Logo
শিরোনাম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ ২০২৪' অনুমোদন

রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে—এমন বিধান রেখে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে উপস্থিত একজন উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।

১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইন সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এই অধ্যাদেশ এনেছে।

মঙ্গলবার খসড়া অধ্যাদেশের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, আদালত যদি মনে করেন তাহলে অপরাধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে, নির্বাচন কমিশন আছে। আদালত যদি মনে করেন তারা সেটা করতে পারবেন। তবে শাস্তি দেবেই, এমন নয়। এমন প্রস্তাবনা অধ্যাদেশে রয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেলে বৃহস্পতিবারের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ জারি করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠক বসে সচিবালয়ে। এতে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই প্রধান উপদেষ্টার প্রথম সচিবালয়ে অফিস। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এবং প্রধান উপদেষ্টা আসায় সচিবালয়ে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন টিউলিপ সিদ্দিক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। টিউলিপের পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের শর্টলিস্ট করাও শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য টাইমস।

টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি)। এ পদে দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে আছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন প্রার্থীদের নাম প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন বলে টাইমসকে বলা হয়েছে।

ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তারা গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাজ্যের এই ট্রেজারি মন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন এমন প্রার্থীদের চিহ্নিত করেছেন বলেও জানা গেছে। গত সোমবার টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানানোর প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়ার আগেই কর্মকর্তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করেন।

সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস বলছে, যদিও প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন— তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্রও টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ বলে দাবি করেছেন, কিন্তু তারপরও টাইমসকে বলা হয়েছে— টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে কে তার উত্তরসূরি হতে পারেন তা প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ অন্তত অনানুষ্ঠানিকভাবেই বিবেচনা করছেন।

বাংলাদেশে ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ, তার খালা শেখ হাসিনা, মা শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মাসে এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া গত শুক্রবার টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তাতে বলা হয়, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে টিউলিপের মালিকানায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০০৪ সালে সেটি আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনা মূল্যে পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল আবদুল মোতালিফের।

এসব অভিযোগ নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়লেও অতীতে তার পাশেই ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।


আরও খবর



ঢালাও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত জুলাইয়ে রাজধানীর পুরানো ঢাকার যে জায়গায় নাদিমুল হাসান নিহত হন, ঠিক তার অল্প কিছু দূরে তারই সাথে আন্দোলন করছিলেন আরেক শিক্ষার্থী সুলতানা আক্তার।

অথচ তারই বাবাকে আসামি করা হয়েছে ওই হত্যা মামলায়। নাম বাদ দিতে তাদের কাছে টাকা দাবি করা হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে।

সুলতানা আক্তারের ভাষায়, ‘যে ছেলেটা আমার সামনে মারা যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে, তার মামলায় আমার বাবাকে (আসামি) দিছে। আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম এটা কিভাবে সম্ভব? এটাতো সম্ভব হতে পারে না। ওই দিন ওর থেকে এক হাত দূরে, যদি ওই গুলিটা ওর গায়ে না লাগতো, আমার গায়ে তো লাগতে পারতো।

বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় ঢালাওভাবে করা মামলাগুলোতে এরই মধ্যে আসামি করে, আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি, কিংবা মামলা থেকে নাম খারিজ করে দেয়ার নামে বাণিজ্যের অভিযোগ দিনে দিনে বাড়ছে।

পরিস্থিতি এমন অবস্থায় গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে বিষয়টি স্বীকার করে কয়েকবারই বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ভুয়া মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, সরকারের তরফ থেকে এমন বলা হলেও এখন পর্যন্ত শক্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

আন্দোলনকারীর বাবার বিরুদ্ধেই মামলা


ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই পুরানো ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের শিক্ষার্থী নাদিমুল হাসান এলেম।  ঘটনায় ৮৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করে তার মা কিসমত আরা। তবে যাদের আসামি করা হয়েছে মামলার বাদী তাদের চেনেন না।



কিসমত আরা বলেন, ‘আমিতো চিনি না ওদের। যাদের মাধ্যমে মামলাগুলো করেছি ওনারা নামগুলা দিয়েছে। এখন ওনারা ভুলবশত দিয়েছে না কিভাবে দিছে আমি তো এটা বলতে পারি না। এরকম কাগজ নিয়ে আসছে, বলে সিগনেচার করেন। এই ঘর, ওই ঘর, আমি কী কিছু বলতে পারি। তারা বসে পড়ছে, পড়ে আমি কী করতে পারি।

বাদীর স্বামী জানান, আদালতেই পাশের এক এজলাসে (যাদের মাধ্যমে মামলা করা হয়েছে তাদের কথা বোঝান) বসে মামলা।

যেদিন নাদিম মারা যান ওই সময় ঘটনাস্থলেই আন্দোলনরত অবস্থায় ছিলেন সুলতানা আক্তার। এই হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সুলতানার বাবাকে।

সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আন্দোলন করলাম, যেখানে আমার বাবা আমাকে সাপোর্ট দিলো, আমাকে রাত একটা বাজে বাবা আমাকে নিয়ে আসে রাস্তা থেকে, আজকে সেই বাবার জন্য আমি কিছু করতে পারতেছি না। সেই বাবাকেই আসামি বানিয়ে দিছে আজকে এরা।

রাজনৈতিক কারণে নয় বরং ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে হত্যা মামলায় সুলতানা আক্তারের বাবাকে আসামি করা হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।

আসামির তালিকা থেকে বাবার নাম বাদ দেয়ার জন্য তিনি মামলার বাদীর স্বামী শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করেন সুলতানা আক্তার।

বিনিময়ে আলম তিন লাখ টাকা দাবি করেন বলে জানান সুলতানা আক্তার। একইসাথে নাম বাদ দিতে পুলিশ, কোর্টসহ নানা জায়গায় খরচের কথাও আলম তাকে জানান।

সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আমি তাকে বললাম আমিও তো ছাত্র আন্দোলনের একজন স্টুডেন্টস। পুলিশেরটা আমার কাছে ছেড়ে দেন। ওসির সাথে না হয় আমি কথা বলে নেব, যদি ওই খানে টাকা লাগে। এছাড়া আপনি কী করতে পারেন। ওনি বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে তিন লাখ টাকা নিয়ে আইসেন, আমি মামলা উঠায়া দিব।

যদিও আলম প্রথমে টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

কিন্তু পরে স্বীকার করে বলেন, ‘ওইটা আমি দুষ্টামি করছি। আমি কইছি যে তিন লাখ টাকা নিয়া আসো আমি ব্যবস্থা কইরা দিমু। তারপর আবার বলছি যে এক টাকাও লাগবে না।

তিন লাখ টাকা চাওয়ার পর সুলতানা আক্তার কী বলেছেন জানতে চাইলে আলম জানান, ‘আমারে ওই মেয়েটা বলছে যে আমার কাছে তো এতো টাকা নাই। এক লাখ টাকা আপনারে বলছিলাম। আমি কইলাম দেখরে বাবা তোমার বাবার নাম কাটা যাওয়ার খরচো আছে এখানে, পুলিশ কি টাকা নিবে না মনে করেন? কোর্ট খরচো নিব না? এটা কি আমি খরচো করুম?’

আলমের বক্তব্যেই এটা স্পষ্ট যে সুলতানা আক্তারের বাবার নাম আসামির তালিকা থেকে বাদ দিতে টাকা দাবি করেছেন তিনি।

কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হলেও তিনটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে জানান এক ব্যক্তি। তবে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি।

তিনি জানান, মূলত মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের জন্য তাকে আসামি করা হয়েছে।

আমাকে প্রথম বলছে যে মামলায় দিবে না। পরে মামলায় দিছে। জিজ্ঞেস করার পর বলছে নাম কাইটা দিবে। সেজন্য টাকা দেয়া লাগছে। প্রথম ২০ লাখ টাকা দিতে বলছে, ২০ লাখ টাকা দেয়ার পরে আরো সাত লাখ টাকা দিতে বলছে। পরে আরো সাত লাখ টাকা দেয়া হইছে। টোটাল ২৭ লাখ টাকা,’ বলেন ওই ব্যক্তি।

তার দাবি টাকা দেয়ার পর মামলা থেকে বাদ তো দেয়নি বরং তার বিরুদ্ধে আরো বেশি মামলা করা হয়েছে।

আমাকে এবং আরো অনেককেই, যারা রাজনীতি করে নাই, যাদের কাছে টাকা আছে, তাদের টার্গেট করা হয়েছে, টাকা আদায় করার জন্য,’ বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি।

দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলাগুলোতে আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্য টাকা আদায় করার অভিযোগে একের পর এক ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে।

সরকারের পদক্ষেপ কী?


এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এসব মামলাকে ঘিরে যে বাণিজ্য হচ্ছে তা স্বীকার করে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কথা বলেছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ঢাকা বিভাগে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার এক অনুষ্ঠানে তিনি কথা জানান।

নজরুল বলেছেন, ‘নরমাল কোর্টে মামলা নিয়ে আমি শুনেছি অনেক ধরনের অসঙ্গতি হচ্ছে। মামলা নিয়ে ব্যবসা করছে। কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী মহল ভুল মামলা দিচ্ছে। প্রকৃত অভিযুক্তদের পাশাপাশি অনেক লোককে আসামি করে মামলাকে হালকা করার চেষ্টা করছে।

মামলা বাণিজ্য শুরু হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ, হত্যার অপরাধ। এই হত্যার অপরাধের বিচারের দাবি, বিচারের প্রত্যাশা এটাকে নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছে আমাদের সমাজে। এদেরকে আমরা চিহ্নিত করব। অবশ্যই তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে,’ বলেন নজরুল।

সঠিকভাবে মামলা করার আহ্বান জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথমেই আমাদের শুদ্ধভাবে মামলা করতে হবে। আমাদের আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লিগ্যাল এইড একটা সেল করে দেব।

কথা দিচ্ছি সাত দিনের মধ্যে করে দেব। শহীদ পরিবারের মামলার ব্যাপারে তোমরা যদি লিগ্যাল এডভাইস চাও আমরা ওখান থেকে এডভাইসটা করতে পারবো। আমাদের পক্ষ থেকে যা করার আমরা করবো,’ বলেন নজরুল।

এর প্রায়, এক মাস আগে সচিবালয়ে নজরুল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘যারা হয়রানিমূলক মামলা করছেন, মিথ্যা মামলা করছেন এবং বাণিজ্যমূলক মামলা করছেন, কাউকে কাউকে নাকি থ্রেটও দেয়া হচ্ছে টাকা না দিলে মামলা করা হবে, আপনারা কিন্তু মনে রাইখেন আমি যদি এই মন্ত্রণালয়ে থাকি, আপনাদের কীভাবে শাস্তি দেয়া যায় সেটার আইনও আমি খুঁজে বাইর করবো।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, ‘বাদী যখন বলে আমি চিনি না তাইলে বাদী কার প্ররোচনায় নামটি দিয়েছে সেটি উদঘাটন করতে হবে।

আসামিদের টেলিফোন করে যখন টাকা চাওয়া হয় তখন এটা বের করা তো কঠিন কিছু না। মামলা বাণিজ্য ইমিডিয়েট বন্ধ করতে হবে। সমন্বিত উপায়ে বন্ধ করতে হবে। দুই-একটা থানাকে মডেল টেস্ট হিসেবে নিয়ে বন্ধ করতে হবে,’ বলেন ফারুক।


সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৭ হলে ভালো হয়- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আপত্তি তোলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন তাহলে আবার নতুন করে ভোটার তালিকা করতে হবে। আপনি প্রধান উপদেষ্টা, প্রথমেই বলে দিচ্ছেন- ভোটারের বয়স ১৭ হলে ভালো হয়। আপনি যখন বলছেন, তখন নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ, তাদের ওপর ছেড়ে দিন। ১৮ বছর তো আছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। যদি কমাতে চান, সেটা নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব করুক। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। ’

তিনি বলেন, ‘এভাবে না বলে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টা আনা উচিত ছিল, এটা ভালো হতো। তাহলে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হতো না। মানুষের মনে এখন বেশি করে আশঙ্কা তৈরি হবে, এটা করতে গিয়ে আরও সময় যাবে, কালক্ষেপণ হবে। মানুষের মনে ধারণা তৈরি হচ্ছে, আমার না। তাদের মনে ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে, কেন যেন এই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে।’

রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সংস্কার কোনো নতুন ধারণা নয়, কেউ যদি দাবি করে আমরা (যারা বর্তমানে সংস্কারের কথা বলছেন) সংস্কার দফা নিয়ে আসছি, এটা ভুল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সে জন্য তো নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। দিনের পর দিন একটি অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ চালাতে দিতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার চলছে, আমরা বলছি সংস্কার চলুক, সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন করেছে সরকার, কাজ করছেন কিন্তু তারা কাদের সঙ্গে কাজ করছেন? একই সঙ্গে জনগণের কাছে যান, তারা কী চায় জানুন। সংস্কার করেন আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে অস্থিতিশীলতা অনেকটাই কমে যাবে যদি একটি নির্বাচিত সরকার থাকে। কারণ নির্বাচিত সরকারের পেছনে জনগণ থাকে। আমরা সংস্কার চাই, বেশি চাই। তবে দীর্ঘকাল অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। ’

সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তারা রাজনীতিবিদদের মতো বক্তব্য দিচ্ছেন কটাক্ষ করে। রাজনৈতিক দল আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়, তারা আপনাদেরকে সহযোগিতা করছে, করে যাচ্ছে। আপনারাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের কথাবার্তা বলছেন না। সহযোগিতা সেভাবে করছেন না।

আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। শুধু কথা বলেই কাজ হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে। সংস্কার তো সবাই চায়, সেই সঙ্গে শান্তি চাই মানুষ, বাঁচতে চায়।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেসের হাজার কোটি টাকার সম্পদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়ানো দাবানল তিন দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উল্টো বাতাসে তা বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়েছে। ভয়াবহ এই দাবানলে শত শত ঘরবাড়ি ও স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাণ গেছে অন্তত পাঁচজনের। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভয়াবহ এই দুর্যোগ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, প্রতিবেশী কাউন্টিগুলো থেকেও আনা হচ্ছে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম ও কর্মীবাহিনী। কিন্তু তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। আগুনে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পদ পুড়ে গেছে।

হলিউড ও হলিউড হিলস এলাকায় দাবানলে বাধ্যতামূলকভাবে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। টিসিএল চাইনিজ থিয়েটার এবং হলিউড ওয়াক অব ফেমের মতো বিখ্যাত স্থানগুলো এ আগুনের কবলে পড়েছে।

তীব্র বাতাসের কারণে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ভেনচুরা কাউন্টিতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতা জারি করেছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ মাইল পর্যন্ত হতে পারে।

অভিজাত প্যাসিফিক পালিসেডস এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের পানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান জানিসে কুইনোনেস বলেন, শহুরে পানি ব্যবস্থার মাধ্যমে দাবানল মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

লস অ্যাঞ্জেলসের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল বলা হচ্ছে একে। দাবানলে পুড়ে ছাই হয়েছে কয়েক হাজার একর জমি। বাড়ি ছাড়তে হয়েছে পৌনে ২ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে। বাড়ি-ঘর হারিয়ে আর্তনাদ করছেন লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দারা।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনরুদ্ধারে আগামী ১৮০ দিনের কর্মযজ্ঞের সব খরচ সরকার বহন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বিনোদন জগতের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লস অ্যাঞ্জেলেসে এ দাবানলের সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে ছয়টি আলাদা দাবানল সৃষ্টি হয়েছে। প্রচণ্ডগতিতে বয়ে চলা ঝড় আরও বিপদ বাড়িয়েছে। ঝড়ো বাতাসে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহুমূল্যের ঘর ও গাড়ি। এরই মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ডলারের সম্পদের।

আলাদা ছয়টি দাবানলের মধ্যে তিনটি নিয়ন্ত্রণের পুরোপুরি বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। প্রাণে বাঁচতে লস অ্যাঞ্জেলেসের পৌনে দুই লাখেরও বাসিন্দাকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনে সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।

দাবানল ছড়িয়ে পড়া এলাকাগুলোর মধ্যে আগুনের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখা গেছে অভিজাত এলাকা প্যাসিফিক প্যালিসেইডসে। সেখানে ১৫ হাজার ৮৩২ একর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। এই এলাকার একটি বাড়িতে ১৯৭৯ সাল থেকে বসবাস করে আসছেন হলিউডের তারকা অভিনেতা বিলি ক্রিস্টাল। আগুনে সেটিও পুড়ে গেছে। আগুন ছড়িয়েছে হলিউড হিলসেও।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আগুনে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন বিনোদনজগতের আরও অনেকে। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়েছেন। যেমন টেলিভিশনে নিজের বাড়ি আগুনে পুড়তে দেখেছেন অভিনেত্রী প্যারিস হিলটন। ভয়াবহ এই দাবানলকে ‘সানসেট ফায়ার’ নামে ডাকা হচ্ছে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের   উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে র‌্যালি, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, এক মিনিট নিরবতা পালন,কালো ব্যাচ ধারণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.মো: আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে একটি শোক র‌্যালি নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার,ইকিউএসি এর ডিরেক্টর, হল প্রভোস্ট,ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক ,বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, সাংবাদিক সমিতি, ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।


শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কমনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে  মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বছরব্যাপী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনীরা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। রাজাকার বাহিনীর সহযোগিতায় এর মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর সবথেকে বেশি বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়েছিল । পরে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এই দিনকে "শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস" ঘোষণা করেন।


আরও খবর