Logo
শিরোনাম

রাজ-পরীর সংসারে ভাঙন !

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলচ্চিত্র অঙ্গনে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। কিছুদিন আগেই বিনোদন জগৎ উত্তপ্ত ছিল শাকিব-বুবলীর বিয়ে, সন্তান এবং বিচ্ছেদের সংবাদে। এই সংবাদের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিলেন পরীমনি।

পরীমনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত এই নায়িকা ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর চুপিসারে অভিনেতা শরিফুল রাজকে বিয়ে করেন। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি এ খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা৷ সেসময় পরী জানান, তাদের ঘরে সন্তান আসছে। গত ১০ আগস্ট রাজধানীর একটি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পরী। রাজ-পরীর সন্তানের নাম রেখেছেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমার সেটে দুজনের পরিচয় ও প্রেম; তারপর হুট করেই বিয়ে। বিয়ে ও সন্তান জন্মের পর বেশ ভালোই যাচ্ছিল তাদের নতুন জীবন। রাজ-পরীর দুষ্টু, মিষ্টি কিংবা আবেগমাখা কর্মকাণ্ড বরাবরই ভক্তদের নজর কেড়েছে। অন্তর্জালে তাদের নানান মুহূর্তের ছবি বেশ প্রশংসা কুড়ায়। তবে বছর না ঘুরতেই বছরের শেষ দিন সম্পর্ক ছিন্নের ইঙ্গিত তিলে পরীমনি।


আরও খবর



সহনীয় পর্যায়ে সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গেল ২-৩ সপ্তাহ ধরে বাজারে কমেছে সবজির দাম। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সবজির সরবরাহও বেড়েছে। নতুন টাটকা সবজিতে ভরে গেছে বাজার, ফলে কমেছে দামও ।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে দুই একটি সবজির এখন মৌসুম না হওয়ায় সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছে ঢেঁড়স, পটল, বরবটি। এগুলোর দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বড় সাইজের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, একইভায়াবে প্রতি পিস বাধা কপিও বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকায় ও পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ২০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বিচি যুক্ত শিম ৬০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, নতুন আলু ৪০ টাকা, নতুন লাল আলু ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মহাখালী বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সবজি কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হচ্ছে। কারণ বর্তমানে সবজির দাম কম যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছিল, সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম। আমরা চাই সবজির এমন দামের মতো বাজারে অন্যান্য পণ্য সাধারণ ক্রেতাদের এমন ক্ষমতার মধ্যে আসুক। তবে কয়েক বছর আগে শীতের সময় অর্থাৎ সবজির ফুল মৌসুমে সব ধরনের সবজির দাম আরো অনেক কম থাকতো, সে হিসেব করলে সবজির দাম আর আগের মত নেই। তবে কিছুদিন আগে সবজির চড়া দামের তুলনায় বর্তমানে সবজির বাজার কম যাচ্ছে।

রাজধানীর মগবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জয়নাল হক বলেন, বাজারে একেবারে কমে গেছে সবজির দাম, ক্রেতারা ব্যাগ ভরে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে দু একটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি। বাকি সব সবজির দাম অনেক কমে গেছে বাজারে। এছাড়াও বাজারে টাটকা সবজির সরবরাহও অনেক বেশি, যে কারণে দাম কম যাচ্ছে। পুরো শীতকালীন সময়ে সবজির দাম এমন কম যাবে। সামনে আরো কমতে পারে সবজির দাম।

সবজির দাম বিষয় কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে সবজি ঢাকায় আসছে প্রতিদিন। সব সবজি নতুন এবং টাটকা, আগের তুলনায় বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজির সরবরাহ হচ্ছে। যে কারণে বাজারে সবজির দাম কমে গেছে। কমপক্ষে আরো দেড় মাস সবজির দাম এমন কম থাকবে। এরপর থেকে কিছুটা বাড়তে শুরু করবে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সবজির দাম বর্তমানে যা যাচ্ছে, এর চেয়েও আরো অনেক কম দাম কারওয়ানবাজারে। যেকোনো ক্রেতা অন্যান্য বাজারের চেয়ে কারওয়ানবাজার থেকে আরো অনেক কম দামে সবজি কিনতে পারবে।

মাংসের দাম স্থিতিশীল : সবজির দাম কমার ধারাবাহিকতার সাথে স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাংসের দাম। তবে এতে ক্রেতাদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বর্তমান দামকে গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল উল্লেখ করে সরকারকে দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ ও মৌচাকের একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

মুরগির পাশাপাশি অন্যান্য মাংসের ক্ষেত্রেও স্থিতিশীল অবস্থা দেখা গেছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা দরে। এছাড়া কলিজা, হাড় ছাড়া মাংস আলাদা আলাদা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস প্রতিকেজি ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল থাকলেও সার্বিকভাবে মাংসের দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে। তারা বলছেন, বাজার স্থিতিশিল মানেই তা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে না। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগির দাম স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




৬টি কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত চারটি কমিশনের প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। আরও ৬টি কমিশনের কাজের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হবে। কমিশন প্রধানরা এক মাস চেয়ে নিয়েছেন। তারা প্রধান প্রধান বিষয়গুলো গুরুত্ব দেবেন বলে মন্তব্য করেন পরিবেশ ও বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সব রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিয়েছে। লিখিত মতামত দিয়েছে। কমিশন যতটুকু মনে করেছেন তা নিয়েছেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তাদের রিপোর্ট এবং সামারি দিয়েছে। এই সামারিগুলো আপনাদের জন্য আজকেই এভেইল এবল করে দেওয়া হবে। কমিশন গুলো তাদের ওয়েবসাইটে এভেইল এবল করে দেবে। যে রিপোর্টগুলো আমাদের কাছে এসেছে সেই কমিশনের প্রধানেরা স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। এখন কমিশন প্রধানরা সেই রিপোর্টগুলো নিয়ে বসবে। বসে এখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, কোথায় কোথাও তাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত, তারা ঠিক করবে। আগামীকালের ছয়টি কমিশনের কাজের সময় আরও একমাস বাড়িয়ে দেব।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।

আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের কর্ম পরিকল্পনার চারটা ধাপ ছিল। একটা হচ্ছে কমিশনগুলো তাদের রিপোর্ট প্রণয়ন করবে, সুপারিশ দেবে। দ্বিতীয় হচ্ছে, কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা প্রয়োজনীয় আইন এবং নীতি প্রণয়ের কাজ শুরু করব। আমাদের প্রত্যাশা আছে আমরা পুরো কাজটা সম্পূর্ণ করে যেতে পারবো। নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলো কতটুকু সংস্কার করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের ভাষণে বলেছেন যে আমরা ন্যূনতম কিছু সংস্কার সম্পন্ন করে যদি নির্বাচন করতে চাই তাহলে এই বছর হবে। যদি আমরা আরো কিছু সংস্কার প্রত্যাশিত মাত্রা করতে চাই, তাহলে কয়েক মাস লাগতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যখন আমরা আলাপ আলোচনা করব তখন দেখব যে ন্যূনতম সংস্কারক কোনগুলো আছে। এর বাইরে প্রত্যাশিত সংস্কার ভেরিফাই করার চেষ্টা করব।


আরও খবর



নতুন বছর শুরু হোক রবের নিকট তাওবার মাধ্যমে

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

-ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী 

তওবা একটি অনুগ্রহ, নতুন করে শুরু করার একটি সুযোগ। তওবা আমাদের স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি ও আরও দৃঢ় করার একটি মাধ্যম। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অপরাধবোধ বা হতাশা যেন কখনোই আমাদেরকে আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা থেকে বিরত না রাখে। তওবার প্রতিটি পদক্ষেপ রবের অসীম রহমতের দিকে একটি সফল যাত্রা। জীবন একটি উত্থান-পতনের সফর, তাই নতুন বছর শুরু হোক রবের নিকট তাওবার মাধ্যমে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কুমিল্লা চান্দিনা বড় গোবিন্দপুর খানকা শরীফের বার্ষিক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী। তিনি নতুন বছর উপলক্ষে নৈতিকতা বিবর্জিত সকল অপসংস্কৃতি চর্চা পরিহার করার আহবান জানান। চান্দিনা পৌরসভার সাবেক মেয়র খলিফা মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের মহাসচিব খলিফা শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খাঁন মাইজভাণ্ডারী। মাহফিলে আলোচক ছিলেন, রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১ মসজিদ-এ গাউছুল আজমের খতিব, মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা হাফেজ ক্বারী মুহাম্মদ কেরামত আলী মাইজভাণ্ডারী প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।


আরও খবর



নওগাঁয় নতুন বই হাতে পেলো কিছু শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের ন্যায় বিনামূল্যের সরকারি নতুন পাঠ্যবই পাওয়া শুরু করেছে নওগাঁর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বছরের প্রথম দিনে নওগাঁ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে কিছু নতুন বই পৌচেছে। হাতে নতুন বই নিয়ে উল্লাসিত শিক্ষার্থীরা। নতুন বই নিতে সকাল থেকেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে হাজির হোন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিদ্যালয়গুলো। নওগাঁয় এ বছর মাধ্যমিকের বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪২ লাখ ১৭ হাজার ১শ' ৯৮টি এবং প্রাথমিকে চাহিদা রয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩শ' ৫২টি। নওগাঁ শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে মোট ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ' ২৫টি তারমধ্যে মোট বই এসেছে ২২ হাজার ৪শ' টি, মহাদেবপুরে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭শ' ৫০টি তারমধ্যে এসেছে মোট ১২ হাজার ৪শ' ৫০টি, আত্রাই উপজেলা মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫০টি, তারমধ্যে এসেছে ৩৪ হাজার ৯শ' ৫০টি, পোরশা উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৯৭টি তারমধ্যে এসেছে ৩ হাজার ৩শ' টি, মান্দা উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার ১শ' ২১টি তারমধ্যে এসেছে ২১ হাজার ৯শ' টি, ধামইরহাটে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২শ' ৪৬টি, তারমধ্যে এসেছে ৮ হাজার ২শ' ৫০টি, পত্নীতলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮শ' ২০টি, তারমধ্যে এসেছে ২৬ হাজার ৪শ' টি, সাপাহারে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭শ' টি তারমধ্যে এসেছে ১২হাজারটি, নিয়ামতপুরে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪শ' ৪০টি, তারমধ্যে এসেছে ১২হাজার ৬শ' টি, রাণীনগরে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮শ' ৫০টি, তারমধ্যে এসেছে ৮হাজার ৭শ' টি, বদলগাছীতে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৩শ' ৪০টি, তারমধ্যে এসেছে ২৪ হাজার ৭শ' ৪৩টি। এছাড়াও কারিগরি শাখায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার ২৬৯টি, এ শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত কোন বই আসেনি।

নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ১ হাজার ৩৭৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বছর মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ১শ ৬৯ জন। সেইসব শিক্ষার্থীর জন্য এ বছর বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩শ' ৫২টি। এরমধ্যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত মোট বই এসেছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩টি। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া চাহিদা মোতাবেক সব বই আসেনি, যা এসেছিল তা আজ শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেলার সব স্কুলের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ৩টি নতুন বই তুলে দেয়া হচ্ছে আজ। তবে চাহিদা অনুযায়ী সব বই এখনও জেলায় পৌঁছায়নি। আশা করছি খুব দ্রুতই বই পৌঁছে যাবে। বই হাতে এলেই আমরা তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেবো।


আরও খবর



আলুচাষীদের মাথায় হাত, লাভের চেয়ে লোকসান বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দুমাস আগেই বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম উঠেছিল ৭৫/৮০ টাকা পর্যন্ত। এতে ৩৩ শতক জমিতে আলু চাষ করে ভালো লাভ করেছিলেন ঠাকুরগাঁও সদরের আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা আলুচাষি শমসের আলী। বেশি লাভের আশায় এবার তিনি মাহাজন থেকে টাকা ধার নিয়ে এক একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। কিন্তু বাজারে এখন আলুর দাম কমছে। ২০ দিন আগে শমসের আলী আড়তে যে আলু প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন সেই আলু গত সপ্তাহে বিক্রি করেন ১৩ টাকা কেজিতে। এতে লাভের আশা তো দূরে, চাষের দেনা পরিশোধ নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

শুধু শমসের আলী নন, আগাম আলু চাষ করে জেলার শত শত কৃষক এখন লোকসানের মুখে পড়েছেন।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে এই জেলায় ২৬ হাজার ১৬৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। গতবার ভালো লাভ পাওয়ায় চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে।

ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকার আলুচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাভের আশায় এবারও চাষিরা নানা জাতের আগাম আলুর চাষ করেছেন। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষে আলু রোপণ করে নভেম্বরে তা বাজারে বিক্রি করা হয়। তবে এবার সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বৃষ্টির কারণে খেতের বীজ নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের। এ কারণে নতুন বীজ রোপণ করতে হয়েছে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাষের খরচও বেড়েছে। কিন্তু আগাম জাতের সেই আলু বিক্রি করে এখন লোকসানে পড়েছেন কৃষকেরা।

কৃষকেরা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। এখন মাঠে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজিতে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ভাঙাকোয়াটার এলাকার কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু আবাদে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার বেশি। আলু পাওয়া গেছে ২ হাজার ৬০০ কেজি। তাতে প্রতি কেজি আলু চাষে খরচ পড়েছে ২৩ টাকার বেশি। সেই আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকায়। তাতে কেজিতে ১২ থেকে ১৩ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জেলার বালিয়াডাঙ্গী বড় পলাশবাড়ি এলাকার আলুচাষি মাজেদূর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে গ্র্যানুলা জাতের আলু আবাদে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার টাকার বেশি। আলু পেয়েছেন ১৯৫ মণ। ১২ টাকা দরে সেই আলু বিক্রি করে পান ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা। তাতে তার লোকসান হয়েছে ৮৭ হাজার ৪০০ টাকা।

রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের কৃষক নাজমুল বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এর মধ্যে দুই বিঘার আলুর বিক্রি করেছি। তখন অল্প কিছু লাভ হয়েছে। কিন্তু এখন ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারছি না। প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। আলু যে রেখে দেব, তারও উপায় নেই। কারণ, আগাম আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা যায় না।

সদর উপজেলার ছোট বালিয়া এলাকার আলুচাষি মোস্তফা বলেন, বাজারে দাম বাড়লে মানুষ কত কথা বলে। সরকারও দাম বেঁধে দেয়। এখন প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। কিন্তু কারও মুখে কোনো কথা নেই। সরকারেরও কোনো পদক্ষেপ নেই।

কৃষকের মাঠ ঘুরে ঘুরে আলু কেনেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে এক কেজি আলু ৮০ টাকায় কিনেছি। গত সপ্তাহেও মাঠ থেকে ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজিতে আলু কিনেছি। এখন সেই আলু কিনছি ১৩ থেকে ১৪ টাকায়।

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার কৃষক যখন একটি ফসলে লাভ পান, তখন অন্যরাও সেটাতেই ঝোঁকেন। চলতি বছরে আলুর ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচটাও একটু বেশি পড়ছে। কিন্তু বাজারে দাম কম। এতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।


আরও খবর