Logo
শিরোনাম

রাজাপুরে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ইনস্যুরেন্স কর্মকর্তার জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, রাজাপুর (ঝালকাঠি) 

ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা তুহিন হাওলাদারের নেতৃত্বে দক্ষিন তারাবুনিয়া খুপড়িঘর তুলে শামিম আহসান নামে এক ইনস্যুরেন্স কর্মকর্তার জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় দক্ষিন তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত আঃ গনি হাওলাদারের ছেলে ভুক্তভোগী মোঃ শামীম আহসান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শামিম ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর পিরোজপুর জোনাল অফিসের (আইসিটি ও ইউডাবিøউ) সিনিয়র নির্বাহি কর্মকর্তা পদে কর্মরত। থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শামিম আহসানের মোট সাড়ে ৩১ শতাংশ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু জমি ক্রয়কৃত। ওই জমি দখলে নেয়ার উদ্দেশ্যে বিবাদী হালিম হাওলাদার, আবুল বাসার, আলিম হাওলাদার, তুহিন হাওলাদার, ইমরান, শাহিনসহ প্রতিপক্ষরা গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে টিন ও কাঠ দিয়ে একটি খুপড়ি ঘর উত্তোলন করে। ওই জমিতে পাঁচ বছর আগে লাগানো বিভিন্ন গাছ বিবাদী জোরপূর্বক বিক্রি করে এবং কেটে নষ্ট করে ফেলে। এ ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে। শামীম আহসান অভিযোগ করেন, তুহিন হাওলাদার নিজেকে ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিয়ে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ভয়ভীতিসহ প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। তার নেতৃত্বেই জমি দখল। এ কারনে এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। কয়েকবার এ নিয়ে শালিল বৈঠক হয় এবং শালিশদাররা রোয়েদাদ দিলেও প্রতিপক্ষরা তা মানেনি। অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা তুহিন হাওলাদার জানান, তারা তার দাদার জমিতে ঘর তুলেছেন, কারও জমি দখল করেনি। বিগত দিনে তাদের জমিই জোর করে ভোগ করেছে এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। রাজাপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



সৌদি আরবে ২১ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহে বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটিতে ২১ হাজার ৫৬৪ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৩ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এতে বলা হয়, গ্রেপ্তারদের আবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৩ হাজার ৮৮৩ জনকে , ৪ হাজার ৬৬৮ প্রবাসীকে সীমান্ত নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে এবং ৩ হাজার ১৩ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৪৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪১ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ৪ শতাংশ অন্য দেশের নাগরিক রয়েছেন। একই সময়ে সৌদি আরব থেকে অবৈধভাবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৯০ জনকে গ্রেপ্তার এবং পরিবহন আইন লঙ্ঘননের অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২১৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে যে উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল জানুয়ারিতে এসে সেটি কিছুটা ভাটা পড়েছে।  জানুয়ারিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার গত অর্থবছরের একই মাসে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল সে হিসাবে গত মাসে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ৪১ শতাংশ

গত বছর আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারে পতন হওয়ার পর থেকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস তথা জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ২৭ শতাংশেরও বেশি রেমিট্যান্স কম আসায় জানুয়ারি শেষে প্রবৃদ্ধি ২৩ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে হাজার ৫৯৬ কোটি ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দেশে ১২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে প্রবাসীরা দশমিক শূন্য বিলিয়ন ডলার বেশি পাঠিয়েছেন এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ

জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে ডলারের দর নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কড়াকড়ি ছিল না। বেশি দর দিয়ে হলেও ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পেরেছে। কিন্তু জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরে রেমিট্যান্স কেনার জন্য বেশ কঠোর ছিল। কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা কমে গেছে।

ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেলে হুন্ডির বাজার জমজমাট হয়ে ওঠে। রাজধানীর মতিঝিল কারওয়ান বাজার এলাকার একাধিক মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা জানান, জানুয়ারিতে মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় ডলারের চাহিদা বেশ তীব্র ছিল। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হাতে করে যে ডলার নিয়ে গেছেন, তা শেষ হয়ে এসেছে। এখন দেশ থেকে নতুন করে টাকা নিচ্ছেন। কারণে হুন্ডির বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পদোন্নতি পেলেন মাভাবিপ্রবির ২৩ শিক্ষক

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ২৩ জন শিক্ষক পদোন্নতি পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক এবং সাতজন সরাসরি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

এর আগে ২৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিঠির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানায়।

সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তরা‌ হলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. আবু বকর সিদ্দিকী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ড. ওবায়দুর রহমান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. নাজমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. আব্দুল গাফ্ফার খান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, ড. মোছা. নুরজাহান খাতুন, ড. মো. ইসতিয়াক আহমেদ তালুকদার, ড. মো. বশীর উদ্দীন খান ও ড. রুখসানা সিদ্দীকা, ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স (এফটিএনএস) বিভাগের ড. মো. জয়নুল আবেদীন, পরিসংখ্যান বিভাগের ড. মো. দেলোয়ার জাহান মলয়, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ড. মুহাম্মদ বদরুল আলম মিয়া, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের ড. শাহ আদিল ইশতিয়াক আহমদ, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিভাগের ড. মাহমুদা বিনতে লতিফ এবং গণিত বিভাগের ড. মো. আব্দুস সালাম।

এছাড়াও গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৭ জন অধ্যাপক। গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি প্রাপ্তরা হলেন- গণিত বিভাগের ড. মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ আলী, বিজিই বিভাগের ড. মো. মাসুদার রহমান ও ড. আশরাফ হোসাইন তালুকদার, ইএসআরএম বিভাগের ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক ও ড. শামীম আল মামুন, সিপিএস বিভাগের ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক এবং আইসিটি বিভাগের ড. মনির মোর্শেদ।


আরও খবর

তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের একদফা ঘোষণা

রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5




ঢাকার বাতাসে বিষ, মাস্ক পরার পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে পর্যাপ্ত পানি ছিটানো ও কার্যকর পদক্ষেপ নেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের । রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিষাক্ত বাতাস। বায়ুদূষণের এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ঝুঁকিপূর্ণ এ অবস্থায় জনসাধারণকে মাস্ক পরিধানসহ বাইরে না যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। প্রতিবছরই বায়ুদূষণ তালিকার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এবারও শীতের শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন রয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা যায় যেন ধুলার রাজ্য। ধুলাবালির কারণে সড়কের পাশের গাছগাছালিও ধসর রঙ ধারণ করেছে। অথচ পর্যাপ্ত পানি ছিটিয়ে এ ধুলাবালি কমাতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া যারা চলাচল করে নগরীতে তাদের অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা এমন পরিস্থিতিতে বাইরে যেতে শঙ্কিত হন। এমন পরিস্থিতিতে ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে পানি ছিটানোর উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তবে পানি ছিটানোর এ কার্যক্রম পর্যাপ্ত নয়।

 নামেমাত্র ছিটানো পানি ২০ মিনিট পর শুকিয়ে যায়। পরে আবার উড়তে থাকে ধুলা। ঢাকার দুই দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বায়ুদূষণ রোধে পানি দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। গাড়িতে করে পানি ছিটানো হয়। শুষ্ক আবহাওয়ায় ছিটানো পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়। অনেক এলাকার সড়ক ছোট হওয়ায় পানি ছিটানো গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে বৃষ্টি না থাকায় দূষণ বাড়ছে। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।


পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সাত বছরে পরিবেশ দূষণ মাত্রায় দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেখানে বায়ুদূষণ মাত্রার বার্ষিক গড় মান ৩৫ এর কাছাকাছি থাকার কথা; সেখানে প্রতিবছরই ঢাকায় এ মান থাকে ৮০ এর উপরে। গতবছর ঢাকায় এ দূষণের মান ছিল ৮৩.৯। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণের মাত্রা যে হারে বাড়ছে তাতে পূর্বের বছরগুলো ছাড়িয়ে যেতে পারে। বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা ২০২৪ থেকে ২০৩০ গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে ইটভাটা বন্ধসহ নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

আইকিউএয়ারের মান অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তসত্তা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। গত বুধবার সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ছিল ৪১৪। যা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত।

বাংলাদেশে বছরে প্রায় এক লাখ দুই হাজার ৪৫৬ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। ছোট শিশুরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রতি বছর পিএম ২.৫ সংশ্লিষ্ট লোয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশনে পাঁচ হাজার ২৫৮ শিশুর মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালে বিশ্বের দূষিত দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বালু কণার বার্ষিক গড় মান ছিল ৭৯ দশমিক নয় মাইক্রোগ্রাম; যা বার্ষিক জাতীয় মান ৩৫ মাইক্রোগ্রামের দ্বিগুণের বেশি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। সিআরইএর মতে, বাংলাদেশের জাতীয় বায়ুমানের মান (৩৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) পূরণ করা সম্ভব হলেও মৃত্যুহার ১৯ শতাংশ, আয়ুষ্কালজনিত সমস্যা ২১ শতাংশ এবং অক্ষমতা নিয়ে বসবাসের বছর ১২ শতাংশ কমতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে চলা সম্ভব হলে প্রতি বছর ৮১ হাজার ২৮২ মানুষের জীবন রক্ষা করা যাবে।

ক্যাপস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এটি শুধু মানবদেহকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাই, এ মুহর্ত থেকেই দূষণ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ এবং নীতিমালা গ্রহণ করা না হলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বায়ুদূষণের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স-এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সরকারের উন্নয়ন দর্শনে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন। নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এজন্য আইন সংস্কারসহ এর কঠোর প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। সরকার বায়ুদূষণের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই নিচ্ছে না। শুধু পানি ছিটিয়ে দায় ছাড়ছে। সরকার যদি বায়ুদূষণকে গুরুতর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করত, তাহলে ইটভাটাগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হতো। ঢাকার অপরিকল্পিত উন্নয়নই বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। গাছ কমে যাওয়া, নদী দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার মতো ধ্বংসাত্মক কাজ চলছে। এসবের কারণেই বায়ুদূষণ হয়। বায়ুদূষণের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত না করে সরকার শুধু দায় এড়ানোর জন্য পানি ছিটানোর আশ্রয় নিয়েছে।


আরও খবর



রাজপুর উপজেলা কৃষক দলের নেতা কর্মীদের সতর্ক করে নোটিশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নসিম আকনের সদস্য পদ স্থগিত করার প্রতিবাদে গত ২৫ জানুয়ারি কৃষক দলের প্যাডে একটি নোটিশ করা হয়। 

ঝালকাঠী জেলা বিএনপি কর্তৃক রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ নাসিম উদ্দিন আকনের দলীয় পদ স্থগিত করার কারণে রাজাপুর উপজেলা বিএনপি ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সিদ্বান্তে অংশ এক প্রতিবাদ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল রাজাপুর উপজেলার সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ তারিখ বিকেলে ঝালকাঠি জেলা কৃষক দল রাজাপুর উপজেলা কৃষক দলকে সতর্ক করে নোটিশ করে।   নোটিশে বলা  হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা শাখা কমিটি গত ০১/০৯/২০২৪ইং তারিখে বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। অথচ গত ২৫/০১/২০২৫ই তারিখ রাজাপুর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফেইজবুক এর মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে একটি পোষ্ট করেছেন। উহা সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি ও ভিত্তিহীন। জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা শাখার কোন কমিটির অনুমোদন নেই। অতএব যাহারা এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেছেন তাদেরকে আগামীদিন গুলোর জন্য সর্তক করা হইল। ভবিষতে এহেন কর্মকান্ড সংঘঠিত হলে জেলা কৃষকদল আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিষয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জানান, আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করার পরেও জেলা - উপজেলার কর্মসূচী পালন করেছি। জেলার প্রোগ্রামে আমাদের ডাকে। আমরা নতুন করে জেলাতে অনুমোদনের নতুন কমিটিও সাবমিট করেছি। আমরা সেই অনুযায়ী বিবৃতি দিয়েছি।


আরও খবর