Logo
শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের মারপিট

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় এর ১০ শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ।

প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের মারপিট ও রক্তাক্ত করার দিনই স্থানীয়দের মাধ্যমে মুঠোফোনে জানার পর সাথে সাথেই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ। শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত জখম (নির্যাতন) এর সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশের পর নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান ঘটনাটি অবগত হয়ে মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখার নির্দেশ দেন।


স্থানীয় ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে ১৪০ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ঘটনার দিন ক্লাসে উপস্থিত ছিলো ৬৫ জন শিক্ষার্থী। তৃতীয় ঘন্টার গণিত ক্লাসে প্রধান শিক্ষক যাওয়ার পর পড়া না হওয়ায় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে মারপিট করেন। মারপিটে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক ভাবে ক্লাস ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে স্থানীয়দের ঘটনাটি জানালে মারপিটে ক্ষতের দৃশ্য দেখে স্থানিয়রা মুঠোফোনে ঘটনাটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খবর পেয়ে সাথে সাথেই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান এবং ঘটনার সত্যতা দেখে আসেন। পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশ পাওয়ার পর ঘটনার দিন সরেজমিনে বিদ্যালয়ের গিয়ে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের মুখে ঘটনার বর্ণনা দেখে-শুনে আসা এবং এক শিক্ষার্থীর দেওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের নির্দেশ এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেয়। তার প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষত-বিক্ষত শরীর দেখে ও প্রধান শিক্ষকের কাছে জেনে সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষানীতি অনুসারে ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইমেইলে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। ব্যস্ততার কারণে আমি এখনো সেটা দেখতে পারিনি। প্রতিবেদন দেখে তিনি যা রিপোর্ট দিয়েছেন সে মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



বাজারে চিনির দাম নিয়ে জটিলতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :  দাম এত বেড়েছে যে চিনি খাওয়া বন্ধই করে দেবো ঠিক করেছি। এমনিই চিনির দাম বাড়ায় গত কয়েকমাসে চিনি ব্যবহার করা অনেক কমিয়ে দিয়েছি, কিছুটা ক্ষোভের সাথেই আমাকে বললেন ঢাকার মহাখালীতে সপ্তাহের বাজার করতে আসা শাহিদা আক্তার।

শাহিদা বলেন, বছর খানেক ধরেই দাম বাড়লে ব্যবহার কমানোর নীতি অনুসরণ করছেন তিনি। অর্থাৎ যখন যেই পণ্যের দাম বাড়ে, সেই পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে দেন তিনি।শাহিদা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন,গত এক বছর ধরে গোশত খাওয়া প্রায় বন্ধই করে দিয়েছি। সয়াবিন তেলের দাম যখন বাড়ল তখন তেল কম ব্যবহার করারও অভ্যাস করেছি। এ দেশে এভাবে অ্যাডজাস্ট না করলে তো সংসার নিয়ে টিকে থাকা সম্ভব না।

বাংলাদেশে চিনির দাম নিয়ে গত কিছুদিন ধরে বাজারে বেশ শোরগোলই তৈরি হয়েছে বলা যায়। ঈদের পর দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে এপ্রিলের প্রথম দিকে সরকার খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয়ে কেজি প্রতি ১০৪ টাকায়। কিন্তু সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ওইসময় বাজারে চিনি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছিল বলে জানা যায়।

ঈদের আগে খোলা চিনির দাম সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা হলেও এখন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকার নিচে খোলা চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। আর খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনি দোকানে পাওয়াই যাচ্ছে না।মহাখালী কাঁচাবাজারের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেল তারা ১৪০ টাকার নিচে খোলা চিনি বিক্রি করছেন না। কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানলাম তাদের কাছে প্যাকেটজাত চিনি নেই।

একজন দোকানদার দাবি করলেন ঈদের আগে থেকেই প্যাকেটজোত চিনির সরবরাহ নেই। আর খোলা চিনি ঈদের আগেও ৫০ কেজির বস্তা ৬ হাজার টাকায় কিনেছেন তারা। তবে এখন ওই বস্তা কিনতে হচ্ছে ৬ হাজার ৩০০ থেকে ৯ হাজার ৫০০ টাকায়।

বাংলাদেশের চিনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চায় বিশ্ব বাজারে এক মাসের মধ্যে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় এই বর্ধিত দামে তারা চিনি আমদানি করবে কিনা।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের দামে চিনি আমদানি করলে চিনির আমদানি মূল্যই সরকার নির্ধারিত বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি হয়। এরকম বাস্তবতায় এই দামে তারা চিনি আমদানি করবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।

অথচ মাস ছয়েক আগেও বাজারে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে খোলা চিনি। প্যাকেটজাত চিনির দাম ছিল কেজিতে ১০০ টাকার নিচে। সেখান থেকে ছয় মাসের মধ্যে চিনি নিয়ে এমন সঙ্কট তৈরি হলো কেনখুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির সরবরাহকারীরা তাদের চিনি দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, কারণ হিসেবে আমদানিকারক ও মিল মালিকরা বলছে যে মিলে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি নেই।

রোজার সময় চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেব্রুয়ারি মাসে চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার। তারপরই বাজারে খোলা চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে ১০৪ টাকা হয় এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম কমে দাঁড়ায় ১০৯ টাকায়। এপ্রিল মাস থেকে এই শুল্ক সুবিধা প্রত্যাহার করার পর থেকে চিনির দাম বেড়েছে। তবে শুল্ক সুবিধা প্রত্যাহার করার ফলে চিনির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা বাড়তে পারে বলে মনে করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান।

ভ্যাট সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তবে মূলত দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে টন প্রতি প্রায় ১৫০ ডলার বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ মাসে চিনির দাম ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এই বিষয়ে চিনি আমদানিকারকদের সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চিনির দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানান শফিকুজ্জামান। এ বিষয়ে চিনি আমদানিকারকদের কারো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বাজারে চিনির সরবরাহে কোনো কমতি নেই। দেশের শীর্ষ চিনি আমদানিকারকদের এমন ব্যাখ্যা গত কয়েকদিনে প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি গণমাধ্যমে।

পণ্যের বাজারে চাহিদা-যোগান ও সরবরাহের হেরফেরের এরকম সময়ে সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা বাজারে অসামঞ্জস্য দীর্ঘায়িত করে বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এরকম সময়ে, যখন স্বাভাবিক সরবরাহ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বড় আমদানিকারকরা বাজারের ওপর প্রভাবটা বাড়িয়ে দেয়।

এরকম সময়ে সরকারের যেই সংস্থাগুলোর তাদের ওপর নজরদারি চালানোর কথা, তারা দুর্বল বা অসহায় ভূমিকা পালন করেন বলে এর আগে দেখেছি আমরা।তবে আমদানিকারকরা কম পরিমাণ আমদানি করার কারণেও বাজারে চিনির সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন,এই মুহূর্তে যেহেতু ডলারের একটি টানাপোড়েন আছে, তাই আমদানিকারকরা প্রয়োজনীয় পরিমাণ এলসি খুলতে পারছেন না বলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আমদানি কম হচ্ছে বলে আমার ধারণা। এই কারণে বাজারে চিনির সরবরাহ কিছুটা কম থাকতে পারে এবং এমন পরিস্থিতিতে বাজারে কিছুটা ঘাটতি থাকা স্বাভাবিক বলেও মনে করেন তিনি।

এছাড়া শুল্ক কমানোর সুবিধা পুনর্বহাল করা নিয়ে আলোচনার অংশ হিসেবেও বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হতে পারে বলে ধারণা করেন মোয়াজ্জেম।


আরও খবর



র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমান বাংলা মদসহ দুই যুবক আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৩১জন দেখেছেন

Image

র‌্যাবের পৃথক অভিযানে ২ হাজার ১শ' ৬৮ লিটার বাংলা (চোলাই) মদ উদ্ধার সহ ২ জন মাদক কচরবারি আটক।

শনিবার রাতে ও রবিবার দুপুরে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত বিপুল পরিমান মদ সহ ২ জনকে আটক করেন র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের চৌকস অভিযানিক দল।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, রবিবার ২৮ মে দুপুরে পূর্বে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে জয়পুরহাট জেলা সদর থানাধীন চকমোহন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ১শ' ৪৮ লিটার চোলাই (বাংলা) মদ উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসায়ী শ্রী বিনয় পাহান (৪০), পিতা-মৃত জোগেশ পাহান, সাং-চকমোহন, থানা ও জেলা-জয়পুরহাটকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা করোন। 


এছাড়া শনিবার রাত ১২ টারদিকে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন  সুলতানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ২০ লিটার চোলাই (বাংলা) মদ উদ্ধার সহ শ্রী সন্দীপ মাহাত (২৬) নামের এক যুবককে হাতেনাতে আটক করেন র‍্যাব।জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃতে রবিবার পূর্ব রাত সোয়া ১২টার দিকে পাঁচবিবি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মৃত শীবচরণ মাহাতের ছেলে 

 শ্রী সন্দীপ মাহাত কে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত দুই জন জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য চোলাই মদ অবৈধ্য ভাবে সংগ্রহ করে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের নিকট খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করে আসছিল। এব্যাপারে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে 


আরও খবর



ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় লাইন বদল করতে গিয়ে একটি মালবাহী ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে ১টার দিকে উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে ঈশ্বরদী হয়ে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ঘটনাস্থানে উপস্থিত সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী হাসানুর রহমান ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের হাবিলদার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার ঈশ্বরদী-ঢাকা রেল পথে উল্লাপাড়া রেল স্টেশন থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে একটি মালবাহী ট্রেন লাইন পরিবর্তনের সময় দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। জানা গেছে, মালবাহী বি ডাব্লিউ ৮ ডাউন ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় বিভিন্ন রেল স্টেশনে চিত্রা, দ্রুতযান, মৈত্রী ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেন থেমে আছে। লাইনচ্যুত মালবাহী বগি উদ্ধারের জন্য পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগকে জানানো হয়েছে। বগি দুটি উদ্ধার হলেই ঈশ্বরদী-ঢাকা রেল পথে যোগাযোগ সচল হবে।

বেলা ৩টার দিকে ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. উজ্জল হোসেন।


আরও খবর



বেড়েছে তেল-চিনি ডিম-আলু পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

ঈদ উল ফিতরের আগে থেকে বেড়ে গেছে মুরগি ও গরুর গোশতের দাম। ঈদ শেষ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের গোশত। গোশতের পাশাপাশি এবার বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সব ধরনের সবজি। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মরিচ ১২০ টাকা, করলার কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকা, লাউ পিস ৬০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, সজনে ১৪০ টাকা কেজি, ৩০০ গ্রাম ওজনের ফুলকপি ৪০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কচু ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি ও লেবু ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাসাবো বাজারে আসা ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কোনো পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর সেটি কমছে না। গরু-খাসীর দাম বাড়ায় সেগুলো আর কিনতে পারি না। এখন মুরগির দামও বেড়ে গেছে। খাবার মত সামর্থ আছে সবজির। সেটিও এখন ৫০ টাকার নিচে মিলছে না।

বিক্রেতারা বলছেন, আমাদের নিজেদেরকেও সবজি খেতে হয়। ৫০-৬০ টাকায় সবজি খাওয়া আমাদের জন্যও কষ্টের। আমরা চাই সব ধরণের সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি করি। কিন্তু পাইকারী বাজারে দাম বেশি। বেশি দামে কেনা থাকায় কম দামে সবজি বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না।

বাজারে পাট শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কলমি শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচুর দুই আঁটি ১০ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, শাপলা ডাটা ১০ টাকা, ডাটা শাক ১০ টাকা, সবুজ ডাটা ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ধনে পাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়াও বাজারে নতুন করে তেল, চিনি, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামও বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারে ১২ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের লিটারে লিটারে ৯ টাকা বেড়েছে। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ৫৪ টাকা। এছাড়া পাম সুপার ওয়েলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ১৮ টাকা। এখন বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা, ৫ লিটারের দাম ৯৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম ১৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। খোলা চিনি কিনতে হলে খুঁজতে হচ্ছে দুই-চার দোকান। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম আরো বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিপ্রতি। যা গত সপ্তাহে ১২০-১২৫ টাকার মধ্যে ছিল।

এ ছাড়া বাজারে ঈদের পরে আলুর দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সারাবছরই স্থিতিশীল থাকলেও মৌসুমের শুরুতে আলুর অস্থিতিশীল বাজারকে অস্বাভাবিক মনে করছেন ক্রেতারা।

দফায় দফায় দাম বেড়ে খুচরা বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, যা ঈদের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ছিল। আর গত বছরের এ সময় আলুর দাম ছিল ১৬ থেকে ২০ টাকা।

আগে দেশী পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। যা এখন বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে আমদানি করা চায়না রসুনের কেজি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর দেশী রসুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। রোজার ঈদের দুই-এক দিন পরও চায়না রসুনের কেজি ছিল ১৩০ টাকার আশপাশে। আর দেশি রসুন বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

পাশাপাশি দর বেড়েছে আদার। দেশী আদা ২০০ থেকে ২২০ এবং আমদানি করা চায়না আদার কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও দেশী আদা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং আমদানি করা আদার দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ছিল।

এদিকে বাজারে ঈদের মধ্যে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। এর সাথে গত দুই দিন ধরে বাড়ছে ডিমের দাম। ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙ্গাস ১৭০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি প্রজাতির টেংরা, শিং, গচি ও বোয়াল মাছের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 


আরও খবর



পিটিআই ছেড়ে যাচ্ছেন শীর্ষ নেতারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) শীর্ষ নেতারা হঠাৎ করে দলত্যাগ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে ইমরানের সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নেতাও সরে গেছেন। কেউ কেউ বলছেন তারা আর রাজনীতি করবেন না।

ইমরান খান দাবি করেছেন, সেনাবাহিনীর ধরপাকড় ও চাপে পড়ে নেতারা তার পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন।

বুধবার (২৪ মে) সবাইকে চমকে দিয়ে ইমরানের নেতৃত্বাধীন সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ফাওয়াদ চৌধুরী পিটিআই ছাড়ার ঘোষণা দেন। শুধু তাই নয়, রাজনীতি থেকেও কয়েকদিন দূরে থাকবেন বলে জানান তিনি।

এরপর সাবেক অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর জানান, তিনি পিটিআইয়ের সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু দলের মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন।

এর আগে সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিরিন মাজারিও পিটিআই এবং রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

এই তিন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ৯ মের সংঘাতের পর গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদের সারাদেশে বিক্ষোভ হয়। যা রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসব সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে তারা বাইরে বের হওয়ার পরই অজানা কারণে পিটিআই এবং রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।

বুধবার এক অডিও বার্তায় ইমরান খান বলেছেন, তার নেতাদের ওপর ধরপাকড় চালানো হচ্ছে এবং দলের বেশিরভাগ নেতা এখন বন্দী। তিনি জানিয়েছেন, দলের কোনো শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন সেই সুযোগও নেই।

এদিকে গত ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে হামলা চালায়। এছাড়া হামলা হয় লাহোরে কর্পস কমান্ডারের বাড়িতেও। সেনাবাহিনীর অবকাঠামোয় হামলা চালানোর অভিযোগে এখন পিটিআইয়ের সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিদের আটক করা হচ্ছে।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর