Logo
শিরোনাম

রাজাপুরে পিএফজি'র আয়োজনে বিশ্ব অহিংস দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

হাসিবুর রহমান , রাজাপুর 'ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলাধীন রাজাপুর উপজেলায় ০২ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ রোজ বুধবার সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা প্রেসক্লাব চত্বরে "পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ" (পিএফজির) রাজাপুর উপজেলা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব অহিংস দিবসে যথাযথ মর্যাদায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

> সংঘাত নয়- ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি।

> সহিংসতা বন্ধ করি, সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি।

 > অহিংস নীতি গ্রহন করি- শান্তি সম্প্রীতির বিশ্ব গড়ি।

> হিংসা বিদ্বেষ ত্যাগ করি- সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তুলি। 

> সন্ত্রাস ও সহিংসতা বন্ধ করি, শান্তি-সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি।

> গনতান্ত্রিক চেতনা লালন করি, শান্তি-সম্প্রীতির দেশ গড়ি।

> দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি নয়- শান্তি প্রতিষ্ঠায় চাই আদর্শবাদী রাজনীতি।

> সন্ত্রাস,সহিংসতাকে না বলি, সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি।


উপরোক্ত শ্লোগানের আলোকে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পিএফজির উপজেলা কোর্ডিনেটর ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সাইডোর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ হোসাইন আহমেদ কামাল এর সঞ্চালনায় ও পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু নিত্যানন্দ শাহা, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি -- দুলাল, উপজেলা ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক মোঃ নাজমুল, স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা ইব্রাহীম, পিএফজি সদস্য ও পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক গোপাল কর্মকার, সমাজকর্মী সাবিনা ইয়াসমিন প্রমূখ। উক্ত মানববন্ধনে ছাত্র, শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মাসজুড়ে বৃষ্টি তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় এবং কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহ চলছে, এবং কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় এর প্রভাব রয়েছে। তবে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং তাপপ্রবাহের প্রভাব ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে— রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলা, অর্থাৎ– রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, পটুয়াখালী, যশোর, কুষ্টিয়া, এবং মেহেরপুর, তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া, দিনাজপুর, নীলফামারী এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। তবে, এসব এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানিয়েছেন, সিলেটের কিছু অংশে মঙ্গলবার সারাদিন এবং বুধবার ভোর থেকে বৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে, রংপুর এবং দিনাজপুর অঞ্চলেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এসব বৃষ্টির কারণে তাপপ্রবাহ কমে যাবে এবং আবহাওয়া কিছুটা শীতল হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, দেশের অন্যান্য এলাকায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে, এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শুক্রবার, (৪ এপ্রিল) থেকে ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় আবারও দমকা হাওয়াসহ বজ্রপাত বা বৃষ্টি হতে পারে। এরপরের দুই দিনও ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ অন্যান্য অঞ্চলে বজ্রপাত এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ৫ বা ৬ এপ্রিল থেকে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে, এবং এর ফলে তাপমাত্রা কমে আসবে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, রংপুরের ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বুধবার সকালেও তিন ঘণ্টায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এপ্রিলে দেশে আরও এক বা দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং তাপমাত্রা ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। এপ্রিল মাসে দেশের আবহাওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক থাকতে পারে, কারণ তাপমাত্রা বেশিরভাগ জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা নিম্নচাপে বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে এটি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি তীব্র হতে পারে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।

এপ্রিল মাসে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি, এবং কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকতে পারে। এই মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।


আরও খবর



তুরস্কে এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উত্তাল তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

গত ১৯ মার্চ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইমামোলুসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে তুরস্কের পুলিশ। এরপরই রাজধানী ইস্তানবুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০১৩ সালের পর তুরস্কে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন। সেবার বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।

বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান

বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ইস্তানবুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জনসমাগমের ওপর পাঁচ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়, শুক্রবার ইস্তানবুলে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ পেপার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। রাজধানী আঙ্কারা ও ইজমিরেও বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা সরকারের কঠোর অবস্থানের তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই এরদোয়ানের শাসনকে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ বলে অভিহিত করে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

বিক্ষোভের কারণ কী?

সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে। ফলে দেশের নাগরিকদের একটি বড় অংশ অভিবাসনের চিন্তা করছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই অর্থনৈতিক দুরবস্থাই বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।

২০২৩ সালে পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ সুযোগ পেলে তুরস্ক ছাড়তে চান।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ঠিকভাবে কার্যকর নেই। অন্যদিকে, ইমামোলুর বক্তব্যে তারা আশার আলো দেখছেন। তাই তার গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে।

বিরোধী নেতাদের ধরপাকড়

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

সমালোচকদের দাবি, ২০২৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিরোধী দলীয় নেতাদের দমন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইস্তানবুলের মেয়রসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ইমামোলু তুরস্কের জনপ্রিয় বিরোধী নেতা এবং এরদোয়ানের সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। অভিযোগ উঠেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে অযোগ্য করতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

তুরস্কের আইন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকা আবশ্যক।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ

ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেছেন, “ইমামোলুর গ্রেপ্তার ও তার সনদ বাতিল গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।”

তবে প্রশাসন এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, তুরস্কের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন।

দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যম জুমহুরিয়েত-এর খবরে বলা হয়েছে, ইমামোলুকে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, “দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে কেউ বিক্ষোভ করলে তা সহ্য করা হবে না। আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করা হবে।”

তিনি বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে’ জড়িত থাকার অভিযোগও করেছেন।

নতুন কৌশলে বিরোধীরা

ইমামোলুকে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার কয়েক দিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিরোধী দলের নেতা ওজগুর ওজেল দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “সাংবিধানিকভাবে ইমামোলুকে হারাতে না পেরে আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

তবে ইমামোলুর গ্রেফতার সত্ত্বেও প্রাথমিক নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।

বিক্ষোভ দমনে প্রশাসনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ

বিশ্লেষকদের ধারণা, তুরস্ক সরকার ইমামোলুকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে তার স্থানে ট্রাস্টি নিয়োগ করতে পারে।

এর কারণ, তুরস্ক ও তার পশ্চিমা মিত্ররা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে। প্রশাসন যদি ইমামোলুকে এই সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দাবি করে, তাহলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, বিরোধীরা জানিয়েছেন, ৬ এপ্রিল একটি বাহ্যিক কংগ্রেস ঘোষণা করা হবে। সেখানে নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনার ঘোষণা আসতে পারে।


আরও খবর



মুরগির বাচ্চা সিন্ডিকেটের কোটি কোটি টাকার লুটপাট

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাতের প্রান্তিক খামারিরা এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি। ঈদকে কেন্দ্র করে অধিক দামে মুরগির বাচ্চা কিনতে বাধ্য হলেও এখন সেই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য চরম বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে ব্রয়লারের দাম নেমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না তারা। অথচ বড় কর্পোরেট গ্রুপগুলো ঈদের আগে বাচ্চার দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা খামারিদের দুর্দশাকে আরও গভীর করেছে।

প্রান্তিক খামারিরা বর্তমানে মুরগি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, অথচ তাদের উৎপাদন খরচ হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি মুরগিতে তারা ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত লোকসান দিচ্ছেন। এই ক্ষতি কতদিন বহন করা সম্ভব? সরকার কেন এখনো প্রান্তিক খামারিদের দুঃখ দুর্দশা পরিস্থিতির দিকে নজর দিচ্ছে না?

এই অন্যায্য পরিস্থিতির মধ্যে আরও এক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে—খামারে খামারে ভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব। নিম্নমানের, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা বাচ্চাগুলো সহজেই ভাইরাসের শিকার হচ্ছে, ফলে মৃত্যুহার বাড়ছে। অধিকাংশ খামারির মুরগি মারা যাচ্ছে, যার ফলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাচ্ছে।

একদিকে খামারিরা উৎপাদন খরচের বিপরীতে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ভাইরাসের কারণে মুরগি মারা যাচ্ছে। ফলে তারা প্রতিটি দিক থেকে লোকসানের মুখে পড়ছেন। একদিকে কোম্পানির সিন্ডিকেট, অন্যদিকে বাজার সিন্ডিকেট, সব মিলিয়ে প্রান্তিক খামারিরা চরম বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন।

এভাবে চলতে থাকলে তারা ধীরে ধীরে উৎপাদন থেকে সরে যেতে বাধ্য হবেন। দেশের পোল্ট্রি খাত সম্পূর্ণভাবে কর্পোরেট গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে, যার ফলে সাধারণ জনগণ উচ্চমূল্যে মাংস ও ডিম কিনতে বাধ্য হবে।

সরকারের উচিত দ্রুত সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, প্রান্তিক খামারিদের জন্য ভর্তুকি ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এবং নীতিমালার মাধ্যমে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অযৌক্তিক মুনাফা নিয়ন্ত্রণ করা। অন্যথায়, পোল্ট্রি খাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের বিদায় নেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা এবং এর ফলাফল দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।


আরও খবর



মডেল মেঘনার সঙ্গে এই আইন প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী বললেন, মডেল মেঘনা আলমের সঙ্গে এই আইন প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে, বিষয়টা তা নয়। তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি আদালতে গেছে। বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে সরকার একটা বেআইনি কাজ করে ফেলেছে। এই আইন যে ব্যবহৃত হচ্ছে না, তা নয়। তারা আদালতে গেছেন। আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমরা আদালতকে জবাব দেব।

মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াটা সঠিক হয়নি বলে আইন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন, আরেক সাংবাদিক এমন প্রসঙ্গ তুলে ধরে খোদা বখস চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন- আইন উপদেষ্টা কোনও প্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন, তা আমরা জানি না। তিনি আমাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতেও চাননি। এখন বিষয়টি আদালতে চলে গেছে।

১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জে আপনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, জনগণ এই সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়, কোন পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছিলেন- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি তো বলিনি সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়। এটা জনগণ বলেছে। সরকার তো বলে দিয়েছে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমি রাজনীতিবিদ নই। আমার এই কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না।

ডিবির প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশের পদগুলোতে যাবে, আসবে এটাই নিয়ম। মেঘনা আলমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে সরানো হয়নি। উনি হয়তো অসুস্থ আছেন, সে জন্য তাকে সরানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পেরিয়ে গেল, পুলিশ এখনো দায়িত্ব পালন করছে না, জনগণের অভিযোগ নিচ্ছে না এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, পুলিশ অভিযোগ নেয় না, এটা আজকের অভিযোগ নয়। বহু পুরোনো। অন্তর্বর্তী সরকার দুটি বিষয় অনলাইনে করতে যাচ্ছে। এক, জেনারেল ডায়েরি (জিডি), দুই, এফআইআর বা অভিযোগপত্র। প্রথমে দুটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে জিডি নেওয়া শুরু হবে। পরে এফআইআর নেওয়া শুরু হবে। ধীরে ধীরে একটা স্থায়ী সমাধান হবে।

জুলাই আন্দোলনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ধরছেন চুনোপুঁটিদের, রাঘববোয়ালদের ধরছেন না, এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাঘববোয়ালদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তাদের জালে আসতে হবে। রাঘববোয়ালরা জালে আসার পর যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন আপনারা অভিযোগ করতে পারেন।


আরও খবর



গজারিয়ার ফাঁস দিয়ে এক ইলেক্ট্রিশিয়ান শ্রমিকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

গজারিয়া থেকে সৈয়দ মোঃ শাকিল: মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের লস্করর্দী গ্রামে এক শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করার খবর পাওয়া গেছে।

 শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় হোসেন্দি ইউনিয়নের লস্করর্দী গ্রামের আব্দুস সালাম মিয়ার বাড়ি থেকে ফাঁসিতে লটকানো ঐ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ। 

স্থানীয় এলাকবাসী সূত্রের খোঁজ নিয়ে জানা যায় ফাঁসিতে নিহত মো.জুয়েল (২৫) তার বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায়।তিনি হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলের সিটি গ্রুপে ইলেক্টিশিয়ান হিসাবে কর্মরত ছিলেন।নিহত জুয়েল লস্করদী গ্রামের মুদি দোকানদার আব্দুস সালাম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।  

এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো: আব্দুল্লাহ জানায়, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে লস্করর্দী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া জুয়েলকে ব্যাচেলর বাসা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর