Logo
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতা চাঁদ গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌনে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত শুক্রবার (১৯ মে) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি দেন।

বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপরই রোববার (২১ মে) রাতে রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। যেখানে আসামি করা হয় বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে।

এরপর সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় সন্ত্রাস দমন আইনে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরমান হোসেন বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। যেখানে আবু সাঈদ চাঁদসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার হন।

পরে মঙ্গলবার (২৩ মে) নাটোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চাঁদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। সর্বশেষ বুধবার (২৪ মে) চাঁদসহ দলের পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু।

এর আগেও বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুলাই তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়।


আরও খবর



পোস্টার না ছিঁড়তে মায়ার অনুরোধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারো পোস্টার না ছিঁড়তে অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচটি নির্বাচনের মধ্যে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুরে। এখানে যেকোনো মূল্যে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

টঙ্গীর এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির স্মরণসভায় মায়া এসব কথা বলেন। স্মরণসভায় আরো বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য শামসুর নাহার ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মতিন মাস্টার, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্য নুরুল ইসলাম নুরু, টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজাদা সেলিম লিটন।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, যারা বলে নির্বাচন করতে দেবে না। যারা বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা নির্বাচনে আসেন বা না আসেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন দেশে নির্বাচন হবেই হবে।

তিনি বলেন, আমরা ২০১৩ সালে আজমত উল্লাহ খানের নির্বাচন করেছি। ২০১৮ সালে জিরোর (জাহাঙ্গীর আলম) নির্বাচন করেছি। এবারও নির্বাচন করছি। আজমত উল্লাহ খান গরিব প্রার্থী উল্লেখ করে মায়া বলেন, আপনারা চিড়ামুড়ি নিয়ে বের হবেন। ঘরে ঘরে যাবেন। বুঝিয়ে-শুনিয়ে ভোট চাইবেন।

গাজীপুরের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে, নৌকাকে ভালোবাসে। আওয়ামী লীগের ছায়াতল থেকে বের হয়ে দেখুন, একজন কর্মীও খুঁজে পাবেন না আপনার পেছনে।

এবার নৌকার বিরোধিতা যে করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুশিয়ারি দিয়ে মায়া বলেন, আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকলে হিরো হয়ে থাকতে পারবেন, নয়তো জিরো হয়ে যাবেন।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

মোখার প্রভাবে দেশজুড়ে তেমন বৃষ্টিপাত দেখা যায়নি। আজও দেশের প্রায় বেশির ভাগ জায়গাতেই বৃষ্টি হয়নি। দেশের কিছু জায়গায় মৃদু তাপপ্রবাহও লক্ষ্য করা গেছে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অল্প কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ থাকলেও মঙ্গলবার (১৬ মে) দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, মূলত পশ্চিমা লঘুচাপ ও মৌসুমের স্বাভাবিক প্রবণতা হিসেবেই কাল মঙ্গলবার থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। সোমবার দেশে তেমন একটা বৃষ্টি দেখা যায়নি। এর কারণ, ঘূর্ণিঝড় মোখা সকল জলীয় বাষ্প টেনে নিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

দেশের অন্যন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে এই তাপপ্রবাহ আজ কিছু কিছু জায়গা থেকে কমে আসতে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী কিছুদিন তাপপ্রবাহ আরো কমে আসবে। মঙ্গলবার দেশে বৃষ্টিপাত বাড়বে। আগামী কিছুদিন বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



মার্কিন ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল এবং ফার্মাসিউটিক্যালে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌আমি আপনাদের আমাদের নবায়নযোগ্যযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ইত্যাদিসহ অনেক গতিশীল ও সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশে সুযোগ অন্বেষণ ও বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

২ মে ‌‌ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনমিক পার্টনারশিপ: শেয়ার্ড ভিশন ফর স্মার্ট গ্রোথ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিলের মূল বক্তব্য উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ইউএস চেম্বার অব কমার্স ওয়াশিংটন, ডিসির গ্রেট হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ইউএস-বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের যাত্রায় অংশীদার হিসেবে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আমি আজকে এখানে আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং ২৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে।

প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতির কথা আবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা, ট্যাক্স হলিডে, রয়্যালটি রেমিটেন্স, বাধাহীন প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশ ও মূলধন সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন সুবিধা রয়েছে। আমরা আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বিনিয়োগ জলবায়ু উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে আমাদের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

তিনি বলেন, তিনি আশাবাদী যে, যুক্তরাষ্ট্র এ চ্যালেঞ্জিং উদ্যোগে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য একটি মসৃন ও অনুমানযোগ্য সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদনশীল অংশীদার হবে।

যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অনেক ক্ষেত্রে নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য হলো আমাদের জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা। আমাদের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের মধ্যে সম্পর্কের তা প্রতিফলিত হচ্ছে। ২০২১-২০২২ সালে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।

উপকূলীয় অঞ্চলে বাংলাদেশে একটি শিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাপানের প্রস্তাবের উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই আমাদের লক্ষ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নীত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন সর্বজনীনভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, সুশাসনের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও স্থিতিশীলতা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আইসিটি খাতে অগ্রগতির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে যা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এ কারণেই ইদানীং বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স ইউকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু গত বছর ৩৭% বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিশ্বে সর্বোচ্চ এবং গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৩ অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এই রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের উন্নত দেশে পরিণত করবে। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মানে অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের ওপর এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এবং চেয়ারম্যান এক্সেলরেট এনার্জি স্টিভেন কোবোস, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস (বিসিজি) হ্যান্স-পল বার্কনার, মাস্টারকার্ডের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক পলিসি অপারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি অরোরা, বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এরিক ওয়াকার এবং গ্লোবাল হেড অব এক্সপ্রোরেশন অ্যান্ড নিউজ এক্সনমোবিলের ভেঞ্চার ড. জন আর্ডিল উচ্চ-স্তরের গোলটেবিলে বক্তৃতা করেন।

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট-সাউথ এশিয়া অ্যাম্বাসেডর অতুল কেশপ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বোয়িং ইন্ডিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট শাইল গুপ্ত, ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান কেভিন রোপেকে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত ছিলেন টইউজ-এর পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স-এশিয়া প্যাসিফিক মাইক অরগিল, ইউএস চেম্বার অফ কমার্সের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান মিলার, ইউএস চেম্বার অফ কমার্সের নির্বাহী পরিচালক সন্দীপ মাইনি এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের পরিচালক সিদ্ধান্ত মেহরা।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ব্রিফিং সেন্টারে ইউএসবিবিসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের সঙ্গে দুটি পৃথক বৈঠকে এবং ইউএস চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইওদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকে যোগ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি গর্বিত নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি এবং বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি। অনুমান করা হচ্ছে এই অর্থনীতি ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, ক্রয়ক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি। এটি প্রকৃত মূল্যে কয়েক বছরের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হতে চলেছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নীতিগুলো অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের থেকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃহত্তর প্রতিবেশীদের তুলনায় বেশি।

তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বাংলাদেশকে নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ দেশ হিসেবে এবং বিশ্বব্যাপী নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে স্থান দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাজার এবং এর ভৌগোলিক অবস্থান ৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার বাজারের কেন্দ্রে রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এই অঞ্চলে ও এর বাইরেও বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য একটি আদর্শ জায়গা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। আমাদের ভৌত, আইনি এবং আর্থিক অবকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, অবকাঠামোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা সারা দেশে দৃশ্যমান। তিনি বলেন, বৃহৎ পদ্মা নদীর ওপর গত বছর আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আমাদের দীর্ঘতম সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন করেছি, যা এখন আঞ্চলিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মেট্রোরেলও নির্মাণ করেছে, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ বন্দরের অবকাঠামো উন্নত করেছে। এগুলো অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক সংযোগ বাড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের জলবায়ু দায়িত্বশীল প্রবৃদ্ধি নীতি, শ্রম সংস্কার, এবং শ্রম নিরাপত্তা মান উন্নয়ন প্রশংসার দাবিদার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গর্বিত যে ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) দ্বারা প্রত্যায়িত বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সবুজ পোশাক কারখানার মধ্যে ৫৩টি বাংলাদেশে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর জন্য, আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং রপ্তানি ভিত্তি প্রসারিত করতে আমাদের সমর্থন প্রয়োজন হবে।

সূত্র : বাসস


আরও খবর



মোখার ঝুঁকিতে ১৫ লাখের বেশি শিশু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বাংলাদেশে ১৫ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কক্সবাজারে সীমান্ত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান ওনো ভন মানেন এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু বাস করে এবং ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে শিশুরা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে পারে এমন আশংকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

এদিকে, কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরে যেতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন সেখানকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

বারবার তাদের পাহাড় ধসের ঝুঁকির কথা বলা হলেও স্থানীয়রা কেউ সরতে চাইছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বান্দরবান-কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দী।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তারা মানুষকে সচেতন করতে তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা আগে থেকেই জানিয়ে আসছেন। সূত্র : বিবিসি।


আরও খবর



লালমনিরহাটে সুইডেন দূতাবাসের প্রতিনিধি দল স্বপ্ন প্রকল্প পরির্দশন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সুইডেন দূতাবাসের প্রতিনিধি দল স্বপ্ন প্রকল্পের ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিদর্শনে এসেছেন ডেপুটি হেড অফ মিশন মিস মারিয়া স্ট্রিডসম্যান। এসময় তিনি বলেন ,এই প্রকল্প দীর্ঘনি চলবে। 

লালমনিরহাটে উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন) প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলাসাড়ে ১১ টায় লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইউএনডিপির আয়োজনে এ ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের ঢাকা সুইডেন দূতাবাস দলের হেড অফ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের কাউন্সিলর/ ডেপুটি হেড অফ মিশন মিস মারিয়া স্ট্রিডসম্যান, বাংলাদেশের ঢাকা দূতাবাসের কূটনীতিক মিস ফ্রেডরিকা নরেন, বাংলাদেশ ঢাকা’র সুইডেন দূতাবাস ন্যাশনাল প্রোগ্রামার অফিসার  ইকরামুল এইচ সোহেল। এ সময় ইউএনডিপির বাংলাদেশের আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপির সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চাকমা, স্বপ্ন ও উইং এর জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক  কাজল চ্যাটার্জি, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি, ভূমি অধিগ্রহণ, আরএম শাখা) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট  রুবেল রানা, ইউএনডিপির আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোহাম্মুদুল হক মুকুল, রাজপুত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফা, প্রমুখ।


জানা যায়, রাজপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ এবং ৬নং ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত ওয়ার্ড হতে এই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১২জন দুঃস্থ মহিলা উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে বাকি ওয়ার্ড হতে একই পদ্ধতিতে আরও ২৪জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত উপকারভোগীগণ ১২ মাসের জন্য SWAPNO (স্বপ্ন) প্রকল্পের আওতায় ঐ এলাকার রাস্তা ঘাট ও অন্যান্য সরকারি সম্পদ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবেন। নির্বাচনের ১ সপ্তাহ পূর্বে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইক/ ঢোল সহরতের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। নির্ধারিত তারিখে লটারির মাধ্যমে মহিলা উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সম্পন্ন হবে। তন্মধ্যে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ৩৭জন ডাটা ইন্টি করে।

পরে লালমনিরহাট সদরের স্বপ্ন প্রকল্প ও রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় “তিস্তা নিরাপদ পানি” শোধনাগার স্থাপনের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।

প্রসঙ্গত, তিনি ২০ মে হতে ২২ মে পর্যন্ত সুইডিশ দূতাবাসের প্রতিনিধি দলটি নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রামের স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী মহিলাদের মাঠ পরিদর্শন করেন।


আরও খবর