Logo
শিরোনাম

রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ২৩৩জন দেখেছেন

Image

উচিংছা রাখাইন, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :

রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সদ্য অনুমোদিত কমিটিতে পূর্ববর্তী কমিটির

ত্যাগী- পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে

আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ মার্চ সোমবার

সকাল সাড়ে ১১টায় রাঙ্গামাটির স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে এই সাংবাদিক

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ পদ ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম

সাধারন সম্পাদক মো: আব্দুল মতিন।

এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ডা:আশুতোষ বড়ুয়া, সাবেক

সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জমির উদ্দিন, সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক

সম্পাদক স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: হানিফ,

সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো: জাকির হোসেন সেলিম, সাবেক উপ প্রচার ও

প্রকাশনা  সম্পাদক অমর কুমার দে, সাবেক সদস্য জয় সেন তঞ্চঙ্গ্যা, সাবেক

সদস্য নুরুল আজম চৌধুরী, সাবেক সদস্য মো: শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগের মধ্যে কোন

গ্রুপিং রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করিনা।

আমরা চাই বর্তমান নতুন অনুমোদিত জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে সাবেক কমিটিতে

যারা ছিলেন সেসব ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে

অন্কর্ভূক্ত করা হোক। এ জন্য নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী সুমনা ছেলেতে রূপান্তরিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪২২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্কুলছাত্রী সুমনা মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার সুমনাকে এক নজর দেখার জন্য লোকজনের ভীড়। এলাকার লোকজনের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোড়ন সৃষ্টিকারি এঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ঝাড়াবর্ষা গ্রামে।

দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী সুমনা এখন ছেলে এমন খবর শনিবার সকালে জানাজানি হলে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া সুমনাকে একনজর দেখতে এলাকা সহ আশে-পাশের গ্রামের লোকজন ভীড় করছেন তার বাড়িতে। 

এব্যাপারে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী সুমনা'র দাদি দৌলত নেছা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তার নাতনী সুমনা তাকে (দাদিকে) গোপনে বলে আসছিলো নিজের শারীরিক পরিবর্তন হওয়ার কথা, সর্বশেষ এমন কথা বলে সে গত ২৩ মে ক্লাস করতে বিদ্যালয়েও যায়নি।

অপরদিকে স্কুল ছাত্রী সুমনার মা মোসাঃ লাভলী বেগম বলেন, আমার ৩ জন মেয়ে। এদের মধ্যে সুমনা সবার বড়। আমার মেয়ে সুমনা বর্তমানে এলাকার ঝাড়া-বর্ষা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী। আমাকে আমার শাশুড়ী দু'দিন আগে জানান, আমার মেয়ে সুমনার নাকি লিঙ্গ পরিবর্তন হয়েছে।

প্রথমে আমি নিজেও বিশ্বাস না করলেও পরে ঘটনাটি জেনে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমার কোন ছেলে নেই জন্য হয়তবা আল্লাহ আমার মেয়েকে ছেলে বানিয়েছেন বলেও মনে করছেন তিনি।

এব্যাপারে স্কুলছাত্রী সুমনা'র বাবা সুমনার বাবা সাইদুর রহমান জানান, সুমনা আমার মেয়ে, সে হঠাৎ করে ছেলেতে রূপান্তরিত হলেও এখন পর্যন্ত তার নাম, ''সুমনা'' রয়েছে এখনো তার নাম পরিবর্তন করা হয়নি।


দেখতে আসা কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সুমনা'র শারীরিক গঠন এখন পুরুষের মতো। তবে তার মাথার লম্বা চুল ও পড়নের পোশাক মেয়েদের-ই রয়েছে যা এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। এব্যাপারে স্কুল ছাত্রী সুমনা জানান, আমরা ৩ বোন, সবার বড় আমি। হঠাৎ কয়েক দিনধরে আমার পরিবর্তণ আমি নিজেই লক্ষ্য করছি এমন অবস্থায় প্রথমে ঘটনাটি গোপনে আমার দাদিকে আমি জানিয়েছি। পরিবর্তণ হলেও সুমনা খুশি বা আনন্দে রয়েছেন।

ঘটনার ব্যাপারে স্থানিয় সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আরিফুজ্জামান জানান, অবাক হওয়ার কোন বিষয় এটি নয়, হরমোন পরিবর্তনের কারণে এমন ঘটনা ঘটে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতি পূর্বেও দেশে ছেলে থেকে মেয়ে, আবার মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এটা সাধারণত হরমোন পরিবর্তন এর কারণে ঘটে থাকে। তবে স্কুল ছাত্রী সুমনা'র ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে এবং কেন ঘটেছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। হাসপাতালে এলে পরিক্ষা শেষে এবিষয় ( বাস্তব ঘটনা) জানা যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সুমনা এখন ছেলে এমন খবর শনিবার সকালে জানাজানি হলে মহূর্তের মধ্যেই ঘটনাটি ব্যাপকভাবে জানাজানি হয়ে পড়ে। যার ফলে সুমনাকে এক নজর দেখার জন্য শত শত লোকজন তার বাড়িতে ভীড় জমান।


আরও খবর



বাখমুত হস্তান্তর ১ জুনের মধ্যে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

ইউক্রেনের বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ আগামী ১ জুনের মধ্যে রুশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভাগনারপ্রধান। রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন গত শনিবার (২০ মে) ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত দখলের দাবি করেন।

তবে কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনের সেনারা এখনো শহরটির অংশবিশেষ নিয়ন্ত্রণ করছেন। দেশটির সেনারা শহরের উপকণ্ঠের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। কিন্তু ভাগনারপ্রধান বলেছেন, তার সেনারা বৃহস্পতিবার (২৫ মে) থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ রুশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর শুরু করবেন।

টেলিগ্রামে দেওয়া একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে ইয়েভজেনি প্রিগোশিন বলেন, ভাগনার ২৫ মে থেকে ১ জুনের মধ্যে আর্টেমোভস্ক (বাখমুত) ত্যাগ করবে।

বাখমুত আগে আর্টেমোভস্ক নামে পরিচিত ছিল। এক সোভিয়েত বিপ্লবীর সম্মানে শহরটির এ নাম রাখা হয়েছিল। তবে পরে ইউক্রেন শহরটির নাম বাখমুত রাখে।

ইয়েভজেনি প্রিগোশিন বলেছেন, বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের আগে শহরটির পশ্চিম দিকে প্রতিরক্ষাব্যূহ স্থাপন করেছে ভাগনার।

ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার ভাষ্য, শহরটির ভেতরে এখনো তার দেশের বাহিনীর ছোট অবস্থান রয়েছে। পরে হান্না মালিয়ার এক টেলিগ্রাম পোস্টে লেখেন, ইউক্রেনীয় সেনারা এখনো শহরটির কিছু বেসরকারি স্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মস্কোর কাছে বাখমুতের খুব কমই কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। তবে শহরটি দখল করা রাশিয়ার জন্য একটি প্রতীকী বিজয় হবে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপের পর আরও শক্তি বাড়িয়ে মঙ্গলবার রাতে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এজন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি মঙ্গলবার ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে ১১ মে পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।

১নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেতের মানে হলো- জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার। ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হবে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, নিম্নচাপটি বুধবার নাগাদ গভীর নিম্নচাপ ও এরপর আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যেহেতু আরও একটি পর্যায় বাকি আছে, তাই কাল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও সন্ধ্যা নাগাদ তা হতে পারে।

এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মোখা, এ নাম ইয়েমেনের দেওয়া। আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের উদ্ধৃতি দিয়ে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি প্রবণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।


আরও খবর



চীন ও রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে চায় জি-৭

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

সাতটি শিল্পোন্নত দেশ শনিবার ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির জন্য চীনকে দায়ী করেছে এবং এর নিন্দা করেছে। একই সময়ে তারা রাশিয়াকে তার সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

হিরোশিমায় জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের এক বিবৃতিতে, চীনের 'অর্থনৈতিক বল প্রয়োগ', দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণ এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তাকে অবমূল্যায়ন ও তাদের কাজে হস্তক্ষেপ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের নিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে অবমূল্যায়নের সমালোচনা করা হয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার

এছাড়া 'জি-সেভেন রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের মুখে, যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করার' প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই গ্রুপ বলেছে যে তাদের উদ্যোগগুলো চীনের ক্ষতি করার জন্য বা তার অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং উন্নয়নকে বাধা দেয়ার জন্য নয়। জি-সেভেন বেইজিংকে জলবায়ু, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণ পুনর্গঠন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিচ্ছিন্ন হচ্ছি না বা অন্তর্মুখি হয়ে যাচ্ছি না। একই সঙ্গে, আমরা স্বীকার করি যে স্থিতিশীলতার জন্য অর্থনীতিকে ঝুঁকিমুক্ত ও বৈচিত্র্যময় করা প্রয়োজন। আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থনৈতিকে প্রানবন্ত করতে, আমাদের অর্থনীতিতে এককভাবে এবং সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নেবো। আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলে অত্যধিক নির্ভরশীলতা হ্রাস করবো।

জি-সেভেন পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে পুনরায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এটি ইউক্রেনে 'সার্বিক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি'কে সমর্থন করতে বেইজিংকে উৎসাহিত করে।

যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে ২০২১ সালের জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের পর এই বিবৃতিকে বেইজিংয়ের সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেই সম্মেলনে চীনের কথা প্রথমবারের মতো উল্লেখ করা হয়েছিলে। তুলনামূলকভাবে মৃদু ভাষায় এক 'শান্তিপূর্ণ সমাধানের' আহ্বান এবং তাইওয়ানে 'স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের একতরফা প্রচেষ্টার' বিরোধিতা করা হয় বিবৃতিতে।

তবে জি-সেভেন সদস্যদের মধ্যে একটি সমঝোতার ভাবও দেখা গেছে; কেউ কেউ এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনায় অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।এদের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ম্যাক্রোঁ এপ্রিলে বলেছিলেন, এটা ভাবা সবচেয়ে খারাপ হবে যে আমরা ইউরোপীয়রা এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা এবং চীনের অতি-প্রতিক্রিয়ার অনুগামী হবো।

এর আগে শনিবার জি-সেভেন নেতারা 'অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ সংক্রান্ত সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম' চালু করেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শাস্তিমূলক বাণিজ্য অনুশীলনের মোকাবেলার জন্য এটি একটি নতুন পরিকাঠামো । নির্দিষ্টভাবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এই পরিকাঠামোটি চীনকে লক্ষ্য করেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা অনুধাবন করা যায়।

এক বিবৃতিতে, জি-সেভেন বলেছে যে প্লাটফর্মটি এই গ্রুপের 'সম্মিলিত মূল্যায়ন, প্রস্তুতি, প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া' সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। আর 'সমন্বিত প্রতিক্রিয়া সন্ধান, প্রতিরোধ এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা' করতে ব্যবহৃত হবে নিজ নিজ আইনি ব্যবস্থা অনুসারে।

বেইজিং থেকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার এই উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন যদি অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে চায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র অন্য ছয় সদস্যকে যেভাবে বল প্রয়োগ করছে তা আগে আলোচিত হতে হবে।


আরও খবর



ধুলোয় নাজেহাল দিল্লির মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় তীব্র গরমে নাজেহাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির দেখা নেই, উল্টো তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। সাধারণ দৃশ্যমানতার জন্য দিল্লিতে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

১৬ মে দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আপাতত দুদিনের জন্য রাজধানীর মানুষ এ তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। মঙ্গলবার থেকে দুদিন বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজধানীতে। তবে তারপর থেকেই আবার প্রচণ্ড গরম পড়বে। দিল্লির আবহাওয়া তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে ।

আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রাজস্থানের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। সেই কারণেই দিল্লিতে মঙ্গল ও বুধবার সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই সঙ্গে ধুলোর ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজধানীতে। বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যে, কমে যাচ্ছে দৃশ্যমানতা। স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকেই শহরের বাতাসে ধুলোর আধিক্য দেখা যায়। বিমানবন্দরের সামনে দৃশ্যমানতা ১১০০ মিটারে নেমে গেছে। ফলে বিমান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।

দিল্লির বাতাসে ধুলোর আধিক্যের জন্য রাজস্থানের ওপরের ঘূর্ণাবর্তকেই দায়ী করা হচ্ছে। ওই ঘূর্ণাবর্তের জন্য হালকা বৃষ্টি হতে পারে রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতে।

ওড়িশাতে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেখানে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু কিছু এলাকায়।

এদিকে, মঙ্গলবার থেকে তিন দিন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ১৯ মে পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে পূর্ব অরুণাচল ও মেঘালয়ে।

সূত্র : এবিপি।


আরও খবর