Logo
শিরোনাম

রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ ও আ.লীগের পাল্টা কর্মসূচি আজ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image



বর্তমান টুডেস রিপোর্ট:


খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ বড় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।


আজ  শনিবার (২৯) বেলা ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ হবে। একই সময়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। 


প্রায় আট মাস পর দলীয় প্রধানের মুক্তির দাবিতে বিএনপি এ কর্মসূচি নিয়েছে। সমাবেশে ঢাকা মহানগর ও জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও নেতা-কর্মীরা যোগ দেবেন বলে দলীয় সূত্র জানা গেছে।



দলীয় সূত্র জানা গেছে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনেক দিন পর কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এ কারণে সমাবেশটি বড় করতে সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতারা।



বর্তমানে ঢাকা মহানগরে বিএনপির কোনো কমিটি নেই। তাই কেন্দ্রীয় বিএনপির ব্যানারে এই সমাবেশ হবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এতে প্রধান অতিথি থাকবেন।


 সভাপতিত্ব করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন। 


এদিকে, দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তারা শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা করবে। 


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এতে প্রধান অতিথি থাকবেন।


সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ হঠাৎ করেই শুক্রবার বিকালে আলোচনা সভার কর্মসূচি ঘোষণা করে। প্রতিষ্ঠার প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হলেও এ বিষয়ে আগে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না বলে দলীয় সূত্র জানা গেছে।






আরও খবর



লর্ডসে ইতিহাস গড়লেন প্যাট কামিন্স

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে গড়েছেন দুর্দান্ত এক কীর্তি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে বল হাতে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। মাত্র ২৮ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের ইনিংস গুটিয়ে দেন ১৩৮ রানে, আর তাতেই অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যায় ৭৪ রানে।

এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে কামিন্স অর্জন করেছেন ব্যক্তিগত একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকও— টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের ঘরে প্রবেশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে লর্ডসে ৬ উইকেট নেওয়া প্রথম অধিনায়ক হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসে।

প্রথম দিনের শেষ সেশনে কামিন্স শুরু করেন উইয়ান মালডারকে বোল্ড করে। পরদিন সকালে আরও ভয়ংকর রূপে ফিরে আসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরান মার্নাস ল্যাবুশেনের সহায়তায়।

তবে লাঞ্চের পরেই আসে মূল ধাক্কা। বিরতির আগে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও কামিন্সের বিধ্বংসী স্পেলের সামনে ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ওভারেই ফিরিয়ে দেন কাইল ভেরেইনে ও মার্কো ইয়ানসেনকে। পরবর্তী স্পেলে সাজঘরে পাঠান সেট ব্যাটার ডেভিড বেডিংহামকে। ইনিংসের শেষ উইকেটটিও তুলে নিয়ে ৬ উইকেটের নজরকাড়া কীর্তি গড়েন তিনি।

এই দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুধু ম্যাচে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া, সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নিজের নামও লিখে রাখলেন প্যাট কামিন্স।

নতুন রেকর্ডের মালিক : কামিন্স হলেন প্রথম অধিনায়ক যিনি আইসিসি ফাইনালে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন। তিনি এখন টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি পাঁচ উইকেট শিকারকারী খেলোয়াড়। ৩০০ উইকেটের ক্লাবে ঢোকা ৪০তম খেলোয়াড়, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অষ্টম।

ইনিংস শেষে কামিন্স বলেন, লাঞ্চের সময় মনে হচ্ছিল ওরা ভালো খেলছে, কিন্তু পরেই সব বদলে গেল। প্রথম ইনিংসে লিড পেয়ে দারুণ লাগছে।

৩০০ উইকেটের মাইলফলক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আমার কল্পনার চেয়েও বেশি। একজন ফাস্ট বোলারের জন্য ৩০০ অনেক বড় সংখ্যা। চোট, ব্যথা সবকিছুর মধ্য দিয়েও এগিয়ে যেতে পেরেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।


আরও খবর



ভারতে ফের যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৭

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ভারতের উত্তরাখণ্ডে একটি যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সাতজন নিহত হয়েছেন। কেদারনাথ ধাম থেকে গুপ্তকাশীর দিকে যাওয়ার পথে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

মূলত কেদারনাথ থেকে যাত্রীদের নিয়ে গুপ্তকাশী যাচ্ছিল হেলিকপ্টারটি। একপর্যায়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা গৌরীকুণ্ডের জঙ্গলে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। রবিবার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ থেকে গুপ্তকাশী ফেরার পথে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পাইলট ও ছয়জন তীর্থযাত্রী— যাদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।

আর্যন এভিয়েশন কোম্পানির এই হেলিকপ্টারটি মাত্র ১০ মিনিটের যাত্রাপথে, গৌরিকুণ্ড ও সোনপ্রয়াগের মাঝখানে একটি জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। ভোর ৫টা ২০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড সিভিল এভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।

এনডিটিভি বলছে, নিহত তীর্থযাত্রীরা উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও খারাপ আবহাওয়া এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

মূলত হেলিকপ্টারটি নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় কিছু লোক যারা গবাদি পশুর জন্য ঘাস সংগ্রহে বেরিয়েছিলেন তারা দুর্ঘটনাস্থলে ধোঁয়া দেখে খবর দেন। পরে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ এর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই দুর্ঘটনার কথা এক্সে (পূর্বের টুইটার) জানিয়ে লেখেন, রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার অত্যন্ত বেদনাদায়ক খবর পাওয়া গেছে। এসডিআরএফ, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। আমি সকল যাত্রীর নিরাপদ উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করছি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ মে হিমালয়ের কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খোলার পর গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে এটা হেলিকপ্টার সংক্রান্ত পঞ্চম দুর্ঘটনা। এর আগে গত ৭ জুন আরেকটি হেলিকপ্টার কেদারনাথের দিকে যাত্রাকালে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিলে একটি সড়কে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

অবতরণের সময় সেটির পেছনের রটার একটি পার্ক করা গাড়ির ওপর পড়ে যায়। সেই ঘটনায় যাত্রীরা অক্ষত থাকলেও পাইলট সামান্য আহত হন।

মূলত কেদারনাথ হিমালয়ের দুর্গম এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সেখানে তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার পরিষেবা জনপ্রিয়। তবে সম্প্রতি একের পর এক দুর্ঘটনায় এসব পরিষেবার নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।


আরও খবর



মরক্কোতে কোরবানি না দিতে সরকারি আদেশ জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

শুক্রবার ৬ জুন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মরক্কোতে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এদিন বিশ্বের সব মুসল্লি পশু কোরবানি করে থাকেন। তবে মুসলিম প্রধান দেশ মরক্কোতে এ বছর কোরবানি না দিতে রাজকীয় ডিক্রি (সরকারি আদেশ) জারি করা হয়েছে।

দেশটির ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ তৌফিক রাষ্ট্রায়াত্ত্ব টিভিতে বুধবার (৪ জুন) রাজা পঞ্চম মোহাম্মদের জারি করা রাজকীয় ডিক্রিটি পড়ে শোনান। এই ডিক্রিতে রাজা পঞ্চম মোহাম্মদ সাধারণ মানুষকে এ বছর কোরবানি না দিতে অনুরোধ জানান।

কেন এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত?

মরক্কোর সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটিতে গত কয়েক বছর ধরে প্রচণ্ড খরা চলছে। এছাড়া আরও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে মরক্কো। যে কারণে পশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। যেসব পশু এখনো অবশিষ্ট আছে সেগুলো রক্ষায় এ বছর কোরবানি না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া কৃষিখাতের স্থায়িত্ব রক্ষাতেও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

সাধারণ মানুষ যেন এই সরকারি আদেশ অমান্য করতে না পারেন সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ও তদারকি বাহিনীকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া পশু পরিবহনের পথেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কেউ আদেশ অমান্য করে পশু কোরবানি করলে তাকে বিপুল অর্থ জরিমানা এমনকি কোরবানির পশু জব্দ করার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে।

তবে দেশটির একটি কৃষি সংগঠনের প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আমের জানিয়েছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত কৃষকদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এমনিতেই খরার কারণে তারা লসে আছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঈদকে সামনে রেখে তারা পশু প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু এখন কৃষকরা যদি এগুলো বিক্রি করতে না পারেন তাহলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বেন। তিনি কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সরকারি বাহিনী বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে সাধারণ মানুষের কেনা ভেড়া জব্দ করছে। এটি ভাইরাল হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন তারা এই সরকারি আদেশ কোনোভাবেই মানবেন না এবং ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন।


আরও খবর



সাদা কাপড় থেকে রক্তের দাগ উঠবে যেভাবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি। ঈদের সকালেই নামাজ শেষে পশু কোরবানি করা হবে। পশু কোরবানির সময় এবং এর পরে পশুর মাংস কাটার সময় কাপড়ে রক্তের দাগ লাগবেই। সারাদিন গায়ে ও কাপড়ে রক্ত নিয়েই কাজ করতে হয়। কাজ শেষে গোসল করে নিজেকেপরিষ্কার করে নিতে হয়। কিন্তু কাপড়ে লাগা রক্তের দাগ নিয়ে বাড়ে বিপত্তি। কোন উপায়ে এই রক্তের দাগ উঠবে তা না জানলে কাপড়টি একেবারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনেকেই সেই কাপড় ফেলেই দেন। আবার অনেকে ভালোভাবে ধুয়ে নেন। কিন্তু সঠিক উপায় না ধুলে রক্তের দাগ পুরোপুরি উঠবে না। আবার গন্ধও যাবে না। তাই কাপড় থেকে রক্তের দাগ দূর করার দারুণ সহজ কিছু উপায় রয়েছে

ভিনেগার

রক্তের দাগ লাগা কাপড়ে ভিনেগার ব্যবহার করুন। কাপড় থেকে খুব দ্রুত ও সহজে দাগ দূর হয়ে যাবে। যেখানে রক্তের দাগ লেগেছে সেখানে ভিনেগার স্প্রে করুন। হালকাভাবে ঘষে নিন। ১০ রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দাগ পুরোপুরি না উঠলে আবারও খানিকটা ভিনেগার লাগিয়ে রাখুন। মনে রাখবেন, কাপড়ে রক্তের দাগ লাগার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিনেগার লাগাতে হবে। নয়তো রক্তের দাগ স্থায়ীভাবে বসে যেতে পারে।

ট্যালকম পাউডার

কাপড় থেকে রক্তের দাগ তুলতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। পানি ও ট্যালকম পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি রক্তের দাগের ওপর লাগিয়ে নিন। এরপর একটি ব্রাশ দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাগ উঠে যাবে। এরপর ভালো করে ধুয়ে নিন।

লবণ পানি

কাপড়ের রক্তের দাগ দূর করতে লবণ পানি ব্যবহার করতে পারে। ঠাণ্ডা পানিতে লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। ৪ ঘণ্টা পর ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিন। কাপড় পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

কর্নস্টার্চ

কাপড় থেকে রক্তের দাগ তুলতে কর্নস্টার্চ ব্যবহার করতে পারেন। পানি ও কর্নস্টার্চ মিলিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রক্তযুক্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর ব্রাশের সেই জায়গাটি ঘষে নিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। দেখবেন দাগ চলে গেছে।


আরও খবর



এক কাপ চায়ের দামে ছাগলের চামড়া

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোরবানির ঈদের পর চামড়ার বাজারে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোনো চামড়াই বিক্রি হচ্ছে না। গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায়, আর ছাগলের চামড়ার দাম নেমে এসেছে মাত্র ১০ টাকায়, যা স্থানীয়ভাবে এক কাপ চায়ের দামের সমান।

এমন অবস্থায় অনেকে ছাগলের চামড়া নদীতে ফেলে দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। চামড়ার এমন বেহাল বাজারে সাধারণ মানুষ, চামড়া সংগ্রহকারী এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

আজ রবিবার ঈদের দ্বিতীয় দিন সরেজমিন ফুলবাড়ী পৌর শহরের নিমতলা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে চামড়া বিক্রির ভিড়। আশপাশের গ্রামাঞ্চল থেকে অনেকেই চামড়া নিয়ে এসেছেন। তবে সরকার নির্ধারিত দাম তো দূরের কথা, ন্যূনতম মূল্যও পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।

এক বিক্রেতা আহসান হাবিব বলেন, সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সেই দাম কেবল কাগজে কলমেই আছে। বাস্তবে কোনো প্রয়োগ নেই। আমি একটি গরু ও একটি ছাগলের চামড়া এনেছিলাম। গরুর চামড়া ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু ছাগলের চামড়ার কোনো দাম না থাকায় নদীতে ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছি।

একই অভিযোগ করেন আরেক বিক্রেতা মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, চামড়ার কোনো ক্রেতা নেই। স্থানীয় মাদ্রাসার হুজুরকে ফোন দিয়েছি, তিনিও আসেননি। তাই চামড়ায় লবণ দিয়ে রেখে দিয়েছি। ইউটিউব দেখে চেষ্টা করব বাড়িতে বসেই কিছু তৈরি করতে পারি কিনা।

প্রসঙ্গত, সরকার ২০২৫ সালে ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে ৬০-৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫-৬০ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০-২২ টাকা প্রতি বর্গফুট, আর খাসির জন্য ২২-২৭ টাকা। যদিও এই মূল্যতালিকা কোরবানি দাতাদের কিছুটা আশার আলো দেখালেও, বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

ফুলবাড়ীর স্থানীয় বাজারে কোনো ক্রেতাই ওই দামে চামড়া কিনছেন না। গরুর একটি চামড়া ৩০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনেক নিচে। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়তাও সবাই কিনতেও আগ্রহী নন।

স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী কোরবান আলী বলেন, আমরা চামড়া কিনছি কম দামে, কারণ ট্যানারিরা সরকার নির্ধারিত দামে কিনছে না। তারাও বলছে, অতিরিক্ত চামড়া তাদের প্রয়োজন নেই, সংরক্ষণের সুবিধাও নেই। আমরা আকারভেদে গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় এবং ছাগলের চামড়া মাত্র ১০ টাকায় নিচ্ছি।

তিনি বলেন, লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর প্রতি মণ লবণ ছিল ৪৭০ টাকা। এবার তা বেড়ে ৬৫০ টাকায় পৌঁছেছে।

গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতায় তিনি বলেন, গত বছর সরকারী দামে চামড়া কিনে অনেক লোকসান করেছি। অনেক চামড়া সংরক্ষণ করতে না পেরে ফেলে দিতে হয়েছে। তাই এবার সাবধানে মাত্র ২০০টি গরুর চামড়া কিনেছি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, সরকারকে চামড়ার বাজার ব্যবস্থাপনায় আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যকরভাবে মূল্য নির্ধারণ বাস্তবায়ন, সংরক্ষণের ব্যবস্থা, লজিস্টিক সাপোর্ট এবং মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোর মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার।

চামড়ার বাজারে এমন ধস কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণই নয়, ধর্মীয় দিক থেকেও অনেক মুসলমানের জন্য হতাশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা চেয়েছিলেন কোরবানির চামড়া দান করে সওয়াব হাসিল করতে, কিন্তু মূল্য না পেয়ে কেউ ফেলে দিচ্ছেন, কেউবা অসহায়ের মতো অপেক্ষায় বসে আছেন। এ অবস্থায় সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এখন সময়ের দাবি।


আরও খবর