Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

রাজশাহীতে বিভাগীয় দলিল লেখক সমিতির প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী::


বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজশাহী মহানগরীর নগরীর নওদাপাড়া থ্রি স্টার হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

রাজশাহী জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এস এম আয়নাল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির মহাসচিব আলহাজ্ব এম এ রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক ও বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কে এস হোসেন টমাস, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক ও রুহুল আমিন খান, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ আলম। 

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি বলেন, যারা জাল সার্টিফিকেটে  কাজ করছেন, তারা অতি দ্রুত এ কাজ বাদ দিন। অবৈধ জাল দলিল থেকে বিরত থাকুন। এমনিতেই অনেক দুর্নাম হয়েছে আর নয়। সরকার ও ক্রেতা-বিক্রেতাকে ঠকানো থেকে বিরত থাকুন। অবৈধ কাজ বাদ দিলেও আপনাদের ডাল-ভাতের রোজগার হয়ে যাবে। তাই অবৈধ জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ করুন। অন্যায় কাজের পরিণাম ভাল হয় না। কয়েকদিন আগেই তার প্রমাণ পেয়েছেন। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কাজ বন্ধ করার আহবান জানান তিনি।


এছাড়াও সভায় উপস্থিত থাকেন নাটোর বনপাড়া দলিল লেকক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন পবা রাজশাহীর দলিল লেখক লুৎফার রহমান তারেক, পুঠিয়া রাজশাহীর দলিল লেখক আফজাল হোসেন, বেলকুচি সিরাজগঞ্জের মতিয়ার রহমান লাভলু, সদর নাটোরের আরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সদর বগুড়ার জহুরুল ইসলাম টুকু, পত্নীতলা নওগাঁর দেওয়ান আকরাম হোসেন, আটঘরিয়া পাবনার গোলাম মোস্তফা সহ বিভিন্ন জেলার দলিল লেখকরা।

আরও খবর



গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক ভর্তি শুরু২২ জুন

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২২ জুন। চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রমসহ আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১২ জুন।

‎সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে  গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

‎গুচ্ছের আহ্বায়ক আরো জানান , গুচ্ছের প্রাথমিক ভর্তি (নন-প্রাকটিক্যাল বিষয়) শুরু হবে ২২ জুন এবং চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। অপরদিকে বিশেষায়িত বিষয়গুলির (চারুকলা, সংগীত, নাট্যকলা ও পরিবেশনা‌ বিদ্যা, চলচ্চিত্র ও মিডিয়া এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান) প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা ও কোটার ভেরিফিকেশন শুরু ২১ জুন থেকে ২৮ জুনের মধ্যে।

‎ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে ৩০ জুনের মধ্যে। তিনি আরো বলেন, চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে ২৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত‌ এবং ক্লাস শুরু করার সম্ভাব্য দিন নির্ধারিত হয়েছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে।

‎এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবছরও দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে।  বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য—এই তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি মেধাতালিকা তৈরি করা হয়, যার ভিত্তিতে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।

‎গুচ্ছ পদ্ধতির এই ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

‎ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তি সংক্রান্ত নোটিশ এবং অন্যান্য নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ নিজ ওয়েবসাইটে ও গুচ্ছের অফিশিয়াল পোর্টালে প্রকাশ করা হবে।

‎বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপ যাতে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও জটিলতা-মুক্তভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় লাগাতার অভিযানের কারণে কমতে শুরু করেছে চালের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০২ জুলাই 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গত এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই খোলা বাজারে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি চালের দাম ৫-৬ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। এতে করে নাভিশ্বাসে পড়ে খেটে খাওয়া দিন-মজুর শ্রেণির ক্রেতা ও সাধারণ ভোক্তারা। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে গত সপ্তাহের বুধবার থেকে নওগাঁ জেলার অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন, জেলা খাদ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর যৌথ অভিযান শুরু করে। চলমান লাগাতার অভিযানের কারণে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে খোলাবাজারে চালের দাম প্রকার ভেদে প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা করে কমতে শুরু করেছে। এতে করে খেটে খাওয়া শ্রেণির দিনমজুর মানুষদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবুও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ মজুতদারদের মজুত না রেখে দ্রুতই বাজারে চালের সরবরাহ ও সকল পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার কাজ চলমান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ ওবাইদুল ইসলাম।

সোমবার বিকেলে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার বিভিন্ন চাউল কল ও চাতালে অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় ত্রিমোহনী হাট এলাকায় ধানের চাতালের লাইসেন্স নবায়ন না করে অন্যকে ভাড়া প্রদান করায় এবং বরাদ্দের চেয়ে বেশি সময় ধরে ধান মজুত রাখার অপরাধে মেসার্স অনিক চাউলকে ৫ হাজার টাকা এবং কুবরাতলী মোড়ের মেসার্স মোল্লা এন্ড সন্স রাইচ মিলকে অতিরিক্ত সময় ধরে বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত ধান মজুত রাখার অপরাধে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া চাতালগুলো অন্যকে ভাড়া দেওয়ায় প্রকৃত মালিকদের সতর্কতা প্রদান করা হয়।

উপজেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোঃ মকলেছুর রহমান বাবু জানান এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাতাল মালিকরা ধান থেকে চাল বের করতে পারেননি। তারপরও যারা সরকারের নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধ ভাবে মজুতদেও মাধ্যমে ধান-চালের কারবার কওে আসছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে এই ধরণের অভিযানের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকেও সকলকে সচেতন করা হচ্ছে। আগামীতেও এই ধরণের কার্যক্রম নিয়মিত অব্যাহত রাখার পরামর্শ প্রদান করেন এই সভাপতি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান জানান যারা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে ধানের চাতাল পরিচালনা করে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করা হয়েছে। যারা বিভিন্ন বাহানায় অবৈধ মজুত বাড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের বাজারকে অস্থির করার চেস্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলমান রাখা হবে। এমন অভিযানে অন্য যারা সতর্ক হবেন না পরবর্তিতে অভিযান চালিয়ে সেই সব ধানের চাতাল ও মিল জব্দ করা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক যতদিন না খোলা বাজারে চালের দাম একটি সহনীয় পর্যায়ে না আসছে এবং চালের বাজারে স্থিতিশিল অবস্থা ফিরে না আসছে ততদিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর

পেঁয়াজ উৎপাদনে আশার খবর

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫




১২ বছরে একবার ফোটে – নীলকুরিঞ্জি

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

মনির হোসেন :

‘নীলকুরিঞ্জি’ নামের নীল রঙের এক এক অদ্ভত  ফুল ফোটে ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায়। পর্বতমালাটিকে নীলকুরিঞ্জি ফুলের রাজ্যও বলা যায়। গোটা পর্বতের সারি ঢাকা পড়ে যায় এক আশ্চর্য নীল গালিচায়। এই ফুল প্রকৃতির এক বিস্ময়। সারা বছর তো নয়ই, এমনকি প্রতি বছরে কোনও বিশেষ সময়েও এই ফুল ফোটে না। এখানকার আদিবাসীদের কাছে এই ফুল শুভ বার্তার প্রতীক। 

প্রতি ১২ বছরে মাত্র একবার ফোটে এই ফুল! এক যুগ পর পর একটি নির্দিষ্ট সময়ে ভারতের তামিলনাড়ু ও কেরালা রাজ্যের নীলগিরি পাহাড়ে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় নীলকুরিঞ্জি ফুলটি। সত্যিই অবাক করার মতো ব্যাপার, কীভাবে এই ফুল হিসেব কষে  ঠিক ১২ বছর পর পর ফুটে ।


কেউ হঠাৎ করে ফুলটিকে দেখলে এর তেমন কোনো বৈশিষ্ট্যই চোখে পড়বে না। লোকজনকে খুব একটা আকর্ষণ করার কথা নয়। কিন্তু মাইলের পর মাইল যখন ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়, দেখে মনে হয়, কে যেন নীল-বেগুনি রঙের গালিচা পেতে দিয়েছে।

প্রকৃতির খেয়ালে নিজের মতো করেই বেড়ে উঠে নীলকুরিঞ্জি । কিন্তু যেই ফুলের সময় আসে, অমনি বনের চেহারাটাই পাল্টাতে থাকে। মনে হয়, কে যেন তুলি দিয়ে নীল রঙের ক্যানভাসে ফুলগুলো পরপর এঁকে চলেছেন। কুঁড়ি থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত প্রতিনিয়ত রং বদলাতে থাকে এই ফুলের।

কুড়ি থেকে ধীরে ধীরে এই ফুল যখন ফুটতে থাকে, তখন নীল থেকে নীলচে-বেগুনি ও সবশেষে ফিকে বেগুনি রং ধারণ করে এই ফুল। ফুলের এমন ঐশ্বরিক পরিবর্তন দেখার জন্য প্রতি বছর দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভিড় লেগে যায় এই উপত্যকায়। কিন্তু এমনই যার রাজকীয় আবির্ভাব, সেই ফুলের গাছগুলো কিন্তু নিতান্ত অনাদরেই বেঁচে থাকে।

তামিলনাড়ু ও কেরালা রাজ্যের আশেপাশের এই ফুলের আধিক্য দেখতে পাওয়া যায়। মুন্নার জেলার নীলগিরি পাহাড়েই সবচেয়ে বেশি ফোটে এই ফুল। শোনা যায়, নীলগিরি পাহাড়ের নামই হয়েছে এই ফুল থেকে৷ যখন এই ফুল ফোটে পাহাড়ের ঢালে ঢালে, তখন থাকে শুধু নীলেরই বাহার ৷ ২০০৬ সালে এমনই নীল রঙের ফুলে ঢেকে গিয়েছিল নীলগিরি এরপর  ২০১৮ তে ফোটে, এরপর ফুটবে ২০৩০ এ। নীলগিরির বিস্তীর্ণ এলাকা ফের একবার ঢেকে যাবে নীলকুরিঞ্জি ফুলে।

২০০৬ সালে  তামিলনাড়ুর কোদাইকানালের পালনি পাহাড়ে রেকর্ড সংখ্যক নীলকুরিঞ্জি ফুটেছিল। টার্নাস ভ্যালি উপত্যকায় এই ফুলের চাদর মেলেছিল। আবার কেরালার মুন্নার থেকে কোদাইকানালের দিকে যেতে সড়কপথে কেরালা-তামিলনাড়ু সীমান্তের টপ স্টেশন নামক জায়গাটির প্রধান আকর্ষণই হলো নীলকুরিঞ্জি। 

তামিলনাড়ুর ক্লাভরাই এবং কেরালার কোভিলুরের মাঝখানের পার্বত্য অঞ্চলটিও এই ফুলের জন্য পরিচিত। নীলকুরিঞ্জির জন্যই পর্যটন মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করেছে কাদাভারি পার্বত্য অঞ্চল। এমন কয়েকটি অঞ্চল নিয়েই গড়ে উঠেছে ‘কুরিঞ্জিসালা স্যাংচুয়ারি’। এছাড়া মুন্নার থেকে ৩৬ কি.মি. দূরে কোচি-মাদুরাই হাইওয়ের লাগোয়া পাহাড়ের কোলে ২০০৮ সালে ফুটেছিল নীলকুরিঞ্জি।

এছাড়া আরো কয়েকটি অঞ্চলে এই ফুল ফুটলেও সবসময় এর হিসেব রাখা সম্ভব হয় না। আর তাই নীল আকাশ, সবুজ পাহাড় আর এর মাঝে নীলকুরিঞ্জি ফুলের কার্পেট, অনেক সময় অনেক ভ্রমণপিপাসুদের কাছেই অধরা থেকে যায়।


প্রায় প্রজাতির ক্ষেত্রে এই ফুল ফোটে প্রতি ১২ বছরে মাত্র একবার। কিন্তু কয়েকটি প্রজাতির ক্ষেত্রে এর ভিন্নতাও দেখা যায়। কয়েকটি প্রজাতির বেলায় এই ফুল ফুটতে ১৬ বছরও সময় লেগে যায়। ১২ বছর পর পর এই ফুল ফুটলেও ওই বছরের যেকোনো সময়ই কিন্তু এই ফুলের দেখা পাওয়া যায়। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় একবার মাত্র নীলকুরিঞ্জি ফুল ফোটে। সাধারণত জুলাই থেকে ডিসেম্বর হলো এই ফুল ফোটার আদর্শ সময়।পিক সিজন হলো আগস্ট থেকে অক্টোবর। 


আরও খবর



ভেনিসে বাংলা স্কুলের আয়োজনে ১৯তম গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইতালি প্রতিবেদক:

ইতালির জলকন্যা ভেনিসে রোববার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র ভেনিস বাংলা স্কুলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়- ১৯তম গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন। 

সকাল সাড়ে দশটায় কামপালতো মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি- প্রবাসী খেলাপ্রেমীদের অংশগ্রহণে এক মিলনমেলায় রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভেনিস প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন, সৈয়দ কামরুল সরওয়ার। এছাড়া বাংলা স্কুলের উপদেষ্টা বেল্লাল হোসেন, সোহেলা আক্তার বিপ্লবী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দিলরুবা জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রারম্ভেই মুখরিত হয় কামপালতো মাঠ। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সম্মিলনে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। শিশু-কিশোরদের কোলাহল, খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী ও দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মাঠজুড়ে তৈরি হয় এক প্রাণবন্ত দৃশ্যপট।

ক্রিকেট টুর্নামেন্টের এ আয়োজন শুধু খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি হয়ে ওঠে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক। প্রবাসের মাটিতে নতুন প্রজন্মকে দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এ প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়।

ভেনিস বাংলা স্কুলের উপদেষ্টা পলাশ রহমান বলেন, গোটা বিশ্ব অস্থির যুদ্ধ বিগ্রহ নিয়ে। আমরা যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। আমাদের প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বিশ্ব রেখে যেতে চাই। জাতিগোষ্ঠীর ভেদাভেদ ভুলে- আমরা সুস্থ খেলাধুলার মাধ্যমে সম্প্রীতির বিশ্ব গড়ে তুলতে চাই।

বাংলা স্কুলের এমন একটি উদ্যোগ শুধু খেলাধুলার উন্নয়ন নয়, বরং সমগ্র কমিউনিটির মধ্যে সামাজিক বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে। আশা করা যায়, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই এই উদ্দীপনা বজায় থাকবে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন আরও বিস্তৃত আকারে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান মজুত, ৬ চালকল মালিকের জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ০২ জুলাই 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ধান চালের অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত, চালের বস্তার গায়ে মিলগেট দর, ধানের জাত, মিলের নাম না লেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে নওগাঁর ৬টি চালকল এবং অটো রাইস মিলে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা খাদ্য বিভাগ। অভিযানে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর বাজার এলাকায় অবস্থিত এসিআই সহ মোট ৬টি চালকল এবং অটো রাইস মিলকে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সারে ৪টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ৪ ঘণ্টা নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া এবং মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া ও সরস্বতীপুর ও হাটচকগৌরী এলাকায় অবস্থিত চালকল এবং অটো রাইস মিল গুলোতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার এ অভিযান পরিচালনা করেন। 

অভিযানে অবৈধভাবে ধান মজুত রাখার অভিযোগে মহাদেবপুরের চকগৌরী এলাকায় অবস্থিত জিহাদ চাল কলকে ১ লাখ টাকা, সরস্বতীপুর এলাকায় অবস্থিত এসিআই ফুডস লিমিটেড রাইস ইউনিটকে আতপ চালের প্যাকেটে অতিরিক্ত মূল্য লেখায় ৫০ হাজার টাকা, হাট চকগৌরী এলাকার লাইলি চল কলকে অবৈধ ধান মজুতের অভিযোগে ১ লাখ টাকা, অবৈধ ধান চাল মজুতের অভিযোগে মহাদেবপুরের চৌমাশিয়া এলাকায় অবস্থিত রাকিব চাল কলকে ২ লাখ টাকা, মিলন ট্রেডার্সকে অবৈধ মজুতের অভিযোগ ৫০ হাজার টাকা, কুলসুম চাল কলকে ৫০ হাজার টাকা এবং শহরের যুব উন্নয়ন এলাকায় অবস্থিত টিকে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ বলেন, গত কয়েকদিন যাবত ধান এবং চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান এবং চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমরা চালকল এবং অটো রাইস মিলগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মিলগুলোতে খাদ্য আইন অমান্য করে অবৈধ ধান চাল মজুত রাখা এবং বস্তার গায়ে জাতের নাম, মিলগেট দর না লেখাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৬টি মিলকে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, মিলগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা হয়েছে। খাদ্য আইনে সরাসরি ব্যবস্থা নিলে ৪ ধারায় তারা এতক্ষণে জেলে থাকতেন। অবৈধ মজুতগুলো বাজারে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি। এরপরে যদি অবৈধ মজুত পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করি অভিযানের মাধ্যমে ধান চালের দাম দ্রুত কমে আসবে। অভিযানে সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, খাদ্য বিভাগ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর