Logo
শিরোনাম

রাণীনগরের কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে এই বাজেট সভা অনুষ্ঠিত করা হয়।

কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব চাঁন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষনা করেন পরিষদের সচিব শাহাজুল ইসলাম। তিনি ১কোটি ৯১লক্ষ ৩২হাজার ২৬০টাকা আয় এবং ১কোটি ৮৯লক্ষ ৮৬হাজার ২৬০টাকা ব্যয় ধরে এই বাজেট ঘোষনা করেন। উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা শেষে পরিষদের সদস্য আব্দুল কাহার,রাণীনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: ওহেদুল ইসলাম মিলন বক্তব্য রাখেন। এসময় পরিষদের পুরুষ ও নারী সদস্যবৃন্দ এবং হিসাব সহকারী ফারুক হোসেন ও পরিষদের উদ্যোক্তা রেজাউল ইসলাম, সাংবাদিকরা ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মশার কামড়ে নতুন রোগের আতঙ্ক!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

মশার কামড় খাননি, এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। তবে কার শরীরের গন্ধ কেমন, তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে, পতঙ্গটি কার প্রতি কতটা আকৃষ্ট হবে। নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। এ গবেষণার ফলাফল গত শুক্রবার (১৯ মে) কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাটি করেন জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সহকারী অধ্যাপক কোনর ম্যাকমেনিম্যান এবং গবেষক দিয়েগা গিলারদো ও স্টেফানি রানকিন-টার্নার। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল এডগার সিমুলুনডুর নেতৃত্বাধীন জাম্বিয়ার মাকা রিসার্চ ট্রাস্ট।

মশা সাধারণত ফল-মূল ও লতা-পাতার রস খায়। তবে ডিম ফোটাতে স্ত্রী মশার অতিরিক্ত প্রোটিনের দরকার হয়। তখন তারা মানুষসহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত খেতে হুল ফোটায় বা কামড়ায়। তবে ভয়ের কথা হলো, কামড়ের মাধ্যমে তারা পরজীবী ও ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। এতে করে যত ধরনের অসুখ হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হলো ম্যালেরিয়া। এখনো প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় ছয় লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।

গবেষণায় মূলত আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের অ্যানোফিলিস গাম্বিয়ায় প্রজাতির মশার আচরণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান, মানুষের শরীরের ঘামে থাকা নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদানের কারণে মশার আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের শরীরের ভিন্ন ভিন্ন গন্ধে মশা কতটা আকৃষ্ট হয়, তার তুলনা করা হয়। দেখা যায়, এ পতঙ্গ ২০ মিটার বা ৬৬ ফুট দূর থেকে গন্ধ শনাক্ত করতে পারে।

গবেষকরা দেখতে পান, কার্বোক্সিলিক অ্যাসিডের প্রতি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হয় মশা। এ অ্যাসিডের মধ্যে রয়েছে বিউটিরিক, যা দুর্গন্ধযুক্ত পনিরে পাওয়া যায়। এ অ্যাসিড মানুষের ত্বকে সৃষ্টির জন্য দায়ী একধরনের ব্যাকটেরিয়া। পাশাপাশি ইউক্যালিপটল নামের একধরনের রাসায়নিকের প্রতিও তাদের আকর্ষণ বেশি, যা গাছগাছালিতে থাকে।

গবেষণাটির সহলেখক এডগার সিমুলুনডু বলেন, এ গবেষণার ফলাফল মশাকে প্রলোভনে ফেলা বা বিমুখ করার নতুন ধারণা সামনে নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে মশাকে মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পথ বন্ধ করা যেতে পারে। এতে করে আফ্রিকা অঞ্চলে মহামারিতে পরিণত হওয়া ম্যালেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে।

 সূত্র : সিএনএন।


আরও খবর



দিঘলিয়ায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে

সারোয়ার খান কলেজ-এর ১৫ বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রী কলেজ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি দিঘলিয়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ, এ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষসহ ১৫ টি বিষয় শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রী শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রি কলেজের এ সাফল্যে কলেজ ও এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কৃতি শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে সংবর্ধনার।  সাফল্যের নজির রেখে আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রী কলেজ আবারও প্রমাণ করেছে যে উপজেলার কলেজগুলোর মধ্যে তরাই সেরা।

গতকাল ও গত পরশু, দিঘলিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

কলেজ পর্যায়ে সরকারি এম এ মজিদ কলেজ সহ পাঁচটি কলেজ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় বিচারকদের বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম স্থান লাভ করে আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রী কলেজ। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষের হিসেবে মনোনীত হন। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে যারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন তারা হলেন: শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষক ডক্টর পারভিন সুলতানা, শ্রেষ্ঠ রোভার শিক্ষক অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ রেঞ্জার শিক্ষক অধ্যাপক  ডক্টর পারভীন সুলতানা, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক প্রভাষক মোঃ ফয়সাল আহাম্মেদ।  শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন তারা হলেন- শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার তোহা, হামদ/ নাতে প্রথম হয়েছেন মোসাম্মৎ জান্নাতি, বাংলা কবিতা আবৃত্তিতে মোসাম্মৎ জান্নাতি, শ্রেষ্ঠ রোভার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি টিপু সুলতান, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত প্রথম নিবেদিত কর্মকার। এছাড়া শ্রেষ্ঠ রোভার গ্রুপ ও শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি গ্রুপ এর কৃতিত্ব অর্জন করেছে আলহাজ্ব সারোয়ার খান কলেজ।

কলেজে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, কলেজ পরিচালনার পর্ষদের সম্মানিত সভাপতি বিশিষ্ট প্রকৌশলী শেখ মুনির আহমেদের এর বুদ্ধিদীপ্ত দিকনির্দেশনা ,সার্বক্ষণিক তদারকি , কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, কলেজের শিক্ষক কর্মচারী ছাত্র-ছাত্রী ,অভিভাবক বৃন্দ , বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, আজগর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী হাওলাদার সহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফরহাদ হোসেন সহ সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সর্বোপরি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা এর সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা সাফল্যের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আমরা আবারো প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে এই উপজেলার কলেজ পর্যায়ে আমরাই সেরা।


আরও খবর



বাজারে চিনির দাম নিয়ে জটিলতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :  দাম এত বেড়েছে যে চিনি খাওয়া বন্ধই করে দেবো ঠিক করেছি। এমনিই চিনির দাম বাড়ায় গত কয়েকমাসে চিনি ব্যবহার করা অনেক কমিয়ে দিয়েছি, কিছুটা ক্ষোভের সাথেই আমাকে বললেন ঢাকার মহাখালীতে সপ্তাহের বাজার করতে আসা শাহিদা আক্তার।

শাহিদা বলেন, বছর খানেক ধরেই দাম বাড়লে ব্যবহার কমানোর নীতি অনুসরণ করছেন তিনি। অর্থাৎ যখন যেই পণ্যের দাম বাড়ে, সেই পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে দেন তিনি।শাহিদা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন,গত এক বছর ধরে গোশত খাওয়া প্রায় বন্ধই করে দিয়েছি। সয়াবিন তেলের দাম যখন বাড়ল তখন তেল কম ব্যবহার করারও অভ্যাস করেছি। এ দেশে এভাবে অ্যাডজাস্ট না করলে তো সংসার নিয়ে টিকে থাকা সম্ভব না।

বাংলাদেশে চিনির দাম নিয়ে গত কিছুদিন ধরে বাজারে বেশ শোরগোলই তৈরি হয়েছে বলা যায়। ঈদের পর দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে এপ্রিলের প্রথম দিকে সরকার খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয়ে কেজি প্রতি ১০৪ টাকায়। কিন্তু সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ওইসময় বাজারে চিনি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছিল বলে জানা যায়।

ঈদের আগে খোলা চিনির দাম সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা হলেও এখন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকার নিচে খোলা চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। আর খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনি দোকানে পাওয়াই যাচ্ছে না।মহাখালী কাঁচাবাজারের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেল তারা ১৪০ টাকার নিচে খোলা চিনি বিক্রি করছেন না। কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানলাম তাদের কাছে প্যাকেটজাত চিনি নেই।

একজন দোকানদার দাবি করলেন ঈদের আগে থেকেই প্যাকেটজোত চিনির সরবরাহ নেই। আর খোলা চিনি ঈদের আগেও ৫০ কেজির বস্তা ৬ হাজার টাকায় কিনেছেন তারা। তবে এখন ওই বস্তা কিনতে হচ্ছে ৬ হাজার ৩০০ থেকে ৯ হাজার ৫০০ টাকায়।

বাংলাদেশের চিনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চায় বিশ্ব বাজারে এক মাসের মধ্যে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় এই বর্ধিত দামে তারা চিনি আমদানি করবে কিনা।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের দামে চিনি আমদানি করলে চিনির আমদানি মূল্যই সরকার নির্ধারিত বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি হয়। এরকম বাস্তবতায় এই দামে তারা চিনি আমদানি করবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।

অথচ মাস ছয়েক আগেও বাজারে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে খোলা চিনি। প্যাকেটজাত চিনির দাম ছিল কেজিতে ১০০ টাকার নিচে। সেখান থেকে ছয় মাসের মধ্যে চিনি নিয়ে এমন সঙ্কট তৈরি হলো কেনখুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির সরবরাহকারীরা তাদের চিনি দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, কারণ হিসেবে আমদানিকারক ও মিল মালিকরা বলছে যে মিলে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি নেই।

রোজার সময় চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেব্রুয়ারি মাসে চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার। তারপরই বাজারে খোলা চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে ১০৪ টাকা হয় এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম কমে দাঁড়ায় ১০৯ টাকায়। এপ্রিল মাস থেকে এই শুল্ক সুবিধা প্রত্যাহার করার পর থেকে চিনির দাম বেড়েছে। তবে শুল্ক সুবিধা প্রত্যাহার করার ফলে চিনির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা বাড়তে পারে বলে মনে করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান।

ভ্যাট সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তবে মূলত দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে টন প্রতি প্রায় ১৫০ ডলার বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ মাসে চিনির দাম ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এই বিষয়ে চিনি আমদানিকারকদের সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চিনির দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানান শফিকুজ্জামান। এ বিষয়ে চিনি আমদানিকারকদের কারো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বাজারে চিনির সরবরাহে কোনো কমতি নেই। দেশের শীর্ষ চিনি আমদানিকারকদের এমন ব্যাখ্যা গত কয়েকদিনে প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি গণমাধ্যমে।

পণ্যের বাজারে চাহিদা-যোগান ও সরবরাহের হেরফেরের এরকম সময়ে সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা বাজারে অসামঞ্জস্য দীর্ঘায়িত করে বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এরকম সময়ে, যখন স্বাভাবিক সরবরাহ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বড় আমদানিকারকরা বাজারের ওপর প্রভাবটা বাড়িয়ে দেয়।

এরকম সময়ে সরকারের যেই সংস্থাগুলোর তাদের ওপর নজরদারি চালানোর কথা, তারা দুর্বল বা অসহায় ভূমিকা পালন করেন বলে এর আগে দেখেছি আমরা।তবে আমদানিকারকরা কম পরিমাণ আমদানি করার কারণেও বাজারে চিনির সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন,এই মুহূর্তে যেহেতু ডলারের একটি টানাপোড়েন আছে, তাই আমদানিকারকরা প্রয়োজনীয় পরিমাণ এলসি খুলতে পারছেন না বলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আমদানি কম হচ্ছে বলে আমার ধারণা। এই কারণে বাজারে চিনির সরবরাহ কিছুটা কম থাকতে পারে এবং এমন পরিস্থিতিতে বাজারে কিছুটা ঘাটতি থাকা স্বাভাবিক বলেও মনে করেন তিনি।

এছাড়া শুল্ক কমানোর সুবিধা পুনর্বহাল করা নিয়ে আলোচনার অংশ হিসেবেও বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হতে পারে বলে ধারণা করেন মোয়াজ্জেম।


আরও খবর



এনআইডি সংশোধন নিয়ে সংকটে ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

গাজী শাহনেওয়াজ :নাগরিকের বিদ্যমান তথ্যের সঙ্গে চাহিদার তথ্যের গরমিল থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে প্রতিনিয়ত সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। কারণ নিবন্ধনকালে যে তথ্য দিয়েছেন, পরবর্তী সংশোধনের সময় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন তথ্য ও দলিল উপস্থাপন করেছে সংশ্লিষ্ট ভোটার।

দেখা গেছে, আগের তথ্যের সঙ্গে পরের দেওয়া তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে খুবই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এনআইডি কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশেষ করে শিক্ষা সনদ, ভূমির দলিল ও মুক্তিযোদ্ধা সনদের ভিন্নতা বেশি দেখা যায়। এ নিয়ে গত ১২ এপ্রিল একটি সভা করেছিলেন। সভায় এনআইডি কর্তৃপক্ষ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা করে শিক্ষা সনদ সংক্রান্ত পাঁচটি কারণ যেমন- নিজ নামের সম্পূর্ণ বা আমূল পরিবর্তন, ধর্মান্তর, পিতা-মাতার নাম সংশোধন, জন্ম তারিখ পরিবর্তন ও চাকরির দলিল উপস্থাপন করে আইডি সংশোধন, মুক্তিযোদ্ধা সনদ সংক্রান্ত তিন কারণ এবং ভূমির দলিল সংক্রান্ত চার কারণ; যেমন- নিজ নামের ভিন্নতা (নিজ নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তন, নামের আংশিক বা টাইটেল পরিবর্তন, ধর্মান্তরজনিত কারণে নিজ নামের পরিবর্তন) এবং একই ব্যক্তির দুই নাম যেমন- পারিবারিক ডাকনাম ও শিক্ষা সনদের মূল), পিতা-মাতা ও জন্ম তারিখ এবং স্বামী-স্ত্রীর নাম পরিবর্তন।

জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এ কে এম হুমায়ুন কবীর প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা নাম, জন্ম তারিখ ও পিতা-মাতার নাম সংশোধন নিয়ে আমরা বিড়ম্বনার মধ্যে আছি। এটি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেছি। সভার রেজুলেশন কমিশন সভায় উপস্থাপনের আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত রেজুলেশনে স্বাক্ষর হয়েছে।

শিক্ষা সনদ সংক্রান্ত নথির তথ্যনুযায়ী এনআইডির বক্তব্যে দেখা গেছে, আবেদনকারীরা ভোটার নিবন্ধনের সময় যে তথ্য লিপিবদ্ধ করে নিবন্ধিত হয়েছেন পরবর্তীতে আবার ভিন্ন নাম ব্যবহার করে মাদরাসা-কারিগরি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক বা সমমানের পাসের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন।

এখান থেকে পাস করা সনদ দিয়ে নিজ নাম, জন্ম তারিখ ও স্বাক্ষর সম্পূর্ণ পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেন, যা অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তির সঠিকতা যাচাই করা সম্ভব হয় না। ফলে সংশোধনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা জটিল হয়। একইভাবে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা সমমান সনদটি ধর্মান্তরের পূর্বে অর্জনকৃত এবং সনদে ধর্মান্তরের আগের নামটি লিপিবদ্ধ থাকে। সনদ সংশোধন ছাড়া ধর্মান্তরজনিত কারণে নিজ নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা জটিল হয়ে যায়। এ ছাড়া নিবন্ধনকালে পিতা-মাতার নাম এক রকম ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির দীর্ঘ সময় পর চাকরির দলিল অনুযায়ী পিতা-মাতার নাম বা সম্পূর্ণ পরিবর্তনের আবেদন পাওয়া যায়। আবেদনের সঙ্গে মাদরাসা-কারিগরি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ যুক্ত করা হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত পিতা-মাতার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। অনুরূপভাবে শিক্ষা সনদটি আবেদনকারীর নিজের কি না বিষয়টি স্পষ্ট হয় না। তা ছাড়া অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র গোপন করে বয়স কমিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করেন। পরে উন্মুক্ত বা এ ধরনের সনদ দেখিয়ে আইডি সংশোধন চান- এগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইডি সংশোধন করতে গিয়ে ইসি সর্বদা সংকটে পড়ে।

ইসির এ ধরনের পর্যবেক্ষণের জবাবে বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৮ম শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন; সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পাসের বয়সসীমা থাকে সর্বনিম্ন ১৪ বছর বা তদূর্ধ্ব। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ৯ শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। কিন্তু পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য বর্তমানে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৬ বছর বা তদূর্ধ্ব (০১-০১-২০০৭ বা তার পূর্বে জন্ম ধরে), যার কারণে সনদের সঠিকতা নির্ণয় করা দুরুহ হয়ে পড়ে।

আর বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মীর মোশাররফ হোসেন তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, রেজিস্ট্রেশন করার সময় নাগরিকরা যে পিএসসি ও ৮ম শ্রেণির সনদ দাখিল করেন এবং নাম, পিতা-মাতার নাম ও জন্ম তারিখের গরমিল থাকলে, তা পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে ম্যানুয়ালি সংশোধন করে নিয়ে আসেন। এ কারণে সঠিক বা ভুল নির্ণয় করা জটিল হয়ে পড়ে।

সব পক্ষের আলোচনার পর সাত ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হন সভায় উপস্থিত পক্ষগুলো; যেমন- আবেদনকারীর আগের পিএসসি-জেএসসি সনদের ভিত্তিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করা, পিএসসি সনদ যাতে সহজে শুধুমাত্র উপজেলা-থানা শিক্ষা কর্মকর্তা সহজে সংশোধন করতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যেসব শিক্ষার্থীর জন্ম ১-১-২০০৭ বা তার আগে (যেহেতু তারা ২০২২ সালে কমিশন কর্তৃক পরিচালিত নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় এনআইডি প্রাপ্ত হয়েছেন) তাদের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে এনআইডি কার্ড লিপিবদ্ধ জন্ম তারিখ আমলে নিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা এবং যেহেতু মাধ্যমিক পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৪ বছর, সেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিতব্য হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে জন্ম তারিখের সীমারেখা এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যেন ১৩+ বয়সি শিক্ষার্থীরা নিবন্ধনের আওতায় চলে আসে।

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা বিষয় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি যুগ্ম সচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত বলেন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) এ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের (জীবিত-মৃত) পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। জীবিত ১ লাখ ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৯৮ হাজার জনকে এমআইএস নম্বরসহ স্মার্টকার্ড এবং ডিজিটাল সনদ প্রদান করা হয়। বাকি ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার স্মার্টকার্ড বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে।

আর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তানিয়া আফরোজ বলেন, জমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে যেখানে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনলাইন পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভূমি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এবং জমি রেজিস্ট্রেশনের যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সভায় ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগ-দপ্তরের এনআইডির অনলাইন যাচাই নিশ্চিত করতে হবে ইসির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে।


আরও খবর



ভোটের জন্য প্রস্তুত গাজীপুর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা মঙ্গলবার রাত থেকে শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম সিটির প্রায় ১২ লাখ ভোটার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ইভিএম মেশিনে ভোট দেবেন। এখন সব ভোটারের অপেক্ষা ভোট উৎসবের জন্য।

নির্বাচনে আট মেয়র প্রার্থী, ২৪৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৭৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদের মধ্য একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন ভোটাররা। প্রায় ৪০ লাখ নগরবাসীর সেবার জন্য কারা হচ্ছেন জনপ্রতিনিধি, এটাই নির্ধারণ হবে ২৫ মের এ নির্বাচনে। অবশ্য এরই মধ্যে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের দিকে শুধু নগরবাসী নয়, সারা দেশ এমনকি বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের মানুষ তাকিয়ে আছে। অবশ্য এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। প্রথমে মানুষের ধারণা ছিল নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। কিন্তু বিএনপি পরিবারের সন্তান এবং সাবেক মেয়রের মা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এ নির্বাচন পেয়েছে নতুন মাত্রা। অনেকের মতে, এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

এদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমারা প্রস্তুত। এরই মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনী এলাকার ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। নির্বাচনে ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ এবং ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার বা ভিডিপি সদস্যসহ ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন দায়িত্ব পালন করবেন। এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স সিটির প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে স্ট্রাইকিং ফোর্স একটি এবং মহানগরের আটটি থানায় একটি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়া প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে টিমসহ র‌্যাবের ৩০টি টিম, পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন হিসেবে বিজিবির ১৩ প্লাটুন সদস্য এবং ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটগ্রহণের পূর্বের দুই দিন (মঙ্গলবার থেকে) ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দুই দিন (২৭ মে) পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্তরা আসতে শুরু করেছেন গাজীপুরে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় ভারী যানবাহনসহ ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এবং আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এ বিষয়ে জিএমপির জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বুধবার (২৪ মে) রাত ১২টা থেকে ২৫ মে রাত ১২টা পর্যন্ত যে কোনো ধরনের ভারী যানবাহনসহ ট্রাক, পিকআপ ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে মঙ্গলবার (২৩ মে) রাত ১২টা থেকে ২৬ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ২৩ মে ভোর ৬টা থেকে ২৭ মে রাত ১২ পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধের পাশাপাশি সব ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 


আরও খবর