Logo
শিরোনাম

রামগড়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,রামগড় :

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে অভিযান চালিয়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার ৫ই জুন দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খাগড়াছড়ি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় নানা অনিয়ম ও ভোক্তা অ‌ধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে অপরাধ প্রমাণিত হওয়াতে ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশন করায় খালেক হোটেল মালিককে ১০ হাজার, মেয়াদহীন কসমে‌টিকস রাখার অপরাধে রুপ কথা কসমেটিকস'কে ২০ হাজার, মেয়াদহীন ঔষধ দোকানে রাখার অপরাধে জাহাঙ্গীর মেডিকেল হলের মালিককে ২০ হাজার ও হৃদয় কসমেটিকসকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৩ দ্বারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়াতে রামগড়ে ৪ প্রতিষ্ঠানে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, ও প্রতিষ্ঠানের মালিককে সর্তক করা হয়, তিনি আরো জানান ভোক্তা অধিকারের এ অভিযান চলমান থাকবে।

অভিযানে রামগড় থানার উপপরিদর্শক এস আই মো.তারেক এর নেতৃত্বে  পুলিশের একটি টিম সঙ্গে থেকে সা‌র্বিক সহযো‌গিতা করেন।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস নিয়ে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভাবনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

যুগে যুগে দেশ ও জাতির উন্নয়নে শ্রমিক শ্রেণির অবদান অনস্বীকার্য। আজকের এই সভ্য সমাজের উঁচু অট্টালিকা, শিল্প-কারখানা কিংবা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন—সবকিছুর পেছনেই মেহনতি মানুষের ঘামঝরা শ্রম নিহিত।

এই দিবসটির ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে ১৮৮৬ সালের শিকাগো শহরের ‘হে মার্কেট’ আন্দোলনের মধ্যে। সেখানে শ্রমিকেরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। এ দিনে  অকুতোভয় কিছু শ্রমিক তাঁদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রমিকদের অধিকার, যা পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে শ্রম আইন ও ন্যায্য মজুরির আলোচনার পথপ্রদর্শক হয়। এই অবদানের স্বীকৃতি দিতেই প্রতিবছর ১ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা মে দিবস নামেও পরিচিত।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে শ্রমিক শ্রেণি। দেশের কল-কারখানা, নির্মাণশিল্প, পরিবহন খাত কিংবা কৃষি—প্রতিটি ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমই গতি এনে দেয় অর্থনীতিকে। অথচ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এই শ্রমিকরাই সমাজে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও উপেক্ষিত। প্রতিনিয়ত তারা শোষণ, বঞ্চনা ও বিভিন্ন প্রকার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হয়, কর্মপরিবেশ থাকে অমানবিক, এবং নিরাপত্তার অভাবে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। পরিতাপের বিষয় হলো, এখনো শ্রমিকদের নিজেদের ন্যায্য মজুরি ও উপযুক্ত কর্মপরিবেশের জন্য রক্ত দিতে হয়। 

শোষণহীন সমাজ গঠনে শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে কী ভাবছেন মাভাবিপ্রবি  শিক্ষার্থীরা? এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও  ক্যাম্পাস সাংবাদিক মো. হ্নদয় হোসাইন।

ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের  শিক্ষার্থী সমাপ্তি খান  বলেন, শ্রমিকরা আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। মে দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সমাজে সব শ্রেণির মানুষের প্রতি ন্যায্যতা ও মর্যাদা থাকা প্রয়োজন। যারা কঠোর পরিশ্রম করেন, তাদের কষ্ট যেন আমরা বুঝি। আমি বড় হয়ে এমন কিছু করতে চাই, যাতে নারী শ্রমিকরা ন্যায্য বেতন ও সম্মান পান।

অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী  তৌকির  আহমেদ বলেন, ১লা মে—আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এটি কেবল একটি তারিখ নয়, এটি এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের প্রতীক, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের দিন।

এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই বিশ্বের সকল শ্রমিকদের প্রতি—যারা রোদে-পুড়ে, ঘামে-ভেজা শরীরে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থাকে সচল রাখেন। যারা নির্মাণ করেন রাস্তা, ব্রিজ, ভবন—যাদের হাতে গড়ে ওঠে এক একটি জাতির অগ্রগতির ভিত। অথচ আজও আমাদের সমাজে অনেক শ্রমিক বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা থেকে।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—

১. শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় নীতিনির্ধারক ও নাগরিক সমাজ সক্রিয় থাকবে।

২. শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক হবে দায়িত্বশীল ও সম্মানভিত্তিক।

৩. শিশু শ্রম, জোরপূর্বক শ্রম ও শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।

আমরা যেন ভুলে না যাই—শ্রমের মর্যাদা মানে মানুষের মর্যাদা। সমাজের প্রতিটি স্তরে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতির মনোভাব গড়ে তুললেই শ্রমিক দিবসের তাৎপর্য পূর্ণতা পাবে।

শ্রমিকের ঘামে গড়া সমাজে কোনো বৈষম্যের জায়গা নেই।

আসুন, এই দিনে আমরা সমতার সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাই।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  ২০২০-২১ বর্ষের  শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন,আমি একজন শিক্ষার্থী। পড়াশোনার ফাঁকে যখন দেখি রোদে-পুড়ে, ঘামে ভিজে কাজ করছেন শ্রমিকরা—তখন মনে হয়, এ সমাজের সত্যিকারের নায়ক তো এঁরাই। আমরা যে ভবনে ক্লাস করি, যে রাস্তায় চলি, তা তো তাঁদের ঘামে গড়া।

তবু কেন তাঁরা থেকে যান প্রান্তে? কেন আজও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হন? কেন নিরাপদ কর্মপরিবেশ কিংবা সামাজিক সুরক্ষা তাঁদের প্রাপ্য হয়ে ওঠে না?

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস আমাকে শেখায়—শ্রম মানেই সম্মান। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, আমাদের সবার। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার—শ্রমিক বললেই যেন সম্মান ঝরে পড়ে মনে।

শিক্ষার্থী হিসেবে আমি স্বপ্ন দেখি এক এমন সমাজের, যেখানে শিশুশ্রম থাকবে না, কেউ জোর করে শ্রমে বাধ্য হবে না, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক হবে সৌহার্দ্যপূর্ণ।


ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের মাস্টার্স ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী  আক্তারুজ্জামান সাজু বলেন, শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সকল শ্রমিক ভাইদের প্রতি শুভেচ্ছা জানাই। আমি নিজেও একজন শ্রমিকের সন্তান। আমি মনে করি, সভ্যতা নামক জাহাজ শ্রমিকের ঘামের উপর দিয়েই চলে। লক্ষ্যণীয় যে, গত জুলাই বিপ্লবের সময় তথাকথিত সুশীল ও বুদ্ধিজীবীদের আগেই রিকশাওয়ালা, দিনমজুররা রাস্তায় নেমেছিল; তরুণদের প্রতি আস্থা রেখেছিল।

তারুণ্যের এই নতুন বাংলাদেশে আমরা এমন এক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই, যেখানে শ্রমিকের মান-মর্যাদা ও ন্যায্য মজুরি সংরক্ষিত থাকবে।


আরও খবর



অনলাইনে এনআইডি কার্যক্রম বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সারাদেশে সাময়িকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সার্ভারে প্রবেশের সময় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) না আসায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়। সে ওটিপি না আসায় কর্মকর্তারা সার্ভার ঢুকতে পারছেন না। এজন্য আপাতত অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে ছবি তোলা বায়োমেট্রিক গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে। ওটিপি সমস্যার সমাধান হলেই সব কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সার্ভার বন্ধ নয়। আমরা এনআইডি কার্যক্রম পরিচালনা করার একটি ওটিপি সার্ভিস কিনেছি, সেটি যাদের থেকে নিয়েছি তাদের সিস্টেমে সমস্যা হয়েছে, ঠিক করার কাজ চলছে। ঠিক হয়ে গেলে সেবা কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে।

এদিকে, ওটিপি না আসায় সকাল থেকে সেবাপ্রার্থীদের সেবা দিতে পারছেন না মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তবে দুপুরের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় অঙ্কে শিক্ষকের ভুল ধরায় ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় গণিত ক্লাসে শিক্ষকের ভুল ধরায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শিক্ষার্থীকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকমহলে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ সাফি (১১)। সে গোবিন্দপুর গ্রামের আনিছুর রহমান মণ্ডলের ছেলে ও গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার ভর্তি রোল ৪৪ বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক (গণিত) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গণিপুর গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে।  

শিক্ষার্থী সাফি জানায়, সোমবার টিফিনের পর আড়াইটার দিকে সহকারী শিক্ষক ইয়ামিন স্যারের গণিত ক্লাস চলছিল। ক্লাসে লসাগু’র পূর্ণরূপ স্যার ভুলভাবে উপস্থাপন করছিলেন। সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়ায় ইয়ামিন স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের ছড়ি দিয়ে আমাকে বেদম মারধর করেন।

শিক্ষার্থী সাফির মা নাদিরা বেগম বলেন, ছেলে সাফি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অঙ্ক ক্লাসে ভুল ধরায় শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন ছেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। সন্ধ্যার দিকে তাকে মান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন বলেন, গণিত ক্লাস চলাকালিন শিক্ষার্থী সাফি আমার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাই তাকে একটু শাসন করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছি। অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। স্থানীয় প্রসাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মণ্ডল বলেন বিষয়টি শুনেছি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীকে মারধর করা ঠিক হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ মে ২০২৫ |

Image

চলমান গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আমরা আশা করছি, এই গ্রীষ্মকালে বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিপিডিবি চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গড়ে ১৪,০০০-১৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যেখানে দৈনিক চাহিদা আনুমানিক ১৫,০০০ মেগাওয়াট ।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বলে অনুমান করা হয়েছে, যেখানে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

বিপিডিবির তথ্য অনুসারে, শনিবার দেশে ১১ হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, যেখানে চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিপিডিবি সূত্র জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের ঘাটতি ৭৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত থাকবে। তবে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সূত্র এও জানিয়েছে, কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে।

বিপিডিবি গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, যেখানে সর্বোচ্চ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ২৬০ মেগাওয়াট। এছাড়া সরকার গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সংগ্রহ করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ও দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে গত ১৭ এপ্রিল সরকার আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সেলেরেট এনার্জি, এলপি থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এভাবে সরকার প্রায়ই এলএনজি সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজি নিয়ে কাতার ও ওমানের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি রয়েছে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং কমাতে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। গ্রীষ্মকালে সারা দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকার কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাড়ি ও মসজিদে এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা উচিত নয়। যদি এটি বজায় রাখা যায়, তাহলে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে জাতীয় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে।

লোডশেডিং সম্পর্কে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সরবরাহ ও চাহিদায় অমিলের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। কিন্তু যদি ট্রান্সফরমারটি বিকল হয়ে যায় অথবা ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেয়, তাহলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে সরকারি ভাবে ধান-চাউল সংগ্রহ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সরকারি ভাবে ধান চাউল সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার ৭ (মে) সকাল এগারোটায় উপজেলা খাদ্য গুদামে ফিতা কেটে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম।

এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হামিদুল ইসলাম,খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল,জোবেদা অটো রাইস মিলের সত্বাধিকারী শিল্পপতি ওয়াহেদ আলী,কথন-মিফতি অটো রাইস মিলের সত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী, কৃষক সফিয়ার রহমান সহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানায়,২০২৫ অর্থ বছরে সরকারী ভাবে এ উপজেলায় সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ৩৬ টাকা দরে ৭১০ মেট্রিক ধান এবং মিল চাতাল মালিকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি চাল ৪৯ টাকা দরে মোট ২ হাজার ১৪৭ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হবে।


আরও খবর