Logo
শিরোনাম

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সদরুল আইন:

৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে শোভাযাত্রা করছে আওয়ামী লীগ। 

২৩ জুন দলটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলেও যানজট এড়াতে শোভাযাত্রাটি ছুটির দিন শুক্রবার করেছে। এদিন বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে অস্থায়ী সমাবেশ মঞ্চে শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।

এতে অংশ নেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।


ঢাকা মহানগরীর ১৫টি নির্বাচনী এলাকা, ৪১টি থানা এবং শতাধিক ওয়ার্ড থেকে অজস্র মিছিলের স্রোত এসে মিশেছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে। ৫২ বছর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যেস্থানে পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল ঠিক সেই স্থান থেকেই শোভাযাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ।


দলের প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড এবং মিরপুর রোড হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।



সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের সামনে রাস্তার উপর স্থাপিত মঞ্চে শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিনের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।



ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের সামনে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে বিএনপি-জামায়াতসহ দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন দলের নেতারা।


 আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় দলীয় নেতাকর্মীসহ নেমেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের ঢল। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে একযোগে বিজয় শোভাযাত্রা করে মিলিত হয় সোহরাওয়ার্দীর সামনে। অজস্র মিছিলের স্রোতে দুপুর ২টার আগেই শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।



প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ট্রাকে লাগানো মাইকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।


শোভাযাত্রায় অংশ নিতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয়ের ছবি সম্বলিত পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে হাজির হয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 



একইসাথে লাল-সবুজ টি-শার্ট, ক্যাপ, শাড়ি পরে, হাতে নৌকা, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে, নেচে-গেয়ে জনতার স্রোত নামে রাজপথে।



আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ শোভাযাত্রায় আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, তাঁতী লীগ, কৃষকলীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনায় অংশগ্রহণ করেন।


শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন শাখা থেকে নেতাকর্মীরা নানা সাজে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় দেখা মিলেছে দুটি হাতির। যা শোভাযাত্রায় আসা নেতাকর্মীদের বিশেষ দৃষ্টি কেড়েছে। হাতি দুটির ওপর দু’জন করে চারজন মাহুতকে দেখা গেছে।


দলীয় কোনো নেতাকর্মী হাতির পিঠে না চাপলেও হাতির মাথার সামনে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের ছবি সম্বলিত পোস্টার। 



এছাড়া হাতির পিঠে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি করা বিশাল ব্যানার বাঁধা হয়েছে। সূত্র: বাসস


আরও খবর



জাল টাকা ও টাকা ছাপানোর সরঞ্জাম সহ আটক ঝালকাঠির নাইম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

রাজাপুরের যুবকসহ দুজন আটক, বিপুল পরিমান জাল টাকার নোট ও ছাপানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র‌্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-৮) এর সদস্যরা। 

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল পৌনে চারটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব- ৮ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান। এর আগে বুধবার বরিশাল বন্দর থানাধীন কর্নকাঠী ও চরকাউয়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানাধীন চরকাউয়া ইউনিয়নের ময়দান এলাকার লাল মিয়ার ছেলে মিজান হাওলাদার (১৯) ও ঝালকাঠির রাজাপুর থানার লেবুবুনিয়া এলাকার ফরিদ হোসেনের ছেলে নাঈম হোসেন (২৫)।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, কর্নকাঠি গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন সড়কে জাল টাকার নোট ক্রয়-বিক্রয়ের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মিজান ও নাঈম পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানায়, সে নগদ ২০ হাজার টাকায় ১ লাখ জাল টাকার নোট নাঈমের কাছে বিক্রির জন্য ঘটনাস্থলে আসে। এরপর মিজানের সাথে থাকা স্কুল ব্যাগ থেকে ১ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

সূত্রে আরও জানা গেছে, জাল নোট উদ্ধারের পর মিজান হাওলাদার জানায় সে নিজ বাড়িতে জাল টাকা উৎপাদন করেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বন্দর থানাধীন চরকাউয়া গ্রামে মিজানের ঘরে অভিযান চালায় র‌্যাব সদস্যরা। ওই অভিযানে আরও ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকার জাল নোট উদ্ধারের পাশাপাশি জাল টাকা ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত একটি প্রিন্টার, একটি ল্যাপটপ, চার বোতল প্রিন্টারের কালি, একটি মডেম, তিন প্রকার আঠার কৌটা, কয়েকটি ক্যাবলসহ কয়েক প্রকার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বরিশাল বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে ‘কয়েকটি কথা’ শিরোনামে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, একটি দলের অ্যাক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার। আমি স্পষ্টভাবে এই আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে ছিল স্বভাবতই।

তিনি আরও লিখেছেন, দল হিসেবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন প্রবীণ উপদেষ্টার জবাব ছিল ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো পশ্চাৎপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কি না। পরবর্তীতে দল হিসেবে লীগকে নিষিদ্ধ করার কয়েকটা আইনি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং প্রাথমিক ঐকমত্য হয় যে, ফ্যাসিবাদ দূর করতে ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আমরা সেগুলো অনুসরণ করব। গতকাল বিকালে কথা হয়েছে। দল হিসেবে লীগের বিচারের প্রভিশন অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লিখেছেন, মিথ্যা বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু, এখন সেটাও হতে দেবেন না। দোষ আমাদেরও কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম।

তিনি লিখেছেন, পুনশ্চ: আমরা নির্বাচন পেছাতে চাইনা। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্বাচন হবেই। আপনারা যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি, তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি, সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, উক্ত দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের সঙ্গেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!

আমরা উক্ত দলকে বিশ্বাস করতে চাই উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, উক্ত দলের প্রধানকে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। উক্ত দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না। কিন্তু আমরা চাই উক্ত দল ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসেবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সঙ্গে চলবেন।

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ঐক্যবদ্ধ হোন। নেতৃত্ব দিন। এই প্রজন্মকে হতাশ করবেন না। এই প্রজন্ম দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।

প্রসঙ্গত, মাহফুজ আলম ২০২৪ এর জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর



জনতা পার্টি বাংলাদেশ' নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বিগত দিনে কোনও সরকারই সুশাসন নিশ্চিত করতে পারেনি। তাই আমরা আগামীতে দেশের জন্য সততার সঙ্গে কাজ করতে চাই বলে মন্তব্য করেন চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে নতুন রাজনৈতিক দল জনতা পার্টি বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ৩২ বছরে নিরাপদ সড়ক নিয়ে তার আন্দোলন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। তবে কিছুটা সফলতাও রয়েছে। এই সময়ে কোনও সরকারই তাকে সহযোগিতা করেনি। যে কোনও ইতিবাচক কাজ বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি।

বিগত ৩২ বছর যেভাবে মানুষের নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করেছেন আগামীতে রাজনৈতিক অঙ্গনেও সেভাবে ভূমিকা রাখতে চান বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন। এ ব্যাপারে তিনি জনগণকে পাশে চান।

নতুন দল জনতা পার্টি বাংলাদেশের আংশিক কমিটি

চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র করা হয়েছে গোলাম সারোয়ার মিলন।

ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন— রফিকুল হক হাফিজ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান, রেহানা সালাম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এম এ ইউসুফ, সৈয়দা আজিজুন নাহার, গোলাম মেহরাজ, ব্রিগ্রেডিয়া জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম এবং নির্মল চক্রবর্তীকে।

নির্বাহী কমিটিতে আরও রয়েছেন— সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম আসাদুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আল আমিন রাজু, অ্যাডভোকেট শিউলি সুলতানা রুবী, নাজমুল আহসান, জামাল উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, আসাদুজ্জামান ও জাকির হোসেন লিটু।

দলটির সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পেয়েছেন নূরুল কাদের সোহেল, সহ-সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর, জাকির হোসেন ও ফাতেমা বেগম।

রাজনীতিবিদদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন

নতুন দল জনতা পার্টি বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়া, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মোবারক হোসেন, গণআজাদী লীগের একাংশের সভাপতি আতাউল্লাহ, মুসলিম লীগের একাংশের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রশীদ, এনডিপির একাংশের সভাপতি গোলাম মর্তুজা, আম জনতার দলের দফতর সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ প্রমুখ।


আরও খবর



বিআরটিএতে এখনো বহাল দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড শহীদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

দুর্নীতির প্রসঙ্গ এলে যে-সব প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে নিম্নপদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদধারীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের আমলে এই প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি না করাই যেন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তেমনি একটি বড় চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক প্রকৌশলী মো. শহীদুল্লাহ। স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তে চেয়ার ধরে রেখেছেন এসব আমলারা। পলাতক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে অর্থ যোগানদাতাদের তালিকায় প্রথম দিকেই আছে এই শহীদুল্লাহর নাম।  

বিআরটিএ সূত্র জানায়, সংস্থাটি থেকে ঘুষ ও চাঁদা তুলে ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত নির্বাচনী তহবিল গঠনে বড় ভূমিকা রাখতেন শহীদুল্লাহ। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উপ-পরিচালক ছানাউল হক, মোরছালিন ও রফিকুল ইসলাম। এদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। চট্টগ্রামে ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা প্রতিস্থাপনে প্রতি ইউনিটে ২ লাখ টাকা ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আর তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন উত্তরা মোটরসের সাতজন ডিলার। এই হিসাবে, শুধু এ প্রকল্প থেকেই ২৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা আদায় হয়।

এ ছাড়া, ভারতে তৈরি চার আসনের ২ হাজার ম্যাগজিমা অটোরিকশাকে বেআইনিভাবে ৭ আসনের অটো-টেম্পু হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দিয়ে গাড়িপ্রতি ২ লাখ টাকা করে মোট ৪০ কোটি টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামের ২০ হাজার গ্রামবাংলা সিএনজি অটোরিকশা থেকে গাড়িপ্রতি ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ কোটি টাকা গ্রহণের অভিযোগ করা হয়েছে।

সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে শহীদুল্লাহ ও তার সিন্ডিকেট ৩৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ওই সময় তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন চট্ট মেট্রো-১ এর এডি তৌহিদ হোসেন। বর্তমানে তিনি পদোন্নতি পেয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। তৌহিদ হোসেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের এলাকা নোয়াখালীর পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএকে উৎকোচ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন। 

একপর্যায়ে সমালোচনার শুরু হলে শহীদুল্লাহকে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক করে ২০২২ সালে ঢাকায় নিয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের, সচিব আমিন উল্লাহ নুরী ও চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। এখানে এসেও দুর্নীতির ধারা অব্যাহত থাকে।

ঢাকায় দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতিতে ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পান ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জি. মোশারফ হোসেনের কথিত ভাতিজা ও ফরিদপুর-৪ এর সাবেক সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে। যাকে সম্প্রতি বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।

বিআরটিএতে দালাল সিন্ডিকেট শক্তিশালী করার মূল কারিগরই ছিলেন এই শহীদুল্লাহ ও রফিকুল। এই দুই কর্মকর্তার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে দালাল ছাড়া কোনো কাজই হতো না। কারণ দালাল চক্রের মাধ্যমে কাজ করলেই মিলত মোটা দাগের উৎকোচ।

অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা মেট্রো সার্কেল ১, ২, ৩ ও ৪-এ লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়যা শহীদুল্লাহ ও তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা ভাগ করে নিতেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, মাসে প্রায় ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয় এসব সার্কেলে। ফলে মাসে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং তিন বছরে মোট ১২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছেযার একটি অংশ সরাসরি যেত সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে।

শুধু তাই নয়, জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পিএস ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পালের সঙ্গে শহীদুল্লাহর ঘনিষ্ঠতারও অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলন নস্যাতের ষড়যন্ত্রে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও শহীদুল্লাহর নামে-বেনামে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি। মোহাম্মদপুর বাবর রোডে একটি ডুপ্লেক্স, শ্যামলীতে মার্বেল খচিত বহুতল ভবন এবং গাজীপুরে দুটি বাড়ির কথা অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা এক জায়গায় তিন বছরের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারেন না। অথচ শহীদুল্লাহ গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে একই পদে বহাল। বিআরটিএ সদর দপ্তর থেকে তাকে সংযুক্ত করার আদেশ থাকলেও এখনো তিনি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা একে সরকারি আদেশ অমান্য বলে আখ্যা দিয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে শহীদুল্লাহ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব চরম মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। আদেশ হলে না যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আদেশে আমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন কাউকে দায়িত্ব দিলে আমি সেখানে যোগ দেব।

তিনি বলেন, দুদকে অভিযোগ দিলে কিন্তু তারা গ্রহণ করবে। এটা কোনো প্রশ্ন হলো না। দুর্নীতি করলে লুকানোর কিছু নেই। যারা করছে বা যদি করে থাকে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এগুলো পেয়ে যাবে।  তিনি পুনরায় দাবি করে বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।

বিআরটিএর এমন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানেই একই চিত্র। হঠাৎ করে কিছু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চর্চার পরিবর্তন হয়নি। আর বিআরটিএর মতো সংস্থা তো আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। বিগত কর্তৃত্ববাদের সময় সেটা আরও বেশি। কাজেই বিভিন্নভাবে এটার সুযোগ-সুবিধা তারা নিয়েছে। সেটিই এখন প্রমাণিত হচ্ছে। দুদককে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক বা অন্য কারণে যারা এমন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ যাদের বিরুদ্ধে আছে তাদেরকে বহাল রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা অনৈতিক। কারণ যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে, সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেও তাদের কিন্তু সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা। অভিযোগ হয়ে থাকলে ও তদন্ত শুরু করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং তদন্ত সংস্থাগুলোর উচিত হবে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যথাযথ তদন্তের ভিত্তিতে প্রযোজ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিআরটিএর বর্তমান প্রেক্ষিত তো বটেই এই সংস্থা সম্পর্কে সারাদেশের মানুষের যে ধারণা এই ধারণার যে অভিজ্ঞতা সেটার পরিবর্তন লাগবে। পরিবর্তনের সেই সুযোগটা এখনই। দুদকেরও এখনি সেই সুযোগটা নেওয়া উচিত। বিআরটিএর সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষও এর দায় এড়াতে পারে না। কারণ বিআরটিএ যদি তাদের বহাল তবিয়তেই রাখে বা তাদেরকে সুরক্ষা দেয় তাহলে সেটাও কিন্তু দুর্নীতির সহায়ক। এ থেকে বিআরটিএকে সরে আসা উচিত।

এসব বিষয়ে বিআরটিএর বর্তমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার ফোনে কল ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হয়। এক সপ্তাহের বেশি পেরিয়ে গেলেও তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।

তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডে বি-ব্লকের ১৩/এ/১ নম্বর শেলটেক চন্দ্রমল্লিকায় তার রয়েছে আলিশান ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্ট। এছাড়াও শ্যামলীর ২ নম্বর রোডে ১২-ঠ-৭ হোল্ডিংস্থ একটি মার্বেল পাথর খচিত বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে দু'টি নজরকাড়া বাড়ি।

 

শুধু তাই নয়, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার কাচারিকান্দিতেও নামে বেনামে বিপুল সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তা মাঝে মধ্যেই দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যেরে দেশগুলোতে পরিবারের সদস্যদের বিলাস ভ্রমণের খবর সবারই জানা। সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ বিআরটিএর বিগত সময়ের সিএনজি রিপ্লেস ধান্ধার হোতা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ঘুষবাজ রক্ষণাবেক্ষণ আরেক লম্বা হস্তের খুশি-খেয়াল মতো ধান্ধায় বেহুশ। তিনি সেই লম্বা হাত মানে-পরিচালক প্রশাসনর নির্দেশে যে কয়জন ওই আন্দোলন ভিন্নখাতে নেয়ার ধ্বংসযজ্ঞের ইন্ধন যুগিয়েছেন-তাদের মধ্যে অন্যতম।

সূত্রটি জানায়, বরাবরই তিনি তার অদৃশ্য লম্বা হাতের ছোঁয়ায় অর্থাৎ পরিচালক প্রশাসনের ক্ষমতা বলে রক্ষাকবজরূপে সব সার্কেলের ঘুষবাজদের সক্রিয় রাখার বিনিময়ে পান মোটা উৎকোচ। এর আগেই ডিডি থাকা অবস্থায় সিএনজির রিপ্লেস ধান্ধাসহ মোটা দাগে লুটপাটের টাকায় বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিকানার সাথে মহাগুরু বনে যান। এরপর ওই তকমায় চিটাগাং থেকে ঢাকায় ফিরে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। আর নিয়োগ বদলি বাণিজ্যে তো বরাবরই তার জুড়ি মেলা ভার।

সূত্র আরও জানায়, বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হয়েই অদৃশ্য হাতের ছোঁয়ায় শহীদুল্লাহ বিআরটিএ ঘিরে অদৃশ্য শক্তির বলয় তৈরি করে রেখেছেন। এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগটি রয়েছে, সেটিও তার হাতের মুঠোয়। বিআরটিএর সব কূটকৌশলের মাস্টারমাইন্ড বলেও রয়েছে তার খ্যাতি। বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লাহর সর্বোচ্চ পদে আসীনদের সঙ্গেও তার অন্তরঙ্গ ওঠা বসা। এভাবেই নীতির ফেরিওয়ালার বেশে বিগত কয়েক বছরে চতুর শহীদুল্লাহ নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ।  

এছাড়া তিনি বিআরটিএর জমিদার বলে বেশ পরিচিত । তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে-শতাধিক গাড়ির শোরুম ম্যানেজারও। আর এসব সখ্যতা ও সুখ্যাতির অক্ষুণ্নতা রক্ষায়ই আলোচিত ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার অংশীদার হয়ে বিআরটিএর ধ্বংসযজ্ঞের একটি অংশে মূল কয়েক হোতাদের পরেই পরিচালক শহীদুল্লাহর নাম ছড়াচ্ছে। যা চলমান সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার সরাসরি বরাত না মিললেও সংশ্লিষ্ট দফতরেও নানা মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। সদ্য বিআরটিএর ওই লম্বা হস্তের সাথে এ শুভানুধ্যায়ীর বে-খবরটিও ঘুরপাকের আভাসে এ থেকে নিজেকে আড়াল করার নানা ফন্দিও তিনি ইতোমধ্যে এঁটে রেখেছেন। তার মানে-ওই সেই কথাঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না অর্থাৎ-তিনি ওই আন্দোলনের সময় দেশে ছিলেন না, বলে প্রচার শুরু করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিআরটিএ'র ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে কারারক্ষী পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিয়োগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image


হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠিতে কারারক্ষী পদে অংশ নেওয়া চাকরি প্রত্যাশী পরিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিয়োগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরা ও চাকরি প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

পরিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলা থেকে কারারর্ক্ষী পদে ৬০ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই পরিক্ষার কেন্দ্র ঝালকাঠিতে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে কারারক্ষী পদে অংশ নেওয়া চাকরি প্রত্যাশীরা ঝালকাঠি জেলা কারাগাড় চত্ত্বরে লাইনে দাড়ায়। এ সময় গেইট থেকে অনেককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়, শিক্ষা সনদ ছিড়ে ফেলা এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। এ অবস্থায় এই নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানান তারা। সংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাদের বাঁধা দেওয়া হয়।

চাকরি প্রত্যাশীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে নিয়োগ বালিতের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছে। 

ঝালকাঠির জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ ইবনে তোফাজ্জেল হোসেন খান জানান, এ নিয়োগ পরিক্ষার সঙ্গে তারা সংশ্লিষ্ট নাই। ঝালকাঠি জেলা ভ্যানু হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে কর্মকর্তারা এসে পরিক্ষা নিয়েছে।


আরও খবর