Logo
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর উপহার-সোলার প্যানেল-দুর্গম পার্বত্যঞ্চলকে আলোকিত করেছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

-মো. রেজুয়ান খান :

বাংলাদেশের ১৩ হাজার ২৯৫ বর্গ কি.মি. প্রায় দশ ভাগের এক ভাগ জুড়ে তিন পার্বত্য জেলা অবস্থিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার এই তিন পার্বত্য জেলার উন্নয়ন এবং এর অধিবাসীদের ভাগ্যোন্নয়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মনোভাব এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটি ও মানুষকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করতে ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করেছিলেন। এরপর থেকেই সরকার অব্যাহতভাবে পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়ন সহায়ক পরিবেশ এবং ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকার বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের দিকটি বিশেষ বিবেচনায় রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম পার্বত্য এলাকার চল্লিশ হাজার পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেম এবং বিভিন্ন পাড়াকেন্দ্র, স্টুডেন্টস হোস্টেল, অনাথ আশ্রমগুলোতে ২ হাজার ৫০০টি সোলার কমিউনিটি সিস্টেম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ ও স্থাপনের কাজ চলছে। সোলার প্যানেল হতে উৎপাদিত বিদ্যুতের মাধ্যমে পাহাড়ি দুর্গম এলাকাগুলো বিদুতের আলোয় আলোকিত হচ্ছে। যার ফলে তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান পূর্বের তুলনায় অধিকাংশক্ষেত্রে আধুনিক ও ইতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে।


দুর্গম ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে গ্রীড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুত সুবিধা পৌঁছানো অত্যন্ত দুষ্কর ও ব্যয়বহুল। তাই এসব এলাকায় এ যাবৎকাল আলো ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা প্রক্রিয়ার একমাত্র উৎস ছিলো কেরোসিন বাতি বা ডিজেল জেনারেটর, যা ছিল ব্যয়বহুল। অস্বচ্ছল মানুষের কাছে বিদ্যুতের আলো পাওয়া ছিল সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। সরকার এসব প্রান্তিক অস্বচ্ছল মানুষের জন্য বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যাবলীর অধিকাংশই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পার্বত্য অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ জীবনমানের পরিবর্তনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। পার্বত্য অঞ্চলের সকল উন্নয়ন কাজে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রশংসা ও সাফল্যের দাবি রাখে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সোলার ফটোভোল্টাইক সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে পেরেছে। ফটোভোল্টাইক সোলার প্যানেল সরাসরি সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুত তৈরি করে। এটা শক্তির সোর্স হিসেবে সূর্যের আলোকে শোষণ করে। ফটোভোল্টাইক (পিভি) মডিউল হলো একটি প্যাকেজযুক্ত বিভিন্ন ভোল্টেজ এবং ওয়াটেজেজে পাওয়া ফটোভোল্টাইক সৌর কোষগুলোর সংযুক্ত সমাবেশ।

মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ অপরিহার্য ও প্রয়োজনীয় উপকরণ। জাতীয় গ্রীড হতে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। আগামি দুই যুগের মধ্যেও পার্বত্য তিন জেলার দুর্গম অঞ্চলে জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুত সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তাই সরকার দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সোলার হোম সিস্টেম ও সোলার কমিউনিটি সিস্টেম বিতরণ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এ তিনটি পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলার দুর্গম স্থানসমূহে বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য সোলার হোম সিস্টেম এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাড়াকেন্দ্র, স্টুডেন্টস হোস্টেল, অনাথ আশ্রম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সোলার কমিউনিটি সিস্টেম চালু করেছে। 

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষজন পাহাড়ের উপর যুগ যুগ ধরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাসে অভ্যস্ত। প্রত্যন্ত পার্বত্য এলাকায় সেখানকার অধিবাসীরা ছোটো ছোটো গ্রামে পাড়া গড়ে তুলে বসবাস করে আসছে। প্রতিটি পাড়ায় ২০ থেকে ১০০ পরিবার বাস করে। সরকারের দেওয়া মৌলসেবাগুলো সহজলভ্য ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী জনগণের কাছে সহজেই পৌঁছে যায়। তবে পাহাড়ের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে এসব সেবা অনেক সময় পৌঁছানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই সরকার পার্বত্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত দরিদ্র জনসাধারণের মাঝে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌর বিদ্যুৎ এবং কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে অফ গ্রীডে ফটোভোল্টাইক সিস্টেমে বিদ্যুৎ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা নিয়েছে।  

ফটোভোল্টাইক সোলার সিস্টেমে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪০ হাজার উপকারভোগী পরিবারকে বাছাই করা হয়েছে। এছাড়া দুর্গম এলাকার ২ হাজার ৫০০টি ফটোভোল্টাইক কমিউনিটি সিস্টেমের মাধ্যমে পাড়া কেন্দ্র, স্টুডেন্ট হোস্টেল, অনাথ আশ্রম কেন্দ্র, এতিমখানাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রদানের কাজও শুরু করেছে সরকার। সরকারের এ প্রকল্পের শিরোনাম ‌‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (দ্বিতীয় পর্যায়) নামকরণ করা হয়। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে মোট ২১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৩ মেয়াদের মধ্যে বাস্তবায়ন কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার ৮৯০ টি পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেম এবং ২ হাজার ৮১৪টি সোলার কমিউনিটি সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বঞ্চিত পাড়া কেন্দ্র, দুর্গম এলাকার স্টুডেন্ট হোস্টেল, অনাথ আশ্রম কেন্দ্র, এতিমখানাগুলোতে বিতরণ ও স্থাপন করা হয়েছে। যার ফলে ১ দশমিক ৮০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদিত ও ব্যবহৃত হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার রাঙ্গামাটি জেলায় বিদ্যুৎ বঞ্চিত পাড়ার সংখ্যা ৬৩৯টি যার মধ্যে বিদ্যুৎ বঞ্চিত পরিবারের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৪৩টি। ইতোমধ্যে সোলার হোম সিস্টেমের আওতায় রাঙ্গামাটি জেলার ৩ হাজার ৬৪৩টি পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ বঞ্চিত পাড়ার সংখ্যা ৪৫৪টি যার মধ্যে ১৬ হাজার ১০৭টি বিদ্যুৎ বঞ্চিত পরিবারকে উপকারভোগী পরিবার হিসেবে বাছাই করা হয়েছে। ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলায় স্থাপিত সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ৩ হাজার ১০৭টি উপকারভোগী পরিবারকে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। বান্দরবান জেলার দুর্গম এলাকার বিদ্যুৎ বঞ্চিত পাড়ার সংখ্যা ১ হাজার ৮৮১টি। যার মধ্যে বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত পরিবারের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৬০টি। ইতোমধ্যে বান্দরবান জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৪ হাজার ৩৬০টি পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেমের আওতায় বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।


গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকা রেমাক্রী ইউনিয়নে ‘পার্বত্য চট্টগামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ-২য় পর্যায়’ প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের সোলার প্যানেল সিস্টেমের বিদ্যুৎ সরঞ্জাম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ১ হাজার ৩২৭টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। শুধু তাই না সরঞ্জামগুলো স্থাপনের জন্য প্রত্যেককে সোলার প্যানেল সিস্টেম ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব উপকরণ বিতরণ করেন। প্রতিটি সোলার প্যানেল থেকে উপকারভোগীরা ১০০ ওয়াট পিক আওয়ার বিদ্যুৎ পাবেন। সোলার প্যানেল সরঞ্জামগুলোর মাধ্যমে ৪টি এলইডি বাল্ব, ১টি সিলিং ফ্যান, ১টি টিভি, ১টি চার্জ কন্ট্রোলার চালানো যাবে। যা সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে উপকারভোগীরা কমপক্ষে ২০ বছর পর্যন্ত সৌর বিদ্যুৎ সুবিধা পাবেন।

পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলো বিদ্যুতায়নের জন্য সোলার প্যানেল বা সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হলো সবচেয়ে ভালো উপায়, নির্ভরযোগ্য, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব। পার্বত্য জনপদে সোলার প্যানেল বিতরণ ও স্থাপনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পার্বত্যঞ্চলকে আলোকিত করেছেন। উন্নত ও সমৃদ্ধশালী পার্বত্য অঞ্চল গড়ার মানসে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।


লেখক: তথ্য ও জনসংযোগ অফিসার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।


আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী।

তিনি বলেন, প্রথম ট্রেন দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এতে যাত্রী ছিল ১ হাজার ৩০ জন।ট্রেনটির আজ রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ফিরতি ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়।

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতিসীমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দফা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সফল কার্যক্রম শেষে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেল সংযোগ উদ্বোধনের সময় ডিসেম্বর থেকে দুটি ট্রেন চালুর নির্দেশ দেন।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ২ হাজার ৩৮০ টাকা। অপর দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।


আরও খবর



বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন পাপন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে নাজমুল হাসান পাপনের নাম জড়িয়ে আছে অনেক দিন ধরেই। ক্রিকেটের উত্থান-পতনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। তবে এবার ক্রিকেট বোর্ড ছাড়ার ঘোষণাই দিয়ে রাখলেন নাজমুল হাসান। বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নিজের ব্যাপারে ঘোষণা দিয়ে রাখলেন বোর্ড সভাপতি।

নিজ বাসার সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, এই টার্ম তো আর বেশিদিন নাই। আমি আর বেশিদিন নাই। আমার প্ল্যান হচ্ছে, আর একটাবছর আছে। এবং এরমধ্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই টিমকে ঠিক করে যাব। যা যা করা দরকার এটা আমি করে যাব। সেটা ঠিক হবে কিনা আমি জানিনা। আমি যেটা মনে করি, এটা করা দরকার, সেটা যদি অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও হয়, সেটাও নিব।

নিজের শেষ সময়ে খানিক কঠোর হবেন, সেই আভাসও দিয়ে রেখেছেন বোর্ড সভাপতি, 'একেকজন একেকটা কথা বলবে। সেটা শুনে একটা ডিসিশন নিব এসবের মধ্যে আমি নাই। আমি নিজে ভেতরে ঢুকব, আগে যেমন সব জানতাম। আমি জানিনা অনেক কিছু। সেটা তামিমও স্বীকার করলো সে জানেনা। আমি বললাম আমি আগে সব জেনে নিই। কেবল তোমার সঙ্গে কথা বললে তো হবে না, আমি সবার সঙ্গে কথা বলি। ভেতরে যেয়ে ক্রিকেটের স্বার্থে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমি নিব।

নিজের সিদ্ধান্তের ফলাফল নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন পাপন, 'সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কে পছন্দ করলো বা না করলো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ক্রিকেটের স্বার্থে যা যা সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেটা যদি খুব কঠিনও হয়, আমি নিব।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ই অক্টোবর চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ড পরিচালকের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি আগে সরকার থেকে মনোনীত হতো। নাজমুল হাসান পাপন ২০১২ সালে প্রথমে সরকার কর্তৃক মনোনীত সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতি পদটি নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। চতুর্থ মেয়াদে ২০২১ থেকে বোর্ড সভাপতির পদে আছেন তিনি।

এর আগে, নিজ বাসায় বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে লম্বা সময়ের জন্য বৈঠক করেছিলেন বোর্ড সভাপতি। আলাপের পর তামিম কথা না বললেও নাজমুল হাসান পাপন কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। জানিয়েছেন কবে নাগাদ মাঠে ফিরবেন তামিম। বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, বিপিএলের পর তামিমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে সে ফিরবে না। আমার মেয়াদ শেষের দিকে, দায়িত্ব ছাড়ার আগে বেশকিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চাই।


আরও খবর



দক্ষিণ গাজা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ইসরায়েলি হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চল এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষে এবার দক্ষিণ গাজাও গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সেখানকার লোকজনকে আরো দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির পর দুদিনে ইসরায়েলের হামলায় ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১৫ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় ৪০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে তারা। এর মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে বেশ কিছু হামলা চালানো হয়েছে। বড় ধরনের হামলার অংশ হিসেবে শুধু শুক্রবার দিবাগত রাতেই ৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।

উত্তর গাজায় অভিযানের সময় বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল। সেখানকার বাসিন্দাদের বেশির ভাগই তখন দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নেন। এখন দক্ষিণ গাজায়ও ইসরায়েল হামলা জোরদার করেছে। গাজার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এখন তারা কোথায় যাবেন?

গাজায় ইসরায়েলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুদফায় তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক চাপ ও হামাসের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও রাজি হয়নি ইসরায়েল। গত শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

যুদ্ধবিরতিতে শুরু থেকে আগ্রহ ছিল না ইসরায়েলের। শনিবার দেশটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আলোচনায় অচলাবস্থার কথা জানিয়ে কাতারের দোহা থেকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধিদলকে দেশে ফিরতে বলা হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া সংস্থাটির প্রতিনিধিদলকে ইসরায়েলে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস চুক্তির নিজেদের অংশ পালন করেনি। চুক্তি অনুযায়ী শিশু ও নারীদের মুক্তি দেওয়ার কথা। এ নিয়ে হামাসের কাছে একটি তালিকা পাঠানো হয়েছিল এবং তারা সেটি অনুমোদনও করেছিল।

তবে সমঝোতা না হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস। তারা বলছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জিম্মি নারী সেনাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে একটি তালিকা দেওয়া হয়। বয়স্ক বন্দিবিনিময়ে দেশটি রাজি হয়নি।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ব্যবহারের জন্য ইসরায়েলকে ১০০টি বাংকারবিধ্বংসী বোমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এই বোমার নাম বিএলইউ-১০৯। ওই বোমার বিস্ফোরকবোঝাই সম্মুখভাগের ওজন ৯০০ কেজির বেশি। শক্ত কোনো অবকাঠামোয় আঘাত হেনে সেটির ভেতরে প্রবেশের পর বিস্ফোরিত হয় এই বোমা। এর আগে আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন যুদ্ধে বিএলইউ-১০৯ ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ইসরায়েলের হামলায় ১৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৫০ জন। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের ৭০ ভাগই নারী ও শিশু।

ইসরায়েলি হামলায় গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বেশির ভাগ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি হাসপাতালগুলোতে মেঝেতে রেখেও আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা না পেয়ে আহতদের বড় একটি অংশ মারা যাচ্ছেন।

সূত্র : আল-জাজিরা।

 


আরও খবর



প্রেম করছেন তাপস-বুবলী ?

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আবারও প্রেমে পড়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী? গতকাল শুক্রবার রাতেই এমন প্রশ্নের জন্ম! আর এটি তৈরি হয়েছে নারী উদ্যোক্তা, গানবাংলা টেলিভিশন ও টিএম নেটওয়ার্কের চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নীর এক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে।

যেখানে তিনি অভিযোগ তুলেছেন বুবলী নিয়ে। বলা হয়েছে, বুবলী নাকি তার সংসার ভাঙছেন। নায়িকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সংগীতশিল্পী ও গানবাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসের।

মুন্নীর এমন পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। সেই পোস্টে শুধু তাপস-মুন্নীর সংসারের কথাই নয়, প্রসঙ্গক্রমে তোলা হয়েছে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সংসারের কথাও।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় ফারজানা মুন্নীর সঙ্গে। তার একান্ত সহকারী মৌ রহমান বলেন, শুধু মুন্নী ম্যামই নয়, তাপস স্যারের প্রোফাইলও হ্যাক হয়েছে। এখনও উদ্ধার করতে পারিনি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

গানবাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা রুদ্র হক বলেন, আমিও বিষয়টি দেখেছি, আমরা স্টেটমেন্ট আকারে জানাচ্ছি। আমি যত দূর শুনেছি, আইডি হ্যাকড হয়েছে। এরকম হওয়ার কোনো কারণ নাই। কারণ অফিসিয়ালি যা কিছু ঘটে- কাজকর্ম আমাদের সামনেই ঘটে। আর্টিস্টদের সঙ্গে খুবই সন্মানজনক সম্পর্ক। এগুলো অপাঠ্য কথা।

এদিকে, টিএম ফিল্মসের ব্যানারে পাওয়া যাবে শবনম বুবলীকে। সঙ্গে থাকবেন আরেক চিত্রনায়িকা পরীমণিও। তাদের নতুন সিনেমার নাম খেলা হবে। এটি নির্মাণ করবেন তানিম রহমান। তাদের নতুন এই প্রজেক্টটি নিয়ে বেশ লেখালেখিও হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। 


আরও খবর

সৈকতে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন মিম !

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




খুলনা-৪ আসনে আলোচনার শীর্ষে প্রকৌশলী মুনির আহমেদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে নতুন মুখ হয়েও আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রকৌশলী শেখ মুনির আহমেদ।

 এলাকাবাসী জানায়, প্রচারবিমুখ এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নীরবে সমাজসেবা করে যাচ্ছেন দীর্ঘ দিন ধরে। প্রকৌশলী  শেখ মুনির আহমেদ খুলনা প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (যান্ত্রিক ) এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। দিঘলিয়া উপজেলার  সেনহাটীর  একটি ঐতিহ্যবাহী বনেদী পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুনির আহমেদের পরিবারের রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। তাঁর পিতা মরহুম শেখ নজির আহমেদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে শুধু অংশগ্রহণই করেননি,  একজন সংগঠকও ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে ইন্ডিয়ান সৈন্যদের একটি ঘাঁটি ছিলো তাঁদের বাড়িতে। তৎকালীন দৌলতপুর থানার দেবনগর ক্যাম্পটি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ নজির আহমেদের বাড়িতে ছিলো। তিনি ১৬ ডিসেম্বর মিত্রশক্তির মেজর সিধুর আহ্বান বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। প্রকৌশলী শেখ মুনির আহমেদের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদ আমৃত্যু সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের  সাথে জড়িত ছিলেন । তিনি  খুলান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম সম্পাদক, দৌলতপুর থানার সাধারণ সম্পাদক ও দিঘলিয়া থানা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি ছিলেন। রাজনীতি করতে যেয়ে তিনি ১৯৭৬- ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কারা ভোগ করেন। শেখ মুনির আহমেদ জন্মগতভাবে বাংলদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। তিনি খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, ড. এম এ রশীদ হল শাখা, কুয়েট এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুয়েট শাখার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, কুয়েট এ্যলাইমনাই এ্যসোসিয়েশন এর মেম্বার  ট্রাষ্টিবোর্ড, আইইবি ঢাকা সেন্টারের কাউন্সিল মেম্বার, আইইবিএর ওয়েলফেয়ার কমিটির মেম্বার  সার্ভিস (২০২০-২২ ও ২০২৩-২৫), বীর মুক্তিযোদ্ধ শেখ নজির আহমেদ ওয়েলফেয়ার ফাউÐেশনের সভাপতি ও ঐতিহ্যবাহী আলহাজ¦ সারোয়ার খান কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। এছাড়াও তিনি বহু সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তিনি ২০০২ সালের পর এলজিইডি থেকে চাকুরীচ্যুৎ হন। এসময় তিনি আওয়ামীলীগ সভানেত্রী  ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তকরার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। একজন মার্জিত, উচ্চশিক্ষত, নিরহংকারী, মানবিক,  তরুণ ব্যক্তিত্ব, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়ায় বর্তমানে তিনি আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। খুলনা-৪ আসনে সুষম ও টেকসই  উন্নয়ন, সরকারি অর্থের যথযথ ব্যবহার নিশ্চত করণসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নতদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংসদ সদস্য হিসেবে  প্রকৌশলী শেখ মুনির আহমেদের বিকল্প নেই বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেছেন।


আরও খবর