Logo
শিরোনাম

প্রসবকালীন জটিলতায় প্রতি ২ মিনিটে মারা যায় ১ নারী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :গত ২০ বছরের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। তারপরও গর্ভাবস্থা বা প্রসবজনিত জটিলতার কারণে প্রতি দুই মিনিটে একজন নারীর মৃত্যু হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ কমে গেলেও গর্ভাবস্থা বা প্রসবকালীন জটিলতার কারণে প্রতি দুই মিনিটে একজন নারীর মৃত্যু হয় বলে জাতিসংঘ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

জাতিসংঘ বলেছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর এই হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এটি মূলত স্থবির ছিল এবং কিছু ক্ষেত্রে এমনকি এই হার বেড়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, গত ২০ বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সামগ্রিক মাতৃমৃত্যুর হার ৩৪.৩ শতাংশ কমেছে। ২০০০ সালে প্রতি ১ লাখ জীবিত শিশু জন্মে মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৩৯ জন। আর ২০২০ সালে একই পরিমাণ জীবিত শিশু জন্মে মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২২৩ জনে।

এরপরও ২০২০ সালে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ জন নারী মারা গেছেন -- যার অর্থ হলো প্রতি দুই মিনিটে প্রায় একজন নারী মারা গেছেন।

এদিকে বেলারুশে মাতৃমৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি কমেছে। শতাংশের হিসেবে যা ৯৫.৫ ভাগ। অন্যদিকে ২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে ভেনেজুয়েলায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, যদিও গর্ভাবস্থা অনেক প্রত্যাশার সময় হওয়া উচিত এবং সকল নারীর জন্য ইতিবাচক অভিজ্ঞতার সময় হওয়া উচিত; তারপরও এটি দুঃখজনকভাবে এখনও বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জন্য মর্মান্তিকভাবে বিপজ্জনক অভিজ্ঞতা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের ৮টি অঞ্চলের মধ্যে মাত্র দু’টিতে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ৩৫ শতাংশ কমেছে এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় কমেছে ১৬ শতাংশ।

এছাড়া ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় মাতৃমৃত্যুর এই হার ১৭ শতাংশ এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ানে ১৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্য অঞ্চলগুলোতে এই হার স্থির রয়েছে।

প্রতিবেদনের লেখক জেনি ক্রেসওয়েল সাংবাদিকদের বলেছেন, মাতৃমৃত্যুর হারে ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির’ সাক্ষী দু’টি ইউরোপীয় দেশ হলো গ্রিস এবং সাইপ্রাস।

মূলত বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলে এবং সংঘাত-পীড়িত দেশগুলোতেই বিশেষ করে মাতৃমৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। ক্রেসওয়েল বলেছেন, ২০২০ সালে রেকর্ড করা মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশই সাব-সাহারান আফ্রিকায় হয়েছে। যেখানে মাতৃমৃত্যুর এই হার অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের তুলনায় ‘১৩৬ গুণ বেশি’।

এছাড়া আফগানিস্তান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো), সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে মাতৃমৃত্যুর হার বিশ্বব্যাপী গড় হারের দ্বিগুণেরও বেশি। এসব দেশের সবগুলোই মারাত্মক মানবিক সংকটের সম্মুখীন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাতৃমৃত্যুর পেছনে প্রধান কারণগুলোর মধ্যে গুরুতর রক্তপাত, সংক্রমণ, অনিরাপদ গর্ভপাত থেকে জটিলতা এবং এইচআইভি/এইডস-এর মতো অন্তর্নিহিত বিষয়গুলো রয়েছে। যদিও এগুলোর বেশিরভাগই প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য।



আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভারতীয় গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সম্প্রতি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে ওপারে ভারতের সুখদেবপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত ৬ জানুয়ারির পর কুঁড়িগ্রাম ও নওগাঁ সীমান্তের ওপারেও কাঁটাতারে বেড়া তৈরির চেষ্টা করে বিএসএফ। মোট পাঁচটি পয়েন্টে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অভিযোগ করে বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) । তবে বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দেয় বিএসএফ।

উত্তেজনার সময় বাংলাদেশের সীমন্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি বাংলাদেশে সীমান্তে টহল বাড়িয়ে দেয়। বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষও পাহারায় অংশ নেয়। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই এবং পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “সীমান্তে সংঘর্ষ: বাংলাদেশি আহত ১: ভারতের নিহত ১৮ জন”। উক্ত ফটোকার্ড প্রচার করা কিছু পোস্টের ক্যাপশনে দাবিকৃত নিহত ১৮ জন সদস্যকে বিএসএফ সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।

তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করলেও কোনো সংঘর্ষে ১৮ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ড পর্যবেক্ষণ করলে প্রচারিত ফটোকার্ডে কোনো গণমাধ্যমের লোগো বা নামের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো গণমাধ্যম কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করে থাকলে, প্রচারিত ফটোকার্ডে গণমাধ্যমটির নাম বা লোগোর সংযুক্তি থাকে৷ তবে, প্রচারিত উক্ত ফটোকার্ডটিতে এমন কোনো গণমাধ্যমের নাম বা লোগোর উল্লেখ পাওয়া যায়নি, যা থেকে বুঝা যায় যে আলোচিত ফটোকার্ডটি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়নি।

তবে, কিছু পোস্টের মন্তব্য সেকশনে দৈনিক নগর বার্তা নামের একটি ওয়েবসাইটে গত ১১ জানুয়ারিতে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করলে কথিত সংবাদটির ফিচারে আলোচিত দাবির ফটোকার্ডটির সংযুক্তি পাওয়া যায় যেখানে লেখা রয়েছে ‘বিস্তারিত কমেন্টে’।

কথিত এই সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‌গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘটিত এক সশস্ত্র সংঘর্ষে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাংলাদেশি এক বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন, এবং ভারতের ১৮ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের সূত্রপাত: সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে কিছুক্ষণ অবস্থান করছিল। বিজিবি এ বিষয়ে আপত্তি জানালে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। বাংলাদেশি পক্ষের বক্তব্য বিজিবি’র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিএসএফের পক্ষ থেকে প্রথমে গুলি চালানো হয়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এতে ভারতের পক্ষ থেকে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভারতের আজাইরা প্রতিক্রিয়া: ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়েছে, তাদের বাহিনীর সদস্যরা নিরস্ত্র অবস্থায় সীমান্তে টহল দিচ্ছিল। তাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ অভিযোগ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।

পরবর্তী অনুসন্ধানে এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তবে, সাম্প্রতিক সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও লালমনিরহাটে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুইজন বাংলাদেশি আহত হওয়ার বিষয়ে জানা গেছে। এর সঙ্গে সীমান্তে কোনো সংঘর্ষের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। গত ১১ জানুয়ারিতে দেশের একটি প্রথম সারির সংবাদ পত্রে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ গুরুতর আহত হয়েছেন।

গত ১০ জানুয়ারি রাতে উপজেলার আজমতপুর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত তরুণের নাম মো. শহিদুল ইসলাম (২২)। ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, শিবগঞ্জের আজমতপুর সীমান্তের ওপার থেকে ফেনসিডিল নিয়ে আসার পথে ভারতের ভেতরে বিএসএফের গুলিতে শহিদুল ইসলাম আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

এছাড়া, গত ১৩ জানুয়ারি আরেকটি সংবাদ পত্রে প্রকাশিত আরেকটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শহিদুল ইসলাম (৪২) নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৮৫৯ নম্বরের ৪ নম্বর সাব পিলারের কাছে কাশিরডাঙ্গা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে গরু আনছিলেন ৫-৬ জনের চোরাকারবারি দল। এ সময় সীমান্তে টহলরত ভারতের ১৬৯ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বুড়াবুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে শহিদুলের পায়ে গুলি লাগে। তার সঙ্গীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং রংপুরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য।

তবে, উক্ত কোনো ঘটনাতেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘর্ষ বা ১৮ জন বিএসএফের নিহতের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘর্ষে ১৮ জন ভারতীয় বা বিএসএফ সদস্য নিহত হয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আমদানি-রপ্তানি শুল্কায়নে নতুন শর্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আমদানি-রপ্তানিতে শুল্কায়নের ক্ষেত্রে সাত সংস্থার ইস্যু করা সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট বাংলাদেশ সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমের (বিএসডব্লিউ) মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো প্রকল্প পরিচালক জুয়েল আহমেদ জানান, ৩১ জানুয়ারির পর থেকে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য চালান শুল্কায়নের ক্ষেত্রে এই সাত সংস্থার ইস্যু করা সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট বিএসডব্লিউ সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ওই তারিখের পর কোনো ধরনের ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট গ্রহণ করা হবে না।

ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিএসডব্লিউ মূলত একটি অনলাইন প্ল্যাটফরম, যা ব্যবহার করে একজন আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক পণ্য খালাসের জন্য প্রযোজ্য সব ধরনের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটের (সিএলপি) জন্য অনলাইনে আবেদন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিএলপি সংগ্রহ করতে পারবেন। সিএলপি গ্রহণের আগে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) ব্যবহার করে বিএসডব্লিউ সিস্টেমে নিবন্ধন করতে হবে।

এই সিস্টেম ব্যবহারের ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো—একটি কমন প্ল্যাটফরমে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিটসংক্রান্ত সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা কর্তৃক যুগপত্ভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে। সরকারি কাজে ব্যক্তিগত যোগাযোগ (হিউম্যান ইন্টারেকশন) না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় কমবে। দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বাতাসে দ্রুত ছড়াচ্ছে দাবানল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ছয় দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উল্টো দিক পরিবর্তন করে নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। এর মধ্যে ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাসে দেওয়ায় নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগুনে এ পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দাবানল নতুন করে মোড় নিয়েছে ব্রিটেন উডস এবং সান ফার্নান্দো ভ্যালির দিকে। পালিসেডস, ইটন, কেনেথ, লিডিয়া, হার্স্ট এবং আর্চারের অনেক এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এর মধ্যে প্যালিসেইডসে দাবানল আরও এক হাজার একর এলাকায় ছড়িয়েছে।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, সম্প্রতি সান্তা আনা নামে ঝড়ো বাতাসের গতি কিছুটা কমায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আশার আলো দেখা গিয়েছিল। সপ্তাহ শেষে অপেক্ষাকৃত ‘শান্ত থাকা’ শুষ্ক সান্তা আনা বাতাস রোববার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত আবার তীব্র হবে। যার গতিবেগ ৬০ মাইল অর্থাৎ ৯৬ কিমি পর্যন্ত পৌঁছাবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে দাবানল আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনার স্থানীয় সময় রোববার দাবানলের আগুনে ২৪ জন মারা যাওয়ার তালিকা দিয়েছে। এছাড়া ১৬ জনের নিখোঁজের কথা জানিয়েছে।

বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে চারটি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে প্যালিসেইডস দাবানল আরও এক হাজার একর এলাকায় ছড়িয়েছে। আগেই এই দাবানলে পুড়েছে ২২ হাজার একর এলাকা। ক্যালিফোর্নিয়ার ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্যালিসেইডস দাবানল মাত্র ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।

নতুন করে এই আগুন বৃদ্ধি পাওয়ার আগে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা প্যালিসেইডস দাবানল ও লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্বাঞ্চলে এটন দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতির কথা জানিয়েছিলেন। এ দুই দাবানলকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলা হচ্ছে। দুই দাবানলে একত্রে ১৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভৌগোলিক হিসাবে এই আয়তন নিউইয়র্কের ম্যানহাটান এলাকার চেয়ে আড়াই গুণ বেশি।

ছয় দিনের দাবানলে পুড়ে ছাই হয়েছে ৪০ হাজার একরেরও বেশি এলাকা। আগুনের গ্রাসে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ও স্থাপনা। উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে এক লাখেরও বেশি মানুষ।

অস্বাস্থ্যকর বাতাসের জন্য স্কুল-কলেজগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া এবং বাসিন্দাদের মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর আগামী সপ্তাহের জন্যও লস অ্যাঞ্জেলেস ও সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সতর্কতা জারি করেছে।

দমকল বাহিনীর কর্মীরা লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং বিধ্বংসী দাবানলের বিস্তৃতি কমানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।

বিমান এবং হেলিকপ্টার থেকে একযোগে আকাশ থেকে পানি ফেলে ম্যান্ডেভিল ক্যানিয়নে কর্মরত দমকল বাহিনীর কর্মীদের সহায়তা করে প্যালিসেড দাবানল আটকানোর চেষ্টা করছে।

সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক দাবানল : লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসে প্যালিসেড ও ইটনের অগ্নিকান্ড ইতোমধ্যে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক দাবানল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই দুই দাবানলে যৌথভাবে ৮৫ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড পুড়িয়েছে এবং প্রায় ১০ হাজার স্থাপনা ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে দাবানলের কারণে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে হাজার হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং দশ হাজারেরও বেশি হেক্টর ভূখণ্ড পুড়ে গেছে।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সৌদি আরবে ২১ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহে বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটিতে ২১ হাজার ৫৬৪ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৩ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এতে বলা হয়, গ্রেপ্তারদের আবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৩ হাজার ৮৮৩ জনকে , ৪ হাজার ৬৬৮ প্রবাসীকে সীমান্ত নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে এবং ৩ হাজার ১৩ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৪৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪১ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ৪ শতাংশ অন্য দেশের নাগরিক রয়েছেন। একই সময়ে সৌদি আরব থেকে অবৈধভাবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৯০ জনকে গ্রেপ্তার এবং পরিবহন আইন লঙ্ঘননের অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই ইউক্রেনকে সহায়তাকারী প্রকল্পগুলো স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)। সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউএসএআইডির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনের প্রকল্পগুলোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সব কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। খবর তাসের।

স্থগিত করা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে স্কুলে সহায়তা, জরুরি মাতৃত্বকালীন যত্ন এবং শৈশবের টিকাদানের মতো স্বাস্থ্যসেবাও।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ৯০ দিনের জন্য বেশিরভাগ বিদেশি সাহায্যের জন্য অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন।

সব কূটনৈতিক ও কনস্যুলার পদে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে, বিভাগের কর্মীদের প্রায় সব বিদ্যমান বৈদেশিক সহায়তার ওপর স্টপ-ওয়ার্ক অর্ডার জারি হবে। তবে, মিশর এবং ইসরায়েলের জন্য বিদেশি সামরিক অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে বলে জানায় পলিটিকো।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫