Logo
শিরোনাম

রাজধানীতে বেপরোয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে দুঃসহ যানজট সারাদেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট দেশের প্রধান এই দুই সমস্যার নেপথ্যে প্রায় ৫৫ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক ব্যাটারির মাধ্যমে পরিচালিত হয় বলে এসব যানের ব্যাটারি কয়েক ঘণ্টা পরপর চার্জ দিতে হয় হাসিনা সরকারের আমলে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সব যানের চার্জিং ব্যবসা করতো আওয়ামী লীগ এর অঙ্গ সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা বর্তমানে তাদের অধিকাংশ পলাতক থাকলেও ব্যবসা চলছে আগের মতোই ৫৫ লাখ অবৈধ যান প্রতিদিন প্রায় ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত গিলে খাচ্ছে এর মধ্যে ৫০০ ওয়াটের টাকাও বিদ্যুৎ বিভাগ পাচ্ছে না

হাসিনা সরকারের আমলে অবৈধ এসব যান চলাচল নিষিদ্ধের জোড়ালো দাবি উঠলেও সরকার রাজনৈতিক কারণে এগুলো বন্ধ না করে অবাধে চলাচলের সুযোগ করে দেয় এসব যান নিষিদ্ধ করার দাবিতে সবচেয়ে বেশি সরব ছিল সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি শ্রমিক ইউনিয়ন সেই সময় আন্দোলনরত শ্রমিক ইউনিয়নের একজন নেতা জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ে একবার সভা ডেকেছিলেন সেই সভায় তিনি ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে বিদ্যুত চুরির বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন

 তখন সভায় উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী চৌধুরী ওই নেতাকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে আপনার এত ভাবনা কেন? বিদ্যুৎ আমি দেবো ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পদাক মো. হানিফ খোকন সেদিনের কথা স্মরণ করে বলেন, মূলত তারা বিদ্যুৎ চুরিসহ উল্টাপাল্টা পলিসি নিয়ে রাষ্ট্রের চরম ক্ষতি করেছেন দলের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের প্রকল্প নিয়ে দেশকে ফতুর করেছেন যেটা এখন সবাই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যানজটে স্থবির রাজধানী ঢাকা। অলিগলিসহ ভিআইপি রাস্তাগুলোতে যানবাহন আটকে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এর কারণ নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক অবাধে চলছে রাজধানীর ভিআইপি সড়কসহ সকল সড়কে। এগুলো ভিড়ে যানবাহনের চাপ এতটাই বেড়েছে যে কোন গাড়িই আর ঠিকমতো চলতে পারছে না। বাস, সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে এখন কমপক্ষে লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রবেশ করেছে ঢাকা এর আশপাশের এলাকা থেকে প্রবেশ করেছে আরও কমপক্ষে এক লাখ ইজিবাইক। ঢাকায় মোটরসাইকেল চলাচল করছে প্রায় ১২ লাখ।

এর সাথে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত ২৫ লাখ যানবাহন তো আছেই। সব মিলে ঢাকার রাস্তা এখন যানবাহনের দখলে। এতে করে স্বাভাবিক নিয়মেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকায় যে চার হাজার ট্রাফিক পুলিশ আছে, তারা মূলত নিস্ক্রিয়। কারণে দিনের শুরুতে একবার যানজট সৃষ্টি হলে তা ক্রমে বাড়তে বাড়তে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ভাদ্রের দাবদাহে মানুষ হয়ে উঠছে অতিষ্ট

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, প্রতিটি রিকশা গ্যারেজেই নিষিদ্ধ এসব অটোবাইক রিকশার ব্যাটারি চার্জ করা হয় সবগুলোতেই ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন ফলে প্রতিদিন উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে প্রায় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গিলে খাচ্ছে এই ব্যাটারিচালিত রিকশা তিন চাকার ইজিবাইক বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে তার মানে এসব যান নিয়ন্ত্রণ করা গেলে উৎপাদিত বিদ্যুত দিয়েই সারাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব


জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা তিন চাকার ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। সাধারণত একটি ইজিবাইক চালানোর জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে থেকে ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসেবে ৫৫ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং তিন চাকার ইজিবাইক চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। কিন্তু এর বেশির ভাগ বিদ্যুৎ গ্যারেজ মালিকরা অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন।

বিষয়ে ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খোকন বলেন, ৫৫ লাখের কম-বেশি ইজিবাইক ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। যদিও এর কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। আর সরকারও এর সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না। এগুলো শুধু বিদ্যুৎ খরচ করছে না, এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক সড়ক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। একই সঙ্গে সড়কে যানজটের সৃষ্টি করছে। এসব যানের ব্রেক সাসপেনশন সিস্টেম মোটেও ভালো নয়। যাত্রীর তুলনায় হালকা হওয়ায় এগুলো সহসাই উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। সরকারের উচিত মফস্বলে এগুলো রেশনিং সিস্টেমে চলাচলের ব্যবস্থা করা। আর দীর্ঘমেয়াদী সুরাহার জন্য বিকল্প উন্নতমানের যানবাহন আমদানি করে যারা এসব যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। সেই সাথে রাজধানীতে এসব যান চলাচল একেবারে নিষিদ্ধ করা

জানা যায়, ২০১৪ সালে ঢাকা চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। এরপর ২০১৭ সালে এসব পরিবহন বন্ধে আরেক দফা নির্দেশনা আসে হাই কোর্টের। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর অটোরিকশা বন্ধ আমদানি নিষিদ্ধ করে আবারও নির্দেশনা দেন হাই কোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ২০ জুন এসব রিকশা-ভ্যান বন্ধের নির্দেশ দেন। বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশনও এগুলো বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু এসবের সংখ্যা না কমে বরং বাড়তে থাকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু রাজধানী নয়; দেশের জেলা, উপজেলা, গ্রাম পাড়া-মহল্লায় চলছে এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা তিন চাকার ইজিবাইক।

  অবৈধ বাহনের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। সারা দেশে জেলা-উপজেলা শহরগুলোতে বিদ্যুৎ চুরির অন্যতম প্রধান কারণ নিষিদ্ধ ইজিবাইক বা অটোরিকশা। দেশের ৯০ শতাংশ গ্যারেজেই নিষিদ্ধ এসব অটোবাইকের ব্যাটারি চার্জ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন। অনেক স্থানে চলছে মিটার টেম্পারিংয়ের মতো ঘটনাও। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কোনো সংস্থা

 


আরও খবর



পলিথিন ব্যাগ ১ নভেম্বর থেকে নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, পলিথিন জাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ। কোনো ক্রেতাকে আগামী ১ নভেম্বর থেকে এ ব্যাগ দেয়া যাবে না। এছাড়া পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ কার্যক্রমে কাঁচা বাজার ও পলিথিন উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালানো হবে।

এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছিলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন বা পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না। এমনকি ক্রেতাদের এ ধরনের ব্যাগ দেয়াও যাবে না

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে প্রতিটি সুপারশপ বা শপের সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ রাখা হবে ক্রেতাদের জন্য

এ উদ্দেশে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ১ অক্টোবরের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানোর কথাও জানিয়েছিলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। একইসঙ্গে পত্রিকায় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি

এবার পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের বিষয়টি বাস্তবায়নে সব ধরনের কাঁচা বাজারেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। একইসঙ্গে এ ধরনের ব্যাগ যেন আর উৎপাদন না হয়, সেজন্য কারখানাগুলোয়ও অভিযান চালানো হবে


আরও খবর



চিকিৎসা সেবায় পাল্টে গেছে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গ্রামীণ জনপদে সেবার এক অনন্য রংপুরের পীরগাছায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ উপজেলার বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।


সার্বিক অবকাঠামোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি, নিয়ম শৃঙ্খলার উন্নতি ও সেবার মানে ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে হাসপাতালটির সেবা নিয়েও এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট।


জানা গেছে, ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মোট -১৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে ০৪ জন কনসালটেন্ট ও ২৫ জন নার্স নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন।


 উপজেলার বিভিন্ন এলাকা  থেকে আসা প্রতিদিন ৫০০-৬০০ জন রোগী সেবা নিচ্ছেন। জরুরী বিভাগে প্রতিদিন ১০০-১৫০ জন রোগী সেবা নিয়ে থাকে।


 প্রতিমাসে প্রায় ০১-০৮ জন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি করা হয়। সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হয় ০১-০৩ জনকে। 


এ ছাড়াও জরুরী প্রয়োজন বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ডেলিভারী ব্যবস্থা চালু রয়েছে। 


 নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়। 


স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী জানান, হাসপাতালটিতে সেবার দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন বর্তমান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিশ্বেশ্বর চন্দ্র বর্মন।


তিনি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের খাবার মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সুবিধা-অসুবিধা, ফুল-ফলাদির বাগানসহ সার্বিক বিষয়ে নানা মুখী সৃজনশীল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। উপজেলার কিসামত ঝিনিয়া এলাকা থেকে  চিকিৎসা নিতে আসা শাহাদুল ইসলাম বলেন, এক সময় নিয়মিত চিকিৎসক ও ওষুধ পাওয়া যেত না । এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসক রয়েছেন, আমরাও উন্নত মানের সেবা পাচ্ছি। বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ডা.আজিজ নাদিম বলেন, প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা বিভিন্ন ধরনের রোগীকে আমরা যত্নসহকারে চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করছি। 


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, কিভাবে আরো সহজে প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়েও প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দিক-নির্দেশনা দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। 


সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সৃজনশীল ভাবনা, শৃঙ্খলা ও যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 


এদিকে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যানুযায়ী,  চলতি বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আউটডোরে ৯৬ হাজার ৯২৪ জন ও হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ৫০০ জনকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মোট ৩১২ জনকে ডেলিভারী করা হয়েছে। এর মধ্যে নরমাল  ৩০০ জন ও সিজারিয়ান ডেলিভারী ১২ জন। 


আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে কনসালটেন্ট ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য সেবার মান আরো উন্নত করতে আমাদের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ।


এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.বিশ্বেশ্বর চন্দ্র বর্মন  বলেন, রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসক-নার্স সকলেই নিরলস ভাবে কাজ করছি,বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে জেনারেটর চালু রাখতে হচ্ছে। তবে সরকারি ভাবে জেনারেটরের তেল বরাদ্দ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।


আরও খবর



সাবেক মন্ত্রীসহ ১২০ জনের অনিয়ম অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ পর্যন্ত আলোচিত ১২০ জন সাবেক শীর্ষ আমলা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ব্যবসায়ী, পুলিশের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি। তাদের সম্পত্তি, নামে-বেনামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে  টাকার পরিমাণ খোঁজ নিচ্ছে তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) তাদের সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। অনেকের বিদেশে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে

এমনকি বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে ৭১টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুদক। আবার অনেকে দুর্নীতির  জালে ধরা পড়ার আশঙ্কায় গা ঢাকা দিয়েছেন। বিদেশে পালিয়েছেন অনেকে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে অনেকে ধরা পড়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের তিন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা ধরে এগোচ্ছে দুদক। 

ইতোমধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ), সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, ফেনী-২ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের একাধিক ল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া অর্থপাচারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা

 দুদকের সর্বশেষ অনুসন্ধানের আওতায় আসা এই ১২০ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ ব্যাংক ঋণ ও  শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার, নিয়োগ বাণিজ্য,  টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, সরকারি ও  বেসরকারি জমি-সম্পত্তি দখল, লুটপাটসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে



তদন্ত  সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আমলের ২০ মন্ত্রী, ৮ প্রতিমন্ত্রী, ৫২ এমপি, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের ৪ উপাচার্য, ২ মেয়র ও সচিব, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাবেক-বর্তমান অনেকে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা  দেওয়া হয়েছে

দুদক থেকে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে ঘুষ, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়ে বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখন পর্যন্ত ১০০ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

গত বুধবার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীসহ সাবেক ১০ জন এমপিসহ ২০ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান  শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আপাতত তাদের মামলা দায়েরের দিকে না গিয়ে অনুসন্ধানের তালিকা বড় করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। তাদের অনেককেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গ্রেপ্তার করেছে

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, দুদকের এখন কৌশল হচ্ছে, সংবাদপত্র কিংবা ব্যক্তি মাধ্যমে বিগত সরকারের দায়িত্বশীল কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এলে এই গোয়েন্দা ইউনিট থেকে সেসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করবে। সম্প্রতি দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন একই সুরে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্যে প্রাথমিক সত্যতা থাকায় কমিশন তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের তিন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা ধরে এগোচ্ছে কমিশন

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমে আরও রয়েছেন, দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম ও মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন। 

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের একান্ত সচিব (পিএস) হারুন-অর রশিদ বিশ্বাস। নিয়োগ-বাণিজ্য, জমি দখল, লুটপাট ও প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাৎ করে গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ। অবৈধ সেই সম্পদের পাহাড়ের সন্ধানে তাকে ও তার স্ত্রী ওয়াহিবা আক্তার এবং মেয়ে দোয়া বিনতে রশীদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দিয়ে সরকারি-বেসরকারি অন্তত ৯৯টি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করে চিঠি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান কর্মকর্তা। চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা তলবি চিঠিতে তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্ল্যাট ও শেয়ারসহ বিভিন্ন নথিপত্র তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে

দুদক  সূত্র জানায়,  রাজধানীর কল্যাণপুরে হারুন বিশ্বাসের নিজের নামে চারটি ফ্ল্যাট ও ঢাকার সাগুফতায় রয়েছে ২০ কাঠা জমি। হারুন বিশ্বাস ও মন্টু বিশ্বাস প্যাদারহাট ওয়াহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি এবং নিয়োগ-বাণিজ্য করে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মণ্টু বিশ্বাস দক্ষিণ কাজীরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ-বাণিজ্য করে এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে মুলাদী থানার ৭ নম্বর কাজীরচর ইউনিয়নে প্রায় ২০০ বিঘা জমি ক্রয় করেন

মণ্টু বিশ্বাসের মাছের ঘের ও গরুর খামার আছে। এমনকি সরকারি খাল দখল করে ১৫ একর জমির ওপর গড়েছেন মাছের ঘের। এ ব্যাপারে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে

অভিযোগ রয়েছে আসাদুজ্জামান খান ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ দিতেন। তৎকালীন মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে হারুন অর রশীদ অবসরে গেলেও এই মন্ত্রণালয়ের সব ঘুষ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা ছিলেন যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু। ঘুষের বিশাল অংকের টাকা বিদেশে পাচার করে দিতেন। যাতে কেউ ঝুঁকিতে থাকতে না হয়। 

এ ছাড়া অনুসন্ধান শুরু হয়েছে আলোচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল, সাবেক ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপসহ চার সাবেক এমপি, সমালোচিত ব্যবসায়ী এস আলম, ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস আলম) ও পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীসহ অনেকের বিরুদ্ধে। 

ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস আলম) ও পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। এস আলমের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক ইয়াসিন আরাফাতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে

আর চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক বাড়ি রয়েছে এমন অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। সোবহানের সম্পদ অনুসন্ধানে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) করেছে দুদক

দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) একাধিক প্রভাবশালীর সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এসব তথ্য পাওয়া গেলে আরও প্রভাবশালীর দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করতে পারে দুদক। সূত্রগুলো জানায়, দুদকের তদন্ত দলকে সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে অভিযুক্তদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো চালায়

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও তার পরিবার, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেট। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিশাল এই সিন্ডিকেটটি

চক্রটি চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক নুরুল হুদার নেতৃত্ব তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়

যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু ॥ আওয়ামী লীগ আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ), নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, রেলমন্ত্রী মো. জিলুল হাকিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ আমলের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী  মন্নুজান সুফিয়ান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে

অন্যদিকে বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, চট্টগ্রাম বিশবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। 

অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা গত ১ নভেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের বিদেশযাত্রায়ও আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। গত ২ সেপ্টেম্বর সাবেক ১৭ মন্ত্রী ও ৯ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। এছাড়া গত ২৯ আগস্ট সাবেক ৯ মন্ত্রী ও ৫ সংসদ সদস্যের বিদেশযাত্রায় আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যাগ ॥ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ১২ দেশে ৭১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ২৭টি এমএলএআরের জবাব পেয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান

দুদক মহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়ায়, সিঙ্গাপুরে মানি লন্ডারিং বেশি হয়। পাচার হওয়া অর্থের তথ্য চেয়ে দুদক ৭১ টি চিঠি পাঠিয়ে জবাব পেয়েছে মাত্র ২৭টির। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দুদক কীভাবে সহযোগিতা পেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে  বৈঠকে

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ধারাবাহিকভাবে দুদকের সঙ্গে পাচারকৃত অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভা করেছেন

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলোচিত কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। যার মধ্যে রয়েছে ছাগল কাণ্ডে নাম আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এ ছাড়া করোনা রিপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল কালাম আজাদ, সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনের নামে মামলা করেছে দুদক। মধ্য জুলাই থেকে দুদকের কার্যক্রমে কিছুটা ধীর গতি দেখা যায়। এ সময় কমিশনের মামলা, অভিযোগপত্র কিংবা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত ছিল কম


আরও খবর



কমলনগরে মাছঘাট দখল-চাঁদাবাজিতে পদ হারালেন যুবদল নেতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মাছঘাট দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদলের সদস্য পদ থেকে হেলাল উদ্দিন নামে এক নেতাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার  (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে জেলা যুবদলের সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শামছুল আহসান মামুন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

হেলাল কমলনগর উপজেলার সাহেবের হাট ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহবায়ক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হেলাল সাহেবের হাট ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার)। তিনি যুবদল নেতা পরিচয়ে জোরপূর্বক মাতাব্বরহাট মাছঘাটের বাক্স দখল করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জেলে-আড়তদারদের কাছে চাঁদা দাবি ও হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বহিস্কারাদেশের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় নির্দেশনা ভঙ্গ, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও অপরাধ কার্যকলাপে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে হেলালকে দলের সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। জেলা যুবদলের আহবায়ক রেজাউল করিম লিটন, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম হুমায়ুন ও সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন।

বহিস্কৃত যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, কি কারণে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে তা আমার জনা নেই। জেলা নেতারা কোথায় আমার ত্রুটি বিচ্যুতি পেয়েছেন তাও কিছু জানি না।

জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের কোন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হেলালকে বহিস্কার করা হয়েছে।ব্যক্তির অপরাধের দায়ভার দল নেবে না। বহিস্কৃতদের সঙ্গে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।



আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে যা জানাল বিএনপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করেছে বিএনপি। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন সংস্কারসহ বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেছে দলটি।

শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। এদিন দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে সংলাপ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সংস্কার এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারগুলো আমরা তুলে ধরেছি। আমাদের মতামতও দিয়ে এসেছি। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আর আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি। নির্বাচন কমিশন, কবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মাস, দিনকাল নিয়ে কথা বলি না। উনি যেটা আমাদের বলেছেন, নির্বাচনই আমাদের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ

বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে সংলাপে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর