Logo
শিরোনাম

পরকীয়ার জেরে ২ শিশুকে খুন, ২জনের মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

‌কুমিল্লা ব্যুরো :

কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন। কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে (২৮)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে(৪৩)। দণ্ডপ্রাপ্তরা সর্ম্পকে চাচি শাশুড়ি এবং ভাতিজা বউ।

পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন দণ্ডপ্রাপ্তরা। তাদের হুশ ফেরাতে কোর্ট পুলিশ সদস্যদের নাস্তানাবুদ অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী মো. বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮) পরকীয়ার আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরাফাত (৬) কে খুন করেন। ঠিক ওই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষণ পর শাহ আলমের ছেলে জসিম (৭)কেও ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়ামিন আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ইয়াছমিন আক্তারকে সহযোগীতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামী মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে। গত বছর র‌্যাব ১১মাজেদা বেগমকে  চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২১ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে ১ নম্বর এবং মাজেদা বেগমকে ২ নম্বর ও অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে নিহত আরাফাতের পিতা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


আরও খবর

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১১ মার্চ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, চাল-ডাল-তেল-কৃষি উপকরণ-শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী শনিবার ১১ মার্চ সারাদেশে মহানগর ও জেলাপর্যায়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই মানববন্ধন কর্মসূচিকে সফল করতে সর্বস্তরের জনগণ এবং বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।


আরও খবর



দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩২জন দেখেছেন

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ মার্চ সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার স্মৃতিসৌধে সরকারপ্রধানের শ্রদ্ধা শেষে পরিদর্শন বইতে তিনি এই প্রত্যয়ের কথা উল্লেখ করেন।

পরিদর্শন বইতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

শ্রদ্ধা জানাই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের। হানাদার পাকিস্তানিদের হাতে নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতি জানাই আমার শ্রদ্ধা।

বইতে শেখ হাসিনা আরও লেখেন, বেদনা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করছি আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেসা এবং আমার তিন ভাই ভ্রাতৃবধূসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাদের।

শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে লেখেন, আজকের এই দিনে আমি প্রত্যয় করি যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব। ইনশাআল্লাহ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।‌ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

এর আগে, মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান।

ঢাকার অদূরে সাভারে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির পরপরই জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান ও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

 


আরও খবর

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩




নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় বাকলজোড়া ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা):

নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরের বাকলজোড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোটের মাঠে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত আগমন দেখা গেছে।

প্রথমবারের মতো দূর্গাপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

এতে কিছুটা অসুবিধা হলেও প্রিজাইডিং অফিসাররা ডামিতে শিখিয়ে দিচ্ছেন।  

উল্লেখ্য,  গত ১০ জানুয়ারি বাকলজোড়া ইউনিয়নের  সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী তালুকদারের মৃত্যুর পর পদটি শুন্য হয়। 

শূন্য পদে উপ নির্বাচনে ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। 

এর মাঝে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক (নৌকা) স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার (মোটরসাইকেল) ও সিরাজুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ দুই প্লাটুন বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

এই ইউনিয়নে ভোটার রয়েছেন ২৩ হাজার ৭শ ৫৪ জন।  এরমধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ১৮১ নারী ১১ হাজার ৫৭৩ জন।

৭ নং পাইক পাড়া বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিজন কান্তি ধর জানান সুন্দর সুষ্ঠু ভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

প্রিজাইডিং অফিসার বিজন কান্তি ধর জানান, সকাল ৮.৩০ থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এই প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতি ভোট গ্রহণ চলছে, তাই ভোট দিতে হালকা অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু আমরা সবাইকে বলছি নির্দ্বিধায় ভোট দিতে। কালকা সমস্যাগুলো আমরা উপস্থিত থেকে সমাধান করে দিচ্ছি। ভোটারগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিচ্ছে। 

এছাড়া দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট গণ কেন্দ্র গুলোতে উপস্থিত থেকে ভোট গ্রহণ তদারকি করছেন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থা ভোটরা এসে ভোট তবে বাকলজোড়া কেন্দ্রে আমার অনুসারীদেরকে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা করছে। এই বিষয়ে আমি অভিযোগ করেছি, দেখা যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি ব্যবস্তা গ্রহণ করে। এছাড়া সার্বিকভাবে ভোট গ্রহণ ভালোই চলছে। 


আরও খবর



প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন উপ-সচিব, এমপিও ভুক্ত করনের দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পোরশা উপজেলায় অবস্থিত (মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়) পরিদর্শন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ এরশাদ হোসেন খান। 

এমপিও ভুক্ত করনের দাবি জানালেন সচেতন মহল।

পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক নূর-মোহাম্মদ, পোরশা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ নাজমুল হাসান।এসময় মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এর

সভাপতি মোসাঃ সালমা আক্তার, প্রধান শিক্ষক মোঃ মওদুদ আহম্মেদ সহ বিদ্যলয়টির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শাহজাহান আলী মাষ্টার ও স্থানিয় সংবাদ কর্মীরা সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ মওদুদ আহম্মেদ জানান, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পূর্বে প্রতিবন্ধীদের সেবা সহ ও শিক্ষা দেওয়ার লক্ষনিয়ে ২০১৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। সে সময় মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় টি ৬৩ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পথ চলা শুরু করলেও শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভালোবাসা পেয়ে প্রতিবন্ধীরা তুলনা মূলক অনেটাই স্বাভাবিক বা আচারন গতভাবে গড়ে ওঠার কারনে বিদ্যালয়টি খুব দ্রুত এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। যার ফলে দিনদিন বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও। প্রধান শিক্ষক আরো জানান, ইতি মধ্যেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৩২০ জন হয়েছে। তবে সরকারি কোন সুযোগ বা সুবিধা এতোদিন তেমন না পেলেও বিভিন্ন দানশীলদের আর্থিক সহযোগীতায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া সহ বিভিন্ন খরচ বহন করা হতো।


আর বিনা বেতনে শিক্ষক, শিক্ষিকা সহ মোট ১২ জন কর্মচারীরা দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে শ্রমদিয়ে আসছেন। এমনকি জরুরী সংকট মহূর্তে নিজেরাই সাধ্যমত অর্থদিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছিলেন। এ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট ও শ্রমদিতে হয়েছে বিদ্যালয় এর ১২ জন শিক্ষক কর্মচারী স্টাফদের। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মচারীদের মানবেতর জীবন-যাপনের করুন কাহিনী জানতে পেরে ইতি পূর্বেই জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তারা ও বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। এমনকি দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এবিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দেখতে এসে অনেকেই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপহার হিসেবে খাবার বা খেলনা সামগ্রী ও দেন। এভাবেই মানবেতর জীবন-যাপনের ভেতর থেকেই শিক্ষক সহ কর্মচারীরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া সহ তাদের যত্নও নেয়। 

প্রধান শিক্ষক আরো জানান, আমরা ১২ জন স্টাফ দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে বিনা বেতনে শ্রম ও অর্থদিয়ে আসাকালে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মহোদয় এর মাধ্যমে কয়েক বার আবেদন করার পর পরিশেষে ২০২০ইং সালে স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তির জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে আবেদন চাওয়া হলে আবেদন এর সকল শর্ত মেনে ফের আবেদন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় স্বারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০০১.৩৫.১৩(১).৩১১ তারিখ-১৬/০৩/২০২৩ মূলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ এরশাদ হোসেন খান মহোদয় ও নওগাঁ সমাজসেবা অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক নূর-মোহাম্মদ মহোদয় বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা ও কুশল বিনিময় করেন। ৩২০ জন শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধীদের কথা বিবেচনা করে অতিদ্রুত বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত বা সরকারি করনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল সহ সর্বসাধারন।


আরও খবর



আহমদিয়া সংঘর্ষ

পঞ্চগড়ে সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

আহমদিয়াদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র কেরে সহিংসতায় দুইজন নিহত ও শত শত আহত হওয়ার একদিন পরে, শনিবার জেলার সদর উপজেলায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিজিবি সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ভবিষ্যতে যেকোনো ঝামেলা এড়াতে সতর্কাবস্থায় রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকলেও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, আর যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

দুপুর ১টার দিকে স্বজনদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার পর আহমদিয়া অনুসারীরা, তাদের নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সালানা গ্রামে জড়ো হয়। শনিবার সকালে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

শুক্রবার পঞ্চগড় শহরে কাদিয়ানি সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে মুসল্লি ও পুলিশের একাংশের সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।

জুমার নামাজ শেষে পঞ্চগড় পৌর এলাকার কয়েকটি মসজিদ থেকে মুসল্লিরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।

এরপর তারা পঞ্চগড় শহরে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তারা আহমদ নগর এলাকায় কাদিয়ানি জলসার দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হয়।

পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে, বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নগরীর সিনেমা হল রোড এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।

বিক্ষোভ মিছিলের জেরে একপর্যায়ে পিছু হটতে হয় পুলিশকে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

সহিংসতার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় পঞ্চগড় শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।


আরও খবর