Logo
শিরোনাম

রাঙ্গাবালীতে আ'লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার নাসিরের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক উপকমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার  মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে  মতবিনিময় সভা করেছেন। রোববার বেলা ১১ টায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। 

এ সময় মনোনয়ন প্রত্যাশী নাসির উদ্দিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন নিবেদিত কর্মী হয়ে সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে আসছি। মানুষের সেবায় নিজেকে উজার করে দেওয়াই আমার রাজনৈতিক জীবনের একমাত্র লক্ষ ও উদ্দেশ্য। আশাকরি আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন করবেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবিউল হাসান, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দিক, উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক কৃষিক লীগের সভাপতি ননী মিয়া প্রমুখ।


আরও খবর



নওগাঁয় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রে বিশেষ শর্ত যুক্ত করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে হাসপাতাল চত্বরে এ মানবববন্ধন কর্মসূচি পালিত। নওগাঁ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র প্রতিনিধি রিয়াদুল সালেহীন, হাসপাতালের তালিকাভুক্ত এমএসআর সামগ্রী সরবরাহকারী ঠিকাদার আশরাফুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত সরদার, তৌফিক ইমাম, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলতি মাসের ৫ জানুয়ারি নওগাঁ সদর হাসপাতালে ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনার জন্য অনলাইনে এমএসআর দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে বরাদ্দ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী বিশেষ শর্ত যুক্ত করেছেন। শর্তের বেড়াজালে অংশ নিতে পারছে না অনেক ঠিকাদার। দরপত্রে বিভিন্ন শর্তাবলীর একটি অংশে বলা হয়েছে দরপত্রের জন্য ঠিকাদার বাছাইয়ের আগেই কাজ পেতে ইচ্ছুক ঠিকাদারকে ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রীর নমুনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। অথচ এই শর্ত বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালে দেওয়া হয় না। পছন্দের ঠিকাদারকে বাছাই করার জন্য এই শর্ত যুক্ত করেছে তত্ত্বাবধায়ক। এছাড়া হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ, হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা ওষুধ বাইরে বিক্রি করে দেওয়া সহ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, প্রধান সহকারী স ম ওমর ফারুক ও স্টোর কিপার সাজ্জাদ হোসেনের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁদেরকে অপসারণসহ তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।  

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, দরপত্র আহ্বানসহ নিয়ম মেনেই হাসপাতালে সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। গত ৫ জানুয়ারী হাসপাতালে বিভিন্ন সামগ্রী কেনার জন্য সারে ৪ কোটি টাকার এমএসআর সামগ্রী দরপত্র অনলাইনে আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় দেওয়া হয়েছে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। নওগাঁ ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির সভাপতি বলেন, এমএসআর সামগ্রী কেনার জন্য যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে তাতে তত্ত্বাবধায়ক স্বেচ্ছাচারীভাবে কিছু শর্ত যুক্ত করেছেন। দরপত্র পাওয়ার আগেই নাকি এমএসআর সামগ্রীর নমুনা জমা দিতে হবে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। নিয়ম বর্হিভূতভাবে দেওয়া শর্তগুলো সংশোধন করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করতে হবে। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল চৌধুরী, প্রধান সহকারী স ম ওমর ফারুক ও স্টোর কিপার সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদেরকে অপসারণসহ তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানাতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল ও স্টোর কিপার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে নির্বাচিত ঠিকাদারের নাম প্রকাশ করবেন। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করার কিছু নেই। এছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি থাকলে সেটা তদন্ত করুক। তদন্ত হলেই সত্যতা বের হয়ে আসবে।


আরও খবর



শৈতপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড়, বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কনকনে হিমশীতল বাতাস এবং ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। তীব্র শীত এবং ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে শিশির, সূর্যের দেখা মিলছে না গত তিন দিন ধরে। এর ফলে শীতের দাপটে কাঁপছে পুরো জেলা। প্রতিনিয়ত তাপমাত্রার ছন্দপতন ঘটছে। উত্তর হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস এবং ঘন কুয়াশার কারণে মৃদু শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। সারাদিন হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার এ জেলায় ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে উত্তর হিমালয় থেকে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন।

অপরদিকে, তীব্র শীতে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা বিরাজ করছে, ফলে অনেকেই কাজে যাচ্ছেন না। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যধিক হওয়ায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিলছে না এবং সূর্যের কাঙ্ক্ষিত তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। আজ শনিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২-১৩ কিলোমিটার।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভোটের অধিকার ফেরাতে জনগণকে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার মিলিত দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এখন যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একদলীয় বর্বর শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে শুধু গণতন্ত্রই নয়- দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা (আওয়ামী লীগ) কখনই সভ্য রীতিনীতি অনুসরণ করেনি। তখন কারাগারই ছিল বিরোধী দলের ঠিকানা।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে বহুদলীয় ব্যবস্থার স্থলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাশ করে। ওই সময় সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি পত্রিকা চালু রাখার ফরমান জারি করে। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুণ্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশা ছড়িয়ে দেয়।

অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাকে চিরকাল কুক্ষিগত করার অসৎ উদ্দেশ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। একটি মাত্র দল বাকশাল ছাড়া অন্য সব দল এবং সরকার অনুগত ৪টি সংবাদপত্র ব্যতিরেকে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু তাই নয়; সভা-সমাবেশ এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তারা বাকস্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে মূলত মানবাধিকারকেই পদদলিত করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য বাকশালী সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছিল। কথা, চিন্তা, বিবেক, মতপ্রকাশ, সংগঠন ও সমাবেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল হুকুমবাদের দৌরাত্ম্যে। বহুত্ত্ববাদীতা বিনষ্ট করে সামাজিক স্থিতি ও ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশ ও জাতির স্বার্থে পতিত অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া নানাবিধ জঞ্জাল মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র হত্যা দিবসে এটিই হোক আমাদের অঙ্গীকার।


আরও খবর



টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে সম্প্রতি ঢাকায় এক গোপন বৈঠকের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দেয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

অভিযোগ রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন। এ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ এসেছে ক্রেমলিন থেকে, আর দায়িত্বে আছে রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম। এছাড়া টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি প্রমাণ হলে তার ১০ বছরের জেল হতে পারে। কারণ, ব্রিটেনের ব্রাইবারি অ্যাক্ট ২০১০ অনুযায়ী, কেউ বিদেশে ঘুষ গ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্রিটেনে মামলা এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

এনসিএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

সূত্রের দাবি, এনসিএ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার জন্যও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

এনসিএর বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর। গত বছরের অক্টোবরে প্রথম সফরে সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতির তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দেয়। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রতি বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড বিদেশে পাচার করতেন। টিউলিপ সিদ্দিক গত মাসে লেবার পার্টির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছে দুদক। তবে তিনি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। 

লেবার পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, এনসিএ বা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এনসিএ ও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




কে হবেন নতুন রাজনৈতিক দলের নেতা

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসছে ফেব্রুয়ারিতেই। নেতৃত্বে নাহিদ ইসলামের নাম আলোচনায় আছে।

ফেব্রুয়ারিতে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেবে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর থেকে শুরু করে চট্টগ্রামে শহীদ ওয়াসিম আকরামের কবর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে লংমার্চের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

দলের নেতা কে হবেন?


এই দলের নেতৃত্বে কে থাকবেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। এই আলোচনায় সামনের দিকেই আছেন তথ্য, টেলিকম ও আইসিটি উপদেষ্টা। বলা হচ্ছে, তিনি উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আসতে পারেন। তবে শিক্ষার্থীদের কোনো পক্ষ বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করেনি।

নাহিদ ইসলাম কি উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন? জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এখনো বিষয়গুলো চূড়ান্ত হয়নি। দলের নাম ও কারা নেতৃত্বে আসবেন তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ছাত্র উপদেষ্টাদের কেউ যদি উপদেষ্টার পদ ছেড়ে রাজনৈতিক দলের দায়িত্বে আসতে চান আমরা তাদের স্বাগত জানাব। তবে এখন পর্যন্ত যেহেতু তারা সরকারে আছে, ফলে তাদের আমরা আলোচনায় ডাকছি না। প্রথম দিকে কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগরের নেতৃত্ব ঠিক করা হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে আমরা সারাদেশেই নতুন দলের কমিটি করব।

কাদের নিয়ে এ দল?


যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বা অংশ নিয়েছেন তাদের একটি অংশ এই দলের অংশ হবে। এর বাইরে অন্যান্য দলের বা মতাবলম্বীদেরও এই দলে যোগ দেবার সুযোগ থাকছে বলে জানা গেছে।

নতুন এই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আর কারা আসবেন- এ প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শুধু যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ফ্যাসিবাদ, গুম, খুন ও দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের দলে নেয়া হবে না। এর বাইরে যেকোনো দল থেকে আসা নেতাকর্মীদের স্বাগত জানানো হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ৩২৮টি থানা কমিটি করেছি। কিছুদিনের মধ্যে কমিটি গঠনের কাজ শেষ হবে।

এই নেতাদের কেউ কেউ বলেন, তাদের প্রধান টার্গেট বিএনপি। বিএনপির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতাদের দলে টানতে তারা কাজ করছেন। বিএনপি ভোটকেও টার্গেট করেছেন তারা।

নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করেন এমন সব নাগরিকের জন্য নতুন রাজনৈতিক দলের দুয়ার উন্মুক্ত। শুধু বিএনপি নয়, অন্য যেকোনো দলের যে কেউ জুলাই চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে এলে স্বাগত জানানো হবে। তবে যারা অতীতে ফ্যাসিবাদী রাজনীতি তথা আওয়ামী লীগে যুক্ত ছিলেন, তাদের নেয়া হবে না। বিভিন্ন কমিটিতে কয়েকজন অতীতে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততার তথ্য গোপন করে ঢুকে পড়েছিলেন। তা জানামাত্র বহিষ্কার করা হয়েছে।

রাজনীতিতে কতটা প্রভাব পড়বে?


নতুন যে রাজনৈতিক দল আসছে, এটা কতটা প্রভাব ফেলবে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করবে নতুন রাজনৈতিক দল এমন আশা করেন নাগরিক কমিটির সদস্যরা।

জানা গেছে, মূলনীতি এবং কর্মসূচি যাই হোক, চাঁদাবাজি-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ বিরক্ত থাকায়, এ ইস্যুতে আত্মপ্রকাশের আগে লংমার্চ কর্মসূচি দিচ্ছেন তারা। জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রগুলো জানিয়েছে, দল গঠনের পরও নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সক্রিয় থাকবে। আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না থাকলেও নতুন রাজনৈতিক দলের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।

সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার পতন হলেও চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ হয়নি। এতে গণঅসন্তোষ রয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি-দখলের জন্য দায়ী করে তারা বলছেন, এটা জনগণের কাছে তুলে ধরা হবে।

এদিকে, এই দল ঘিরে ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।
বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন,
তারা যেভাবে রাজনৈতিক দল করতে চাচ্ছে তাতে তো অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব যে কথা বলেছেন, তা সত্যি হচ্ছে। এখন কিন্তু জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও একই কথা বলছেন। একজন সাধারণ মানুষকেও যদি প্রশ্ন করেন, সরকারের মধ্যে থেকে, বিশেষ করে উপদেষ্টারা যদি রাজনৈতিক দল গঠন করে, তাহলে কি প্রশ্ন উঠবে না? আমরা পত্রিকায় দেখছি, সরকারের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থাও তাদের জন্য কাজ করছে। ফলে সরকার যেমন নিরপেক্ষতা হারাবে, তেমনি ছাত্রদের এই দলও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, এই রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়ার সাথে আমরা উপদেষ্টাদের যুক্ত করিনি। তারা যদি আসেন তাহলে পদত্যাগ করেই আসবেন।

নাহিদ ইসলামও ইতোমধ্যে একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, উপদেষ্টাদের কেউ রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করতে গেলে পদত্যাগ করেই যাবেন। তবে প্রশাসনে যারা বিএনপিপন্থী আছেন তাদের নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নাহিদ ইসলাম।

এদিকে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এর আগে তো অনেক ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, তখন কিন্তু আমরা ছাত্রদের রাজনৈতিক দল করতে দেখিনি। এখন যারা রাজনৈতিক দল করতে যাচ্ছেন তারা কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। কারণ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়েছিল সেখানে কিন্তু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সবগুলো রাজনৈতিক দলও অংশ নিয়েছিল। হাসিনার বিদায়ের পর শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ ঘরে ফিরে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। তাদের রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তারা যে দল করতে যাচ্ছে সেটা মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। আবার তাদের গঠনতন্ত্র, উদ্দেশ্য কী এগুলো লিখিত দিক। তখন বুঝা যাবে। তবে দলছুটদের নিয়ে গড়া কোনো দলই সফল হতে পারেনি। ফলে তাদের দল গঠনের প্রক্রিয়া পর্যন্ত আমাদের দেখতে হবে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫