Logo
শিরোনাম

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় শুরু হয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। এতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা । 

ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে প্রয়াত ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানানো হচ্ছে। সকালে ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে অল্প দূরত্বে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের দরজাগুলো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে আসা অতিথিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। রাজকীয় নৌবাহিনীর ১৪২ জন নাবিক একটি কামানবাহী শকটে করে কফিনটি টেনে নিয়ে যান ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। রাজা তৃতীয় চার্লস ও রাজপরিবারের সদস্যরা ছিলেন কফিনের সাথে। দিনব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতার পর রানীকে সমাহিত করা হবে সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের পাশে।


আরও খবর



জুনের মধ্যে প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকে আজ তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া শেষ হচ্ছে। প্রথম ধাপে যারা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতও করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলও কিছু দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। এরপর শেষ ধাপের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত শেষ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষাসহ প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেধাবীদের নিয়োগ দেবো আমরা। আশা করছি, জুন মাসের মধ্যেই ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ শেষ হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রুমানা আলী বলেন, কোনো আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হয়, সে জন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। দ্রুত তারা ফলাফলও পাবেন।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এসময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদন করেন দুই বিভাগের তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। তবে আজকের পরীক্ষায় ঠিক কতজন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন, সেই হিসাব এখনো জানায়নি মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।


আরও খবর



দেশে ৪.৫ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পায় না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ এখনও নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী দূষণের কারণে দেশে পানির সঙ্কট আরও বাড়ছে নদীর পানি ব্যবহৃত না হওয়ায় প্রতি বছর মাটির নিচ থেকে ৮৬ ভাগ পানি তুলতে হচ্ছে তারা জানান, উন্নত দেশ হতে হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপও কমাতে হবে আবার শতভাগ মানুষের পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

জীবন ধারণের জন্য যে পানি প্রয়োজন, তা ক্রমেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পানি আমাদের জীবনের একটি বিশেষ উপাদান। পানির অপর নাম জীবন। জন্মের পর থেকে পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য আমরা নানাভাবেই পানির ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে আমাদের দেশে সুপেয় পানি পাওয়া অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। সুপেয় পানি ছাড়া জীবন রক্ষা নয়, তাই পানিই মৃত্যু ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠছে।


পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশই পানি। তবুও বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির জন্য আমাদের অনেক বেগ পেতে হয় তা সকলের জানা। ভূপৃষ্ঠের ৭০.৯% অংশ জুড়ে পানির অস্তিত্ব রয়েছে। পৃথিবীতে প্রাপ্ত পানির ৯৬.৫% পাওয়া যায় মহাসাগরে। তবে পৃথিবীর পানির মাত্র ৩ ভাগ মিস্টি পানি আর ৯৭ ভাগ লবনাক্ত পানি। পানির প্রাচুর্যের কারণে অধিকাংশ মানুষই সচেতন কিংবা অসচেতনভাবেই পানি অপচয় করে থাকে। যদি পানির একটি ট্যাপ থেকে প্রতি সেকেণ্ডে এক ফোটা করে পানি পড়ে তবে বছরে তিন হাজার গ্যালন পানি অপচয় হবে। এক গ্যালন পানির ওজন ৮.৩৪ পাউণ্ড। মাত্র ৫ মিনিটে একটি শাওয়ার থেকে ১০ থেকে ২৫ গ্যালন পানি ব্যবহার করা যায়। আর গোসল করতে প্রায় ৭০ গ্যালন পানির প্রয়োজন হয়।


বিশ্বজুড়েই নিরাপদ পানির সমস্যা রয়েছে। বিশ্বে প্রতি ৪ জন মানুষের একজন নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাড়িতে নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা পায় না ৬১ শতাংশ মানুষ। সারাবিশ্বের ২ বিলিয়ন মানুষ এখনো নিরাপদ পানীয় জলের অভাবে রয়েছেন। ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে আছেন এবং ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যমতে, বিশ্বে প্রায় ৭৭ কোটিরও বেশি মানুষ তাদের বাড়ির আশপাশে নিরাপদ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আর প্রতিবছর অনিরাপদ পানি ও দুর্বল পয়োনিষ্কাশনের জন্য প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়।


পানি একটি অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। পৃথিবীর মধ্যে যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে তার মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানি অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানি দৃশ্যমান নয়, কিন্তু এর প্রভাব সর্বত্র বিদ্যমান। ভূগর্ভস্থ পানি আমাদের সুপেয় পানির সবচেয়ে বড় উৎস। ভূগর্ভস্থ পানি পানীয় জল সরবরাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, কৃষিকাজ, শিল্প ও বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখে। এদিকে, মানুষের পানির চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ায় ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। পৃথিবীর পানির মাত্র ৩ ভাগ স্বাদু পানি। আর বিশ্বব্যাপী স্বাদু পানির ৭২ শতাংশই ব্যবহৃত হয় কৃষি কাজে।

বাস্তুতন্ত্রের অবক্ষয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য কাজে ব্যাপকভাবে পানি ব্যবহারের কারণে কৃষিকাজে পানির প্রাপ্যতা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প ও গৃহস্থালি কাজগুলো মূলত ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। পানির স্তর নিচে নেমে গেলে নিরাপদ পানীয় জল নাগালের বাইরে চলে যাবে। দেশে ভূগর্ভস্থ পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন রোধ, ভূমি পুনরুদ্ধার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা দেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।


দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলা প্রলয়ের পর এই সংকট আরো তীব্র হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পানির উৎসগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এখনো পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি। দেশের উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে লবণাক্ত পানিতে সয়লাব হচ্ছে জনপদ। এতে পরিবেশ ও বসতি ধ্বংসের পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। উপকূলের মাটি ও পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির উৎস। লবণাক্ততার এই আগ্রাসন শুধু ভূ-উপরিস্থ পানি নয়, ভূগর্ভস্থ উৎসেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে নানা রোগ-ব্যাধি এ অঞ্চলের জনস্বাস্থ্যকে হুমকিতে ফেলছে। উপকূলে বিশুদ্ধ পানির কষ্ট প্রকট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এলাকার নলকূপের পানি লবণাক্ত ও আর্সেনিক। নিত্যব্যবহার্য কাজে লবণাক্ত পানি ব্যবহারের কারণে ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি। পেটের পীড়া, অ্যালার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী, শিশু থেকে বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ। বিশুদ্ধ পানির জন্য গ্রামের বাসিন্দাদের ছুটতে হচ্ছে দূরদূরান্তে।


বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এর প্রভাবে বিশুদ্ধ পানির উৎসগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বনজঙ্গল ধ্বংস করার ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। গত অর্ধ শতাব্দী জুড়ে পৃথিবী থেকে কার্বনের উৎক্ষেপন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ, বেড়েছে উষ্ণতা। সেই সাথে শিল্প ও রাসায়নিক বর্জ্য দূষণ সৃষ্টি করছে নদী এবং সাগরে। বিশ্বের সকল দেশেই বিশুদ্ধ পানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বেড়িবাঁধ ভাঙন, অধিক বৃষ্টি ও অনিয়মিত বৃষ্টি, খরা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে দেশের দক্ষিণ উপকূল খাদ্য ও কৃষি উৎপাদনে চরম সংকটে পড়েছে। তাছাড়া অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষের কারণে লবণাক্ততার মাত্রা আরও বাড়ছে। অনাবৃষ্টি আর খরায় দেশের প্রাণীকুল, ফসলের ক্ষেতে পড়ছে বিরুপ প্রভাব।


জীবজগতে পানির প্রভাব অপরিসীম। পানি ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতো না। একজন মানুষ পানি ছাড়া গড়ে মাত্র তিন দিন বেচে থাকতে পারে। মানুষের অপরিহার্য প্রয়োজনীয় পদার্থ হল পানি। তাই পানির আরেক নাম জীবন। তবে পানি হলেই হবে না, সেটা হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। বিশুদ্ধ পানির প্রধান উৎস ভূগর্ভস্থ নলকূপের পানিতে  আর্সেনিকের উপস্থিতি বাড়ছে। দেশের ৬১ জেলার নলকূপের পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। আর্সেনিক আক্রান্ত পানি ব্যবহার করলে মানবদেহে মারাত্মক রোগ হতে পারে।


ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র হচ্ছে দিন দিন। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে নিঃসন্দেহে। শুধু তাই নয়, ভূগর্ভস্থ পানির উৎসও দিন দিন সংকোচিত হচ্ছে। এছাড়া, শুষ্ক মওসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি ওঠে না। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দেখা দেয়। নদ-নদী, পুকুর-ডোবা, জলাশয়, হাওর-বাওর, খাল-বিল শুকিয়ে যায়।

 গত চার দশকে দেশের জলাভূমি কমেছে কমপক্ষে ৬৫ লাখ হেক্টর। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশের ৭০ ভাগ জলাভূমি কমেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে নদ নদীও। সারাদেশে কমপক্ষে আট হাজার কিলোমিটার নদীপথ ইতোমধ্যেই হারিয়ে গেছে। এককালের খরস্রোত নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে ।


বাংলাদেশ নদীমাতৃক ও কৃষি নির্ভর। দেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নে সঠিক ও পরিকল্পিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের জীবন রক্ষায় সকলের জন্য অঙ্গীকার হওয়া উচিত বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তায় নদ নদী, হাওর,খাল, বিল, জলাশয়, পুকুর-ডোবা  ভরাট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। পানি যাতে দূষিত না হয় সেই উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি পানিকে আর্সেনিকমুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রাখতে হবে।

ভূ-গর্ভস্থ পানির উত্তোলন কমিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের পানি গৃহস্থালীসহ অন্যান্য কাজে যাতে সর্বাধিক ব্যবহার করা যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। সমুদ্র ও নদ-নদীকেও দূষণের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে। শিল্প ও রাসায়নিক বর্জ্য যাতে নদী এবং সাগরে না ফেলা হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।পানির অপচয় রোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। যেন সবার জন্য বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্তি সহজলভ্য হয়।


আরও খবর



মে মাসে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজার উত্তরাঞ্চলে চলমান সংঘাতের মধ্যে আটকা পড়েছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ সমর্থিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার উত্তরে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে।

সোমবার (১৮ মার্চ) ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকিশেন (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১১ লাখ হয়েছে। যা গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে পূর্বাভাস রয়েছে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। একইসঙ্গে তিনি দেশটির বিরুদ্ধে অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্রাসেলসে গাজায় মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত একটি সম্মেলনের উদ্বোধনের সময় বোরেল বলেছিলেন, গাজায় আমরা আর দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নেই। আমরা এখন দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছি যা হাজার হাজার মানুষকে প্রভাবিত করছে।

৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে গাজায় দীর্ঘ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের ওইদিনের হামলায় প্রায় ১২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এসময় আরও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা। ওই হামলার জবাবে গাজায় ওইদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৩১ হাজার ৭২৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৩ হাজার ৬৭৬ জন।

 


আরও খবর



নওগাঁয় সিএনজি'র ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সিএনজি চালিত অটো বাইকের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী সজ্ঞয় মন্ডল (৪৯) নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ৯ টারদিকে মারাযান।মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকেলে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার চেংকুড়ি মোড় নামক স্থানে। স্থানিয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকেলে নওহাটামোড় (চৌমাশিয়া) বাজারের লেদ-কারখানা ব্যবসায়ী সুমন ও রিমন এর বাবা বাগধানা গ্রামের  সজ্ঞয় মন্ডল নিজ বাড়ি থেকে বাইসাইকেল যোগে এসিআই কোম্পানীতে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে পৌছালে এসময় বে-পরোয়া গতীতে আসা সিএনজি চালিত একটি অটো বাইক তার বাইসাইকেলে সজোড়ে ধাক্কাদিলে সে ছিটকে মহাসড়কের উপর পড়ে মারান্তক আহত হোন। এসময় স্থানিয় লোকজন সিএনজি চালিত অটোবাইক টি আটক পূর্বক নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশের হেফাজতে দেন এবং তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক সাথে সাথে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করলে ঐ দিন সন্ধার পরই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে পরের দিন সোমবার সকাল ৯ টারদিকে মারাযান। 


আরও খবর



গজারিয়ায় নকলা সংবাদদাতার কারাদন্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের  গজারিয়ায় দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা সফিউজ্জামান রানা’কে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড দেওয়ার প্রতিবাদে ও সাংবাদিকের মুক্তির দাবীতে সোমবার  বিকেলে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ও মোহাম্মদ আলী শপিং সেন্টারের সামনে  সমাবেশ করা হয়েছে।

দৈনিক দেশ রূপান্তরের গজারিয়া প্রতিনিধি আজিজুল হক পার্থের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন দৈনিক যুগান্তরের গজারিয়া প্রতিনিধি মোঃ জসিম উদ্দিন,  মুন্সীগঞ্জের খবর গজারিয়া প্রতিনিধি মহিউদ্দিন আহমেদ, দৈনিক আমাদের নতুন সময় প্রতিনিধি নেয়ামুল হক, দৈনিক বাংলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম শামীম, বিজয় টিভি প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম নয়ন, আমাদের সময়ের প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল, দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি শেখ নজরুল, দৈনিক বর্তমান দেশ বাংলা জেলা প্রতিনিধি আবুল হোসেন, আলোকিত প্রতিদিনের প্রতিনিধি মাসুদ রানা, দৈনিক প্রভাত রাজু আহমেদ, গনকন্ঠ প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ, আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন, সময়ের কাগজ রাসেল সরকার, জবাবদিহির প্রতিনিধি সোলায়মান শিকদার, বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি ওসমান গনি, সভ্যতার আলো প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন, সকালের সময় প্রতিনিধি আরিফুল রহমান সাগর ও বাবু রাজু  উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালবেলার গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি সাঈদ আরফান, ও ঢাকা প্রতিদিনের প্রতিনিধি গাজী পারভেজ প্রমুখ।

এ সময় সাংবাদিকগণ নকলা উপজেলা সংবাদদাতা’কে নিঃশর্ত মুক্তি এবং এ ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানায়।


আরও খবর