Logo
শিরোনাম

রামগড়ে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে ২৩-২৪ অর্থ বছরে বরি মৌসুমে বোরো ধানের উফশি আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের যৌথ আয়োজনে কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন রামগড় ১নং ইউপির চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আঞ্জুম, সহকারি উদ্ভিদ ও সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো.সানাউল হক, উপ-সহকারী মো.তসলিম উদ্দিন বাহার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চাষীদের মধ্যে হাইব্রিড ধান-৫ কেজি, এমওপি-১০ কেজি, ডিএপি-১০ কেজি বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



তাবাসসুম ঊর্মিকে কেন ওএসডি করা হলো?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

গোলাম মাওলা রনি :

মাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মিকে কেন ওএসডি করা হল এমন একটি প্রশ্ন করেছিলাম যা নিয়ে মুল ধারার গন মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে । 

ঊর্মিকে কেবল ওএসডি নয় - ইতিমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ! আমি ঊর্মির পক্ষে কিছুই বলিনি - শুধু কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম ! কেন প্রশ্ন করেছিলাম তা এখন আপনাদেরকে জানাচ্ছি ! 

আমি ২০১২ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার মধ্যে যে গনতান্ত্রিক মনভাব এবং আচরণ দেখেছি তা ২০১৩ সালের পর থেকে ভয়াবহ রূপ নেয় । কিছু আমলার প্ররোচনা এবং তেলবাজদের চক্রান্তের কারনে শেখ হাসিনার যে মানসিক বিবর্তন ঘটে সেখানে তাঁকে নিয়ে বা তার পরিবার নিয়ে কেউ টু শব্দ উচ্চারণ করলে তিনি সমালোচনাকারীকে শায়েস্তা করার জন্য পাগল হয়ে যেতেন । 

ডঃ ইউনুস আমাদের স্বপ্ন-ভালবাসা-ঘাম-শ্রম এবং রক্তের ফসল ! তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করলে বা তার সমালোচনা করলে কেন আমলারা শেখ হাসিনার জমানার মতো আচরণ করবেন । ঊর্মির বক্তব্য নিয়ে তাকে প্রথমত শো কজ করতে হবে । তার উত্তর সন্তোষজনক না হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে । অপরাধ বেশি গুরুতর হলে - ফৌজদারি মামলাও হতে পারে । কিন্তু এসব না করে - এক কথায় ওএসডি করা এবং তারপর সাময়িক বরখাস্ত করার মাধ্যমে যে দৃষ্টান্ত তৈরি হল তার সঙ্গে শেখ হাসিনার জমানার পার্থক্য কতোটুকু !  

ঊর্মি যে বিভাগের কর্মকর্তা সেই বিভাগে ইতিমধ্যে বহু লংকা কাণ্ড ঘটেছে । ডিসি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির খবরে সারা দেশে তোলপাড় হয়েছে । কাউকে ঊর্মির মতো শাস্তি দেয়া হয়েছে এমন খবর আমি এখনো শুনিনি । 

বাংলাদেশে নতুন করে বিরাজনীতিকরন, মাইনাস টু এবং মব জাস্টিস নিয়ে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে । এখানে হঠাৎ হুট হাট করে অনেক কিছু ঘটছে যা নিয়ে প্রশ্ন না করলে শেখ হাসিনার চেয়েও জঘন্য ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়ে যাবে । 

গন হারে মামলা, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যাকে ইচ্ছা তাকে নিয়োগ বা চাকুরী থেকে বাদ দেয়ার পরের ধাপ হবে - রাজনীতিবীদদের উপর অত্যাচার । আর তখন যদি বিএনপি-জামাতের শীর্ষ নেতাদেরকে ধরা হয় - আদালতে উঠানোর সময় সাবের হোসাইন চৌধুরীর মতো লাথি গুঁতো কিল ঘুষি মারা হয় তখন প্রশ্ন করার মতো সাহস কারোরই থাকবে না ।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




১০৭ ভুয়া আইনজীবীকে বরখাস্ত করল বার কাউন্সিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

১০৭ জন ভুয়া আইনজীবীকে বরখাস্ত করেছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (বিসিআই)। ২০১৯ থেকে ২০২৪ এর মধ্যে দিল্লির ১০৭ জন আইনজীবীর নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বার কাউন্সিল

বিসিআইয়ের তরফে গত ২৬ অক্টোবর একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ভুয়া আইনজীবীদের চিহ্নিত করে নির্মূল করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। বিচারব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা বজায় রাখতে এবং আইনি ব্যবস্থাকে অনৈতিক কার্যকলাপের হাত থেকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ।

বার কাউন্সিলের আরো দাবি, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে কয়েক হাজার আইনজীবীকে তাদের শংসাপত্র দেখাতে বলা হয়েছিল। তাদের মধ্যে যারা অনুশীলনের বৈধ প্রমাণ ও শংসাপত্র দেখাতে পারেননি, তাদেরকেই বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনজীবীদের নামের তালিকা থেকেও বাদ গিয়েছে ওই ভুয়া আইনজীবীদের নাম

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই গুজরাতের গান্ধীনগরে ভুয়ো আদালত খুলে প্রতারণার চক্র চালানোর খবর প্রকাশ্যে এসেছে! সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বিচারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মরিস স্যামুয়েল ক্রিশ্চিয়ান। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি ওই ভুয়া আদালত চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। নগর দায়রা আদালতে যাদের জমিজমা সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন, মূলত তাদেরই প্রতারণার জালে ফাঁসাতেন অভিযুক্ত। একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নগর দায়রা আদালতে জমে থাকা মামলা নিজের আদালতে শুনানির জন্য টোপ দিতেন ওই ভুয়া বিচারক। সেই আবহেই এবার ১০৭ জন আইনজীবীকে বহিষ্কারের ঘোষণা করল বার কাউন্সিল


আরও খবর



রাণীনগরে একমঞ্চে দাঁড়িয়ে ভোট চাইলেন বিএনপির ১০জন প্রতিদন্ধী প্রার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভোটারদের কাছে একে একে ভোট চাইলেন বিএনপির প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা। আসন্ন রাণীনগর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রতিদ্ব›দ্বী ১০জন প্রার্থী সোমবার বিকেলে আবাদপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সভায় ভোট চান প্রার্থীরা।দলের মধ্যে শৃংখলা ও পরস্পর সর্ম্পক বজায় রাখতে এমন আয়োজনের কথা জানান দলটির নেতা-কর্মীরা।

কালীগ্রাম ইউনিয়ন এবং একডালা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনী ভোটরদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন,কালীগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এ্যাড:আব্দুল খালেক। আসন্ন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন পরিচালনা কমিটির সদস্য কাজী মো: রবিউল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সভাপতি পদপ্রার্থী এসএম আল ফারুক জেমস্,আলহাজ্ব এছাহক আলী,সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসারব হোসেন,একেএম জাকির হোসেন ও এমদাদুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন,মেজবাউল হক লিটন,মতিউর রহমান উজ্জল,শহিদুজ্জামান আকন্দ ও কাজী সাহাবুল ইসলাম। সভায় প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা নিজ নিজ যোগ্যতার কথা তুলে ধরে ভোটারদের নিকট ভোট প্রার্থনা করেন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে কালীগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছোলাইমান আলী,একডালা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা বক্তব্য প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১০বছর পর রাণীনগর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ২৬অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৮টি ইউনিয়নের মোট ৫৬৮জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন। তফশীল ঘোষনার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোট চাইতে মাঠে নামেন প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থীরা।


আরও খবর



পীরগাছায় শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব-


 রংপুরের পীরগাছা থানার আয়োজনে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে পীরগাছা থানা প্রাঙ্গনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী এর সভাপতিত্বে ও পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার,সি সার্কেল মাহমুদুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ পীরগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি, ভবেশ চন্দ্র বর্মন,উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ,তরুন কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক রুহিদাস বর্মন,উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব, খন্দকার মতিয়ার রহমান,উপজেলা জামাতের আমীর মাওলানা মোস্তাক আহম্মেদ,উপজেলা রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন,উপজেলা বিএনপির সদস্য রবি লাহেরী,উপজেলা ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন, পীরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব মুন্সী, দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবিব,শফিকুল ইসলাম খাঁন প্রমূখ।প্রধান অতিথি  সহকারী পুলিশ সুপার,সি সার্কেল  মাহমুদুল হাসান বলেন,পূর্জামণ্ডপগুলো নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আনসার ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি পূর্জামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় পল্লী চিকিৎসক কর্তৃক অপারেশন করার পর রোগীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ট করা রোগী সাহেদ আলীকে অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে পল্লী চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে। তার অপারেশনের পর ক্ষতস্থানের মাংস পচে খুলে পরার পর সাহেদ আলীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯ টার সময় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত সাহেদ আলী নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বাগধানা (ঘোলাগাড়ী) গ্রামের মৃত কাফির উদ্দিনের ছেলে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নিহত সাহেদ আলী তার কোমরে ফোঁড়া বের হওয়ার পর নওগাঁ জেলা সদর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার এক পর্যায়ে গত ২ অক্টোবর নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ট করা হয় সাহেদ আলীকে। রাজশাহী (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে তার পরিবারের লোকজন সাহেদ আলীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ ঘটনাটি তাদের পারিবারিক পল্লী (প্রাথমিক) চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডলকে জানালে সে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া লাগবে না জানিয়ে রেফার্ট করার দিনই সাহেদ আলীর ফোঁড়া অপারেশন করেন। এরপর ৪দিন ধরে প্রতিদিন ড্রেসিং করে দেয়। এক পর্যায়ে অপারেশন করা স্থানের মাংস পচে খুলে পড়তে লাগলে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে গত মঙ্গলবার রোগীকে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে দেন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় সে মারা যায়।

এ বিষয়ে নিহত সাহেদ আলীর ছেলে ফরিদ বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার বাবা গেরস্তের বাড়িতে দিন মজুরী কাজ করতেন, আমিও পেটের দায়ে ঢাকা শহরে গিয়ে রিকশা চালায়। আমার বাবা ফোঁড়া জনিত কারনে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার আমার বাবাকে রাজশাহী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। বাবাকে রাজশাহীতে নেওয়ার পস্তুতিও চলছিল। সেই ফাঁকে আমাদের পরিবারের গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে বাবাকে তার চেম্বারে (সরস্বতীপুর কদমতলীর মোড়ে) নিলে গ্রাম্য ডাক্তার আমার পরিবারের লোকজনকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে তিনি চিকিৎসার নামে আমার বাবাকে সেখানে অপারেশন করেন। গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারনে-ই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে মুঠোফেনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডল চিকিৎসার কথা শিকার করে বলেন, আমি ত কোন সিজার বা বড়ো কোন অপারেশান করিনি। এসময় নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহীতে রেফার্ট করা রোগী সাহেদ আলীকে ফোঁড়া'র স্থানে অপারেশান করা হয়েছে, যা আপনি করেছেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন এবং চিকিৎসার কাগজ-পত্র ও আমরা হাতে পেয়েছি প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক এক পর্যায়ে বলেন, আমার এই কাজটি করা ঠিক হয়নি এছাড়া 

তাকে রেফার্ট করা হয়েছিল সেটিও জানতাম না বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, কোন গ্রাম্য চিকিৎসক-ই রেফার্ড করা কোন রোগীকে চিকিৎসাই করতে পারেন না। যদি এটা করা হয়ে থাকে নি:সন্ধেহে তিনি এটা অন্যায় করেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসমত আলী বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর

১০ মাসে ডেঙ্গুতে ৩০০ মৃত্যু

শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4