Logo
শিরোনাম

প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ মামলায় এক ব্যাক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের মামলায় এক ব্যাক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ প্রদান করেন (রায়) দিয়েছেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২, এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারি বিশেষ কৌশলী মকবুল হোসেন জানান, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নারী গত ২০২০ ইং সালের ২৭ মার্চ বেলা আড়াইটার দিকে তার বাড়ির পিছনে শুকনো পাতা ঝাড়– দিতে গেলে সে সময় একই গ্রামের কাজল মালি (আসামী) পিছন দিক থেকে প্রতিবন্দী নারীকে জাপটে ধরে মুখে গামছা ভরে দিয়ে তার শয়ন ঘরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। 

এই অভিযোগে প্রতিবন্ধী নারীর স্বামী ২০২০ সালের ১ এপ্রিল পত্নীতলা থানায় একটি এজাহার  (মামলা) দায়ের করেন। আদালতে আসামী ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালিন পত্নীতলা থানার এস আই জিয়াউর রহমান মামলাটি তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০২২ সালের ৮ জুন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট ১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য সমাপ্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শ্রবন করা হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ধার্য হলে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ প্রদান করেন। 

আসামী পূর্ব থেকেই জেল- হাজতে থাকায় আসামীকে সাজা পরোয়ানা পড়ে শুনানো হয়। 

আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট সোমেন্দ্রনাথ কুন্ডু মামলা পরিচালনা করেন। জরিমানার অর্থ ধর্ষণের শিকার নারীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক।


আরও খবর



উচ্চ সংঘাতপ্রবণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

সংঘাত, সহিংসতা, চরমপন্থার দিক থেকে এগিয়ে থাকা বিশ্বের ৫০ দেশের তালিকায় স্থান উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। তালিকায় ২২ তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। সংঘাতের মাত্রার দিক থেকে অতি উচ্চ, উচ্চ, অশান্ত নিম্ন এই চারটি ভাগে দেশগুলোর অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশকে দেখানো হয়েছে উচ্চ সংঘাতপূর্ণ দেশ হিসেবে। গত ১২ মাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তালিকার ১ নম্বরে মিয়ানমার এবং ৫০ নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের নামও এই তালিকায় আছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট বা এসিএলইডি এই তালিকা তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে তারা। এবারের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে ২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্যের ভিত্তিতে।

সহিংসতায় নিহতের ঘটনা, বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি, সহিংসতাপ্রবণ এলাকার বিস্তার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা এই চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসিএলইডি তাদের বার্ষিক কনফ্লিক্ট ইনডেক্স তৈরি করেছে। এই চার মানদণ্ডে স্কোরের ভিত্তিতে তালিকার দেশগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

তালিকায় অতি উচ্চ বা চরম সংঘাতপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০টি দেশকে। তালিকার ক্রম অনুসারে এগুলো হলো ১. মিয়ানমার, ২. সিরিয়া, ৩. মেক্সিকো, ৪. ইউক্রেন, ৫. নাইজেরিয়া, ৬. ব্রাজিল, ৭. ইয়েমেন, ৮. ইরাক, ৯. গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও ১০. কলম্বিয়া।

উচ্চমাত্রার সংঘাতপূর্ণ ২০টি দেশের তালিকায় আছে ১১. ফিলিস্তিন, ১২. হাইতি, ১৩. আফগানিস্তান, ১৪. বুরকিনা ফাসো, ১৫. মালি, ১৬. ভারত, ১৭. সুদান, ১৮. গুয়াতেমালা, ১৯. পাকিস্তান, ২০. হন্ডুরাস, ২১. সোমালিয়া, ২২. বাংলাদেশ, ২৩. কেনিয়া, ২৪. ক্যামেরুন, ২৫. ইথিওপিয়া, ২৬. জ্যামাইকা, ২৭. ভেনিজুয়েলা, ২৮. ফিলিপাইন, ২৯. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং ৩০. নাইজার।

অশান্ত বা নিম্ন সংঘাতপূর্ণ ২০টি দেশ ও অঞ্চলের তালিকায় আছে ৩১. দক্ষিণ সুদান, ৩২. তুরস্ক, ৩৩. পুয়ের্তো রিকো, ৩৪. মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ৩৫. বুরুন্ডি, ৩৬. উগান্ডা, ৩৭. মোজাম্বিক, ৩৮. দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩৯. রাশিয়া, ৪০. লেবানন, ৪১. স্বোয়াতিনি, ৪২. ইন্দোনেশিয়া. ৪৩. ইসরায়েল, ৪৪. ইরান, ৪৫. বেনিন, ৪৬. ইকুয়েডর, ৪৭. চাদ, ৪৮. ঘানা, ৪৯. লিবিয়া, ৫০. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এই দেশগুলোর বাইরে অন্যান্য দেশ নিম্ন সংঘাতপূর্ণ এলাকা।

এসিএলইডি বলছে, এ বছর পুরো বিশ্বে সহিংস ঘটনা আগের বছরের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। এসব ঘটনায় ১ লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। ১৬৭টি দেশে গত এক বছরে একটি হলেও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



ভূমিকম্প : ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতিহাসের ভয়াবহতম ভূমিকম্প ও তার জেরে ২ হাজার ১০০ মানুষের মৃত্যুতে আগামী ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো। শনিবার রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকের পর মরক্কোর রাজা মোহাম্মেদ ৬ এই ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজার কার্যালয় থেকে দেওয়া এ সম্পর্কিত এক বিবৃতির বরাত দিয়ে মরক্কোর রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এমএপি নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩ দিন জাতীয় পর্যায়ে শোক পালন করা হবে। এ সময়ে সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।’
শুক্রবার রাত ১১ টা ১১ মিনিটে মরক্কোয় আঘাত হানে প্রথম ভূমিকম্পটি। রিখটার স্কেলে সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। প্রথমটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন (পরাঘাত) হয়। দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।

মরক্কোর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে উচ্চ অ্যাটলাস পর্বতমালা ঘেঁষা প্রদেশ আল হাউজের পার্বত্য শহর ইঘিলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। মরক্কোর প্রধান পর্যটন শহর মারাকেশ থেকে ইঘিলের দূরত্ব ৭১ কিলোমিটার।

বৈশ্বিক পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য মরক্কোর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে ২ হাজার ১০০টিরও বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ২ হাজার ৫৯ জনকে।
এমএপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবারের বৈঠকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য জরুরিভিত্তিতে একটি কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬। উপদ্রুতদের সহায়তা হিসেবে অস্থায়ী আশ্রয় হিসেবে তাঁবু, খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বণ্টনে যে ত্রুটি না ঘটে— সেজন্য কমিশনকে দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজা।

উপদ্রুতদের মধ্যে এতিম এবং দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬।

ভূমিকম্প : ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতিহাসের ভয়াবহতম ভূমিকম্প ও তার জেরে ২ হাজার ১০০ মানুষের মৃত্যুতে আগামী ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো। শনিবার রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকের পর মরক্কোর রাজা মোহাম্মেদ ৬ এই ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজার কার্যালয় থেকে দেওয়া এ সম্পর্কিত এক বিবৃতির বরাত দিয়ে মরক্কোর রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এমএপি নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩ দিন জাতীয় পর্যায়ে শোক পালন করা হবে। এ সময়ে সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।’
শুক্রবার রাত ১১ টা ১১ মিনিটে মরক্কোয় আঘাত হানে প্রথম ভূমিকম্পটি। রিখটার স্কেলে সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। প্রথমটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন (পরাঘাত) হয়। দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।

মরক্কোর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে উচ্চ অ্যাটলাস পর্বতমালা ঘেঁষা প্রদেশ আল হাউজের পার্বত্য শহর ইঘিলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। মরক্কোর প্রধান পর্যটন শহর মারাকেশ থেকে ইঘিলের দূরত্ব ৭১ কিলোমিটার।

বৈশ্বিক পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য মরক্কোর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে ২ হাজার ১০০টিরও বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ২ হাজার ৫৯ জনকে।
এমএপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবারের বৈঠকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য জরুরিভিত্তিতে একটি কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬। উপদ্রুতদের সহায়তা হিসেবে অস্থায়ী আশ্রয় হিসেবে তাঁবু, খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বণ্টনে যে ত্রুটি না ঘটে— সেজন্য কমিশনকে দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজা।

উপদ্রুতদের মধ্যে এতিম এবং দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




আমেরিকার কাঁধে চড়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়...খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

আমেরিকার কাঁধে চড়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়। জনগণের উপর তাদের বিশ্বাস নাই। আওয়ামী লীগ ভিসানীতির তোয়াক্কা করে না। আওয়ামীলীগের শক্তি জনগণ বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। বৃহস্পতিবার বিকালে নওগাঁর পোরশা উপজেলার শিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মশিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে বিশ্বের কাছে সন্মানিত জাতি হিসেবে পরিচিত করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার অবদান মনে রাখতে হবে। বর্তমানে কৃষক ভর্তূকি মূল্যে সার পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার প্রতি বস্তায় ৪ হাজার টাকা ভর্তূকি দেয়। দেশের উত্তরাঞ্চালের মন্দা চিরতরে দূর করেছে সরকার। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিধবা ভাতা, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানী দিচ্ছে এই সরকার।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না। তাদের আমলে দেশ ৫ বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। জনগণ সন্ত্রাসীদের দলকে চায় না। উন্নয়ন চাইলে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিন। তাঁকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করুন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল সারের জন্য বিদ্যুৎ এর জন্য কৃষককে গুলি করে মেরেছিল। শেখ হাসিনা বন্ধ করে দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে গরীব মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সেবাকে আবারো ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের জন্য জাতিসংঘ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সন্মানিত করেছে।

মশিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হারুন অর রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁর পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন।


আরও খবর



রামগড়ে ৪ জনকে অপহরণ, পুলিশ ও বিজিবির যৌথ অভিযানে উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

,রামগড়(খাগড়াছড়ি :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ গাড়ীর ২ চালক ও ২ হেলপারকে অপহরন করেছে সশস্ত্র উগ্র উপজাতি অস্ত্রধারীরা।গতকাল রবিবার রাত ৯টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের বনবীথি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে আসা ৮ থেকে ১০ জন সশস্ত্র উপজাতি অস্ত্রধারী ১টি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ন-১৮-২৬৪১) এবং ১টি মিনি ট্রাক (চট্টমেট্রো ন-১১-৯১৪৬) গতিরোধ করে থামিয়ে কাভার্ড ভ্যান চালক মো. জায়েদ হোসেন (৩০), হেলপার মো. হান্নান (২৫) এবং মিনি ট্রাক চালক মো. আনোয়ার (৪০) ও হেলপার মো. মনির (২৮) কে অপহরণ করে  জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়।

অপহরণকারীরা আঞ্চলিক সশস্ত্র উগ্র উপজাতি সংগঠন ইউপিডিএফ  (প্রসিত) গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। 

অপহরণের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে অপহৃতদের উদ্ধারে তাৎক্ষণিকভাবে রামগড় ৪৩ বিজিবি ও রামগড় থানা পুলিশের সমন্বয়ে যৌথদল অভিযান পরিচালনা করেন। প্রশাসনের অভিযানে এক পর্যায়ে সোমবার ভোরে অপহৃতকারীদের ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামগড় থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য, এর আগেও একই স্থান থেকে প্লাস্টিকের সামগ্রী ব্যবসার সাথে জড়িত দুইজন ব্যবসায়ীকে টাকার জন্য অপহরন করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পায় ফেনী থেকে আগত ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ গতবছরের ১১ এপ্রিল একই এলাকা থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যানের চালক ও রানারকে অপহরন করেছে সশস্ত্র উগ্র উপজাতি অস্ত্রধারীরা। পরে তারা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পায়।


আরও খবর



বিকেলে নয়াদিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে। ফ্লাইটটি বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিল্লি যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিনই সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) - কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সংস্কৃতি বিনিময়, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় রুপি (দুই দেশের সাধারণ মানুষ)-এর মধ্যে লেনদেন সহজ করার বিষয়ে স্বাক্ষরিত হয়।

৯ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিন্ন ভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার’  শীর্ষক দুটি বক্তব্য রাখেন।

‘ওয়ান আর্থ’ ও ‘ওয়ান ফ্যামিলি’ সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা তুলে ধরেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদকালে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিশ্ব নেতাদের কাছে উপস্থাপন করেন।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে এবার  মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশসহ মোট নয়টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।


আরও খবর