
কুমিল্লা ব্যুরো :
কুমিল্লা দাউদকান্দিতে ২০১৪ সালে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে পরিবহন নেতা রেজাউল করিম রাজা মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও দশহাজার টাকা অর্থ দন্ড দিয়েছেন কুমিল্লার জেলা ও দায়রা ৫ম আদালত।
বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষনাকালে আসামি মো: রাশেদ আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ।অপর আসামি মোসাঃ আলো আক্তার ও তাপস চন্দ শীল
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এড. মোঃ নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দক্ষিণ সতানন্দি গ্রামের তাপস চন্দ্র শীল একই গ্রামের নিহত রাজা মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ আলো আক্তার একই জেলার চান্দিনা উপজেলার বশিকপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া মোঃ রাশেদ ।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এড. মোঃ নজরুল ইসলাম জানান মুন্সিগঞ্জ পুরাতন চরচাষি মুন্সী বাড়ীর মোঃ রেজাউল করিম রাজা মিয়া তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তাহার শ্বশুর সাবেক কাউন্সিলর আঃ আউয়াল মিয়ার ঘরের উত্তর পাশে জমি ক্রয় করে বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করাকালীন সময়ে দাউদকান্দি বাসষ্ট্যান্ডে গজারিয়া পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কর্মরত ছিলেন। দাউদকান্দি দোনারচর গ্রামে বসবাসরত অবস্থায় ২০১৪ সালের ১২ জুন রাত সাড়ে ১০টায় রাজা মিয়াকে আঃ আউয়াল কমিশনারের বসত ঘরের পশ্চিম পাশে উঠানে কে বা কাহারা মারিয়া ফেলিয়া রাখিয়াছে। সংবাদ পেয়ে এজহারকারী খাজা মিয়া ঘটনাস্থলে এসে দেখেন উঠানের পূর্বদিকে মাথা, পশ্চিম দিকে পা চিৎ অবস্থায় মৃত দেহ মাটিতে পড়ে আছে ।২০১৪ সালের ১৪ জুন রেজাউল করিম রাজা মিয়ার বড়ভাই মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার পুরাতন চরচাষি ছায়েদ আলী মুন্সী বাড়ীর মৃত ছোয়াব আলী বেপারীর ছেলে মোঃ খাজা মিয়া (৪৮) বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ১২ জুন রাত সাড়ে ১০টা হতে ১৩ জুন ভোর ৫টা পর্যন্ত যেকোন সময়ে পরকীয়া প্রেমের জেরধরে রাজা মিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা আসামি করে দাউদকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। পুলিশ সন্ধেহজনভাবে মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী আলো আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অপর দুই আসামী তাপস চন্দ্র শীল ও রাসেদ এর নাম বলেন। এরপর পুলিশ অপর দুই আসামিকে গ্রেফতার করিলে সকল আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে।
রাষ্ট্রপক্ষ ২১জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে পলাতক আসামী তাপস চন্দ্র শীল, পলাতক আসামি মোসাঃ আলো আক্তার এবং আসামি মোঃ রাসেদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও দশহাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন আদালত।
আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. নোমান ও এড. মাসুদ সালাউদ্দিন।