করোনার দুই বছরে স্বাস্থ্যবিধির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার ঈদে পর্যটন শিল্পে নতুন সূর্যের উদয় ঘটেছে। দেশের কয়েকটি পর্যটন স্পটে লাখ লাখ ভ্রমণপিপাসুর সরব উপস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পর্যটন স্পটগুলোকে কেন্দ্র করে হোটেল-মোটেল, গণপরিবহন ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে শত শত কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের দিনগুলোতে শুধু পর্যটন খাত থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন ঢাকা থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাতায়াতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। কুয়াকাটা, জাফলং, তামাবিল, পার্বত্য তিন জেলাসহ দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণপিপাসুদের যাতায়াত সহজ করতে পারলে এ সেক্টর থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আসবে। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানান, এ বছর ঈদে এই সেক্টরে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
মূলত এবার ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে অর্থের প্রবাহ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পর্যটন খাত, মার্কেটে পোশাক বেচাকেনা, খাদ্যপণ্য ক্রয়-বিক্রি, পরিবহন ব্যবসা, জাকাত, দান-খয়রাত, নানা ধরনের আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিনোদন সেক্টরে ভ্রমণ, হোটেল ভাড়া ও পর্যটকদের খাওয়া-দাওয়ায় লেনদেন হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। নানা ধরনের পোশাক কেনাবেচায় লেনদেন হয়েছে এক লাখ ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও পরিবহন ও অন্যান্য খরচের লেনদেন হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। ঈদকেন্দ্রিক অর্থের প্রবাহ দেশের অর্থনীতির চাকায় গতি এনেছে। বিপুল পরিমাণ অর্থের এই হাতবদল করোনাকালের তথা বিগত দুই বছরের অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে।
জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের (সিপিডি) অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ঈদকেন্দ্রিক যে ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে পর্যটন খাতে অনেক চাঙাভাব লক্ষ করেছি। কেনাকাটা, ভ্রমণ, পর্যটন, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই ইতিবাচক, যা অর্থনৈতিক গতিশীলতায় ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলালউদ্দিন বলেন, আগে ঈদকেন্দ্রিক অর্থের প্রবাহ ছিল এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা, এবার তা এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা থেকে দুই লাখ কোটি টাকা হয়েছে। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ঈদে সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করেছেন। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান বলেন, ঈদের বড় ছুটিতে দেশের কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ ভ্রমণে বের হন।
করোনা মহামারিতে ঘরবন্দি কেটেছে গত চার চারটি ঈদ। তাই এবার ঈদে বাধাহীন আনন্দে মেতেছেন দেশবাসী। ঈদের টানা ছুটিতে রাজধানীসহ সারা দেশের পর্যটন কেন্দ্রে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। আর তাই দু’বছরের মন্দার পর এবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতিও। ঈদে পোশাক, জুতার মতো বাহারি পণ্যের পাশাপাশি বিক্রি হয়েছে বিলাসজাত পণ্য। এদিকে ইফতার পার্টি, বিয়ে, ঈদের ছুটিতে গ্রামে ফেরা ও ভ্রমণ, সব মিলে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ধারণা বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঈদকেন্দ্রিক টাকার এই প্রবাহ করোনা-পরবর্তী অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। গতি পাবে লেনদেনেও।
দীর্ঘদিন পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরছে করোনায় বিপর্যস্ত পর্যটন খাতে। এবার অভ্যন্তরীণ ও বহির্গামী পর্যটনে ভালো সাড়া পাচ্ছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে দেশের পর্যটন খাতে এখনও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি সেক্টরের অদায়িত্বশীল আচরণের নানাবিধ সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যে কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল এবং ভুটানের মতো বাংলাদেশের পর্যটন বিকশিত হতে পারছে না। এদিকে করোনার প্রকোপের পর শুধু দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেই মানুষের ঢল নামেনি, করোনার বিধিনিষেধ ও তেমন নির্দেশনা না থাকায় এবার বিদেশেও ঈদ করেছেন কয়েক লাখ বাংলাদেশি। পাশাপাশি এবার ঈদে ছিল লম্বা সরকারি ছুটি। আগে থেকেই তাই পরিকল্পনা করে দেশ ছেড়েছেন অনেকে। কেউ কেউ ঈদের আগের দিন, কেউ আবার ঈদের দিন দেশ ছেড়েছেন।
বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা বলছে, এবার ঈদে দেশের বাইরে ঈদ করা ব্যক্তিদের মধ্যে আকাশপথে সবচেয়ে বেশি গিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর ও মালদ্বীপে। এই দুই দেশ ছাড়াও ঈদ উদ্যাপনে এবার অন্যতম জনপ্রিয় ছিল তুরস্কের ইস্তাম্বুল রুট। তারা বলছেন, এবার ১০ লাখ লোক ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ঘুরতে গেছেন। বিদেশেও গেছেন প্রায় ৫ লাখ। হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, এভিয়েশনসহ পর্যটনের বিভিন্ন উপখাতে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন অতিথিরা।
বাংলাদেশ ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম সাগর বলেছেন, মে দিবস ও ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে দেশের প্রায় ২৫ হাজার হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে ন্যূনতম ১০০ জন ট্যুরিস্ট অবস্থান করলে ২৫ লাখ ট্যুরিস্ট হয়। এর বাইরে শুধু কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবন, বান্দরবান, সাজেক, রাঙ্গামাটি ও সিলেটে অতিরিক্ত পর্যটক বেড়াতে গেছেন আরো ১৫-২০ লাখ। আর সারাদেশের থিমপার্ক, এমিউজমেন্ট পার্ক, হেরিটেজ সাইট, প্রাকৃতিক পর্যটন সাইড, বিভিন্ন নদীর পাড় ও চরে প্রতিদিন ঘুরতে যাবে আরো ৩৫ লাখ। সবমিলে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যাই প্রায় ৭৫ লাখ। অথচ অনেকেই বলছেন ১০ লাখ। এই সংখ্যা কোন তথ্যের ভিত্তিতে আমার জানা নেই। ঈদকেন্দ্রিক বাণিজ্য নিয়ে শহীদুল ইসলাম সাগর বলেন, ঈদকে কন্দ্রে করে ৭৫ লাখ পর্যটক গড়ে ২ হাজার টাকা করেও খরচ করে তাহলে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ হাজার কোটি টাকা
ঈদে দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটিই আশার আলো দেখিয়েছে বলে মনে করছেন পর্যটন খাতের সর্ববৃহৎ সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ গত দুই বছর বেড়াতে পারেনি। বড় ছুটি পেয়ে অনেকেই এবার ঘুরতে বের হয়েছেন। সঠিক পরিসংখ্যান তার পক্ষে জানা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমপক্ষে হলেও ১০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণ করছেন। অনেকে পার্শ্ববর্তী দেশে ঘুরতে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশের চেয়ে আমাদের এখানে অনেক দর্শনীয় জায়গা আছে। সেখানে অনেক ভালো উপভোগ করতে পারবে। পর্যটন খাতে আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। গত ৫০ বছরে আমাদের অর্জনও কম নয়। এক ঈদেই দেশের ১০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন স্পট পরিদর্শন করছেন। তবে এক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলাসহ নানা প্রতিবন্ধকতাও আছে। এগুলোকে দূর করতে হবে। তিনি বলেন, সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালু করা, সড়ক যোগাযোগ এখন অনেক ভালো তবে সুশৃঙ্খল নয়। বিশেষ করে পাবলিক পরিবহনগুলোর অশিক্ষিত ড্রাইভারদের অদায়িত্বশীল আচরণ পর্যটন খাতকে ভোগাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মো. রাফিউজ্জামান। পর্যটন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জানান, এই ঈদে শুধু কক্সবাজার ভ্রমণ করেছে এক লাখের বেশি পর্যটক।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০০টির অধিক রিসোর্ট আছে। বিশেষত, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং নরসিংদীসহ ঢাকার আশপাশের অঞ্চলে এসব রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। ঈদকেন্দ্রিক এসব রিসোর্টও ছিল পরিপূর্ণ।
ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রায়াব) সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদের মতে, ঈদে রিসোর্টগুলোর প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। আবার অনেকেই সরাসরি চলে এসেছেন রিসোর্টে।
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। এবার ঈদের ছুটির সময়ে কুয়াকাটায় বেশ ভালো পর্যটকের সমাগম হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন এখানকার হোটেল ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, তাদের সদস্যভুক্ত ৭৪সহ সব মিলিয়ে কুয়াকাটায় দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। সব হোটেলই পরিপূর্ণ ছিল ঈদের ছুটিতে। উপচে পড়া ভিড় ছিল সমুদ্র সৈকতে। এখন কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চেয়ে ভালো বিশেষ করে বরিশাল থেকে আসতে এখন আর কোন ফেরি পার হতে হয় না। তবে কুয়াকাটার সঙ্গে সরাসরি লাক্সারী লঞ্চ বা বাস চালু হলে পর্যটক আরো বাড়বে বলে মনে করেন মোতালেব শরীফ।
কুয়াকাটার অন্যতম লাক্সারিয়াস সিকদার রিসোর্টের হেড অব সেলস আশিকুর রহমান বলেন, এ বছর ঈদকেন্দ্রিক পর্যটকদের খুবই চাপ। তাদের ১১৪টি কক্ষ রয়েছে। সবগুলোই পরিপূর্ণ। পর্যটক আকর্ষণে নানাবিধ ছাড়ও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর এ কারণে ঈদের আগেই রিসোর্টের সব কক্ষ বুকিং হয়ে যায়। আশিকুর রহমান বলেন, কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে বীচের সৌন্দর্যবর্ধনে পদক্ষেপের অভাবের কথা বলেছেন তিনি। বিশেষ করে ল্যাম্পপোস্ট নেই। বীচে পর্যটক আকর্ষণে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে চলমান গরম আবহাওয়া সুন্দরবন ঘোরার জন্য তেমন উপযোগী না হলেও ঈদের ছুটিতে ভালো সাড়া পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটররা। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের উপদেষ্টা (তোয়াস) এবং পগমার্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, এবার ঈদের ছুটির মধ্যে আমাদের ভালো বুকিং হয়েছে। বিদেশ থেকেও টিম এসেছে সুন্দরবন ঘুরতে। আর দেশি পর্যটকরাও তো আছেনই। এছাড়া পাহাড়প্রেমীরা ঈদের ছুটিতে ছুটেছেন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে। আবার কেউ কেউ গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন সিলেট ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পাহাড়ি গন্তব্যও।
এছাড়া গত দু’বছর করোনাসহ বিভিন্ন দেশের ট্যুরিজম বন্ধ থাকাসহ নানা শর্তে দেশের বাইরে ভ্রমণে তেমন সাড়া ছিল না। তবে বর্তমানে বিভিন্ন দেশের ট্যুরিজম খাত বিনা শর্তে খুলে দেয়ায় এবং বড় ছুটি মেলায় দীর্ঘদিন পর বিদেশে ঘুরতে গিয়েছেন পর্যটকরা।
বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা বলছে, এবার ঈদে দেশের বাইরে ঈদ করা ব্যক্তিদের মধ্যে আকাশপথে সবচেয়ে বেশি গিয়েছেন দুবাই ও মালদ্বীপে। এই দুই দেশ ছাড়াও ঈদ উদযাপনে এবার অন্যতম জনপ্রিয় ছিল তুরষ্ক।
বাংলাদেশ আউটবাউন্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ঈদের ছুটিতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ভারতের ভিসা নিয়েছেন। দীর্ঘদিন স্থলপথে বন্ধ ছিল ভারত ভ্রমণ। বিশেষ করে গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ-ভারত যাত্রী যাতায়াতের জন্য স্থলবন্দর খুলে দেয়ার পর ভিসা আবেদন কয়েক গুণ বেড়েছে। প্রতি কর্মদিবসে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্রগুলোতে আবেদনকারীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এছাড়া অনেকে মালদ্বীপ, দুবাই, তুরস্ক, সউদী আরব, থাইল্যান্ড ও নেপাল ভ্রমণ করেছেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, বিদেশ ভ্রমণে বাংলাদেশিদের পছন্দের শীর্ষে আছে ভারত, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সউদী আরব ও মালয়েশিয়া। এরপরই আছে থাইল্যান্ড। তবে এবার ঘটেছে ভিন্ন। মালদ্বীপে সরাসরি ইউএস বাংলার ফ্লাইট চালু হওয়ায় এবার পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে ছিল মালদ্বীপ। এরপর দুবাই ও তুরস্ক।