Logo
শিরোনাম

পর্যটনের নতুন দিগন্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

করোনার দুই বছরে স্বাস্থ্যবিধির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার ঈদে পর্যটন শিল্পে নতুন সূর্যের উদয় ঘটেছে। দেশের কয়েকটি পর্যটন স্পটে লাখ লাখ ভ্রমণপিপাসুর সরব উপস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পর্যটন স্পটগুলোকে কেন্দ্র করে হোটেল-মোটেল, গণপরিবহন ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে শত শত কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের দিনগুলোতে শুধু পর্যটন খাত থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন ঢাকা থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাতায়াতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। কুয়াকাটা, জাফলং, তামাবিল, পার্বত্য তিন জেলাসহ দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণপিপাসুদের যাতায়াত সহজ করতে পারলে এ সেক্টর থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আসবে। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানান, এ বছর ঈদে এই সেক্টরে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মূলত এবার ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে অর্থের প্রবাহ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পর্যটন খাত, মার্কেটে পোশাক বেচাকেনা, খাদ্যপণ্য ক্রয়-বিক্রি, পরিবহন ব্যবসা, জাকাত, দান-খয়রাত, নানা ধরনের আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিনোদন সেক্টরে ভ্রমণ, হোটেল ভাড়া ও পর্যটকদের খাওয়া-দাওয়ায় লেনদেন হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। নানা ধরনের পোশাক কেনাবেচায় লেনদেন হয়েছে এক লাখ ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও পরিবহন ও অন্যান্য খরচের লেনদেন হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। ঈদকেন্দ্রিক অর্থের প্রবাহ দেশের অর্থনীতির চাকায় গতি এনেছে। বিপুল পরিমাণ অর্থের এই হাতবদল করোনাকালের তথা বিগত দুই বছরের অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে।

জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের (সিপিডি) অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ঈদকেন্দ্রিক যে ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে পর্যটন খাতে অনেক চাঙাভাব লক্ষ করেছি। কেনাকাটা, ভ্রমণ, পর্যটন, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই ইতিবাচক, যা অর্থনৈতিক গতিশীলতায় ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলালউদ্দিন বলেন, আগে ঈদকেন্দ্রিক অর্থের প্রবাহ ছিল এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা, এবার তা এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা থেকে দুই লাখ কোটি টাকা হয়েছে। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ঈদে সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করেছেন। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান বলেন, ঈদের বড় ছুটিতে দেশের কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ ভ্রমণে বের হন।

করোনা মহামারিতে ঘরবন্দি কেটেছে গত চার চারটি ঈদ। তাই এবার ঈদে বাধাহীন আনন্দে মেতেছেন দেশবাসী। ঈদের টানা ছুটিতে রাজধানীসহ সারা দেশের পর্যটন কেন্দ্রে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। আর তাই দু’বছরের মন্দার পর এবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতিও। ঈদে পোশাক, জুতার মতো বাহারি পণ্যের পাশাপাশি বিক্রি হয়েছে বিলাসজাত পণ্য। এদিকে ইফতার পার্টি, বিয়ে, ঈদের ছুটিতে গ্রামে ফেরা ও ভ্রমণ, সব মিলে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ধারণা বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঈদকেন্দ্রিক টাকার এই প্রবাহ করোনা-পরবর্তী অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। গতি পাবে লেনদেনেও।

দীর্ঘদিন পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরছে করোনায় বিপর্যস্ত পর্যটন খাতে। এবার অভ্যন্তরীণ ও বহির্গামী পর্যটনে ভালো সাড়া পাচ্ছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে দেশের পর্যটন খাতে এখনও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি সেক্টরের অদায়িত্বশীল আচরণের নানাবিধ সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যে কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল এবং ভুটানের মতো বাংলাদেশের পর্যটন বিকশিত হতে পারছে না। এদিকে করোনার প্রকোপের পর শুধু দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেই মানুষের ঢল নামেনি, করোনার বিধিনিষেধ ও তেমন নির্দেশনা না থাকায় এবার বিদেশেও ঈদ করেছেন কয়েক লাখ বাংলাদেশি। পাশাপাশি এবার ঈদে ছিল লম্বা সরকারি ছুটি। আগে থেকেই তাই পরিকল্পনা করে দেশ ছেড়েছেন অনেকে। কেউ কেউ ঈদের আগের দিন, কেউ আবার ঈদের দিন দেশ ছেড়েছেন।

বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা বলছে, এবার ঈদে দেশের বাইরে ঈদ করা ব্যক্তিদের মধ্যে আকাশপথে সবচেয়ে বেশি গিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর ও মালদ্বীপে। এই দুই দেশ ছাড়াও ঈদ উদ্যাপনে এবার অন্যতম জনপ্রিয় ছিল তুরস্কের ইস্তাম্বুল রুট। তারা বলছেন, এবার ১০ লাখ লোক ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ঘুরতে গেছেন। বিদেশেও গেছেন প্রায় ৫ লাখ। হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, এভিয়েশনসহ পর্যটনের বিভিন্ন উপখাতে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন অতিথিরা।

বাংলাদেশ ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম সাগর বলেছেন, মে দিবস ও ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে দেশের প্রায় ২৫ হাজার হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে ন্যূনতম ১০০ জন ট্যুরিস্ট অবস্থান করলে ২৫ লাখ ট্যুরিস্ট হয়। এর বাইরে শুধু কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবন, বান্দরবান, সাজেক, রাঙ্গামাটি ও সিলেটে অতিরিক্ত পর্যটক বেড়াতে গেছেন আরো ১৫-২০ লাখ। আর সারাদেশের থিমপার্ক, এমিউজমেন্ট পার্ক, হেরিটেজ সাইট, প্রাকৃতিক পর্যটন সাইড, বিভিন্ন নদীর পাড় ও চরে প্রতিদিন ঘুরতে যাবে আরো ৩৫ লাখ। সবমিলে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যাই প্রায় ৭৫ লাখ। অথচ অনেকেই বলছেন ১০ লাখ। এই সংখ্যা কোন তথ্যের ভিত্তিতে আমার জানা নেই। ঈদকেন্দ্রিক বাণিজ্য নিয়ে শহীদুল ইসলাম সাগর বলেন, ঈদকে কন্দ্রে করে ৭৫ লাখ পর্যটক গড়ে ২ হাজার টাকা করেও খরচ করে তাহলে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ হাজার কোটি টাকা

ঈদে দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটিই আশার আলো দেখিয়েছে বলে মনে করছেন পর্যটন খাতের সর্ববৃহৎ সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ গত দুই বছর বেড়াতে পারেনি। বড় ছুটি পেয়ে অনেকেই এবার ঘুরতে বের হয়েছেন। সঠিক পরিসংখ্যান তার পক্ষে জানা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমপক্ষে হলেও ১০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণ করছেন। অনেকে পার্শ্ববর্তী দেশে ঘুরতে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশের চেয়ে আমাদের এখানে অনেক দর্শনীয় জায়গা আছে। সেখানে অনেক ভালো উপভোগ করতে পারবে। পর্যটন খাতে আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। গত ৫০ বছরে আমাদের অর্জনও কম নয়। এক ঈদেই দেশের ১০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন স্পট পরিদর্শন করছেন। তবে এক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলাসহ নানা প্রতিবন্ধকতাও আছে। এগুলোকে দূর করতে হবে। তিনি বলেন, সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালু করা, সড়ক যোগাযোগ এখন অনেক ভালো তবে সুশৃঙ্খল নয়। বিশেষ করে পাবলিক পরিবহনগুলোর অশিক্ষিত ড্রাইভারদের অদায়িত্বশীল আচরণ পর্যটন খাতকে ভোগাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মো. রাফিউজ্জামান। পর্যটন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জানান, এই ঈদে শুধু কক্সবাজার ভ্রমণ করেছে এক লাখের বেশি পর্যটক।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০০টির অধিক রিসোর্ট আছে। বিশেষত, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং নরসিংদীসহ ঢাকার আশপাশের অঞ্চলে এসব রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। ঈদকেন্দ্রিক এসব রিসোর্টও ছিল পরিপূর্ণ।

ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রায়াব) সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদের মতে, ঈদে রিসোর্টগুলোর প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। আবার অনেকেই সরাসরি চলে এসেছেন রিসোর্টে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। এবার ঈদের ছুটির সময়ে কুয়াকাটায় বেশ ভালো পর্যটকের সমাগম হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন এখানকার হোটেল ব্যবসায়ীরা।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, তাদের সদস্যভুক্ত ৭৪সহ সব মিলিয়ে কুয়াকাটায় দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। সব হোটেলই পরিপূর্ণ ছিল ঈদের ছুটিতে। উপচে পড়া ভিড় ছিল সমুদ্র সৈকতে। এখন কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চেয়ে ভালো বিশেষ করে বরিশাল থেকে আসতে এখন আর কোন ফেরি পার হতে হয় না। তবে কুয়াকাটার সঙ্গে সরাসরি লাক্সারী লঞ্চ বা বাস চালু হলে পর্যটক আরো বাড়বে বলে মনে করেন মোতালেব শরীফ।

কুয়াকাটার অন্যতম লাক্সারিয়াস সিকদার রিসোর্টের হেড অব সেলস আশিকুর রহমান বলেন, এ বছর ঈদকেন্দ্রিক পর্যটকদের খুবই চাপ। তাদের ১১৪টি কক্ষ রয়েছে। সবগুলোই পরিপূর্ণ। পর্যটক আকর্ষণে নানাবিধ ছাড়ও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর এ কারণে ঈদের আগেই রিসোর্টের সব কক্ষ বুকিং হয়ে যায়। আশিকুর রহমান বলেন, কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে বীচের সৌন্দর্যবর্ধনে পদক্ষেপের অভাবের কথা বলেছেন তিনি। বিশেষ করে ল্যাম্পপোস্ট নেই। বীচে পর্যটক আকর্ষণে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে চলমান গরম আবহাওয়া সুন্দরবন ঘোরার জন্য তেমন উপযোগী না হলেও ঈদের ছুটিতে ভালো সাড়া পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটররা। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের উপদেষ্টা (তোয়াস) এবং পগমার্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, এবার ঈদের ছুটির মধ্যে আমাদের ভালো বুকিং হয়েছে। বিদেশ থেকেও টিম এসেছে সুন্দরবন ঘুরতে। আর দেশি পর্যটকরাও তো আছেনই। এছাড়া পাহাড়প্রেমীরা ঈদের ছুটিতে ছুটেছেন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে। আবার কেউ কেউ গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন সিলেট ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পাহাড়ি গন্তব্যও।

এছাড়া গত দু’বছর করোনাসহ বিভিন্ন দেশের ট্যুরিজম বন্ধ থাকাসহ নানা শর্তে দেশের বাইরে ভ্রমণে তেমন সাড়া ছিল না। তবে বর্তমানে বিভিন্ন দেশের ট্যুরিজম খাত বিনা শর্তে খুলে দেয়ায় এবং বড় ছুটি মেলায় দীর্ঘদিন পর বিদেশে ঘুরতে গিয়েছেন পর্যটকরা।

বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা বলছে, এবার ঈদে দেশের বাইরে ঈদ করা ব্যক্তিদের মধ্যে আকাশপথে সবচেয়ে বেশি গিয়েছেন দুবাই ও মালদ্বীপে। এই দুই দেশ ছাড়াও ঈদ উদযাপনে এবার অন্যতম জনপ্রিয় ছিল তুরষ্ক।
বাংলাদেশ আউটবাউন্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ঈদের ছুটিতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ভারতের ভিসা নিয়েছেন। দীর্ঘদিন স্থলপথে বন্ধ ছিল ভারত ভ্রমণ। বিশেষ করে গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ-ভারত যাত্রী যাতায়াতের জন্য স্থলবন্দর খুলে দেয়ার পর ভিসা আবেদন কয়েক গুণ বেড়েছে। প্রতি কর্মদিবসে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্রগুলোতে আবেদনকারীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এছাড়া অনেকে মালদ্বীপ, দুবাই, তুরস্ক, সউদী আরব, থাইল্যান্ড ও নেপাল ভ্রমণ করেছেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, বিদেশ ভ্রমণে বাংলাদেশিদের পছন্দের শীর্ষে আছে ভারত, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সউদী আরব ও মালয়েশিয়া। এরপরই আছে থাইল্যান্ড। তবে এবার ঘটেছে ভিন্ন। মালদ্বীপে সরাসরি ইউএস বাংলার ফ্লাইট চালু হওয়ায় এবার পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে ছিল মালদ্বীপ। এরপর দুবাই ও তুরস্ক।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আবদুর রহমান অনিককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার ভোররাতে চন্দ্রগঞ্জের দেত্তপাড়ার ইব্রাহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে র‌্যাবের নায়েক সুবেদার মিরাজ আলী ভূইয়া চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে অনিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে, র‌্যাব অনিককে থানায় হস্তান্তর করে। 

গ্রেপ্তার অনিক চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। তিনি পশ্চিম লতিফপুর এলাকার আবদুল হকের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেত্তপাড়ার ইব্রাহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাবের সদস্যরা। এসময় অনিককে একটি এলজিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অনিকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অস্ত্র আইনে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেন, ‘আবদুর রহমান অনিক ছাত্রলীগের কোনো পদেই ছিল না। পাশাপাশি আমি তাকে চিনি না।’ 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অস্ত্র আইনে র‌্যাব আবদুর রহমান অনিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইনমা ভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)তে আজ সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে।

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হোলি উৎসব উৎসবটি পালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার  (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা হোলি খেলায় মেতে ওঠেন। দিনটি উপলক্ষ্যে আবিরের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছিল প্রাঙ্গণ। সনাতন ধর্মাবলাম্বী শিক্ষার্থীরা জানান, এই দিনে শ্রী কৃষ্ণ বেত্রাসুর নামে এক অত্যাচারি অসুরকে হত্যা করে তার রক্তে হোলি খেলেছিলেন। আবার ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথির এই দিনে শ্রী কৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে তার সখী রাধা ও তেত্রিশ হাজার গোপীর সঙ্গে রঙ ছোড়াছুড়ির খেলায় মেতেছিলেন। এজন্য হিন্দু ধর্মাবলাম্বীরা বহু আগে থেকেই দোলযাত্রা বা হোলি উৎসব পালন করে আসছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসআরএম বিভাগের শিক্ষার্থী সৈকত মন্ডল জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব হলো দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব। উৎসবটি দোলযাত্রা নামেও পরিচিত। দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ ১১ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে প্রথম বারের মতো সম্পূর্ণ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে হোলি উৎসব পালন করা হয়। আয়োজিত এই হোলি উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। হোলি উৎসব সবার জীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল আনন্দ।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্দির না থাকায় অতীতে ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গনে উৎসবটি উদযাপিত হতো। তাই কেন্দ্রীয় মন্দির নির্মানের দাবিও জানান তারা। এবছর গোপালবাড়ি মন্দিরে তারা হোলি উৎসব পালন করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় কোন ভাবেই থামছে না কৃষি জমির মাটি লোপাট করা। কতিপয় মাটি কারবারিবার তাদের কৌশল পাল্টিয়ে রাত নামতেই শুরু হচ্ছে মাটি কাটার মহোৎসব। একটি মেশিনের স্থানে একাধিক মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে সরকারি খাস জমির মাটি। এতে করে কৃষি জমি হারানোর পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পাকা সড়ক। পরিবেশ ও মানুষের জন্য হুমকি বন্ধ করতে দ্রুত প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দিনে ও রাতে গিয়ে দেখা যায়, মিরাট ইউনিয়নের ২নং সুইস গেট সংলগ্ন স্থানে আতাইকুলা মৌজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ সংলগ্ন স্থানে সরকারি খাস জমির সঙ্গে ব্যক্তি কিছু মালিকানা জমি বছরে ১৬ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে বন্ধক নিয়ে খনন করা হচ্ছে পুকুর। সম্প্রতি এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাটি বহনের কারণে দু' জন ট্রাক্টর চালককে কারাদন্ড প্রদান করেন। এরপর সংবাদ পাওয়ার পর ঐ স্থানে গিয়ে উপজেলা ভুমি অফিসের লোকজন সরকারি খাস জমির একটি সাইনবোর্ড দিয়ে আসে এবং সরকারি জমি পরিমাপ করে লাল ফিতা দিয়ে চিহ্নিত করে আসেন। এর কয়েক দিন পরে উপজেলার কুজাইল এলাকার সর্বরামপুর গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ম্যানেজের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে কৌশল পাল্টিয়ে রাতে মাটি কাটাছে। এরপর বিষয়টি প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় দেদারছে রাতে সরকারি খাস জমি সহ কৃষি জমি গর্ত করে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে আর বড় বড় ড্রাম ট্র্যাকের চাঁকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক ও প্রধান প্রধান পাঁকা সড়কগুলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতরা জানান, রাতে মাটি কাটার জন্য উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয়। তা না হলে রাতে খবর পেয়ে পুলিশের লোকেরা দফায় দফায় ভেকু মেশিনের চাবি কেড়ে নিয়ে যায়। পরে সন্ধির মাধ্যমে চাবি ফিরিয়ে দেয়। এতো ঝাক্কি-ঝামেলা থেকে মুক্ত হতেই স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিসের মাধ্যমে উপজেলা ভুমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।

মাটি ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জানান, ঐ স্থানে হয়তো কিছু খাস জমি আছে। তবে জমির মালিকরা আমার সঙ্গে চুক্তি করে মাটি কেটে নিচ্ছে। আমি মাটির বিনিময়ে তাদের জমি খনন করে দিচ্ছি। অনুমতির বিষয়ে জমির মালিকগুলো জানেন তিনি কিছু জানেন না। দিনের বেলায় সাটি কাটলে প্রশাসন হানা দেয় তাই তিনি রাতে মাটি কাটছেন। 

মিরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, ওই জমি থেকে মাটি কাটা নিয়ে মামলা চলমান ছিল। এরপর আমার আর কিছু জানা নেই। তবে মাটি খেকোরা নিশ্চয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেই হয়তো বা রাতে মাটি কাটছে। থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, পুলিশ শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করে। কোথায় কে মাটি কাটছে সেই বিষয়টি দেখবে উপজেলা প্রশাসন কিংবা ভূমি অফিস। যারা পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম জানান, বিষয়টি তিনি জানার পর স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিসের মাধ্যমে মাটি কাটা ব্যক্তিকে মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপরও যদি সে মাটি কাটা বন্ধ না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্ধেকের বেশি আমানত কোটিপতিদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত টাকা জমা আছে, তার অর্ধেকের বেশি কোটিপতিদের অর্থ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় মোট আমানতের পরিমাণ ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৫ শতাংশের বেশি বা ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা কোটিপতিদের আমানত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব আমানতকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় এক কোটি থেকে শুরু করে দেড়শ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১০০ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন এ রকম আমানত হিসাব রয়েছে ছয়টি। এই ছয় হিসাবেই রয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি, বেসরকারি ও বিশেষায়িত মিলিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন তিনটি, বেসরকারি মালিকানাধীন ৩২টি ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাঁচটি। এই ৪০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গত ডিসেম্বর শেষে গ্রাহক বা আমানতকারীর হিসাব ছিল চার লাখ ৩১ হাজার ২২১টি। এসব হিসাবের মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত জমা আছে, এমন হিসাবের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৮৭। আর পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক কোটি টাকার কম আমানত রেখেছেন এমন আমানতকারীর হিসাব রয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪টি।

পরিসংখ্যান বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত আমানত ছিল, তার প্রায় ৫৫ শতাংশই রয়েছে মাত্র সোয়া এক শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে। আর পৌনে ৯৯ শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে ছিল মোট আমানতের সাড়ে ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪ জন আমানতকারী মিলে জমা রেখেছেন ১৯ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। তার বিপরীতে মাত্র পাঁচ হাজার ২৮৭ জন আমানতকারী জমা রেখেছেন ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, দেশে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। একশ্রেণির মানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে উঠছেন। তার বিপরীতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তসহ বিপুল জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়ে টান পড়ছে। দেশে বৈষম্য এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটিকে চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাই বৈষম্য কমাতে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করে আসছেন তারা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় যে আমানত রয়েছে, তার মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির আমানত যেমন আছে, তেমনি রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও। ফলে কোটি টাকার বেশি আমানত যেসব হিসাবে রয়েছে, তার সবই ব্যক্তিশ্রেণির আমানত নয়, প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও রয়েছে এর মধ্যে।

সরকারি পরিসংখ্যানেও উঠে এসেছে দেশের প্রকট বৈষম্যের তথ্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতেই এখন দেশের মোট আয়ের ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ তথ্য বিবিএসের খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এ উঠে এসেছে।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যের নির্দেশক জিনি সহগ সূচক বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৯৯ পয়েন্টে। কোনো দেশে এ সূচক দশমিক ৫০০ পয়েন্ট পেরোলেই সেই দেশকে উচ্চ বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ উচ্চ বৈষম্যের দেশের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিতে বাধা নেই: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী।

একইসাথে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো: খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক, অ্যাডভোকের নুরুল ইসলাম সুজন, ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ।

এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ সোমবার বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি এ রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে পরদিন শুক্রবার আন্দোলনে নামেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি পেশ করেন।

বুয়েটে জোরালোভাবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি ওঠে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মত প্রকাশে সক্রিয় থাকায় শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। সহপাঠী হত্যার প্রতিবাদে টানা আন্দোলন শুরু করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে।


আরও খবর

সংশোধনী আসছে কাবিননামায়

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪