Logo
শিরোনাম

রাখাইনে তুমুল লড়াই, বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে বাংলাদেশ যেন আক্রান্ত না হয় সেজন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে।

ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন ওপার থেকে গোলাগুলি কিংবা বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে না এলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল সীমান্তে। এ অবস্থায় ঈদের দিন পার হতেই ফের ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসায় দ্বিগুণ হয়েছে এপারের বাসিন্দাদের আতঙ্ক। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত ঘেঁষে ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণের কয়েকটিতে ভূমিকম্পের মতো কম্পন সৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল আটটার পর থেকে সন্ধ্যা অবধি থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয়টি ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। রোববার ও সোমবার আর কোন শব্দ শোনা যায়নি। মঙ্গলবার সকাল আটটার পর থেকে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে ওপার থেকে। এতে ভয়ানকভাবে কেঁপে উঠছে টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বেশ কয়েকটি অংশ।

পরিস্থিতির বর্ণনায় সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে। যেভাবে বাড়িঘর কেঁপেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদের পরদিন সকাল আটটার পর থেকে মিয়ানমারের ওপারের বিস্ফোরণে এপারের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম কেঁপে ওঠে।

এদিকে রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জলসীমায় বেশ কয়েকটি জলযান এসেছে বলে খবর পেয়েছি।

মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। যেকোন ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি আর কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ওবায়দুল কাদেরের কুশলীরা কে কোথায়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের সড়ক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)-এর নিজের নিয়ন্ত্রণই ছিল অন্যদের হাতে। এ সংস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্য, সিনিয়র কর্মকর্তাদের নির্যাতন ও জিম্মি করে টাকা আদায়সহ নানা ধরনের অপকর্মের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ১১ চেলা। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক অভিযান চালালেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর বিভিন্ন কার্যালয়ে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ হয়নি। সংস্থায় ঘুষ বাণিজ্য বহু আগে থেকেই চলছে। 

bvgt Avjx nvq`vi iZb



mv‡eK moK cwienb I †mZz gš¿x Ievq`yj Kv‡`i Gi fvwMbv|

MZ 22 GwcÖj 2025Bs †mvgevi MvRxcy‡ii kÖxcyi g‡Wj _vbv cywjk I XvKvi igbv _vbvi cywj‡ki †hŠ_ Awfhv‡b GK AvZ¥x‡qi evmv †_‡K Zv‡K †MÖdZvi Kiv nq| GB Avjx nvq`vi iZb moK cwienb I †mZz gš¿Yvjq Ges weAviwUG Gi wKQz Amvay Kg©KZ©vi mgš^‡q †iwR‡óªkb, iæU cviwgU, gvwjKvbv e`jx, wdU‡bm mn weAviwUG I moK cwienb gš¿Yvj‡qi e`jx evwY‡R¨i mv‡_ m¤ú„³ wQ‡jb Ges `yB nv‡Z UvKv Kvwg‡q A‰ea A‡_©i cvnvo evwb‡q‡Qb|  

bvgt gynv¤§` knx`yjøvn, cwiPvjK (BwÄt), weAviwUG, XvKv wefvগ

|

†gvevBjt 01550-051607

wZwb Avjx nvq`vi iZ‡bi mn‡hvMx wn‡m‡e XvKv wefvM, gqgbwmsn wefvM, iscyi wefvM, ewikvj wefvM, Lyjbv wefvM I ivRkvnx wefvM †_‡K mKj Dr‡KvP evwY‡R¨i UvKv Av`vq K‡i Avjx nvq`vi iZb Gi nv‡Z Zz‡j w`‡Zb| MZ 04/03/2025Bs Zvwi‡L Zv‡K IGmwW K‡i weAviwUG m`i Kvh©vj‡q mshy³ Ki‡jI wZwb GLbI envj Zweq‡Z weAviwUG Gi XvKv wefvMxq Kvh©vj‡qi `vwqZ¡ cvjb Ki‡Qb|

 

bvgt †gvt †ZŠwn` †nv‡mb, Dc-cwiPvjK (BwÄt) gqgbwmsn wefvMxq Kvh©vjq



†gvevBjt 01550-053908

¯’vbxq evox †bvqvLvjx| wZwb PÆMÖv‡g wmGbwR A‡UvwiKkvi cÖwZ¯’vc‡b knx`yjøvi †hvMmvR‡m K‡qKkZ †KvwU UvKv Dr‡KvP evwYR¨ K‡i‡Qb| hvi Ask knx`yjøvni gva¨‡g Avjx nvq`vi iZb‡K w`‡Zb| †ZŠwn` †nv‡mb evwo †bvqvLvjx nIqv‡Z AZ¨všÍ `vc‡Ui mv‡_ PjvPj Ki‡Zb Ges weAviwUG Gi mv‡eK †Pqvig¨vb b~i †gvnv¤§` gÛj Gi Nwbô mnPi wQ‡jb| Zvi weiæ‡× wmGbwR †K‡jsKvixi eû Awf‡hvM `y`K mn wewfbœ `߇i †`Iqv n‡jI wZwb Av‡Qb envj Zweq‡Z| †ZŠwn` †nv‡mb PÆMÖv‡g _vKvKvjxb mg‡q `vjvj wmwÛ‡K‡Ui cÖavb wQ‡jb evey `vm| 

bvgt cÖ‡KŠkjx iwdKzj Bmjvg, eZ©gvb Kg©¯’jt weAviwUG Gi wefvMxq Kvh©vjq ewikvj|



†gvevBjt 01550-051611

wZwb cwiPq w`‡Zb mv‡eK ¯’vbxq miKvi, cjøx Dbœqb I mgevq gš¿x BwÄt L›`Kvi †gvkvid †nv‡m‡bi fvwZRv e‡j Ges dwi`cyi-4 Avm‡bi msm` m`m¨ gywReyi ingvb †PŠayix Ii‡d wb·b †PŠayixi eÜz e‡j| iwdK ey‡qU QvÎjx‡Mi †bZv wQ‡jb| wZwb 2014 mv‡j weAviwUG Gi PÆMÖvg †g‡Uªv mv‡K©‡j e`jx n‡q hvb Ges †mLv‡b wM‡q wmGbwR A‡UvwiKkvi †iwR‡óªkb bv¤^vi w`‡eb e‡j DËiv gUim Gi wWjvi 8wU †kv iæ‡gi gva¨‡g K‡qK †KvwU UvKv nvwZ‡q †bb| cieZ©x‡Z welqwU wb‡q wefvMxq Z`šÍ nq| ZLb wZwb gš¿xi †`vnvB w`‡q cvi †c‡q hvb| cieZ©x‡Z 2019 mv‡j weAviwUG XvKv †g‡Uªv mv‡K©j-1 G mnKvix cwiPvjK wn‡m‡e e`jx nb| GLv‡b G‡m wZwb `vjvj P‡µi GKwU wmwÛ‡KU M‡o Zz‡jb| H `vjvj P‡µi gva¨g e¨ZxZ †Kvb KvR weAviwUG Gi mvaviY †mev MÖwnZviv ¯^v”Q‡›` Kwi‡Z cvwi‡Zb bv| `vjvj P‡µi cÖavb †nvZv weAviwUG †g‡Uªv mv‡K©j-1 Gi mv‡eK wnmveiÿK Lvb †gvt iæûj Avwgb| UvBMvi GwWÕi wgicyi kvLvi g¨v‡bRi Avj Avwgb kÖwgK †bZv mvLvIqvZ †nv‡mb `yjvj, †g‡Uªv cwjUb A‡Uv‡U¤úy A‡UvwiKkv kÖwgK BDwbq‡bi mvaviY m¤úv`K Avãyj ReŸvi, kvn Avjx _vbv hyejx‡Mi †bZv gwbi †nv‡mb Ms‡`i wb‡q GKwU kw³kvjx `vjvj wmwÛ‡KU M‡o Zz‡jb| 

bvgt †gvt mvbvDj nK, Dc-cwiPvjK (BwÄwbqvwis)



mv‡eK QvÎjxM †bZv Ges mv‡eK gš¿x Ievq`yj Kv‡`i Gi Nwbô mnPi wn‡m‡e weAviwUG Gi mKj AcK‡g©i ¸iæ †gvt mvbvDj nK| wZwbI weAviwUG †g‡Uªv mv‡K©j-2 BKzwiqv‡Z GKwU kw³kvjx `vjvj wmwÛ‡KU M‡o Zz‡jwQ‡jb kvwnb †Pqvig¨vb‡`i †jvKRb‡`i‡K w`‡q| AvIqvgxjx‡Mi cZb n‡jI `vjvjiv GLbI envj Zweq‡Z Ibvi c„ó‡cvlKZvq| Øv`k RvZxq msm` wbe©vP‡b bvg cÖKv‡k Awb”QzK weAviwUG Gi K‡qKRb Kg©KZ©v Kg©Pvix e‡jb GB mvbvDj nK Ievq`yj Kv‡`‡ii wbe©vPbxi Rb¨ e¨vcKfv‡e Puv`vevRx K‡i‡Qb| 

bvgt mi`vi gvnveyeyi ingvb, Dc-cwiPvjK (A_©), cÖkvmb kvLv



†gvevBjt 01711-130480

wZwb mv‡eK gš¿x Ievq`yj Kv‡`‡ii mgMÖ evsjv‡`k †_‡K Av`vqK…Z Dr‡KvP evwY‡R¨i mv‡_ m¤ú„³ †_‡K †Kvlva¨‡ÿi `vwqZ¡ cvjb K‡iwQ‡jb Ges wb‡Ri bv‡gI Zvi cwiev‡ii bv‡g Zvi PvKix Rxe‡bi †eZ‡bi †P‡q `yBkZ ¸b A‰ea m¤úwËi gvwjK n‡q‡Qb| weAviwU Gi mKj e`jx evwY‡R¨i mv‡_ mi`vi gvnveyeyi ingvb RwoZ Av‡Qb e‡j bvg cÖKv‡k Awb”QzK Kg©KZ©v-Kg©Pvixiv e‡jb|

bvg †gvt †`‡jvqvi †nv‡mb, gUihvb cwi`k©K, weAviwUG, wm‡jU †g‡Uªv mv‡K©j



†gvevBjt 01836-419981

†`‡ki evox †bvqvLvjx| m¤úªwZ mg‡q wZwb weAviwUG XvKv †g‡Uªv mv‡K©j-1 †_‡K wm‡j‡U e`jx n‡q wM‡q‡Qb| wZwbI A‡bK AcK‡g©i †nvZv Ges AvIqvgx jx‡Mi Avg‡j wewfbœ Dr‡KvP evwYR¨ I e`jx evwY‡R¨i Z`exi Ki‡Zb Avjx nvq`vi iZ‡bi mv‡_|

GQvov Ab¨vb¨ ‡Pjviv n‡jb h_vµ‡gt mv‡eK gš¿x Ievq`yj Kv‡`‡ii mv‡eK GwcGm †gvt †mwjg, weAviwUG Gi XvKv †g‡Uªv-1 mv‡K©‡ji mv‡eK Awdm mnKvix nvmvb web AvRv`, Awdm mnKvix mwRe nvmvb, D”Pgvb mnKvix Bg`v`yj nK kvgxg I XvKv wefvMxq Kvh©vj‡qi Awdm mnvqK mv‡n` †PŠayix, †iKW© wKcvi Rwniæj Bmjvg (PÆMÖvg †g‡Uªv mv‡K©j-2), †iKW© wKcvi Zmwjg gvngy` (PÆMÖvg †Rjv mv‡K©j), †iKW©wKcvi bCg DwÏb †PŠayix (PÆMÖvg †g‡Uªv mv‡K©j-1), Awdm mnKvix †gvt †`‡jvqvi †nv‡mb (PÆMÖvg †g‡Uªv mv‡K©j-1), Awdm mnvqK kvwKeyj nK BdwZ (PÆMÖvg †Rjv mv‡K©j) Ges wbivcËv cÖnix (PÆMÖvg mv‡K©j) meyR cÖgyL|


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তার কারণ ছিল তিনি বিশ্বাসী ছিলেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক :

সমস্যাটা ধর্ম নয়, সমস্যাটা হল ধর্ম আপনার চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ বা কগনিটিভ এবিলিটিকে গোলমেলে করে দিয়েছে কিনা। চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ বা কগনিটিভ এবিলিটি দুই ভাবে এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। এক উয়োক সংস্কৃতি। বাংলাদেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন হয়। একটি মেয়ের যত সমস্যা থাক, বিয়ে দিয়ে দিলে সেটা ঠিক হয়ে যাবে এটা হল সেই উয়োক সংস্কৃতির চিন্তা। যার অর্থ হল মেয়েটাকে মানুষ হিসাবে না ভেবে তাকে দেহসবর্স্ব একটি ভোগ্যবস্তু ভাবা। মেয়েটি নিজেও এটি ভাবা শুরু করলে তখন তার চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। জীবনের সব সমস্যাকেই সে বিয়েতে নিয়ে যায় এবং একটি মূল্যবান বর পাবার জন্য যা যা করা দরকার সে সেগুলো করতে থাকে। তার চিন্তা করার ক্ষমতাকে সে অবহেলায় হারায়। 

দুই হল জীবনে প্রথম আঘাত পেলে বা প্রথম কোন জটিল সামাজিক মানসিক সমস্যায় পড়লে সে যখন আর সেটা চিন্তা করে সেটার সমাধান করতে পারে না। তখন সে চিন্তা করা থামিয়ে দেয় এবং নিজেকে একটি মানসিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। সেটা পশ্চিমা উয়োকিজম হতে পারে, সেটা কোন ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বা বাম ভাবধারার উয়োকিজম হতে পারে। এই উয়োকিজম হচ্ছে মনোবিদ্যাগতভাবে নার্সিসিজম। যেখানে মানুষ নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োগ করে তার দল বা গোষ্ঠীর জন্য কি আচরণ করা অভিপ্রেত সেটা শিক্ষা করা এবং সেই আচরণ অনুসরণ করা নিজেকে মূল্যায়িত করা। এই ধরণের আচরণ বহুদিন অনুসরণের ফলে তার মস্তিস্কের সুক্ষ্ম চিন্তা করার ক্ষমতা ঝরে যায় যেটাকে নিউরোসায়েন্সের ভাষায় প্রুনিং বলে। 

আমাদের অবিবাহিত মেয়েদের জন্য বিয়ে যেরকম, সব চিন্তাগত সমস্যার সমাধান, পুরুষদের জন্য তেমনই হল ধর্ম। যেমন মানসিক সমস্যা থাকায় কোন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হল, যখন তাকে নিয়ে স্বামী বিপদে, সে তখন ছুটে গেল হাদিসে কি বলা আছে। সেখানে বলা আছে স্ত্রীকে প্রহার করা যাবে। ব্যাস তার সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। এখন স্ত্রীর পাগলামি দেখা দিলে সে প্রহার করে। 

পশ্চিমা আধুনিক উয়োকিজম কিন্তু চিন্তাগতভাবে একই। সেখানে হাদিসের স্থানে আছে মিডিয়া ও পপুলার কালচার। মানুষ চিন্তা ভাবনা না করে কোন সমস্যায় কি করতে হবে সেটা সোপ অপেরা, নাটক, সিনেমা, টিভি, সামাজিক মাধ্যম থেকে অনুসরণ করে। প্রথা বা পারিবারিক বা সামাজিক মূল্যবোধের আর প্রচলন নাই।

ধর্ম বা আর্ট হিসাবে নাটক, নভেল, সাহিত্য, সিনেমার লক্ষ্য কিন্তু কোন ভাব বা ধারার অনুসরণকারী তৈরি করা নয়। সেটার লক্ষ্য চিন্তাশীলতার চর্চা। জীবনের জটিলতার সরল সূত্র আবিষ্কার করা এবং কিছু সাধারণ মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা যার ফলে সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং মানুষ মনে বিশ্বাস, ভালবাসা এবং আনন্দ বিরাজ করে।

চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ কমে যাওয়া বা কগনিটিভ এবিলিটি ডিক্লাইনেশন কখনই আমাদের সেই পথে নিয়ে যাবে না। সেই কারণে একজন আধুনিক, শিল্পমনা বা ধার্মিক ব্যক্তিকে অবশ্যই জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় সক্ষম হতে হবে। যারা জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় সক্ষম নয়, তারা ধার্মিক নয়। জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় যারা এলোমেলো, ধর্ম বা ঈশ্বর আর মহাবিশ্ব নিয়ে চিন্তা তারা কিভাবে করবে? এরা সবাই ভুয়া।

মানুষ হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চিন্তাপ্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার। শুধু রাজনীতি নয়, দেশের মানুষ, সমাজ ও ধর্ম নিয়ে তার মনে ছিল স্বচ্ছ ধারণা। তাই নানা প্রলোভন ও আন্তর্জাতিক চাপ সত্বেও তিনি তাঁর বিশ্বাসে অটল ছিলেন। একজন প্রকৃত মুসলমান হল যাকে সবাই বিশ্বাস করে, যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বা যে দেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানায় সে নয়। এই কারণেই নানা ব্যর্থতা সত্বেও এমনকি দুর্ভিক্ষের বছরেও তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। 

বঙ্গবন্ধুর এই জনপ্রিয়তার কারণ ছিল শুধুই তিনি বিশ্বাসী ছিলেন বলে। যে কারণে তাকে হত্যাকারী সামরিক কর্তারা অন ক্যামেরা ইন্টারভিউতে বলেছিল যে তিনি এত জনপ্রিয় ছিলেন যে তাকে হত্যা করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।

সামনের নির্বাচনেও এই মুসলিম সমাজে মানুষ যাকে বিশ্বাস করে সে ভোট পাবে। যারা তাকে খুন করেছে তারা বা যারা বিদেশের কাছে দেশ বিক্রি করেছে তারা এই বিশ্বাসের ইসলামকে ধরতে পারে না। যেমন ধরতে পারেনি পশ্চিম পাকিস্তানীরা। কারণ তারা বিশ্বাসী ছিল না, তারা ছিল এক একজন শৃগালের মত ধূর্ত ও শঠ। 

লন্ডনে বসে যারা দেশের সামনের নির্বাচন ও রাষ্ট্র শাসনের দুরভিসন্ধি ও চক্রান্তে রত, তারা পাকিস্তানিদের অনুসারী যারা নিজেরাও শৃগালের মত ধূর্ত ও শঠ যেটা জাতির কাছে প্রমাণিত। যে যাই বলুক নির্বাচন বিশ্বাসের খেলা। মানুষ যাদের বিশ্বাস করে তারা জিতবে।


আরও খবর



ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫ |

Image

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে নাগরিকদের সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা জারি রাখতে হবে। প্রতিটি নাগরিককে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার থাকতে হবে। দেশের জনগণ কিন্তু সরকারের করুণার পাত্র নয়। সরকার অবশ্যই জনগণের কথা শুনতে এবং তাদের ন্যায্য দাবি মানতে বাধ্য। এখানে সরকারের মান-অভিমান কিংবা রাগ-বিরাগের কিন্তু কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের ১৮ বছরে যাত্রার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রে স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদ রুখে দিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সংসদ, সরকার গঠিত হলে অবশ্যই সেই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রে নাগরিকদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়। দেশে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত থাকলে সরকারের পক্ষ ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করা সহজ হয় না। সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সরকারের চরিত্র যাই হোক, সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা না গেলে ক্ষমতাসীন সরকার হয়তো নিজেদের অজান্তেই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।


আরও খবর



করোনার প্রকোপ, ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের সতর্কতা জারি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন স্থানে ওমিক্রনের একটি নতুন এক ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমুহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে চলতি মাসের ৪ জুনে রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে। 

এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দেখা যায়, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা, তা যাচাই-বাছাই করতে দেখা গেছে। 

ভারত ফেরত যাত্রী হরি দাস বলেন, ১০ দিন আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও করোনা বা ওমিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।

ভারত ফেরত যাত্রী মনিকা রানী বলেন, ১ মাস চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরে আসলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, দেশটির কিছু স্থানে ওমিক্রনের নতুন এক ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত সকল যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন, যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপসর্গ পাওয়া যায়, তাহলে যেন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়।


আরও খবর



সাভারের আড়তদাররা নির্ধারিত দামে চামড়া কিনছেন না

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে ঈদুল আজহার পর রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া আসতে শুরু করেছে। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্য মানতে নারাজ আড়তদাররা। লোকসানের অজুহাতে চামড়া কিনতে চাইছেন না নির্ধারিত দামে। ফলে চামড়া বিক্রেতা ও ফড়িয়াদের সঙ্গে চলছে টানাপড়েন ও দরদাম নিয়ে উত্তেজনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঈদ জামাতের পর সারা দেশে হয়েছে লাখ লাখ পশু কোরবানি। এখন চলছে চামড়া সংগ্রহ। ঢাকা শহরের ভেতরের বেশির ভাগ চামড়া আসে সায়েন্সল্যাব এলাকায়। সকাল ১০টা থেকে তাই এখানে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে আসতে শুরু করেন বিক্রেতা ও ফড়িয়ারা।

এখান থেকে চামড়া যাচ্ছে পোস্তা কিংবা সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর আড়তগুলোতে। তবে দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের চলছে বাদানুবাদ। বিক্রেতারা বলছেন, মান অনুযায়ী চামড়ার নায্য দাম মিলছে না।

এদিকে দুপুর ১২টা থেকে ইজি বাইক, অটোরিকশায় আশপাশের এলাকা থেকে চামড়া আসতে শুরু করেছে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীসংলগ্ন আড়তগুলোতে। চামড়া নিয়ে এখানেও চলছে টানাটানি ও দর-কষাকষি।

প্রতি পিস গরুর চামড়া মানভেদে ৬০০-৭০০ টাকা দাম হাঁকছেন আড়তদাররা। ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ছাগলের চামড়া। দাম নিয়ে শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। আড়ত মালিকদের সংগঠন বলছে, লোকসান এড়াতে সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনবেন না তারা।

সাভার কাঁচা চামড়া আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. আজিজ বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা সম্ভব নয়। কারণ, চামড়ার সঙ্গে লবণ ও শ্রমিক খরচ যুক্ত হবে। নির্ধারিত দামে চামড়া কিনলে লোকসান হবে।

উল্লেখ্য, এ বছর চার লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ হবে হেমায়েতপুরের আড়তগুলোতে। এদিকে ঈদের পর ১০ দিন অন্য জেলার চামড়া ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।


আরও খবর