Logo
শিরোনাম

প্রকাশ্যে এলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করেছে কানাডিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলেছে। সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ দ্য ফিফথ স্টেটদ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়।

প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সেখানে থেকে যাওয়া এবং খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার শক্তিশালী বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাই কমিশনার হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।

নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কী করছেন, এ নিয়ে জানা থাকলেও তথ্য আকারে সামনে আসেনি তেমন। তার অবস্থান নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরির প্রচেষ্টা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবে।

প্রতিবেদনে টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনিতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থায় ধরতে পারেন প্রতিবেদক। কিন্তু কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কোনোমতে কেটে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।

বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে। এরপর ১৯৯৯ সালে শরণার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপিল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্টর আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে সেখানে মুক্ত জীবনযাপন করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে সচিবালয়ে আসেন কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। সাক্ষাতের পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডার আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমাকে হাইকমিশনার জানিয়েছেন।

আমি তাদের অনুরোধ করেছি, বিকল্প পন্থা বের করা যায় কিনা। তাকে বলেছি, একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি এও বলেন, আমি তারপরেও তাকে অনুরোধ করেছি যে, আমাদের আইন এবং যে সব রুলস আছে, আমরা যদি সেগুলো এক্সামিন করি তাহলে কানাডা যাতে ফিরিয়ে দিতে পারে এমন কোনও পন্থা খুঁজে পাবো আমরা। এটাও বলেছি, তাকে ওখানে রাখাটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।


আরও খবর



ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কমেছে মূল্যস্ফীতি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রফতানি আয়, রেমিটেন্স প্রবাহ, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, কর্মসংস্থান এবং মাথা পিছু আয় বেড়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বৈঠকের পর শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগস্ট-ডিসেম্বর এই ৫ মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগামী জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে আসবে। গত তিন বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মত বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য উদ্বৃত্ত হয়েছে।’

মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চলতি বছর নয় লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া পরিশোধে ভর্তুকির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানোর মাধ্যমে ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে চলতি বছর প্রায় ১১ হাজার ৪শ’ ৪৪ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ১০ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব হবে। গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কূপ খনন করে দৈনিক ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রেস সচিব আরও বলেন, বর্তমানে টাকা ছাপানো বন্ধ আছে। কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বন্ধ আছে। নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় অব্যাহত রয়েছে। দেশের ১ কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য পাচ্ছে। ১৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে। যে পরিমাণ মজুত আছে আর আমদানি হচ্ছে তাতে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে।

শফিকুল আলম বলেন, দেশে কোরিয়ান ইপিজেড নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। জমি জটিলতার কারণে তারা বিনিয়োগ করতে পারছিল না। পতিত স্বৈরাচারেরা এই সমস্যা তৈরি করেছিল। এখন এই ভূমির সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। কোরিয়ান ইপিজেডকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের ভূমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এখানে বিনিয়োগে কোন সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, এই ইপিজেডে কোরিয়ার বিভিন্ন বড় কোম্পানি রয়েছে। আশা করছি, সমস্যা সমাধানের ফলে সেখানে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

শফিকুল আলম জানান, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৮ মার্কিন ডলার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার।

প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে তার প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্ত্বশাসন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে গত ৬ মাসে দেশের অর্থনৈতিক অর্জন এবং আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা আসছে। কিন্তু বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ বছরের মধ্যে খুন সবচেয়ে কম সংঘটিত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতাদের পালিয়ে যেতে যারা সহায়তা করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না কেন? জবাবে শফিকুল আলম বলেন, যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের বেশিরভাগই ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে গেছে। ওই সময় দেশে কোনো সরকার ছিল না। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। পুলিশকে কাজে ফেরাতে অনেক সময় লেগেছে। এরপর এই অপরাধে কারা জড়িত ছিল, তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানি ২ সপ্তাহ মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।


আরও খবর



প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসরের প্রথম পর্ব। বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আমবয়ানের মাধ্যমে এই পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে জড়ো হয়েছেন লাখো মুসল্লি।

এ বিষয়ে তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, বিগত বছরগুলোয় শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমা শুরু হলেও এবার মাগরিবের নামাজের পর আম বয়ান হয়েছে। নামাজের পরে ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে এবারের টঙ্গীর ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বয়ানের তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হবে। আর দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। এ নামাজ পড়াবেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।


আরও খবর

পীর হও কিন্তু পীর সেজনা!

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা :

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও গণতান্ত্রিক করতে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো এক গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ। 'গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জনআকাঙ্ক্ষার আলোকে স্থানীয় সরকার সংস্কার' শীর্ষক এই সংলাপের আয়োজন করে গভার্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরাম ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।

১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন হলে আয়োজিত এই সংলাপে সভাপতিত্ব করেন আইএসডিই নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। গভার্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের সমন্বয়কারী কানিজ ফাতেমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এম নাসিরুল হক এবং গভার্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের ফ্যাসিলিটেটর অনিরুদ্ধ রায়, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্যাব চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার সাবেরী। আলোচনায় অংশনেন সাবেক জেলা জেজ জসিম উদ্দীন, ইনিঞ্জনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী দেলুয়ার মজুমদার, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স এর অ্যধ্যাপক ডঃ খালেদ মিজবাহউজ্জমান, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রিয় যুগ্ন সম্পাদক ফাতেমা বাদসা, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা অনুষদের প্রধান অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সঞ্জয় বিশ্বাস, প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ অহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ, বোয়ালখালী কদুরখীল ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস,  ক্যাব লক্ষীপুরের সাধারন সম্পাদক পারভীন হালিম, বৃহত্তর উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ ইব্রাহিম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব যুব গ্রুপের আবু হানিফ নোমান, সিএসডিএফ’র সমন্বয়কারী শম্পা কে নাহার প্রমুখ। এছাড়াও সংলাপে কক্সবাজার, বান্দারবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন। 

সংলাপে বক্তারা স্থানীয় সরকার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা, গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণের চ্যালেঞ্জ এবং জনসেবার মানোন্নয়নের বিভিন্নদিক নিয়ে আলোচনা ও সুপারিশ করেন।

আইএসডিই নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন বলেন, "বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়ে কাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে আলোচনা ও আন্দোলন চলছে, কারণ স্থানীয় সরকার জনগণের প্রত্যাশা ও চাহিদার প্রতিফলন ঘটায়। আমরা চাই, সংস্কারের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করা হোক।"

গভার্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের ফোকাল পার্সন অনিরুদ্ধ রায় স্থানীয় সরকার সংস্কারের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, "২০০৭ সালে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তখন সংশ্লিষ্ট ২৭টি সংস্থার সঙ্গে আমরা সংলাপ করেছিলাম এবং ৪০টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই প্রস্তাবগুলোর প্রায় সবকটিই বাস্তবায়ন হয়েছিল, যদিও দুটি বাদ পড়েছিল।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যে বৈষম্য বিদ্যমান, তা দূর করতে হবে। সেবা গ্রহণেরক্ষেত্রে যে জটিলতা রয়েছে, সেগুলো কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা যেন আরও গণবান্ধব ও কার্যকর হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।"

সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয় সরকার সংস্কারের জন্য ছয়টি মূল প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর মধ্যে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি,  সেবা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ, জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন, রাজনৈতিক কাঠামোর সংস্কারে জোর দেয়া হয়। 

এই সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, প্রকৌশলী এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। তারা স্থানীয় সরকার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন এবং সমস্যার সমাধানের জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

বক্তারা বলেন, স্থানীয় সরকারকে প্রকৃত অর্থেকার্যকর করতে হলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রশাসনিক সংস্কারও প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের ক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং জনসেবায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

সংলাপে আরও বলা হয়, "মানুষে মানুষে যে অসমতা রয়েছে, তা দূর করা অত্যন্ত জরুরি। সেবার বিকেন্দ্রীকরণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের প্রস্তাবনাগুলো জাতীয় সংলাপে তুলে ধরে রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তনের মাধ্যমে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।


আরও খবর



ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই ইউক্রেনকে সহায়তাকারী প্রকল্পগুলো স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)। সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউএসএআইডির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনের প্রকল্পগুলোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সব কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। খবর তাসের।

স্থগিত করা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে স্কুলে সহায়তা, জরুরি মাতৃত্বকালীন যত্ন এবং শৈশবের টিকাদানের মতো স্বাস্থ্যসেবাও।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ৯০ দিনের জন্য বেশিরভাগ বিদেশি সাহায্যের জন্য অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন।

সব কূটনৈতিক ও কনস্যুলার পদে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে, বিভাগের কর্মীদের প্রায় সব বিদ্যমান বৈদেশিক সহায়তার ওপর স্টপ-ওয়ার্ক অর্ডার জারি হবে। তবে, মিশর এবং ইসরায়েলের জন্য বিদেশি সামরিক অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে বলে জানায় পলিটিকো।


আরও খবর