Logo
শিরোনাম

রাজশাহী (মোহনপুর) ধুরোইল ডি এস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 

 রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ, নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের বৈষম্যের শিকার হওয়া শিক্ষক  অবিভাবক ও বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।

 শনিবার (২৪ আগষ্ট) দুপুর ২ টার সময় মোহনপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ দুরুল হোদার নানা অনিয়ম দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সহকারি মৌলভি শিক্ষক এসএমএ রউফ।

লিখিত ঐ বক্তব্যে তিনি দাবী করেন, এই দুরুল হোদা রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ। চাকরি করতেন একটি মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে। কিন্তু নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই হয়ে গেছেন অধ্যক্ষ, করেছেন দুর্নীতি, গড়েছেন অবৈধ সম্পদ। পূর্বেই তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য কারনে কোনই ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছে তারাই হয়রানির শিকার হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি অভিভাবক সদস্য মুকলেসুর রহমান বর্তমান অধ্যক্ষ ও পূর্বের উপাধ্যক্ষ দুরুল হোদার অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি, এমপিওভুক্তি/এমপিও সংশোধন বন্ধ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করেছিলেন। তাতেও কোন কাজ হয়নি। দুরুল হুদা মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকে অসংখ্য অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। যার তথ্য প্রমান দেন উপস্থিত সাংবাদিকদের।

এছাড়াও অধ্যক্ষ দুরুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মোঃ শফিকুল ইসলাম পিতা হবির মোল্লা বলেন আমাকে পিয়ন পোস্টে চাকরি দিবে বলে আমার কাছ থেকে সাত লক্ষ টাকা নিয়েছে। এই নিয়ে আমি রাজশাহী কোর্টে মামলা করেছি। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।

আরেক ভুক্তভোগী  মোঃ সাইফুল ইসলাম পিতা দারেস আলী অত্র মাদ্রাসায় সহকারি  লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি করছিল। তার বেতন স্কেলে বাধা এবং মিথ্যা অপবাদ দেয় যে তিনি রাজাকার, জঙ্গির সাথে জড়িত বলে তার বেতন স্কেল বন্ধ করে দেয়। মোঃ সাইফুল ইসলামের একজন সহজ সরল মানুষ সে কোন জঙ্গি বা রাজাকারের সাথে জড়িত নয় । সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন মাদ্রাসার কমিটির সদস্য ওয়াজেদ আলী, মহাসিন এবং অধ্যক্ষ দূরুল হুদা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগপত্র দিয়ে আমার বেতন বন্ধ করে দেয়।

লিখিত বক্তব্যে সহকারি মৌলভি শিক্ষক এসএমএ রউফ আরো বলেন, দুরুল হোদা নিজের দুর্নীতিকে ঢাঁকতে ২০১৭ সালের পর আওয়ামীলীগের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতার জোরে উপাধ্যক্ষ দুরুল হুদা রাতের আধারে পছন্দের লোক নিয়ে গভর্নিং বডি তৈরী করে নিজের ইচ্ছেমত মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। উপাধ্যক্ষ পদে প্রায় ২৮ বছর চাকুরীর পর নিজের শিক্ষা সনদে তৃতীয় শ্রেনী থাকা সত্বেও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি, মোহনপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন কবিরাজকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে  ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে অধ্যক্ষ দুরুল হুদা ৬ আগষ্ট হতে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র পদত্যাগ দাবি করা হয়।


উক্ত সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, অবিভাবক আ: মানিক,  মোঃ হামিদ, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ রাজু,মোঃ মুরাদ মোল্লা, মোঃ মিনারুল,সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ সিরাজুল মোল্লা। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের মোঃ মামুনুর রশীদ,  রাজশাহী কলেজ,  মোঃ জুয়েল রানা, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট , মোঃ রাফি খান, মোঃ সৌরভ, মোহনপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এসকল অভিযোগের ব্যাপারে ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ দুরুল হুদার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার সবই মিথ্যা। আমার চাকরি প্রায় শেষের দিকে। আমি এতদিনে রাজশাহী শহরে একটি জমি কিনেছি। যা কিছু করেছি, নিয়মের মধ্যে করেছি। আপনি দয়া করে আমার অফিসে আসেন। আমি সব বিষয় খুলে বলবো। মাদ্রাসায় অনুপস্থিতির ব্যাপারে বললে তিনি বলেন, আমি ইউএনও স্যারের থেকে ছুটি নিয়েছিলাম।


পরে ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা বলেন, অধ্যক্ষ ছুটি নিয়েছেন কি না জানা নাই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



ভয়াবহতার পথে এগুচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। দুই সপ্তাহের মধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দক্ষিণ সিটির মানুষ ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে। যদিও সিটি করপোরেশন দাবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ঠিক নয়।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে ২০০০ সালে। এরপর সময় পেরিয়েছে দুই যুগ। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ বা লাগাম টানতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে প্রতি বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুও

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৭৯ জন। এ সময় প্রাণ গেছে ১১৯ জনের। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকাতেই মারা গেছে ৬৭ জন। তবে এই তথ্য মানতে নারাজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ঢাকা উত্তরে যে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় তাদেরকে ঢাকা দক্ষিণের রোগী হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জানুয়ারি থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণে মৃত্যু ১২ জন। গত বছরের তুলনায় এই বছরে মৃত্যু এবং রোগী অনেক কম। আমরা পুরো পরিস্থিতি খুব সিরিয়াসলি নিয়ন্ত্রণ করছি। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আক্রান্তের দিক থেকে নারীদের সংখ্যা কম হলেও মৃত্যু হচ্ছে তাদেরই বেশি। আর বয়সের দিক থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী আর মৃত্যুও বেশি এই বয়সীদের

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলেন, এবছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে থেমে থেমে অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে এডিস মশা প্রজননে যে উৎস তা বেড়েছে। এছাড়া জুলাই মাসের আন্দোলনের পর সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মীদেরও দেখা যায়নি

আগামী ২ সপ্তাহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

বে-নজীর আহমেদ বলেন, যদি সিটি করপোরেশন কাজ করে তাহলে অক্টোবর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিম্নগতি দেখা যাবে। সেপ্টেম্বরের এই কয়েকদিন সিটি করপোরেশন যদি গুরুত্ব নিয়ে কাজ না করে তাহলে গতবারের মত এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদে কাজে লাগানোর পরামর্শ জনস্বাস্থ্যবিদদের


আরও খবর



জামালপুর ও নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি একই অবস্থায় থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় দেওয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ সংস্থাটি।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে। মৌসুমি বৃষ্টি এবং উজানের পাহাড়ি ঢলেই এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও শেরপুরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। ভোগাই নদের পানি স্থিতিশীল রয়েছে। শেরপুর জেলার ভোগাই নদ, নাকুয়াগাঁও এবং জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়, আগামী তিন দিন ময়মনসিংহ বিভাগ এবং উজানে অতিভারী বৃষ্টি কম হতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৪  ঘণ্টা পর্যন্ত ভোগাই নদের পানি ধীরগতিতে কমতে পারে। এতে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলার ভোগাই নদসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। অন্যদিকে আগামী ২৪  ঘণ্টায় নেত্রকোনা জেলার কংস নদ ও  সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংশ্লিষ্ট কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে৷ তবে পরের দুই দিনে কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে

রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও এর কাছাকাছি উজানে অতিভারী বৃষ্টির প্রবণতা কম। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই দিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ধীরে বাড়বে। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে


আরও খবর



ফের সংসার ভাঙছে মিথিলার !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির দাম্পত্য জীবন নিয়ে ফের বিচ্ছেদের ইঙ্গিত শোনা যাচ্ছে। সৃজিত ও মিথিলা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এক ছাদের নিচে তাদের থাকা হয় খুব কম। কাজ নিয়ে দুজনেই ব্যস্ত। চলতি মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল সৃজিতের জন্মদিন।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্রমতে, ওই দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাজনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন সৃজিত। তবে সৃজিতের উদ্দেশে মিথিলার কোনো শুভেচ্ছাবার্তা দেখতে পাওয়া যায়নি। আর তাতেই ছড়িয়েছে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। এ নিয়ে তাদের ভক্তদের মনে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে

বিয়ের পর মিথিলা তার মেয়ে আইরাকে নিয়ে কলকাতায় থাকতেন। বছরখানেক পর মেয়েকে নিয়ে দেশে ফেরেন মিথিলা। বাংলাদেশে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। কাজের সুবাদে মিথিলা কখনো আফ্রিকার তানজানিয়ায় আবার কখনো ইউরোপে থাকেন। সময় পেলেই অল্প দিনের জন্য কলকাতায় ফেরেন। তাদের মধ্যে এ দূরত্বের কারণেই গুঞ্জন বেশি

মাঝেমধ্যেই শোনা যায় বিচ্ছেদের পথে তারা। তবে উভয় পক্ষই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। দুজনেই লং ডিসট্যান্স বিয়েটা বাঁচাতে চান। বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে সৃজিত বা মিথিলা কেউই মন্তব্য করেননি

মিথিলা-সৃজিতের পরিচয় হয় সংগীতশিল্পী অর্ণবের একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজের মাধ্যমে। এরপর আসে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সৃজিতের সঙ্গে বিয়ের আগে ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসানকে বিয়ে করেন মিথিলা। জুলাই ২০১৭ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়


আরও খবর

আসছে রাফি-রুবেল-পূজার ‘ব্ল্যাক মানি

মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪

ব্যান্ডের পুরোনো দিন ফেরানোর উদ্যোগ

সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সেপ্টেম্বরে ২৮ জনকে পিটিয়ে হত্যা, ৪৪ ধর্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে অন্তত ২৮ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মানবাধিকারের কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও সামগ্রিকভাবে এ অগ্রগতি অপর্যাপ্ত। কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশজুড়ে ৮৩টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৫টি বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং ২৩টি ছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ। এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের আরও আটজন নিহত হয়েছেন

এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বা হেফাজতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে গুলিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুইজন এবং আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হন। সেপ্টেম্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে নির্যাতনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এ মাসটিতে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন

গত মাসে অন্তত ৪৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫ জন কিশোরী, ১৮ নারী ও কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। চারজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। একজন আত্মহত্যা করেছেন


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরের নতুন ডিসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরের নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজিব কুমার সরকারকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন তারা। বক্তারা বলেন, নতুন ডিসি স্বৈরাচার সরকারের দোসর ছিল। তার পুরো গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ করে। নাটোরে ছাত্র সমাজ তাকে ডিসি হতে দেয়নি। লক্ষ্মীপুরেও ছাত্র সমাজ তাকে চায় না। তাকে দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে দাবী করেন। তা ,না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, রাজিব কুমার সরকার ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের হত্যাযজ্ঞে দলীয় বিবেচনায় মাঠ প্রশাসন সাজিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রশমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন রাজিব কুমার সরকার ।


আরও খবর