
শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :
রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রেমিকের আত্নহত্যার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্যাসবড়ি সেবনকরে আত্নহত্যা করেছেন কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকা। প্রেমিক-প্রেমিকার আত্নহত্যার ঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে নেমেছে শোক। নিহত প্রেমিক হৃদয় কর্মকার (২৯) হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ এলাকার বিকাশ কর্মকারের ছেলে ও প্রেমিকা সুদীপ্তা দাস কেকা (২৫) একই উপজেলার শাহজাদপুর পৌর শহরের সাহাপাড়া মহল্লার অতুল কৃষ্ণ দাসের মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর গ্যাস বড়ি সেবন করার পর বিকাল সারে ৩ টারদিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার সাহাপাড়া মহল্লায় প্রেমিকা সুদীপ্তা দাস কেকার মৃত্যু হয়। পর মাত্র কয়েক ঘন্টা পূর্বে সোমবার গভীর রাতে তার প্রেমিক হৃদয় কর্মকার বগুড়াতে কর্মস্থল এলাকায় গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রেমিক হৃদয় কর্মকার বগুড়ায় একটি ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অপরদিকে প্রেমিকা সুদীপ্তা দাস কেকা শাহজাদপুর সরকারী কলেজ এর অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও পাশাপাশি সংগীত শিল্পী ছিলেন বলে জানাগেছে। ঘটনাটি বুধবার ২৫ ডিসেম্বর লোকজনের মাঝে প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে এলাকার লোকজনের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বগুড়ায় প্রেমিক হৃদয় কর্মকারের গলায় ফাঁসদিয়ে মৃত্যুর খবর শুনে নিজ বাড়িতে গ্যাসবড়ি সেবন করেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও সংগীত শিল্পী সুদীপ্তা দাস কেকা। জানতে পেরে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেল সারে ৩টারদিকে তিনি মারা যান। হৃদয় কর্মকার বিবাহীত হওয়া সত্ত্বেও কলেজ পড়ুয়া সুদীপ্তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি সে যে বিবাহীত সেটাও সুদীপ্তাকে বুঝতে দেননি। হৃদয়ের কর্মস্থল পাশের জেলা বগুড়াতে হওয়ায় সুদীপ্তা মাঝে মধ্যেই সেখানে গিয়ে দেখা করতেন। একারনে বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিমানে
দু’জন-ই (আত্নহত্যা) প্রাণ দিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারনা স্থানিয়দের। এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আমরাও জেনেছি যে ত্রি-ভুজ প্রেম সম্পর্কের জেরধরে আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্বীকার করছে না। তারা বলছেন, কলেজ ছাত্রী কেকা ঘুম থেকে দেরীতে ওঠায় আমরা তাকে বকাবকি করতাম। সেই কারনে কেকা অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা।