Logo
শিরোনাম

পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কে চাকরি হারাচ্ছেন পুলিশ কর্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে এবার চাকরি হারাচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সাকলায়েন শিথিল।

পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কের সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্বে ছিলেন সাকলায়েন।

পরীমনির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসার পর প্রথমে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি করা হয়। পরে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়।

শৃঙ্খলা শাখার প্রতিবেদনে বলা হয়, নায়িকা পরীমনির সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের ঘটনাক্রমে দেখা হয় এবং যোগাযোগ আরম্ভ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নায়িকা পরীমনির বাসায় নিয়মিত রাতযাপন করতে শুরু করেন সাকলায়েন। বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) পরীমনির বাসায় সাকলায়েন অবস্থান করেছেন বলে মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে প্রমাণ পাওয়া যায়। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখার দেওয়া তার ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী ০৪/০৭/২০২১ থেকে ০৪/০৮/২০২১ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) পরীমনির বাসায় অবস্থান করেছেন। পরীমনির মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট (সিআইডি কর্তৃক মামলার আলামত হিসেবে জব্দকৃত) পর্যালোচনায় দেখা যায়, তার ও পরীমনির আদান-প্রদানকৃত মেসেজসমূহ (২৯ জুলাই ২০২১ থেকে ৩ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত) সামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির ফেসবুক আইডি ও গোলাম সাকলায়েন সিথিল নামে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথোপকথন এবং তাদের হোয়াটসআ্যাপ নম্বরে (১১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৪ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত) কথোপকথন সাধারণ পরিচিতি বা পেশাগত প্রয়োজনে স্থাপিত কোনো সম্পর্কের নয়। বরং অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ১ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে ২ আগস্ট রাত ৩টা পর্যন্ত রাজারবাগ মধুমতি পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সে নায়িকা পরীমনির যাতায়াতের ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে ও সাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী প্রতীয়মান হয় যে, ১ আগস্ট সাকলায়েনের পূর্ব পরিকল্পনা ও সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারে তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় নায়িকা পরীমনি তার রাজারবাগের সরকারি বাসায় যান এবং প্রায় ১৭ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে ২ আগস্ট রাত ১টা ৩০ মিনিটে বাসা ত্যাগ করেন।

তার ও নায়িকা পরীমনির সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায়, টেলিভিশনে ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং যার ফলে জনমনে এ বিষয়ে নানারূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার জন্ম দেয়। সাকলায়েন বাংলাদেশ পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্বের বাইরে নায়িকা পরীমনির সাথে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।

সাকলায়েন বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও পরীমনির সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, পরীমনির সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজ স্ত্রীর অবর্তমানে সময় কাটানোর মতো ঘটনা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। উল্লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি পর্যালোচনাপূর্বক অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণ-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই বিধিমালার বিধি ৪-এর উপবিধি ৩(ঘ) বিধি মোতাবেক গুরুদণ্ডের আওতায় কেন তাকে চাকরি হতে বরখাস্তকরণ করা হবে না, সে মর্মে ২য় কারণ দর্শানো নোটিস প্রদান করা হয়।

সাকলায়েনের বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক লিখিত জবাব, মৌখিক বক্তব্য ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি পুনরায় বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। সার্বিক পর্যালোচনাস্তে ২য় কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‌অসদাচরণ-এর অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনকে বিধি ৪-এর উপ-বিধি ৩(খ) বিধি মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে চুনা ও মার্বেল ফ্যাক্টরি গুড়িয়ে দিল ভ্রাম্যমান আদালত

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গজারিয়া উপজেলার জামালদী, বালুয়াকান্দি ও বাউশিয়া ইউনিয়নের অবৈধ চূনা ফ্যাক্টরি,  ঢালাই কারখানা ও মার্বেল ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।                                                             এসময় ২টি কারখানার ২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২টি মামলায় ২০০০০০০/-(দুই লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।

                                                              আগামীকালের মধ্যে অবৈধ কারখানার সরঞ্জামাদি সরানোর নির্দেশ প্রদান করা হয় । অন্য ২টি কারখানার সবাই খবর পেয়ে পালিয়ে গেলেও একটি কারখানা যাকে পূর্বে অর্থদণ্ড প্রদান করে অবৈধ কারখানা বন্ধে মুচলেকা দেয়া সত্বেও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিলো সে কারখানার চুল্লী এক্সভেটরের সাহায্যে ভেঙে দেয়া হয়েছে। 

অভিযানটি পরিচালনা করেন গজারিয়া উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কহিনুর আক্তার, ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মামুন শরীফ, সেনাবাহিনী গজারিয়া ক্যাম্প থানা  পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে চুনাও মার্বেল ফ্যাক্টরি এক্সভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান পরিবেশ দূষণে অবৈধ কারখানার গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



বিচার বিভাগের সুফল পেতে রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিচার বিভাগের সুফল পেতে হলে রাজনৈতিক সংস্কার আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের এক কর্মশালায় অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

টিআইবি'র আয়োজিত অনুষ্ঠানে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে চা বিক্রেতাকে নাশকতা মামলায় ফাসাঁনোর অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুই লাখ টাকা চাদাঁ না দেওয়ায় সেলিম মিয়া (৪৫) নামে এক চা বিক্রেতাকে নাশকতা মামলায় ফাসাঁনোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবুল কাসেম বিলেরপাড় গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ও সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।  বুধবার বিকালে বিলেরপাড় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী চা বিক্রেতা সেলিম মিয়ার স্ত্রী খোদেঁজা বেগম। সেলিম মিয়া একই এলাকার নুরুল হকের ছেলে। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আবুল কাসেম।  

সেলিম মিয়ার স্ত্রী খোদেঁজা বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেন,সাধুরপাড়ার গাজীরপাড়া বাজারে তাদের ছোট্ট একটি চায়ের দোকান রয়েছে। স্বামী সেলিম মিয়ার সাথে চা দোকান করে সংসার চালান তারা। দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশী আসাদুল্লাহ গংদের সাথে বসতভিটার আড়াই শতক জমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছে। গত দুই সপ্তাহ আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তির কথা বলে সেলিম মিয়ার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম। কাসেম বলেন প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা হচ্ছে। সাধুরপাড়া ইউনিয়নেও মামলা হবে। টাকা না দিলে মামলায় আসামী হবে সেলিম এবং জমির দ্বন্ধ কোনদিন নিরসন হবে না। আবুল কাসেম এর কথামত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সেলিম মিয়া। টাকা না দেওয়ায় সেলিমের উপর ক্ষিপ্ত হন বিএনপি নেতা আবুল কাসেম। গত ১০ নভেম্বর রাত আনুমানিক দুইটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সেলিম মিয়াকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। স্ত্রীর অভিযোগ পুলিশের সাথে আবুল কাসেমও ছিল। পরেরদিন সকালে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাহা আলমের দায়েরকৃত নাশকতা মামলায় অজ্ঞাতানামা আসামী হিসেবে সেলিম মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার দাবি সেলিম মিয়া কোন রাজনীতি করে না। চায়ের দোকান করে সংসার চালায়।  টাকা না দেওয়ার কারনেই তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ন্যায় বিচারের জন্য জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামানের মিল্লাতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সেলিম মিয়ার ভাই মজিবুর রহমান,মেয়ে সোনিয়া আক্তার,সুমাইয়া আক্তার সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম বলেন,সেলিম মিয়া ও তার পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য সে। কিন্তু  সেলিম মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমি কথাই বলিনা,তাহলে চাদাঁ চাইবো কিভাবে। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতেই একটি পক্ষের ইন্দনে সেলিম মিয়ার পরিবার আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার করছে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,এ বিষয়ে আমি অবগত নই। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর



স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে, আলুর দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অবশেষে শীতের সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে আলুর বাজার বেশ চড়া। শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হাজী জয়নাল আবেদীন বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক। ফলে কয়েকদিন আগে অস্থির হয়ে ওঠা বাজারে এখন স্বস্তির হাওয়া বইছে।

বাজারে বর্তমানে চার ধরনের শিম পাওয়া যাচ্ছে। ৮০ থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে প্রতি কেজি শিমের জন্য।

বারোমাসি সবজির মধ্যে করল্লা ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স। গাজর ১০০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ১৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। চাল কুমড়ার পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতকালীন সবজির মধ্যে দাম কমে লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা কেজি।

বড় আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম যেমন কমেছে, একই সঙ্গে শীতকালীন সবজির তালিকায় উঠে এসেছে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ। কেজি ৬০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে সবজির বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে বাজারে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডায়মন্ড আলু। কেজি ৮০ টাকা। এতে বিরক্ত সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার সকালে আলুর দাম প্রসঙ্গে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। মিরাজ হোসেন নামে একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, আমরা তো যাত্রীদের থেকে দুই টাকা ভাড়া বেশি নিতে পারি না। ৮০ টাকায় আলু কেনা লাগে। অনেক কষ্ট হইয়া যাইতেছে।

একই কষ্টের কথা জানালেন নির্মাণ শ্রমিক দিলু মিয়া। বলেন, আমগো ভাই অনেক কষ্টের ট্যাকা। বহুত কষ্ট কইরা ইনকাম করি। গরুর মাংস, খাসির মাংস তো কিনিই না। এখন তো আলুও কিনতে পারি না। ৮০ টাকা কেজি! আমগো মতো মানুষের জন্য ৮০ টাকা অনেক টাকা।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




নির্বাচনী চাপ বাড়াতে তৎপর বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনী পথে দ্রুত হাঁটাতে তৎপর বিএনপি। এজন্য দলের পক্ষ থেকে নানা সভা-সেমিনারে ক্রমাগতভাবে নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপি মনে করে, বিপ্লব-পরবর্তী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনী কাজও চলমান রাখুক সরকার। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্যে সহসাই নির্বাচন না দেওয়ার কিছু ইঙ্গিত বিএনপির কাছে স্পষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি টেবিল টকের পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপও বাড়াতে চায়। তাতে জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও একটা পরিষ্কার বার্তা যাবে।

বিএনপি একটি সূত্র জানায়, নিজেদের পক্ষে জনমত জনমত আছে সেটি শতভাগ প্রমাণ করতে পেরেছে বিএনপি। এবারের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালির জনসমাগম দেখে দলের শীর্ষ নেতারাও বেশ আশাবাদী। সে আশাবাদকে ধরে রেখে দলটি আরো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসতে চায়। চলতি সপ্তাহের একটি স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক আগামী ডিসেম্বর মাসে একই রকম বিজয় র‌্যালি ও ১০ বিভাগে বড় জনসভার পরিকল্পনার নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাস ও ডিসেম্বরজুড়ে এই সমাবেশগুলোর আয়োজন করা হবে। দলটির নেতারা বলছেন, গত সরকারের শেষ দিকে সারা দেশে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে জন বিস্ফোরণ ঘটেছিল। গণপরিবহন বন্ধসহ সরকারের নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সভার জনসমাগম বেশ আলোচিত ছিল। কিন্তু এবারের অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে নতুন সমাবেশগুলোতে স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ইতিহাস তৈরি করতে চায় বিএনপি। এ ধরনের সমাবেশগুলোর মাধ্যমে বিএনপি দেশে একমাত্র জনবান্ধব দল এটা যেমন প্রমাণ করবে, সেই সঙ্গে দ্রুত নির্বাচনের দাবিটি আরো জোরালো হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল, পরিবর্তিত সময়ে দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসাটা বেশ চ্যালেঞ্জের। এটা নিয়ে আমাদের দলের সবাই কাজ করছেন। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সামনের নির্বাচনে ভালোভাবেই অংশ নেবে, নির্বাচিত হলে বিএনপি কী করবে এ বিষয়গুলো দেশব্যাপী তুলে ধরতে আমরা আবার তৃণমূলে যেতে চাই। সে লক্ষ্যে দলের সংশ্লিষ্ট নেতারা কাজ করছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাসেও নির্বাচনী রোডম্যাপের বিষয়টি স্পষ্ট না করায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। অন্যথায় আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হবে দলটি। গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া দুটিই সমান্তরালভাবে চলা উচিত। এজন্য সরকারকে অবিলম্বে একটি রোডম্যাপ দিয়ে সামনে এগোনো দরকার। যত দিন পর্যন্ত এই রোডম্যাপ দেওয়া না হবে, তত দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার যে শঙ্কা’ রয়েছে, সেটা কাটবে না।

নেতারা বলছেন, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারের সব কার্যক্রমের ফোকাস হওয়া উচিত নির্বাচন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই নির্বাচন নিয়ে জনমনে বিভিন্ন সময় যে শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা কাটাতে এই সরকারকে দ্রুত রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা দরকার।

বিএনপি মনে করছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা- এই দুই ইস্যুতে মাঠের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। তাই আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আরেকটি বড় র‌্যালিও করবে দলটি।

বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সম্প্রতি তিনজনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন যে, এদের মধ্যে দুজনকে নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং তারা আন্দোলন করছে। এই নিয়োগ নিয়ে বিএনপিও বিস্মিত। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ও চিন্তাভাবনা করে এদের নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া। বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা। এর আগে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে উপদেষ্টা করায় প্রশ্ন তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছিল বিএনপি।


আরও খবর