Logo
শিরোনাম

রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল শনিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ গেজেট জারি করা হয়। আজ রোববার বিষয়টি জানা গেছে।

প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।

সংশোধিত আইনের আওতায় কোনো সংগঠন যেমন রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী কোনো সত্তা যদি আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত থাকে বলে ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয়, তাহলে ওই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা ট্রাইব্যুনাল পাবে।

এ বিষয়ে গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে এ সংশোধনী আনা হয়েছে। একইসঙ্গে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব কার্যক্রম, বিশেষ করে সাইবার স্পেসে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নতুন আইন অনুযায়ী, সংগঠন সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি আন্তর্জাতিক অপরাধে সহায়তা, নির্দেশনা, প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা অংশগ্রহণ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।


আরও খবর



যানজটের নগরী ঢাকা এখন ফাঁকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে কর্মব্যস্ত রাজধানী। সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় এরইমধ্যে রাজধানী ছেড়েছেন অসংখ্য মানুষ। যার ফলে, যানজটের নগরী ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। কমেছে মানুষের কোলাহল, হকারের হাঁকডাক আর যন্ত্রযানের হুইসেল। নেই চিরচেনা যানজট। তবে গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, আর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এখনো রয়েছে ঘরমুখো মানুষের আনাগোনা। শেষ মুহূর্তে যারা বাড়ি ফিরছেন, তাঁদের ভিড়ে এসব জায়গা এখনো ব্যস্ত।

সরকার ঈদ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আগামী শনিবার (১৪ জুন) পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঈদের মূল তিন দিনের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও নির্বাহী আদেশে ঘোষিত অতিরিক্ত ছুটি। তবে ছুটির ভারসাম্য রক্ষায় ১৭ মে ও ২৪ মে, দুটি শনিবার অফিস খোলা রাখা হয়।

শুক্রবার (৬ জুন) সরেজমিন রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, ফাঁকা ঢাকায় দাপটের সঙ্গে সব সড়কে ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অফিস-আদালত বন্ধের কারণে যাত্রী কম থাকায় গণপরিবহনগুলোতে ফাঁকা সিট নিয়ে যেতে দেখা যায়। রাজধানীর, যাত্রাবাড়ি, শনির আখরা, মুগদা, বনশ্রী, রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, বিজয় সরণী, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, মৎস্য ভবন এলাকায় দেখা যায় অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কম। সড়কগুলোতে যাত্রীর তেমন চাপ দেখা যায়নি। বেশিরভাগ যানবাহনে রয়েছে যাত্রী সংকট, যাত্রীর অভাবে আসন ফাঁকা রেখেই গন্তব্যে যাচ্ছে যানবাহনগুলো। যাত্রী সংকটে এসব পয়েন্টে কিছু সময়ের জন্য বাসগুলোকে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। বাস ও লেগুনার স্টাফদের দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রীর জন্য ডাকাডাকি করতে শোনা গেছে।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




গুরুতর অসুস্থ ফারিয়া, রয়েছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঢালিউডের চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া গুরুতর অসুস্থ। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এক ফেসবুক পোস্টে চিত্রনায়িকা নিজেই এমনটি জানান।

ফেসবুক পোস্টে ফারিয়া লিখেছেন, আমি জানি, আপনারা অনেকেই আমার খোঁজখবর, সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। চিকিৎসার অংশ হিসেবে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে-ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা। এই পরিস্থিতিতে কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি, আপনারা বিষয়টি বুঝবেন। আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব।

ফারিয়া আরও লিখেছেন, গত কয়েক দিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে। আপনাদের সকলের প্রতি-আপামর জনসাধারণের প্রতি আমি হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞ।

সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের, যাঁদের মানবিকতা ও ইতিবাচক ভূমিকাটি এই সময়ে আমার জন্য ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো এত দ্রুত নিজের ভেতরের সাহস খুঁজে পেতাম না। আমি আজীবন মনে রাখব এই ভালোবাসা ও নিরন্তর সহমর্মিতার কথা। পোস্টের শেষে সবার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফারিয়া লিখেছেন, খুব শিগগিরই আবার দেখা হবে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার আদালত থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। সেদিন কারাগার থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক (৩৫)। চলতি বছরের ৩ মে এনামুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। মামলার দুই সপ্তাহ পর গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাত ফারিয়াকে।


আরও খবর



ক্ষোভে রাস্তায় চামড়া ফেলে গেলেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

অধিকাংশ মৌসুমি ব্যবসায়ী লোকসানে বিক্রির পাশাপাশি কেউ কেউ সড়কে-মহল্লায় কাঁচা চামড়া ফেলে গেছেন। মূলত সিন্ডিকেটের কারণে বর্ধিত দামের পরিবর্তে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন চামড়া সংগ্রহকারীরা। গরুর চামড়ার দামে দরপতনে ছাগলের চামড়া বিক্রিই হয়নি। চামড়া সংগ্রহে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অব্যবস্থাপনায় চামড়া নিয়ে এবারো লোকসান ও পচনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

ঈদুল আজহার দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সায়েন্স ল্যাব ও পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকায় বেশির ভাগ গরুর কাঁচা চামড়া ৬৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। ছোট চামড়ার দাম উঠেছে ৫৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা। রাজধানীর চামড়ার দাম অনেকটা বিগত বছরের মতোই ছিল।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার। সেখানে গরু-ছাগলসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু। চলতি বছর কোরবানির ঈদের মৌসুমে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ট্যানারি মালিকরা।

গত ২৬ মে কোরবানির পশুর চামড়ার দর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০-৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫-৬০ টাকা। ঢাকার বাইরের গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২২ থেকে ২৭ টাকা ও বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আড়তদাররা জানিয়েছেন, লবণযুক্ত চামড়ার যে দাম সরকার নির্ধারণ করেছে সেটি আড়ত থেকে ট্যানারি মালিকদের জন্য নির্ধারিত। সাধারণ মৌসুমি ক্রেতারা কাঁচা চামড়া কিনেই ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করে দেন। এক্ষেত্রে দরদাম করে তুলনামূলক কম দামে চামড়া কিনছেন তারা। প্রতিটি কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াকরণে আরো ৪০০ টাকার মতো খরচ হয়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা শুরুতে দাম ধরে রাখায় পরবর্তী সময়ে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ কোরবানি হওয়া চট্টগ্রাম জেলায় চামড়া খাতে সবচেয়ে বড় ধস গেছে। চট্টগ্রামে প্রতিটি চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। তবে কোরবানি ঈদের দিন সন্ধ্যার পর থেকে চামড়ার দাম আরো কমে যায়। কেউ কেউ লোকসানে বিক্রি করলেও এক পর্যায়ে সড়কে চামড়া ফেলে গেছেন মৌসুমি বিক্রেতারা। রোববার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহর থেকে সিটি করপোরেশন অন্তত ১০ টন পচা চামড়া সড়ক থেকে অপসারণ করেছে।

জানতে চাইলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। একটি ২০ ফুটের চামড়ায় ৪০০-৫০০ টাকা খরচ হয় প্রক্রিয়াজাত করতে। ট্যানারি মালিকরা চামড়া ক্রয়ের সময় প্রতিটি চামড়ায় ২০ শতাংশ বাদ দিয়ে হিসাব করেন। এ কারণে লবণ ছাড়া চামড়া বেশি দামে কেনার সুযোগ নেই। তবে শুরুতে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া সংগ্রহ করা হলেও ঈদের দিন রাতে সর্বনিম্ন ২০০ টাকায় চামড়া বিক্রি হয়েছে।

চট্টগ্রামের পাঠানটুলী এলাকার মো. জাহিদ নামের এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিটি ৪০০ টাকা করে ১৮টি চামড়া সংগ্রহ করেছিলাম। পরিবহন ও শ্রমিক মজুরিসহ দাম ৪৫০ টাকার মতো। কিন্তু প্রতিটি চামড়া ৪০০ টাকা করে বিক্রি করে দিয়েছি।

নগরীর চৌমুহনী এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী মো. মনজু মিয়া বলেন, ১১০টি চামড়া প্রতিটি গড়ে ৪৮০ টাকা করে সংগ্রহ করেছি। কিন্তু ব্যাপারীরা বাড়তি দাম দিতে চায়নি। নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে শেষ পর্যন্ত ৩৫০ টাকা করে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছি। বড় আড়তদার ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে বিগত দেড় দশক ধরে চামড়া ব্যবসায় লোকসান দিতে হচ্ছে। এ বছর সিন্ডিকেট থাকবে না আশা করে চামড়া সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু এবারো লোকসান দিতে হয়েছে।

নগরীর দেওয়ানহাট ও চৌমুহনী, দুই নম্বর গেট এলাকায় শত শত মৌসুমি ব্যবসায়ী দাম না পেয়ে সড়কের পাশে চামড়া ফেলে চলে গেছেন। চৌমুহনীতে কয়েকজনের একটি মৌসুমি ব্যবসায়ী গ্রুপ দাম না পেয়ে প্রায় ২ হাজার চামড়া ফেলে গেছেন।

চামড়ার পচন ও দাম না পাওয়ার জন্য এ বছর শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ কার্যক্রমকে দায়ী করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, সরকার ৩০ হাজার টন লবণ দেয়ার কথা বললেও বিতরণ করেছে মাত্র এক-চতুর্থাংশ। ফলে এ বছর মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লবণ সংগ্রহ করেননি। যার কারণে কাঁচা চামড়া নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। এ সুযোগে আড়ত ও ব্যাপারীরা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে পচন ধরতে শুরু করলে কম দামে বিক্রিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের চাক্তাই এলাকার মেসার্স লাল মিয়া সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আসাদ বলেন, আমরা কোরবানির অনেক আগেই পশুর চামড়া সংগ্রহ নিয়ে সংকটের কথা জানিয়েছিলাম। সরকার বিনামূল্যে দেশব্যাপী লবণ দেয়ার কথা জানানোয় কেউই লবণ সংগ্রহ করেনি। আবার সরকারও এক-চতুর্থাংশের বেশি লবণ দেয়নি। যার কারণে পাইকারি পর্যায়ে দেশব্যাপী চামড়ার জন্য নির্ধারিত মোটা লবণের সরবরাহ সংকট ও দাম বেড়ে যায়। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা শতভাগ কাঁচা চামড়ার বিপণনে বাধ্য হন। যার সম্পূর্ণ সুযোগ নিয়েছেন আড়ত, ব্যাপারী ও ট্যানারি মালিকরা। পাশাপাশি দেশের শত শত লবণ মিল মালিক বড় লোকসানে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

চট্টগ্রামের আড়তদার সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুল আলম জানান, মৌসুমি বিক্রেতারা শুরুতে বাড়তি দাম দিয়ে চামড়া বিক্রি করেনি। অনেকে আবার দেরিতে চামড়া এনেছিলেন। এতে চামড়া পচে গেছে। চামড়া পচে যাওয়ায় কেউ কেনেননি। তবে তারা শুরুতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দিয়েও একেকটি চামড়া কিনেছেন। শেষ দিকে ২০০ টাকায়ও চামড়া নিয়েছেন। কেউ কেউ ক্রেতা না পেয়ে চামড়া ফেলে যাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অনেক আড়তদার বলছেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ লবণযুক্ত চামড়ার দামের সঙ্গে কাঁচা চামড়ার দাম গুলিয়ে ফেলেন। এতে অনেক সময় তারা বেশি দামে চামড়া কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এবারো সেটা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।


আরও খবর



গজারিয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পিস্তল-গুলি উদ্ধার, আটক ৮

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ায় কোস্ট গার্ডের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে দেশীয় পিস্তল, গুলি, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (২১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদের হল রুমে এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ, কোস্ট গার্ডের ষ্টেশন কমান্ডার জিএম তানজিমুল ইসলাম প্রমুখ।

জানা যায়, গতকাল (২০মে) রাত ১০ঘটিকা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় বালু উত্তোলনকালে ৩টি ড্রেজার, ৩টি বাল্কহেডসহ ৮ শ্রমিক আটক ও ড্রেজারে তল্লাশি করে একটি দেশীয় পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি চাকু, ৭টি মোবাইল ফোন, নগদ ২৫,৮৬৬ টাকা তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে।


এ সময় আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নৌপথে ডাকাতিসহ নানা অপরাধ করে আসছে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ইতিমধ্যে একাধিক বার অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যেখানে দেশীয় অস্ত্র, গুলিসহ নানা সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছিল।


বিষয়টি সম্পর্কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ রাতের আধারে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অবৈধ বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। 


এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



রাণীনগরে সেনাবাহিনীর একদিনের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদিনের বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিনায়ক ২৫ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স ১১পদাতিক ডিভিশন বগুড়ার জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাসের আয়োজনে  রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এসময় প্রায় দেড় হাজার বিভিন্ন ধরনের রোগী চিকিৎসা গ্রহন করেন।

২৫ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: রকিব উদ্দিন মজুমদার এমসিপিএস,ডিএফএম,এএমসি জানান,ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ৬জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিসিন,চক্ষু,গাইনি,শিশু ও চর্ম রোগের চিকিৎসা প্রদানসহ প্রায় ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এছাড়া জটিল রোগীদের অন্যান্য চিকিৎসাসহ অপারেশনের ব্যবস্থাও রয়েছে। বগুড়া অঞ্চলের তত্ত¡াবধানে এবং ১১পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় দেড় হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়।

 তমেজ উদ্দীন (৬৫),ফরেজ আলী ফকির (৭২),মেরিনা আক্তার (২৪),সাজ্জাদ হোসেন (৩৫)সহ ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বাংলাদেশ সেনাবাহীনির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


আরও খবর