Logo
শিরোনাম

রাজধানীতে বেপরোয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

রাজধানীতে দুঃসহ যানজট সারাদেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট দেশের প্রধান এই দুই সমস্যার নেপথ্যে প্রায় ৫৫ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক ব্যাটারির মাধ্যমে পরিচালিত হয় বলে এসব যানের ব্যাটারি কয়েক ঘণ্টা পরপর চার্জ দিতে হয় হাসিনা সরকারের আমলে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সব যানের চার্জিং ব্যবসা করতো আওয়ামী লীগ এর অঙ্গ সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা বর্তমানে তাদের অধিকাংশ পলাতক থাকলেও ব্যবসা চলছে আগের মতোই ৫৫ লাখ অবৈধ যান প্রতিদিন প্রায় ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত গিলে খাচ্ছে এর মধ্যে ৫০০ ওয়াটের টাকাও বিদ্যুৎ বিভাগ পাচ্ছে না

হাসিনা সরকারের আমলে অবৈধ এসব যান চলাচল নিষিদ্ধের জোড়ালো দাবি উঠলেও সরকার রাজনৈতিক কারণে এগুলো বন্ধ না করে অবাধে চলাচলের সুযোগ করে দেয় এসব যান নিষিদ্ধ করার দাবিতে সবচেয়ে বেশি সরব ছিল সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি শ্রমিক ইউনিয়ন সেই সময় আন্দোলনরত শ্রমিক ইউনিয়নের একজন নেতা জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ে একবার সভা ডেকেছিলেন সেই সভায় তিনি ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে বিদ্যুত চুরির বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন

 তখন সভায় উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী চৌধুরী ওই নেতাকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে আপনার এত ভাবনা কেন? বিদ্যুৎ আমি দেবো ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পদাক মো. হানিফ খোকন সেদিনের কথা স্মরণ করে বলেন, মূলত তারা বিদ্যুৎ চুরিসহ উল্টাপাল্টা পলিসি নিয়ে রাষ্ট্রের চরম ক্ষতি করেছেন দলের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের প্রকল্প নিয়ে দেশকে ফতুর করেছেন যেটা এখন সবাই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যানজটে স্থবির রাজধানী ঢাকা। অলিগলিসহ ভিআইপি রাস্তাগুলোতে যানবাহন আটকে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এর কারণ নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক অবাধে চলছে রাজধানীর ভিআইপি সড়কসহ সকল সড়কে। এগুলো ভিড়ে যানবাহনের চাপ এতটাই বেড়েছে যে কোন গাড়িই আর ঠিকমতো চলতে পারছে না। বাস, সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে এখন কমপক্ষে লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রবেশ করেছে ঢাকা এর আশপাশের এলাকা থেকে প্রবেশ করেছে আরও কমপক্ষে এক লাখ ইজিবাইক। ঢাকায় মোটরসাইকেল চলাচল করছে প্রায় ১২ লাখ।

এর সাথে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত ২৫ লাখ যানবাহন তো আছেই। সব মিলে ঢাকার রাস্তা এখন যানবাহনের দখলে। এতে করে স্বাভাবিক নিয়মেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকায় যে চার হাজার ট্রাফিক পুলিশ আছে, তারা মূলত নিস্ক্রিয়। কারণে দিনের শুরুতে একবার যানজট সৃষ্টি হলে তা ক্রমে বাড়তে বাড়তে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ভাদ্রের দাবদাহে মানুষ হয়ে উঠছে অতিষ্ট

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, প্রতিটি রিকশা গ্যারেজেই নিষিদ্ধ এসব অটোবাইক রিকশার ব্যাটারি চার্জ করা হয় সবগুলোতেই ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন ফলে প্রতিদিন উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে প্রায় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গিলে খাচ্ছে এই ব্যাটারিচালিত রিকশা তিন চাকার ইজিবাইক বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে তার মানে এসব যান নিয়ন্ত্রণ করা গেলে উৎপাদিত বিদ্যুত দিয়েই সারাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব


জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা তিন চাকার ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। সাধারণত একটি ইজিবাইক চালানোর জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে থেকে ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসেবে ৫৫ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং তিন চাকার ইজিবাইক চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। কিন্তু এর বেশির ভাগ বিদ্যুৎ গ্যারেজ মালিকরা অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন।

বিষয়ে ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খোকন বলেন, ৫৫ লাখের কম-বেশি ইজিবাইক ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। যদিও এর কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। আর সরকারও এর সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না। এগুলো শুধু বিদ্যুৎ খরচ করছে না, এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক সড়ক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। একই সঙ্গে সড়কে যানজটের সৃষ্টি করছে। এসব যানের ব্রেক সাসপেনশন সিস্টেম মোটেও ভালো নয়। যাত্রীর তুলনায় হালকা হওয়ায় এগুলো সহসাই উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। সরকারের উচিত মফস্বলে এগুলো রেশনিং সিস্টেমে চলাচলের ব্যবস্থা করা। আর দীর্ঘমেয়াদী সুরাহার জন্য বিকল্প উন্নতমানের যানবাহন আমদানি করে যারা এসব যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। সেই সাথে রাজধানীতে এসব যান চলাচল একেবারে নিষিদ্ধ করা

জানা যায়, ২০১৪ সালে ঢাকা চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। এরপর ২০১৭ সালে এসব পরিবহন বন্ধে আরেক দফা নির্দেশনা আসে হাই কোর্টের। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর অটোরিকশা বন্ধ আমদানি নিষিদ্ধ করে আবারও নির্দেশনা দেন হাই কোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ২০ জুন এসব রিকশা-ভ্যান বন্ধের নির্দেশ দেন। বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশনও এগুলো বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু এসবের সংখ্যা না কমে বরং বাড়তে থাকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু রাজধানী নয়; দেশের জেলা, উপজেলা, গ্রাম পাড়া-মহল্লায় চলছে এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা তিন চাকার ইজিবাইক।

  অবৈধ বাহনের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। সারা দেশে জেলা-উপজেলা শহরগুলোতে বিদ্যুৎ চুরির অন্যতম প্রধান কারণ নিষিদ্ধ ইজিবাইক বা অটোরিকশা। দেশের ৯০ শতাংশ গ্যারেজেই নিষিদ্ধ এসব অটোবাইকের ব্যাটারি চার্জ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন। অনেক স্থানে চলছে মিটার টেম্পারিংয়ের মতো ঘটনাও। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কোনো সংস্থা

 


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ঝালকাঠিতে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১২ জুন) দুপুরে রাজাপুর-ভাণ্ডারিয়া আঞ্চলিক সড়কের পাকাপুল এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিকআপটি ভাণ্ডারিয়া থেকে রাজাপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা হানিফ পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস পিকআপটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, “ঘটনার পর পরই পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


আরও খবর



তিন মাসে ব্যাংকে ৪০ হাজার কোটি টাকা আমানত বেড়েছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশের ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এতে করে মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে আমানতের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ২৩ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এই পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। তিন মাসে আমানত বেড়েছে ৩৯ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা, যা প্রায় ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানত বেড়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ২০২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের মার্চ শেষে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।

এই সময়ে গ্রামীণ এলাকায় আমানত প্রবৃদ্ধি ছিল তুলনামূলক বেশি। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে গ্রামীণ এলাকায় আমানত বেড়েছে তিন শতাংশের বেশি, যেখানে শহরাঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ছিল এক দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে মোট আমানতের অধিকাংশই এখনো শহরকেন্দ্রিক। মার্চ শেষে শহরাঞ্চলের আমানতের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ২২ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, যা মোট আমানতের প্রায় ৮৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে আমানতের পরিমাণ তিন লাখ এক হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমানতের সঙ্গে সুদহারও বেড়েছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে গড় সুদহার ছিল ৬.০৪ শতাংশ, যা মার্চ শেষে বেড়ে সোয়া ছয় শতাংশ হয়েছে। সুদহার বৃদ্ধিই আমানত প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে জনগণের আস্থা কমে গিয়েছিল। বেশ কয়েকটি ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দেয় এবং কিছু ব্যাংক আমানত ফেরত দিতেও ব্যর্থ হয়। সরকারও ব্যাংক খাত থেকে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে বেশি পরিমাণে অর্থ ধার করায় সুদহার বেড়ে যায়, যার ফলে আমানতের প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়ে।

তবে গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একাধিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তনের পর নতুন ব্যবস্থাপনা আমানত সংগ্রহে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তারা সুদহার বাড়িয়ে নতুন আমানত আকর্ষণ করে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে সামগ্রিক আমানত প্রবৃদ্ধিতে।

এদিকে, তিন মাসে আমানত যেমন বেড়েছে, তেমনি ঋণও বেড়েছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। গত প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এই পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। তিন মাসে ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা বা এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।

ঋণের ক্ষেত্রেও শহর ও গ্রামের মধ্যে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। মার্চ শেষে মোট ঋণের ৯২ শতাংশ, অর্থাৎ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা গেছে শহরাঞ্চলে। অন্যদিকে, গ্রামীণ অঞ্চলে গেছে মাত্র এক লাখ ৩৬ হাজার ৭২১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের মাত্র আট শতাংশ।


আরও খবর



প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত এবং এতে গুণগত কিংবা কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন নেই।

সোমবার বিকেলে বনানীর হোটেল সেরিনায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই বাজেটে রাজস্ব আয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। ব্যাংক হতে সরকার যদি লোন নেয়, তখন প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ হয় না। রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ে চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত।বাজেটের মৌলিক দিক নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে আমির খসরু বলেন, এই বাজেটে মৌলিক জায়গায় দূরত্ব রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, গুনগত দিক থেকে আমরা কোন পরিবর্তন দেখি না। কাঠামোগত কিন্তু আগের টাই রয়ে গেছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




৩০টি বড় অর্থপাচার মামলার প্রস্তুতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশ থেকে বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে চলতি বছরের মধ্যে ৩০টি বড় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার লিটিগেশন ফান্ড সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর।

লন্ডনের খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ডিএলএ পাইপার এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে বিশ্বখ্যাত লিটিগেশন ফান্ডিং প্রতিষ্ঠান ও তদন্ত কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ১০ থেকে ১৩ জুন লন্ডনে চার দিনব্যাপী সরকারি সফর সম্পন্ন করেছেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন, যা দেশের সম্পদ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্স প্রবাহ সহজীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গভর্নর মূলত প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডনে যান। তবে তিনি স্বতন্ত্রভাবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে সহায়ক হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, গোলটেবিলে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ওমনি ব্রিজওয়ে, বেঞ্চওয়াক ক্যাপিটাল, আলভারেজ অ্যান্ড মার্সাল এবং ইউনিটাস গ্লোবাল।

অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে চুক্তি (এনডিএ) স্বাক্ষর করে ঋণ খেলাপি ও পাচার হওয়া সম্পদের তথ্য বিনিময় শুরু করার ওপর জোর দেন, যাতে আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ত্বরান্বিত করা যায়।

গভর্নর ড. মনসুর আলোচনায় বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক চায় এই মামলাগুলোর মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনতে। তিনি প্রস্তাব করেন, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরের মতো প্রধান অর্থপাচার গন্তব্য দেশে মামলা পরিচালনার জন্য একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) গঠন করা যেতে পারে, যা সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষা করবে।

গভর্নরের এই ঘোষণাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুধু দেশের আর্থিক খাত নয়, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নতুন একটি মাত্রা ছুঁতে যাচ্ছে।

এ সফর ও রাউন্ড টেবিল আলোচনার পর আন্তর্জাতিক লিটিগেশন ফান্ডিং ও তদন্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ১১ জুন গভর্নর ড. মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) পরিদর্শন করেন এবং আইএসিসিসি প্রধান ড্যানিয়েল মারফিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে গভর্নর বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার টাস্কফোর্সের সঙ্গে আইএসিসিসির চলমান সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং ১১টি অগ্রাধিকার সম্পদ পুনরুদ্ধার মামলায় গঠিত যৌথ তদন্ত দলের (জেআইটি) কারিগরি সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যে প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ১৭০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ এবং সম্প্রতি বেক্সিমকো গ্রুপের শায়ান রহমান ও শাহরিয়ার রহমানের ৯০ মিলিয়ন ডলার সম্পদের জব্দকরণ বাংলাদেশের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার একটি বড় অর্জন। গভর্নর আশা প্রকাশ করেন, এই পদক্ষেপ অন্যান্য অর্থপাচার গন্তব্য দেশগুলোকেও অনুপ্রাণিত করবে।

এনসিএ সফরের পর গভর্নর লন্ডনে আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ডিএলএ পাইপার আয়োজিত একটি গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। আলোচনায় ওমনি ব্রিজওয়ে, বেঞ্চওয়াক ক্যাপিটাল, আলভারেজ অ্যান্ড মার্সাল এবং ইউনিটাস গ্লোবালসহ বহু বৈশ্বিক তদন্ত ও লিটিগেশন ফান্ডিং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে চলতি বছরের মধ্যে ৩০টি বড় মামলা চালাতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের লিটিগেশন ফান্ডিং সংগ্রহের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে গোপনীয়তা চুক্তি (এনডিএ) সই করে তথ্য বিনিময় ও সম্পদ শনাক্তকরণের কাজ শুরুর আহ্বান জানান।

গভর্নর এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোতে মামলার জন্য একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) গঠন করা হলে তা সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঝুঁকিও কমাবে।


আরও খবর



ইরানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতায় লিপ্ত মুসলিম দেশগুলো

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিজেদের আকাশসীমায় ভূপাতিত করছে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ জর্ডান। এছাড়াও ইরানের হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আরব রাষ্ট্র যখন ইরানের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে জর্ডান কেন এর বিপরীত।

প্রকৃতপক্ষে, জর্ডানের জনসংখ্যার ২০ থেকে ৫০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত, যার মধ্যে দেশটির রানী রানিয়াও রয়েছেন- যিনি গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের স্পষ্ট বিরোধী ছিলেন। তবুও বেশিরভাগ আরব দেশের বিপরীতে, জর্ডান ঠিক বিপরীতভাবে কাজ করছে। জর্ডানের বিমান বাহিনী তাদের আকাশসীমা অতিক্রম করে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে অভিমুখে আসা ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দিচ্ছে এবং গুলি করে ভূপাতিত করছে বলে জানা গেছে।

জর্ডান প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র। ২০২১ সালের শুরুতে জর্ডান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী সামরিক প্রশিক্ষণ, অনুশীলন কৌশল এবং ট্রানজিটের মতো বিভিন্ন কার্যকলাপের জন্য মার্কিন সামরিক কর্মীদের জন্য জর্ডানে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে এতে জর্ডানের যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কোনো সামরিক অভিযানে সহায়তার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।

অন্যদিকে ১৯৯৪ সালের ইসরায়েলের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি করে জর্ডান, তবে দুটি দেশের মধ্যে একে অপরকে সামরিকভাবে সমর্থন করার কথা উল্লেখ নেই।

মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার ক্ষেত্রে জর্ডানের সিদ্ধান্তের পিছনে অন্যান্য কারণও রয়েছে। কিছু ড্রোন, অথবা ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ইসরায়েলের ওপর না পড়ে জর্ডানের ভূখণ্ডে পড়েতে পারে। আম্মানের যুক্তি তারা ইসরায়েলকে সমর্থন করার চাইতে ইরানের ভুলভাবে ছোড়া ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে নিজস্ব ভূখণ্ডকে রক্ষা করছে।

জর্ডানের সেনাবাহিনী বলছে, তারা মূল্যায়ন করেছে ইরানের ছোড়া কোন ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে পারে এবং কোনগুলো জর্ডানে অবতরণ করতে পারে।

তবে ইরানের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় জর্ডানের অংশগ্রহণের কারণ যাই হোক না কেন, তা ইসরায়েল এবং তার বন্ধুদের সম্মিলিত প্রতিরক্ষামূলক প্রচেষ্টাকে সাহায্য করেছে- যার ফলে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া বোশর ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর জন্য, ইসরায়েল জর্ডানের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।


আরও খবর