Logo
শিরোনাম

প্রকাশ্যে এলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করেছে কানাডিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলেছে। সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ দ্য ফিফথ স্টেটদ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়।

প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সেখানে থেকে যাওয়া এবং খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার শক্তিশালী বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাই কমিশনার হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।

নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কী করছেন, এ নিয়ে জানা থাকলেও তথ্য আকারে সামনে আসেনি তেমন। তার অবস্থান নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরির প্রচেষ্টা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবে।

প্রতিবেদনে টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনিতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থায় ধরতে পারেন প্রতিবেদক। কিন্তু কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কোনোমতে কেটে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।

বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে। এরপর ১৯৯৯ সালে শরণার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপিল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্টর আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে সেখানে মুক্ত জীবনযাপন করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে সচিবালয়ে আসেন কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। সাক্ষাতের পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডার আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমাকে হাইকমিশনার জানিয়েছেন।

আমি তাদের অনুরোধ করেছি, বিকল্প পন্থা বের করা যায় কিনা। তাকে বলেছি, একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি এও বলেন, আমি তারপরেও তাকে অনুরোধ করেছি যে, আমাদের আইন এবং যে সব রুলস আছে, আমরা যদি সেগুলো এক্সামিন করি তাহলে কানাডা যাতে ফিরিয়ে দিতে পারে এমন কোনও পন্থা খুঁজে পাবো আমরা। এটাও বলেছি, তাকে ওখানে রাখাটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছেন দলিল লেখকরা। গত রোববার থেকে তারা এই কর্মসূচী পালন করছেন। সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন দলিল লেখকরা। সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মুখোমুখি অবস্থানের কারনে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমির দাতা গ্রহীতারা। 

বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া জানান,চলতি বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। এর আগে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন।  যোগদানের পর দলিল লেখকদের সাথে বৈঠক করেন সাব-রেজিস্ট্রার। বৈঠকে সাব-রেজিস্ট্রার দলিল লেখকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা আমাকে সহযোগীতা করবেন,আমি আপনাদের সহযোগীতা করবো। দলিল প্রতি বাড়তি সাড়ে ৫ হাজার টাকা চান তিনি। বাড়তি টাকা না দিলে একটা দলিলও পাশ হবে না। তাৎক্ষনিক দলিল লেখকরা বাড়তি টাকার বিষয়ে আপত্তি জানালে সনদ বাতিলের হুমকিও দেন সাব-রেজিস্ট্রার। সনদ হারানোর ভয়ে দলিল লেখকরা আর কিছু বলার সাহস করেনি। ফলে বাড়তি টাকা দিয়েই দলিল করতে বাধ্যহয় দলিল লেখকরা। এতে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা গ্রহীতারা দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছিলেন। এই নিয়ে দলিল লেখকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার দলিল প্রতি বাড়তি টাকা দিতে পারবেন না বলে সাব-রেজিস্ট্রারকে জানান দলিল লেখকরা। এতেই দারুণ ভাবে ক্ষিপ্ত হন সাবরেজিস্ট্রার। বনিবনা না হওয়ায় দলিলের প্রতি পাতার জন্য ১৫ টাকা করে নিতে পারবেন দলিল লেখকরা এমন আদেশ দেন। এর বেশি নিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন এবং এক অফিস আদেশও জারি করেন তিনি। এই নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়। এতে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষনা দেন দলিল লেখকরা। 

বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন হিলারী বলেন,বকশীগঞ্জে যোগদানের পরেই দলিল প্রতি বাড়তি অর্থ দাবি করেন সাব-রেজিস্ট্রার। তার দাবি না মানায় কোন কারন ছাড়াই সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকদের সাথে অসাদাচরন,সনদ বাতিলের হুমকি,দলিলের দাতা গ্রহীতাদের নানা ভাবে হয়রানি ও তাদের সাথে খারাপ আচরন করে আসছেন সাবরেজিস্ট্রার মুহাম্মদ তামীম। এই কারনেই সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছি। তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মসূচী চলবে।  

মেরুরচর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে কষ্ট করে এলাকায় ৫ শতক জমি কিনেছেন। জমি রেজিস্ট্রি নিতে দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। কর্মবিরতির কারনে দলিল করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। পুনরায় আবার ছুটি নিয়ে তাকে আসতে হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন। 

এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, যখন জানতে পারি আমার নাম ভাঙিয়ে দলিল লেখকরা জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা ও গ্রহীতাদের কাছে বাড়তি টাকা নেয়, ঠিক তখনই আমি দুর্নীতি বন্ধের ঘোষনা দেই।  এতেই দলিল লেখকরা আমার প্রতি মনোক্ষুন্ন হন। দলিল লেখকরা তার কাছে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কর্মবিরতি করছেন। অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে তিনি আর নীতিতে অটল থাকবেন বলে জানান।


আরও খবর



ফাঁকা সড়ক, গণপরিবহন কম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপির পঞ্চম দফায় ডাকা দুদিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন কম দেখা গেছে সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবসে অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও কম

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর, ফার্মগেট, জিগাতলা মিরপুর রোডে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কম পরিবহন দেখা গেছে পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষও ছিলেন কম

সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ দেখা গেছে। মহাখালী বাস টার্মিনালেও একই অবস্থা বিরাজ করছে

গতকাল বিভাগীয় শহরগুলো থেকেও দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে যান চলাচল করেছে। লঞ্চ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল

এদিকে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন বাহিনী রয়েছে সড়কে সকালে নাইটিঙ্গেল মোড়সহ একাধিক সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবিকে টহল দিতে দেখা গেছে

এদিকে পঞ্চম দফা অবরোধের প্রথম দিনে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে

দেশের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অন্তত আটটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম নগরীতে তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল অবরোধ চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত আটটি (বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত) যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর মধ্যে রাত ১০টায় ঢাকার দোহারে একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ৮টা ৫৫ মিনিটে বগুড়ার শাকপালা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে সিলেটের দাসপাড়ায় একটি লেগুনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে নাটোর বনপাড়া নয়াবাজারে প্রাণ কোম্পানির একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। অবরোধের আগের রাতে ঢাকার মিরপুরে

চারটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়

এদিকে আগামী জানুয়ারি ভোট গ্রহণের তারিখ রেখে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের তসফিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এদিন সন্ধ্যায় দিনের অন্যান্য সময়ের তুলনায় হঠাৎ করে পরিবহন সংকটে পড়েন রাজধানীবাসী। 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




বাদ পড়লেন আ.লীগের শতাধিক এমপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দলের বর্তমান সংসদ সদস্যদের (এমপি) মধ্যে অনেকেই বাদ পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতার ফলে কিছু আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের বাদ পড়তে হবে।

২৩ নভেম্বর থেকে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়েছে। সংসদীয় বোর্ডের এই সভায় দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, দলের মধ্যে এমন আলোচনা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন না দলের নেতাদের অনেকেই।

তাদের মতে, আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে মনোনয়নে একটা বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা ছিল। বিএনপির নির্বাচনে আাসার সম্ভাবনা এখন আর নেই। কিন্তু তারপরও যে দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে, সে সব দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার একটা বিষয় রয়েছে। এর পাশাপাশি অতি বিতর্কিত কিছু এমপি বাদ পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপিসহ কিছু দল নির্বাচনে না আসায় ২০১৮ সালের তুলনায় এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জোট বা জোটের বাইরে থাকা দলগুলোর জন্য একটু বেশি আসন ছাড় দিতে হবে। কারণ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে কিছু দল ও জোটকে নির্বাচনে আনার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এই দলগুলোকে কিছু আসন ছাড় দিতে হবে। এই সব দলের সাংগঠনিক অবস্থা বিবেচনায় আওয়ামী লীগের দুর্বল প্রার্থীর সঙ্গেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

আর তাছাড়া আসন সমঝোতার নিশ্চয়তার ভিত্তিতেই এই দলগুলো নির্বাচনে আসবে। এতে এমন কিছু আসনে ছাড় দিতে হবে, যেখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগেরই এমপি আছেন। বর্তমানে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির যে আসনগুলোতে এমপি রয়েছে, গত নির্বাচনের মতো এবারও ওই আসনগুলোতে ছাড় দিতে হবে। এর বাইরে আরও কিছু আসন তারা দাবি করতে পারে। অর্থাৎ নতুন করে জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোকে যে সব আসন ছাড়তে হবে সেগুলোতে বর্তমানে আওয়ামী লীগেরই এমপি রয়েছেন। এর ফলে দলের কিছু এমপি মনোনয়ন থেকে বাদ পড়বেন।

এছাড়া কিছু আসনে এমনিতেই দলীয় প্রর্থীর পরিবর্তন আসতে পারে। গত ৫ বছরে যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন, যা দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোত দলের সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন, জনপ্রিয়তা হারিয়েছেনএরকম কিছু এমপি এবার মনোনয়ন পাবেন না। তবে সেই সংখ্যাটা খুব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০টির মতো আসন হতে পারে, যেখান থেকে বর্তমান এমপিরা বাদ পড়বেন। তবে দলীয় মনোনয়ন ৩০০ আসনেই চূড়ান্ত করা হবে। এর পর জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দলের প্রার্থীদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হবে যাতে সমঝোতা হলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে কোনো জটিলতা তৈরি না হয়।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৩৩৬২টি। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে প্রতিটিতে গড়ে ১১ জন করে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে দলীয় প্রার্থী মনোয়নের কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট্ট ৭২টি আসনেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আগামী ২৫ নভেম্বর ৩০০ আসনেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর তালিকা ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানান।

তবে বাদ পড়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের ইঙ্গিত দিলেও কত জন বাদ পড়েছেন, সেটা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, কয়জন বাদ পড়ছেন এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না, তবে বাদ পড়েছেন।

এ অবস্থায় কত আসনে পরিবর্তন এসেছে, কারা বাদ পড়েছেন বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংসদীয় বোর্ডের একজন সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা বলতে চাননি। তিনি বলেন, আমাদের এ বিষয়ে কথা বলা নিষেধ। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাই আমি কিছু বলতে পারছি না।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি প্লাটুন স্ট্যান্ডবাই রয়েছে ১৬ নভেম্বর সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এই তথ্য জানান

 তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা আশপাশের জেলায় ৩২ প্লাটুন এবং সারা দেশে ১৯৭ প্লাটুনসহ মোট ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে

সরকারের পদত্যাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। এতে সমাবেশ পণ্ড হলে মঞ্চ থেকে পরদিন হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর বিরতি দিয়ে মোট পাঁচ দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে অনেক যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় অনেক গাড়ি

এমন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েকদিন আগে থেকেই পুলিশের পাশাপাশি মাঠে কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মধ্যেই গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় এরপরই তফসিলের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারা দেশে অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয় বেশ কয়েকটি দল এই প্রেক্ষিতে সারাদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




আ.লীগের প্রার্থী হচ্ছেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

এখন দেশের অনেক তারকাই নাম লেখাচ্ছেন নির্বাচনে। পর্দার পাশাপাশি রাজনীতির মাঠও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারকারা। সামনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সম্প্রতি নিরবাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

আসন্ন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বহু তারকার নাম উঠে এসেছে। চিত্রনায়ক ফেরদৌস, চিত্রনায়ক আলমগীর, অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের পাশাপাশি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসেরও শোনা যায়। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা।

জানা গেছে, এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেও, তাকে আর প্রার্থী হতে দেখা যায়নি। তবে এবার নাকি আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এই ঢালিউড কুইন।

এ প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, নারীদের কাছে আলাদা একটি জায়গা রয়েছে আমার। বিশেষ করে ব্যক্তিত্ব, সন্তানের মা এবং একজন নারী হিসেবে। তাই প্রার্থী হওয়ার সেই সুযোগ যদি আমাকে করে দেয়, তাহলে অবশ্যই আমি নির্বাচন করব।

চিত্রনায়িকা আরও বলেন, এবার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমার কাছে মনে হয় নারীদের তুলে ধরতে একজন নারীই প্রয়োজন। যেমনটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সবসময় নারী নেতৃত্বকে সাপোর্ট দিয়ে এসেছেন।

অপু বিশ্বাস বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র হচ্ছে কর্মজীবী মানুষদের ঘিরে। কিন্তু সেখানে অস্থিরতা বিরাজ করলে আমাদের কাজের জায়গা একেবারেই সংকুচিত হয়ে যায়।

তাই আমি মনে-প্রাণে চাইব আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসুক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমাদের যে উন্নয়ন করেছে, এটার বিকল্প আর কিছু নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, তিনি আসলেই মা। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসুক, এই কামনাই আমার থাকবে। কিছু দিন পরই তো জাতীয় নির্বাচন। এ জন্য অপেক্ষা করছি।

অনেক আগে থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অপু বিশ্বাস। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচার অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেছেন তিনি।


আরও খবর

সৈকতে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন মিম !

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩