Logo
শিরোনাম

পরকীয়ার জন্যই সংসার ভাঙছে ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বলিউডের জনপ্রিয় তারকা জুটি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তবে কিছুদিন ধরে এই তারকা জুটির বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে। শোনা যাচ্ছে অভিষেক বচ্চনের পরকীয়ার জন্যই দূরত্ব বেড়েছে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে। আর গুঞ্জন উঠেছে অভিনেত্রী নিমরত কৌরের সঙ্গেও পরকীয়ায় করছেন অভিষেক। দসভি সিনেমার শুটিং সেট থেকেই নাকি তিনি আর এ কারণে দূরত্ব বেড়েছে সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে

ইন্ডিয়া টিভির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের গুঞ্জনের জন্য নিমরতকে দায়ী করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে নিয়ে চলছে ট্রোলিং করা হচ্ছে। বিষয়টা নিয়ে একেবারে চুপ ছিলেন অভিনেত্রী। তবে এবার তিনি এই বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন। অবশেষে অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন এই অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত জীবনে মানুষের অনধিকার চর্চা নিয়ে কথা বলেন নিমরত। তিনি জানান, আমি যা-ই করি, মানুষ মন্তব্য করবেই তাদের ইচ্ছেমতো

অভিষেকের সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে অভিনেতার সংসার ভাঙছে এই বিষয়টা নিয়ে নিমরত স্পষ্ট বললেন, এমন কোনও গুঞ্জনই নেই। আমি মন দিয়ে নিজের কাজ করছি। এই ধরনের কথা বলা বন্ধ করা উচিত। আমি কেবল নিজের কাজে মন দিতে চাই এর বাইরে আর কিছু নিয়ে কথা বলবো না

দুই বছর আগে দসভি সিনেমায় অভিষেকের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নিমরত। সিনেমার প্রচারণায় একসঙ্গে করছিলেন তারা। সে সময়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি কেন্দ্র করেও নেটিজেনরা নিমরতকে দায়ী কছেন। মূলত, সিনেমার প্রচারণায় গিয়ে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার বিবাহিত জীবন নিয়ে মজা করেন অভিনেত্রী। এক সঙ্গে সিনেমার প্রচারণায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অভিষেক এবং নিমরত। এক পর্যায়ে অভিষেকের ১৫ বছরের সুখী দাম্পত্যের জন্য প্রশংসা করেছিলেন সাক্ষাৎকারের সঞ্চালকও। এ কথা শুনে অবাক হয়ে নিমরত বলেছিলেন, ১৫ বছর!; অভিষেক মন্তব্য করেন, হ্যাঁ দীর্ঘ ১৫ বছর। ২০০৭ থেকে ২০২২। অবাক ভঙ্গিতেই নিমরত উত্তর দেন, অসাধারণ

আড্ডার ফাঁকে অভিষেককে বলেন, বিয়ের পর ১৫ বছর কেটে গিয়েছে। তারপরেও দারুণ কাটছে তার জীবন ও দাম্পত্য। শোনামাত্রই পাশে বসা নিমরত হাসতে থাকেন। এরপর হালকা খোঁচা মেরে বলে ওঠেন, বিয়ে সাধারণত এত বছর থেকে না। অভিনেত্রীর কথা শুনে হেসে ওঠেন অভিষেকও। তারপর খানিক নিচু স্বরে বলেন ধন্যবাদ। সেই শুনে অভিষেকের দসভি সিনেমার এই সহ-অভিনেত্রী খানিক সতর্ক ভঙ্গিতে বলে ওঠেন, আমি কিন্তু তোমার প্রশংসাই করলাম

নিমরতের এমন কথা নেতিবাচক ভাবেই দেখছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রী ইচ্ছা করেই দুই তারকা দম্পতির মধ্যে দূরত্ব তৈরি করেছেন এমন বলছেন তারা। তবে এতো কিছুর পরেও এই গুঞ্জন নিয়ে অবশ্য এখনও মুখ খোলেননি ঐশ্বরিয়া বা অভিষেক কেউই। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার। ২০০৬ সালে উমরাও জান সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে তাদের প্রেম। এরপর পরের বছর ২০০৭ সালে তারা বিয়ে করেন। আর ২০১১ সালে তাদের কোলেজুড়ে আসে প্রথম কন্যা সন্তান আরাধ্য বচ্চন


আরও খবর



রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল শনিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ গেজেট জারি করা হয়। আজ রোববার বিষয়টি জানা গেছে।

প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।

সংশোধিত আইনের আওতায় কোনো সংগঠন যেমন রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী কোনো সত্তা যদি আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত থাকে বলে ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয়, তাহলে ওই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা ট্রাইব্যুনাল পাবে।

এ বিষয়ে গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে এ সংশোধনী আনা হয়েছে। একইসঙ্গে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব কার্যক্রম, বিশেষ করে সাইবার স্পেসে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নতুন আইন অনুযায়ী, সংগঠন সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি আন্তর্জাতিক অপরাধে সহায়তা, নির্দেশনা, প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা অংশগ্রহণ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।


আরও খবর



হজযাত্রীর ভিসা বাতিলের সুযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কোনো হজযাত্রীর ভিসা বাতিলের প্রয়োজন হলে, তা বাতিল করা যাবে। বৃহস্পতিবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপসচিব মামুন আল ফারুক স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ কথা জানানো হয়।

এটি হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব এজেন্সি, লিড এজেন্সির স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি ই-হজ সিস্টেমে ২০২৫ সালের হজে ভিসা সম্পন্ন হওয়া হজযাত্রীর ভিসা বাতিল করার অপশন চালু হয়েছে। এ সুযোগ দেওয়ার ফলে কোনো হজযাত্রীর ভিসা বাতিলের প্রয়োজন হলে তা বাতিল করা যাবে।

তবে ভিসা বাতিলকারী হজযাত্রীর কাছ থেকে ভিসা ফি ও ইলেক্ট্রনিক সার্ভিস ফি বাবদ প্রদত্ত ৩৬০ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ অর্থ কর্তনযোগ্য হবে। 


আরও খবর



এপ্রিলে সড়কে ৫৯৩ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৮

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বিদায়ি এপ্রিল মাসে দেশের সড়কে ৫৯৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জন নিহত এবং ১১২৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮৬ জন নারী এবং ৭৮ জন শিশু রয়েছে।

এ সময়ে ২১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (১১ মে) সকালে সংবাদমাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এপ্রিলের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক ১৭৩টি দুর্ঘটনায় ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হয়েছে। নীলফামারী জেলায় দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি হয়নি। রাজধানীতে ৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতির কথা বলা হয়েছে।

সুপারিশ হিসেবে দক্ষ চালক তৈরি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন মানার বাধ্যবাধকতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ এবং আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি, মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনা পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে ৫৮৭টি দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গড়ে ১৯.৪৮ জন নিহত হলেও এপ্রিলে এই সংখ্যা ১৯.৬ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, প্রাণহানি কমার লক্ষণ নেই। অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতির কারণে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ জরুরি।

এ ছাড়া পেশাগত সুযোগ-সুবিধার অভাবে যানবাহন চালকরা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের পেশাগত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



শিল্পীদের নামে মামলা, বিশিষ্টজনের উদ্বেগ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে একজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতে করা হত্যাচেষ্টার মামলাটি নথিভুক্ত করতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ভাটারা থানায় পাঠানো হয়। গত মার্চে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি করেন এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি।

আসামিদের মধ্যে আছেন- অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, রোকেয়া প্রাচী, নিপুণ আক্তার, মেহের আফরোজ শাওন, সোহানা সাবা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অভিনেতা আজিজুল হাকিম, জায়েদ খান ও সাইমন সাদিক।

ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এত আসামির নাম অন্তর্ভুক্ত করে মামলা নথিভুক্ত করতে একটু সময় লাগে, সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০-৪০০ জন আসামি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে ব্যবসায়ী, অভিনেতা, গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক মামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন ২৩ বিশিষ্টজন। গতকাল হিউম্যান রাইটস ফোরামের পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলেন, এসব মামলায় এমন অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যার সঙ্গে ঘটনার ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। এ ধরনের মামলা গ্রহণে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং ইরেশ যাকেরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক মামলা তদন্তসাপেক্ষে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক।

বিবৃতিতে সই করেছেন ড. হামিদা হোসেন, সুলতানা কামাল, রাজা দেবাশীষ রায়, জেড আই খান পান্না, শাহীন আনাম, জাকির হোসেন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, রঞ্জন কর্মকার, সালেহ আহমেদ, সঞ্জীব দ্রং, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ডা. ফওজিয়া মোসলেম, শামসুল হুদা ও খুশী কবির।

অন্যদিকে, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবিরের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় মামলা করার অধিকার সাধারণ মানুষের রয়েছে। তবে এসব মামলায় কাউকে ফাঁসানো বা হয়রানির উদ্দেশ্যে আসামি করা হলে তা মানবাধিকারের পরিপন্থি। এ ছাড়া ব্লাস্ট এক বিবৃতিতে জুলাই গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দ্রুত ন্যায়বিচার এবং হয়রানিমূলক মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।

বলা দরকার, ইতিমধ্যেই ভুয়া মামলার বাদীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, অনেকে মামলা দিয়ে বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ আসছে। মামলা হলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্তে যার দায় পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ঋণ পরিশোধে সময় দিল রাশিয়া, জরিমানা মওকুফ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণদাতা দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে দায়দেনা পরিশোধে বাড়তি সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৭ সালের মার্চ থেকে প্রকল্পের ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ শুরু করার কথা ছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে দুই বছর সময় চেয়েছিল সরকার। এতে সাড়া দিয়ে দেড় বছর সময় দিয়েছে রাশিয়া।

এদিকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়ায় ১৬ কোটি ডলারের বেশি যে জরিমানা হয়েছিল, তা মওকুফ করেছে পুতিন প্রশাসন। যদিও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। রূপপুরের ঋণের সংশোধিত প্রটোকলে এমন ছাড় দিয়েছে রাশিয়া।

বৈদেশিক দায়দেনার চাপ কমাতে ২০২৯ সালের মার্চ থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করার সময় নির্ধারণে রাশিয়া সরকারকে অনুরোধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত প্রটোকলে ২০২৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পরিশোধ শুরুর নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইআরডির সংশ্লিষ্ট ইউরোপ উইংয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের ভিত্তিতে এমন ভালো সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রকল্পের কাজ এখনো বেশ বাকি থাকায় আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। রাশিয়ার তাতে সম্মতি রয়েছে।

তিনি জানান, প্রকল্প শুরুর আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ঋণের কিস্তির অর্থ আলাদা একটি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে তা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিকল্প প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো সমাধানে আসা যায়নি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট ব্যয় ধরা হয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৯০ শতাংশ হিসেবে মোট ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি ১০ শতাংশ বাংলাদেশের নিজস্ব জোগান। রাশিয়ার ঋণের মধ্যে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৭.৭০ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। করোনা মহামারি এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ঋণের অর্থছাড়ে দেরি হয়। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিশ্রুত মোট ঋণের বাকি ৩.৬৮ কোটি ডলার ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

ইআরডি সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই কিছু ঋণদাতা সংস্থা এবং দেশের কাছে ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় চাওয়া হয়। ঋণের সুদের হারেও ছাড় চাওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ রূপপুর প্রকল্পের ঋণ চুক্তি সংশোধনে রাজি হন। ওই বৈঠকেই সংশোধনী চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত হয় সরকার এবং রোসাটম।

সম্প্রতি মস্কো থেকে পাঠানো সংশোধিত প্রোটোকলের খসড়ায় ঋণ পরিশোধে এক মাস বিলম্বের জন্য বিলম্ব মাশুল পরিশোধের শর্ত বাদ দেওয়া হয়। মূল প্রোটোকলে ঋণ পরিশোধ এক মাস বিলম্বিত হলে বাংলাদেশকে ৪.৫ শতাংশ হারে জরিমানা দেওয়ার শর্ত ছিল। সে হিসেবে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ঋণের কিস্তি বকেয়া বাবত বাংলাদেশকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হতো। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ঋণ পরিশোধে বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। ২০১৭ সালে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।


আরও খবর