Logo
শিরোনাম

প্রিয়নবী (দ.)'র পবিত্র মে'রাজ যাত্রা সৃষ্টিকুলের জন্য আনন্দ ও গৌরবের

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান, সাজ্জাদানশীন-এ দরবারে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী বলেছেন, ‘পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখ এমনই এক মহিমান্বিত রজনী, যে রজনীতে মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা তার প্রিয়তম হাবিব (দ.) কে আরশে আজিমে পরম সম্মানিত অতিথি হিসেবে সাদর আমন্ত্রণ করে অভ্যর্থনা জানিয়ে স্বীয় সাক্ষাতে ধন্য করেছেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (দ.) মহান আল্লাহ্ তা'য়ালার এমন নিকটবর্তী হলেন যে, তাদের মাঝে কোন পর্দা বা পার্থক্যই ছিল না। মহান আল্লাহ্, হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা মুহাম্মদ মুস্তফা (দ.)'র নিকট সৃষ্টিকুলের সকল রহস্য উম্মোচন করেন। যাত্রাপথে তিনি সম্মানিত নবী-রাসুল (আঃ)গণের সাথেও সাক্ষাত করেন।’ বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘পবিত্র শব-ই-মিরাজেই মহানবী (দ) উম্মতের জন্য উপহার হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে আসেন। তিনি প্রায় ২৭ বছর সফর করলেন, অথচ পৃথিবীর হিসেবে তা কয়েক সেকেন্ড মাত্র।’ সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, ‘আধুনিক বিজ্ঞানের আপেক্ষিকতা সূত্রও এ অলৌকিক যাত্রাকে বিজ্ঞানসম্মত বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। পবিত্র শব-ই-মিরাজ থেকে আমাদের কাছে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, মহামহিম, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা'য়ালার মর্যাদার পরেই সর্বোচ্চ সম্মানে যিনি সম্মানিত, যার মর্যাদা বর্ণনার অসাধ্য তিনি হলেন দোজাহানের বাদশাহ্, আমাদের প্রিয় নবিজী (দ.)।’ মহান আল্লাহ্ ও প্রিয় নবিজী (দ)'র এ মহিমান্বিত সাক্ষাৎ মু'মিনদের জন্য মহা আনন্দের জানিয়ে বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপরদিকে পবিত্র কুরআন হাদীসে এ রাত্রির উচ্চ মর্যাদা বর্ণিত হওয়ার পরেও একশ্রেণীর মুনাফিকরা এ তাৎপর্যময় রজনীর মহত্ত্বকে খর্ব করার বৃথা চেষ্টা করছে। তিনি মুনাফিক চক্রের অপতৎপরতাকে উপেক্ষা করে এ বরকতময় রজনীতে কুরআন তিলাওয়াত, নফল সালাত, তাহাজ্জুদ আদায়, দরুদ-সালাম পাঠ, দান সাদকাহ্, পরদিন নফল রোজা পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য মুসলিম উম্মাহর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।’

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া পূর্ব খুরুশিয়া হাজী আহমদ মিয়া জামে মসজিদ ময়দানে খুরুশিয়া হিলফুল ফুযুল পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ৮তম বার্ষিক হুসাইনি কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গুনিয়া রাহাতিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ ওবায়দুল মোস্তফা নঈমী, চট্টগ্রাম টপ স্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবছার হোসেন তালুকদার। মাওলানা আব্দুল হালিম আল কাদেরীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে মাওলানা আব্দুল হামিদ নঈমীর সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন নূরী। এ ছাড়াও আরও বহু ওলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।


আরও খবর



ব্যাংক আমানতে ফিরছে সুদিন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে দেশের ব্যাংকখাতে। এতে দীর্ঘদিন ধরেই আস্থা সংকটে ভুগছিল ব্যাংকগুলো। তবে সম্প্রতি আস্থা ফিরতে শুরু করেছে ব্যাংক খাতে। টানা চার মাস পর জানুয়ারিতে ব্যাংকখাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে ৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ গত জানুয়ারি শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময় এই পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। পরবর্তীতে অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এর আগে ব্যাংকখাতে আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সবশেষ চার মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য হ্রাসের পাশাপাশি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সামনে আনা হলে লোকজন ব্যাংকে টাকা জমা রাখা কমিয়ে দেওয়া দিয়েছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই ১০ শতাংশের ওপর থাকা উচিত। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে থেকেই ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন, রেমিটেন্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের সংকট ছিল। আন্দোলনের ধাক্কা সামলে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও অর্থনীতিতে গতি কম। সরকার পতনের মাস অগাস্টে দেশে ব্যাপক সহিংসতা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতেও ব্যাংক আমানতে ৯.৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাঝে কিছুটা কমে তা আবারও বাড়ছে যা ইতিবাচক।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




১৮৯ জন নারী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্যাতনের শিকার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৮৯ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

এতে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭২ জন কন্যা ও ১১৭ জন নারীসহ ১৮৯ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩০ জন কন্যাসহ ৪৮ জন।

এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার হওয়াদের মধ্যে তিনজন কন্যাসহ ১১ জনকে দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং এক কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

মহিলা পরিষদ আরো জানায়, চারজন কন্যাসহ পাঁচজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি ছয়জন কন্যাসহ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১০ জন। উত্ত্যক্ত করায় এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।

অগ্নিদগ্ধের কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার তিনজন এবং একই কারণে হত্যা করা হয়েছে তিনজনকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন কন্যাসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। তিনজন গৃহকর্মীকে নির্যাতন, এর মধ্যে দুজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে ১০ জন কন্যাসহ ৪৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনজন কন্যাসহ ১৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন কন্যাসহ ১৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। আটজন কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছেন। একজন নারী সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন।

তিন কন্যাসহ মোট ৬ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে ২ নেতার পদত্যাগের ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব ও সালাউদ্দীন আম্মার। 

ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। এর মধ্যে মেহেদী সজীব কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সালাউদ্দীন আম্মার যুগ্ম সদস্য সচিব পদধারী নেতা।

ফেসবুক মেহেদী সজীব তার পোস্টে লেখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তার অগোচরেই করা হয়েছে, যা তিনি মেনে নিতে রাজি নন। 

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাবের উত্থান-এর প্রতিবাদে তিনি এ প্ল্যাটফর্মে থাকতে চান না।

মেহেদী সজীব আরও লেখেন, আমি আগেই কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছি, বিভাজনের রাজনীতিতে আমি থাকতে পারব না। তবুও আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে পরিকল্পিতভাবে বিভক্ত করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দাবিগুলো পূরণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্পষ্ট বার্তা ঢাকা ও ঢাবি কেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাব থেকে যতদিন না এই দলের অংশীজনরা বেরিয়ে আসতে পারবে, বিকেন্দ্রীকরণের দিকে মনোনিবেশ করবে, ততদিন আমি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যাব না।

অন্যদিকে সালাউদ্দিন আম্মার তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আমাদের স্ট্যান্ড আমরা গতকাল রাতেই ক্লিয়ার করেছিলাম। আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পালসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাবি শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে না এই ঢাবি আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকতে। তাই আমরাও চাচ্ছি না। শিক্ষার্থীরা না চাইলে আমরা কিছুই না।


আরও খবর



ঝলকাঠিতে ভুয়া পরিচয়ে দুটি খেয়াঘাটের ইজারা নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠি শহরের রোনালছে রোড (পৌরসভা) খেয়াঘাট ও স্টিমার ঘাট খেয়া পারাপারের ভুয়া পরিচয়ে ইজারা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইজারা পাওয়া আব্বাস আলী ঝালকাঠি পৌরসভা ও পোনাবালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা পরিচয়ে ইজারাদাতা ঝালকাঠি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যয়য়নপ‌এ জমা দিয়েছে। ভুয়া পরিচয় দিয়ে ইজারা পাওয়ায় পেশাদার মাঝি-মাল্লা (পার্টনিদের) মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রকৃত পার্টনিরা ভুয়া পরিচয়দানকারীর ইজারা পরিবর্তন করে বিধি অনুযায়ী খেয়াঘাটের ইজারা দেয়া দাবী জানিয়েছেন। নয়তো তারা উচ্চ আদালদের "স্বরণাপন্ন হবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে, ঝালকাঠি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পূরাতন কলেজ, রোনালছে বোড খেয়াঘাট (পৌরসভা খেয়াঘাট), স্টিমার খেয়াঘাট ইজারা আহ্বান করেন। ইজারা নোটিশ অনুযায়ী বেশ কিছু লোকজন টেন্ডারে অংশ নেয়। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে প্রাথমিকভাবে ইজারাদার ঘোষণা করা হয়। রোনালছে রোড  খেয়াঘাট (পৌরসভা খেয়াঘাট) এবং স্টিমারঘাট খেয়াঘাট ইজারাদার হিসেবে আব্বাস আলীর নাম ঘোষণা করা হয়। আব্বাস আলী ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড পুরাতন কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা হিসেবে এক বছর আগের দেয়া পৌর কাউন্সিলর হুমাউন কবীর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র জমা দেন । আবার সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউপি সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন শরীফ স্বাক্ষরিত কিস্তাকাঠী এলাকার বাসিন্দা হিসেবে প্রত্যয়নপত্র জমা দেন আব্বাস আলী। ওই প্রত্যয়নপত্রের কোনোটাতেই দুজন জনপ্রতিনিধির একক স্বাক্ষরের বাইরে আরো স্বাক্ষর নেই। দু'স্থানের বাসিন্দা, দুজনের কাছ থেকেই খেয়াঘাটের মাঝি হিসেবে একই ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে এ দোদুল্যমান অবস্থা কাটাতে হালনাগাদ প্রত্যয়নপত্র পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দিতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্যসূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক কুমার সমদ্দার জানান, আমরা দরপত্র বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্ণয় করেছি। এখনও কারো নাম চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি। সব কাগজগুলো যাচাই-বাছাই শেষে চুড়ান্ত ইজারাদারের নাম ঘোষণা করা হবে।


আরও খবর



আমতলীতে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বরগুনার ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরশ চলাকালে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তৌহিদি জনতা। প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে মাজারের ভিতরের সামিয়ানা ও দুইটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতার হামলায় অন্তত ১৮/২০জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় রবিবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ মাজার স্থাপন করা হয়। ওই সময় থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুইদিন ব্যাপী ওরশ উৎযাপন করে আসছেন। ২৮তম ওরশ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। ওইদিন তৌহিদি জনতা মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী নেতৃত্বে তাদের শতশত সর্মাথক তৌহিদি জনতা এসে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন।

কিন্তু মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্য দ্বন্দ্ব হয়। এক পর্যায় তৌহিদি জনতা লাঠি সোটা নিয়ে মাজার ভাংচুর করে এবং আগুন দেয়। এতে ওই ওরশে আসা শতশত ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে মাজারের দুইটি বৈঠকখানা ও মাজারের মধ্যে সামিয়ানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে অন্তত ১৮/২০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সোলায়মান (৩৮), রেজাউল (১৮), বাদল মৃধা (৪০), দুলাল মৃধা (৪২), আবু বকর (২৯), আবুল হোসেন (২৮), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮), মো. মামুন (৪৩), আবুল কালাম (৪২), জোবায়ের (১৯) ও ফজলুল করিম (২৭) কে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শতশত তৌহিদি জনতা­ লাঠি সোঠা নিয়ে এসে মাজার ভাংচুর করে। পরে মাজারে আগুন দেয়। এ সময় ওরশে আসা শতশত ভক্তবৃন্দ ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলতে থাকে। মানুষ দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ইসমাইল শাহ মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠি সোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়। এতে মাজারের ভিতরের গিলাব এবং দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, তারা ভক্তবৃন্দকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

মুফতি ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, এ মাজারটি ভন্ডের আস্তানা। এখানে ওরশের নামে গানবাজনা ও গাজা মাদক সেবন ও নারীর আসর বসে। আর মাজারটির ভক্তবৃন্দ মহিলারা পীরের কবরে ও প্রধান খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের পায়ে সেজদা দেয়। ওরসে নারী পুরুষদের গান বাজনাও চলে প্রকাশ্যে। যা সম্পুর্ণ ইসলাম বিরোধী। আমার মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে এই রমজান মাসে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি তা না শুনে তার নির্দেশে তার ভক্তবৃন্দেরা আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এই ভন্ড মাজারের খাদেম বাবুল ও তার দোসরদের শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী ফায়ার ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ২ টা ৩৫ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুই ঘর পুড়ে গেছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অঅইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান ও ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা বলেন আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর