তি কার্যক্রমে সাতটি ধাপের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা, ডোপ টেস্ট, স্বাক্ষর যাচাই, তথ্য যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি ফি প্রদান, চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন যাচাই এবং হল সংযুক্তিসহ আবাসন আবেদন রয়েছে।

এদিকে প্রথমদিন ইউনিটে (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মেধাক্রম ১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম। এদিন ৫০১ থেকে ৯৫৫তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। একই দিনে স্থাপত্য বিভাগে ১ থেকে ৩০তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে।

ভর্তির তারিখ ও ফি পরিবর্তন

১৭ এপ্রিল বি ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি কার্যক্রম অনিবার্য কারণে পরিবর্তন করে ২২ এপ্রিল পুননির্ধারণ করা হয়েছে। এবার কোটাসহ ২৮টি বিভাগে এবার মোট আসন এক হাজার ৬৭১টি।

অন্যদিকে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক জরুরী একাডেমিক কাউন্সিলে ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তি ফি পুনর্বিবেচনা করে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এর আগে ছিল ১৭ হাজার টাকা। ২০২৩-২৪ সেশন ভর্তি ফি ছিল ১৮ হাজার টাকা। ফলে এবার ভর্তি ফি কমেছে ৩ হাজার ১০০টাকা।


আরও খবর



শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সোনামুখি বিলের পদ্মফুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যশোরের শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে হরিনাপোতা গ্রামের সোনামুখি বিলের গোলাপি রঙের পদ্মফুল। ফলে সকাল ও বিকেলে মানুষের আনাগোনায় জায়গাটি নান্দনিকতা পেয়েছে।

দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া ঘর থেকে শুধু দুপা ফেলিয়া। ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক ভালোবাসার প্রতীক ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুজে পাওয়ায় মুশকিল। তাই বাড়ির পাশে ফোঁটা গোলাপি পদ্মের সৌন্দর্য উপ়ভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাশু মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সোনামুখি বিলের গোলাপি পদ্মের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে দূরদূরান্ত থেকেও ছুটে আসছে ভ্রমন পিপাশু মানুষও।

এখন বৈশাখ মাস তাই সোনামুখি বিলে পানি নেই, অথচ কাদামাটিতে ফুটে আছে লাখো লাখো পদ্মফুল। দেশীয় পাখির কলকাকলীতে মুখরিত চারি দিক।এমন দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করতে ব্যাস্ত এই বিলে বেড়াতে আসা প্রতিটি মানুষ,কেউ মোবাইল দিয়ে আবার কেউবা দামি ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে। কেউ কেউ টিকটকও করছেন। অনেক মুখ পরিচিতি ইউটিবারও আসেছেন এ বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কন্টেন্ট তৈরি করতে।

পদ্মফুল দেখতে আসা শার্শার জামতলার নুরে হাবীব জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পদ্মবিলের ছবি দেখেছি। আশেপাশে বেড়ানোর মতো কোনো জায়গা নেই। ঘরবন্দি সময় কাটাতে হচ্ছিল। এখানে এসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখে অনেক ভালো লাগছে।

ইউটিবার রানা আহমেদ বলেন, আমি গোলাপি পদ্মের সংবাদ পেয়ে এই প্রাথম বার এখানে এলাম, আসার পরে দেখি যা ধারণা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি পদ্ম। একটা বিষয় আমাকে খুবই অবাক করেছে, পানি ছাড়া এমন লাখো পদ্ম কিভাবে ফুটলো? জায়গাটা এতটাই নিরিবিলি এতটাই সুন্দর আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। বিশেষ করে মানুষের বিরুপ আচারণের ফলে অপরুপ গ্রাম বাংলার রুপ হারাতে বসেছি আমরা। তাই আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিৎ যেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের বিরুপ আচরণে বিলুপ্ত হয়ে না যায়।


আরও খবর