Logo
শিরোনাম

রাজশাহীতে নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী দিলেন রাসিক মেয়র লিটন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image
রাজশাহী ব্যুরো::

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চলমান পরিস্থিতে নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের আয়োজনে সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা তিনটায় সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে সাত শতাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। প্রত্যেকের জন্য খাদ্য সামগ্রীর প্রতিটি পকেটে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আটা, ১ কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম ডাল, ৫০০ মিলি সয়াবিন তেল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সারাদেশে অরাজকতা ও সহিংসতার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা সংকটে পড়েছেন। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। প্রথমদিনে সাত শতাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই মানবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

তিনি আরো বলেন, যারা দেশে নৈরাজ্য ও সহিংসতা করছে, তাদের ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, রেজাউল ইসলাম বাবুল, বদিউজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, সদস্য শামসুজ্জামান আওয়াল, আশরাফ উদ্দিন খান, আলিমুল হাসান সজল, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।


আরও খবর



জরুরি সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, নির্বাচনমুখী যেসব জরুরি সংস্কার করা দরকার তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আপনি আশ্বস্ত করেছিলেন, আবার আপনি সরে গেলেন, আপনি মনে করছেন আপনাকে জনগণ অসীম ক্ষমতাশীল বানিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো পরামর্শ আপনার মানার দরকার নেই। যদি তাই মনে করেন আপনার নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ হবে, ইতোমধ্যে কিছু কিছু উপদেষ্টা আপনার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করে উচ্চাভিলাষ প্রকাশ করছে। তাদের উদ্দেশ্য অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অনির্বাচিতভাবে যেন এই সরকার থাকতে পারে। আপনার কী উদ্দেশ্য তা অবশ্য আমরা জানি না।

খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি কোনোদিন নির্বাচনের দাবিতে এই সরকারকে ঘেরাও করতে হয়, তা হবে আমাদের জাতির জন্য একটি দুর্ভাগ্য। আপনি কি (প্রধান উপদেষ্টা) চান এই নির্বাচনের জন্য আপনার সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হোক, এ দেশের জনগণ যমুনামুখী লংমার্চ করুক।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনি সম্মানের সঙ্গে ডিসেম্বরের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার এবং বিচার চলমান প্রক্রিয়া, তা চালু থাকবে যারাই সরকারে আসুক না কেন। অনন্তকাল ধরে আপনি বিচার এবং সংস্কারের বাহানা দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কণ্টকাকীর্ণ করবেন না। যাদের পরামর্শে আপনি বিভ্রান্ত হচ্ছেন, সেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের আপনার উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অপসারণ করুন। আমরা আগেও বলেছিলাম আপনার উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর আছে, আমরা চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম। এখন কিছু বিদেশিদের দোসর আছে। এখন আমরা তাদের অপসারণের কথা বলছি। আর যারা এনজিও মার্কা উপদেষ্টা আছে, যারা আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের কথা শোনার প্রয়োজন নেই, তাদেরকে অপসারণ করুন। না হলে সসম্মানে বিদায় নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনার নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের পরে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু মনে করবেন না রোজ কেয়ামত পর্যন্ত আপনাদের আমরা এই জায়গায় দেখতে চাইবো। এখন মানুষ বলছে, আপনার সরকার এনসিপি মার্কা সরকার। আপনার সরকারে এনসিপির ২ জন প্রতিনিধি বিদ্যমান। তারা উপদেষ্টা, তারা আবার এনসিপি সংগঠন করে। যদিও অফিসিয়ালি করেন না, কিন্তু সবাই সবকিছু জানে, ওপেন সিক্রেট। যদি আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চান তাহলে এনসিপি মার্কা ২ জনকে পদত্যাগ করতে বলুন, যদি পদত্যাগ না করে আপনি বিদায় করুন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে আপনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। একজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই দেশের সেনাবাহিনী নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রতিবেদন দেবে, এটা কীভাবে ভাবলেন? তিনি রোহিঙ্গা করিডরের নামে, মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আপনি কথা বলেননি, এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা করেননি। অত্যন্ত ‘অ্যারোগ্যান্টলি’ আপনার সেই উপদেষ্টা বলছেন তাতে নাকি কিছু যায় আসে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা দাবি করছি- সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আপনি বিদায় করুন। সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হয় নিজে পদত্যাগ করবে, না হয় আপনি তাকে বিদায় করবেন। এই দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো জাতীয় দায়িত্ব বিদেশি নাগরিকের হাতে থাকতে পারে না। এই নাগরিক ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশে একটি অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য, আমরা তা হতে দেব না। এই দেশে বন্দর- করিডোর সবকিছু নাকি ইউনূস সরকারের অধিকারের মধ্যে পড়ে, বিদেশে আপনি কী কন্ট্রাক্ট করে এসেছেন জানি না। আপনি কি চুক্তি করে এসেছেন অবলীলাক্রমে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর, নদী বন্দর, করিডোর সব বিদেশিদের হাতে হস্তান্তর করবেন? আপনার একমাত্র ম্যান্ডেট দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন করা।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাকিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।


আরও খবর



বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত করল সৌদি আরব

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

ভারত, পাকিস্তান এবং মিশরসহ ১৪টি দেশের জন্য ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা কোটা ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছে সৌদি সরকার। ওমরাহ, ব্যবসা এবং পারিবারিক ভিজিট ভিসার মতো আরও বেশ কয়েকটি ভিসা বিভাগও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। রিয়াদ থেকে এক প্রতিবেদনে এএফপি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সৌদি আরব ১৪টি দেশের নাগরিকের জন্য ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা কোটা’ উল্লেখযোগ্যভাবে সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে অসংখ্য বিদেশি কর্মী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসন্ন হজ মৌসুমের সমাপ্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সিদ্ধান্তটি রাজ্যের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ পরিচালনা এবং ব্যস্ত সময়ে নিয়ন্ত্রক সম্মতি নিশ্চিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।

ভারতীয় এবং অন্যান্য ১৩ দেশের জন্য নতুন কোনো ওয়ার্ক ভিসা নেই। এ নতুন নিয়ম যেসব দেশের জন্য প্রযোজ্য সেগুলো হলো: ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন ও মরক্কো।

সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জারি করেছে, যা ২০২৫ সালের জুনের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

ব্লক ওয়ার্ক ভিসা হলো একটি পূর্ব-অনুমোদিত কোটা যা সৌদি নিয়োগকর্তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যক বিদেশি নাগরিক নিয়োগের অনুমতি দেয়। একবার একটি কোটা অনুমোদিত হলে, কোম্পানিগুলো তাদের নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য ওয়ার্ক এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। একে গ্রুপ ভিসাও বলা হয়।


আরও খবর



১২ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দুই সিটির

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কোরবানির পশুর বর্জ্য দিনের মধ্যে সরানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, ঈদের দিন বিকাল থেকে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করছি, ১২ ঘণ্টার ভেতরে আমরা কোরবানির ময়লা পরিষ্কার করব। পরিষ্কারের জন্য প্রায় ১০ হাজারের বেশি কর্মী আমরা প্রস্তুত রেখেছি। প্রস্তুত রয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনীয়সংখ্যক গাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান তিনি।

শাহজাহান মিয়া বলেন, একই সঙ্গে সরকারের অন্যান্য সংস্থার কাছে রিকুইজিশন দিয়ে রেখেছি, যদি বেশি গাড়ির প্রয়োজন হয়, সেগুলো আমরা নেব। যেসব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ময়লা কালেকশন করে বাসাবাড়ি থেকে তাদেরও আমরা এ অপসারণের কাজে সম্পৃক্ত করেছি। কাজেই আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি এক জায়গায় কোরবানি দেয়া যায়; তাহলে আমাদের বর্জ্য কালেকশনে সুবিধা হয়। এছাড়া ইন্ডিভিজুয়ালি কেউ কোরবানি দিলে সেই ময়লাও আমাদের কর্মীরা করতে প্রস্তুত থাকবে। বর্জ্য কালেকশনে আমাদের কোনো দুর্বলতা থাকবে না।

ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বুধবার আমিনবাজার ল্যান্ডফিল পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, ঈদে দিনের বর্জ্য দিনের মধ্যেই অপসারণ করে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার কর্মী ঈদের তিনদিন এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

এবার ঈদে প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে বলে ধারণা করছে ডিএনসিসি। এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ২২৪টি ডাম্প ট্রাক, ৩৮১টি পিকআপ, ২৪টি পেলোডার নিয়োজিত থাকবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সাড়ে ১২ লাখ পলিব্যাগ, আড়াই হাজার বস্তা ব্লিচিং ও চার হাজার ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে। এবার পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আমিনবাজারে দুটি পরিখা খনন করার কথা জানিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন।

এদিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ফেলা ও বর্জ্য জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানির সময় গবাদিপশুর রক্ত, গোবর, নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ যত্রতত্র ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। এ অবস্থায় সবাইকে সচেতনভাবে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে গ্লাভস, মাস্ক, অ্যাপ্রোন ইত্যাদি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, পশুর রক্ত, গোবর, চামড়া, হাড়, শিং, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি যেন কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না ফেলা হয়। এসব নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটিচাপা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কোরবানির মাংস বিতরণ বা বর্জ্য অপসারণে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে, যাতে প্লাস্টিক দূষণ এড়ানো যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে যেমন আমরা নিজেরা সুস্থ থাকি, তেমনি চারপাশকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিলো ইউক্রেন-রাশিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

গত সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। শুক্রবার উভয় দেশই ৭৮০ জন যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এদের মধ্যে সামরিক-বেসামরিক উভয় ধরনের বন্দি রয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার ছাড়া পাওয়া এই যুদ্ধবন্দিদের অর্ধেক অর্থাৎ ৩৯০ জন ইউক্রেনের, বাকি অর্ধেক রাশিয়ার। উভয় দেশই ২৭০ জন করে সামরিক এবং ১২০ জন করে বেসামরিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

সম্প্রতি তুরস্কে দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে হওয়া সংলাপে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে যেসব সমঝোতা হয়েছে, সেসবের আওতায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এই যুদ্ধবন্দিদের। তুরস্কের বৈঠকে উভয় দেশের ৫০০ জন করে মোট ১ হাজার যুদ্ধবন্দির মুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। তাদের মধ্যে শুক্রবার মুক্তি পেলেন ৭৮০ জন। আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার বাকি ২২০ জনকে ছেড়ে ও দেওয়া হবে।

গতকাল যে ৩৯০ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মস্কো, তাদের একজন ওলেক্সান্দার নেহির ইউক্রেনীয় বাহিনীর একজন সেনা সদস্য। তার স্ত্রী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মুক্তির পর ইউক্রেনের সুমি শহরের বাসিন্দা নেহির রয়টার্সকে বলেন, “আমাকে যে আজ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে—আমার স্ত্রীকে জানানো হয়নি। এমনিতে কারা কর্তৃপক্ষ প্রতি শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ করতে দেয়। সে আমার সঙ্গে আজ ওই সাপ্তাহিক সাক্ষাৎ করতেই এসেছিল।”

“এসে যখন দেখল যে আমি মুক্তি পেয়েছি, সে খুশিতে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি ঠিক কেমন—আপনি যদি কখনও এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে না যান, তাহলে আপনাকে তা বলে বোঝানো কঠিন। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, কখনও বিশ্বাস হারানো চলবে না, নিরাশ বা হতাশ হওয়া চলবে না।”

৯ মাস আগে ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশে দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন রুশ বাহিনীর সেনাসদস্য ওলেকসান্দার তারাসোভ। শুক্রবার যে ৩৯০ জন রুশ যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে তারাসোভও একজন। রয়টার্সকে তারাসোভ বলেন, “আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে আমি মুক্তি পেয়েছি।”

যুদ্ধবন্দিদের মুক্তিদানের ব্যাপারটিকে স্বাগত জানিয়েছেন এ যুদ্ধের প্রধান মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “মস্কো-কিয়েভ উভয়পক্ষের সমঝোতাকে স্বাগত। এই সমঝোতা কি অদূর ভবিষ্যতে আমাদেরকে বড় কোনো সুসংবাদের দিকে নিয়ে যাবে?” সূত্র : রয়টার্স


আরও খবর



মধুপুরে বাস ও মাহিন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ২জনের মৃত্যু হয়েছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন মধুপুর ফিলিং স্টেশনের পাশে শাহীন স্কুলের সামনে বাস ও মাহিন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মাহিন্দ্র চালক ফরহাদ এবং ঢাকা নেওয়ার পথে তার বন্ধু রাকিবের মৃত্যু হয়েছে। 

মাহিন্দ্র চালক ফরহাদ মধুপুর উপজেলাধীন পিরোজপুর চাপাইদ এলাকার জোয়াদ আলীর ছেলে এবং ফরহাদের বন্ধু রাকিব জিরাবো ঘোষঘোণা এলাকার বাসিন্দা।

মধুপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মুমূর্ষু অবস্থায় রাকিবকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে রাকিবের  মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

সে আশুলিয়া জিরাবো ঘোষঘোনা এলাকার বাসিন্দা এবং মাহিন্দ্র চালক ফরহাদের বন্ধু। 

শুক্রবার (৬জুন) রাত ২টার দিকে ঢাকা টাঙ্গাইল মহা সড়কের মধুপুর মালাউড়ী শাহীন স্কুলের সামনে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়। 

প্রত্যেক্ষদর্শী অপর মাহিন্দ্র চালক জানায়, আমরা তিন মাহিন্দ্র চালক যাত্রী আনার জন্য এক সঙ্গে মধুপুর থেকে আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। মধুপুর থানা মোড় হতে টাঙ্গাইল রোডের মালাউড়ী মসজিদ পার হতেই ঢাকা থেকে জামালপুর গামী মুক্তিযোদ্ধা ট্রাভেলস নামের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে রাস্তার বাম থেকে ডানে এসে মাহিন্দ্রের সামনে সরাসরি লাগিয়ে দিয়ে বাসের চালক জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

মধুপুর পুন্ডুরা এলাকার বাসিন্দা  মাহিন্দ্র চালক ফরহাদের চাচী শাশুড়ি জানান, আমরা রাত ১১টার দিকে ফরহাদের মাহিন্দ্র দিয়েই জিরাবো থেকে মধুপুরে আসি। দুর্ঘটনায় আহত রাকিব এবং আমরা জিরাবো ঘোষঘোণা এলাকায় ভাড়া থাকি।  ফরহাদ এবং রাকিব আগে এক সঙ্গেই চাকরি করতো সে কারণে আমাদের  সাথে মধুপুরে আসে এবং রাতেই ফরহাদের মাহিন্দ্র করে ঢাকার দিকে রওনা হয়। পুলিশ বাসটিকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে বলে জানা যায়। 


আরও খবর