Logo
শিরোনাম

রাষ্ট্র সংস্কারসহ জামায়াতের একগুচ্ছ প্রস্তাব

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা, পররাষ্ট্র এবং শিক্ষাসহ ১০টি খাতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে দলটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশনের অনেক সংস্কার প্রয়োজন। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করতে হবে। প্রয়োজনে আইনের সংশোধন করতে হবে। একই সঙ্গে সংসদে বিরোধীদলের ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দিতে হবে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা সংস্কারের মধ্যে পুলিশের ব্রিটিশ আইন বাতিল করতে হবে। পুলিশে নিয়োগে দলীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। পুলিশ ট্রেনিংয়ে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং পুলিশের কাছে মারণাস্ত্র দেওয়া যাবে না।

ডা. তাহের বলেন, র‍্যাবে যারা গত ১৫ বছর কাজ করেছেন তাদের ফিরিয়ে আনা যাবে না ও র‍্যাবের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে সংস্কার করতে হবে।

গত ৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংলাপে অংশ নেন জামায়াতের আমিরসহ প্রতিনিধি দল। সংলাপ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জামায়াত আমীর জানান, ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরবে।

তিনি বলেন, এই সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি, তারা একটা ভোটের পরিবেশ তৈরির জন্য এসেছে। তাদেরকে নানা রকম সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরা হবে। এই সরকার নিরপেক্ষ থেকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেবে জাতিকে। আমরা সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই, সেটা কত দিনের সেটা আমরা জানাব।


আরও খবর



রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার পূর্ব গোমদন্ডী গ্রাম। পিতাঃ শ্রী চণ্ডীচরণ শীল। বঙ্গের কবিগানের ভূবনে কিংবদন্তির নায়ক, মরমী গানের ধারায় মাইজভাণ্ডারী গানের সফল সংযোজক, একুশে পদকে ভূষিত, কবিয়াল রমেশ শীল শুধু মাইজভাণ্ডারী গানের গীতিকারই ছিলেননা; তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী। তিন শতাধিক মাইজভাণ্ডারী গান রচনা করে তিনি এই জগৎকে আশ্চর্যরকম ভাবে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। শুধু সংখ্যার বিচারে নয়; গুণগত বিচারেও এগুলো উচ্চমার্গীয়, অনেকগুলোই কালোত্তীর্ণ। এতদিন মাইজভাণ্ডারী গান ছিল মূলত সাধনসঙ্গীত। রমেশ শীল তাঁর ব্যাপক কবিয়াল পরিচিতি এবং সৃজনশীল প্রতিভার পরশে মাইজভাণ্ডারী গানে এক নতুন ভাব-জোয়ারের সৃষ্টি করে সাধনসঙ্গীতকে নিয়ে আসেন লোকসঙ্গীতের কাতারে; জনপ্রিয় করে তোলেন যুগপৎ দরবারে ও সুধীমহলে। এ ক্ষেত্রে শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের অবদানের সাথে তাঁর অনেকাংশে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

বাংলার লোক সঙ্গীতকে পল্লী ও শহর অঞ্চলে সমান তালে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের (১৯০১-১৯৫৯) যে অবদান, মাইজভাণ্ডারী গানকে মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলের পাশাপাশি সুধী-সমাজে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে রমেশ শীলের অবদান প্রায় অনুরূপ। এ প্রসঙ্গে ফোকলোর বিশেষজ্ঞ ডক্টর ওয়াকিল আহমদের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য-

আধ্যাত্মিক ভাবধারায় রচিত মাইজভাণ্ডারের গান বাংলা লোক সংগীতের সখা-চারণকবি রমেশ শীল ছিলেন এ ধারার প্রধান রূপকার ও প্রচারক। মাইজভাণ্ডারের গান মূলত আধ্যাত্মিক হলেও এতে সমাজচেতনা অনুপস্থিত নয়: প্রতীক ও রূপকের ভাষায় সমাজের সমালোচনাও প্রকাশ পায়। আমার মনে হয়, এই কারণে মাইজভাণ্ডারের গান বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে স্থায়ী আসন লাভ করবে।১

আমাদের ধারণা, রমেশ শীলের ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ রেখেই শেষোক্ত মন্তব্যটুকু সংযুক্ত করা হয়েছে।

এতদিন মাইজভাণ্ডারী গান ছিল মাইজভাণ্ডার দরবার ভিত্তিক। রমেশ শীল একে দরবারি মজলিস থেকে বের করে এনে সাধারণ শ্রোতার কাছেও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ ক্ষেত্রে লালন সঙ্গীত-সাধক অমূল্য শাহের সাথেও তাঁর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অমূল্য শাহ লালন সঙ্গীতকে তাল-মাত্রায় ফেলে গাইবার নিয়ম প্রবর্তন করেছিলেন, রমেশ শীলও অনুরূপ মাইজভাণ্ডারী গানকে তাল-মাত্রায় ফেলে গাইবার পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। রমেশ শীলের মাইজভাণ্ডারী গানগুলো উচ্চমার্গীয় সাধন সঙ্গীত হিসেবে রচিত হয়েও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। রমেশ শীলের মাইজভান্ডারী গানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজ জীবনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দ্বন্দ্বের একটি প্রবহমান গতিধারার যথার্থ চিত্রও খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমাদের ধারণা।

মাইজভাণ্ডারী তরিকার উদার, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক বক্তব্যে আকর্ষিত হয়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলে এরকম উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন- খ্রিষ্টান মাইকেল পেনারু, বৌদ্ধ ধনঞ্জয় বড়ুয়া, হিন্দু সম্প্রদায়ের গুরুদাস ঠাকুর ও কবিয়াল রমেশ শীল। রমেশ শীল শুধু ঝুঁকে পড়েননি, মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা ও পীরমাহাত্ম্য বর্ণনা করে আধ্যাত্মিক উচ্চমার্গীয় সঙ্গীতও রচনা করেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবেও মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন, তাঁর গানসমূহ দারুণভাবে সমাদৃত হয়েছিল। কিন্তু সাধারণভাবে অনেকে এটি সহজভাবে নিতে পারেনি। 

চট্টগ্রামের অভিজাত মুসলমান সম্প্রদায়েরই একটা অংশ রমেশ শীলকে, এমনকি রমেশ শীলের কারণে মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকাকেও তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে-


নয়া সুন্নি


নয়া এক ফেরকায়ে বাতেল হায় জাহের


বানাতে হোঁ মুসলমানো-কো কাফের।


নয়া সুন্নি নয়া উনকো আকিদা


আজব সুন্নি সুনিদা হাম নাদিদা।


পুরানে সুন্নিও ছে হেঁ ওয়ো বেজার


কমিউনিষ্ট আওর সেকুলারকা মদদগার।


আজব সুন্নি গজব উনকা তরিকা


রমেশ শীল ভি হায় উনকো এক খলিফা।


শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশ নয়, রমেশ শীল স্ব-সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও বিদ্রূপাত্মক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। মাইজভাণ্ডার যাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁকে 'একঘরে' করে রাখা হয়েছিল। তীব্র মনোদুঃখে রমেশ শীল রচনা করেন নিম্নোক্ত গানটি-


আমার প্রাণে খোঁজে মাইজভাণ্ডার।

নিন্দা করলে কি ক্ষতি আমার।


নিন্দুকেরা নিন্দা করুক, 

নিন্দা করা স্বভাব তার।।

কিসে হারাম হল তাল,

তালে লোহা পিটে বানায় দা ছুরি কোদাল,

তালে মাটি পিটে কুলাল ভাণ্ড বাসন হয় তৈয়ার।।

দেখ খোদার তৈয়ার ঢোল, 

দুনিয়াময় চামড়া ছানি ভিতরে তার খোল, 

নানা শব্দে বাদ্য বাজে শুনতে লাগে চমৎকার।।

শুন যত বন্ধুগণ, 

নিন্দুকেরে তোমরা কভু ভেবনা দুশমণ, 

তারা ত্বরিকতের ধোপার মতন ধুয়ে করুক পরিষ্কার।।

খাদেম রমেশের বাণী, 

প্রাণ দিয়েছি পীর কদমে যা করেন তিনি,

ঐসব নিয়ে টানাটানি করা আমার কি দরকার।। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রমেশ শীল শুধু মাইজভাণ্ডারী গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীই ছিলেন না, মাইজভাণ্ডার পরিমণ্ডলের অনেকের বিশ্বাস, রমেশ শীল ছিলেন মাইজভাণ্ডারের ফয়েজপ্রাপ্ত একজন খলিফাও। 


আরও খবর

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




৩ মাসে ৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত তিন মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। 

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রবাসীরা গত মাসে বাংলাদেশে মোট .০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। এই তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, গত তিন মাসে লাখ ২২ হাজার ৮২১ বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের মাধ্যমে হাজার ৪২৬ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গেছেন।

প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিশ্লেষণ করে আরও বলা হয়েছে, সরকার বিদেশে মৃত্যুবরণ করা অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে প্রদান করেছে। এছাড়া, আহত বা অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য .৮৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বিদেশে মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনা এবং শেষকৃত্য কার্যক্রমের জন্য .৩২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। 

এছাড়া, বিদেশে মৃত্যুবরণ করা শ্রমিকদের পরিবারের জন্য বীমা হিসেবে ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অর্থ বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের জন্য .৯৭ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। 

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আবাসন ঋণ হিসেবে ,৯৮৯ জন শ্রমিকের মধ্যে মোট ২১৬.৩৩ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পুনর্বাসন ঋণ হিসেবে ৮১১ জন শ্রমিকের মধ্যে ২২.৮৯ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। 

এছাড়া, বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সহায়তার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে, যাতে তাদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। পাশাপাশি, প্রবাসী সহায়তা কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে।

এদিকে, অক্টোবর ২০২৪- ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড (ডব্লিউইডব্লিউবি) এবং মালয়েশিয়ার সোশ্যাল সিকিউরিটি বোর্ড (পিইআরকেইএসও) একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা নতুন সুবিধা পাবেন।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




মিডিয়াকে সত্য ঘটনা প্রচার করতে হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মিডিয়াকে সত্য ঘটনা প্রচার করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়ার যে একটা সুনাম আছে, পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়ার তা নাই। তারা মিথ্যাই কিন্তু প্রচার করে সবচেয়ে বেশি। আর এই মিথ্যাটাকে কিন্তু কাউন্টার করতে পারেন শুধু আপনারা।

উপদেষ্টা আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিংকে জোরদার করতে হবে। এরই মধ্যে ডিএমপি এলাকায় ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য যারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের আগ্রহী সদস্যদের বয়সসীমা বেঁধে দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি মহানগরীর যানজট নিরসনে সভা-সমাবেশের জন্য মুক্তাঙ্গন নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে সভা-সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য মহানগরীর জন্য মুক্তাঙ্গন ঠিক করে দিতে হবে যাতে যানজট হ্রাস পায়। তিনি এ সময় মেট্রোপলিটন এলাকায় অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেন।

  1. লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আদালত থেকে রায় পেয়ে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিন পেয়েছে। এসব অপরাধী পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচারসহ বিভিন্ন সাইবার অপরাধও বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
  2. উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে হয়তো সেটা জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী খুব সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। তিনি এ সময় পুলিশকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন ও প্রোটোকল ডিউটি কমিয়ে আনার নির্দেশ দেন।
  3. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে যেকোনো সমস্যায় থানায় যেতে পারে ও উপযুক্ত সেবা পায় থানার পরিবেশ ও কার্যক্রম সেভাবে রূপান্তর করতে হবে। থানায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। জনবান্ধব পুলিশ গড়ে তুলতে থানার কার্যক্রম আরো সক্রিয় ও যুগোপযোগী করতে হবে।
  4. পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই জাহাজ মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে একটা দেশে গেছে। আবার ওই দেশ থেকে আমাদের দেশে এসেছে। তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, আমাদের দেশে কি কোনো দেশের জাহাজ আসা নিষেধ আছে। তিনি বলেন, অনুমতি সাপেক্ষে যেকোনো দেশের জাহাজ আমাদের দেশে আসতে পারে। জাহাজটি রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যথা: খেজুর, পেঁয়াজ এগুলো নিয়ে এসেছে। এতে কেন আমরা বাধা দেব? তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ বিঘ্নকারী এসব ঘটনা যারা রটাচ্ছে তারা দেশের শত্রু।
  5. চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ 

সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন অতিরিক্ত কমিশনার হুমায়ূন কবীর চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন পুলিশ সুপার (অপারেশনস) নেছার উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে খজুরের গুড়, গাছিরা ব্যস্ত রস সংগ্রহে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শীতে অন্যতম উপদেয় খাবার খেজুরের গুড়। দেশের উত্তরের জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকে, আগেভাগেই শীত নামে সেখানে। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে খেজুরের রস সংগ্রহের কাজ। ওই রস থেকে তৈরি হচ্ছে উপাদেয় খেজুরের গুড়। রস সংগ্রহ ও রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মৌসুমী গাছিরা। গাছ থেকে মোশারি মোড়ানো হাঁড়িতে ফোটায় ফোটায় পরছে রস, শীতের হালকা কুয়াশার মধ্যে এমনি মনমুদ্ধকর দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানকার খেজুর বাগান থেকে গাছিরা রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছন। প্রতিবারের মতো এবারো ওই গ্রামে শুরু হয়েছে খেজুরের গুড় উৎপাদন।

সুগার মিলের মোহন ইক্ষু খামার খেজুর বাগানে এবারে ৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় ৭ শতাধিক গাছ বাৎসরিক নির্দিষ্ট পরিমানের টাকায় লিজ নিয়ে গুড় তৈরি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো.সেলিম। তার এই বাগানে কাজ করছেন নাটর লালপুর থেকে আসা ৬ জন চাষি। প্রায় ১৩ একর জমিতে গড়ে উঠেছে এই খেজুরের বাগান। সারারাত গাছের আগায় লাগানো হাঁড়িতে সারারাত ফোটা ফোটায় রস পড়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সূযোদয়ে ওঠার আগেই গাছ থেকে নামিয়ে টিনের পাত্রে জ্বাল দিয়ে চাষিরা তৈরি করছেন পাঠালি গুড়। ভোরে গুড় তৈরির এমন মন-মুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রকৃতীপ্রেমীরা আসছেন দূরদরান্ত থেখে।

যানা যায়, অক্টোবর মাসের শুরু থেকে গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন গাছিরা। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে সিমিত পরিষরে গুড় বানারো কাজ শুরু করেন চাষিরা। বর্তমানে গুড় তৈরীতে এখন নিয়মিত এখানে কাজ করছেন শুমিকেরা। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ কেজির বেশি গুড় উৎপাদন করেন গাছিরা। সেই সাথে ১শ টাকা লিটারে খেজুরের রস বিক্রি ও গুড় প্রতি বিক্রি করছেন ৩শ’ টাকা কেজি করে।

খেজুর বাগানে রস খেতে এসেছেন প্রকৃতীপ্রেমী রাসেল ইসলাম, মাসুদ রানা সহ বেশ কয়েকজন বলেন, অনেক ভোরে এসেছি এই বাগানে। সরাসরি রস সংগ্রহ ও রস দিয়ে কিভাবে গুড়টি তৈরী হচ্ছে তা দেখলাম। গ্রামীন ঐতিহ্য এটি, দেখে অনেক ভালো লাগলো। রস কিনেছি ১শ টাকা লিটারে আর গুড় কিনেছি ৩শ টাকা কেজি দরে। অনেক ভালো লাগলো এখানকার পরিবেশটি। আরেক প্রকৃতীপ্রেমী সারমিন আক্তার ও আরফিনা বলেন, বান্ধবীরা মিলে এসেছি এই বাগানে। এইবারেই প্রথম আসা। পরিবেশটি অনেক সুন্দর। বিশেষ করে কুয়াশার সকালে খেজুর গাছের দৃশ্যটি অসাধারণ লাগে। আর গুড় বানানো এই প্রথম দেখলাম। খেলাম বেশ মজাদার ছিলো।

এ বিষয়ে বাগানের বর্তমান মালিক মো সেলিম মিয়া বলেন, আমরা অক্টোবর মাস থেকেই গাছের পরিচর্যা শুরু করি। নভেম্বরের শুরু থেকেই রস সংগ্রহ করছি। সেই সাথে অল্প পরিষরে গুড় বানানোর কাজ চলছে। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী আসছেন। তবে শীত এখনো সেভাবে পড়েনি। রস উৎপাদন তেমন হচ্ছেনা। আমরা প্রতিটি হাঁড়ি মশারি দিয়ে ঢেকে দিয়েছি যাতে করে কোন পাখি মুখ দিতে না পারে। আশা করছি শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রসের উৎপাদনও বাড়বে।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




সফলতার বিচারে বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসাবে শেখ বসিরের নিয়োগ সর্বশ্রেষ্ঠ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গোলাম মাওলা রনি, 

ডঃ ইউনুস সরকার এযাবৎ কালে যতো নিয়োগ দিয়েছেন সবগুলোর মধ্যে যদি যোগ্যটা, অভিজ্ঞতা এবং  ! 

জনাব বসিরকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে । কেন হচ্ছে - কারা করছেন এসব নিয়ে আমি কিছু বলবো না । তবে বসির সম্পর্কে যা জানি তা যদি না বলি তবে নিজের প্রতি জুলুম করা হবে । তাঁর ভাইদের সবাই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং তাদের নিজেদের মধ্যে চমৎকার একটি পারিবারিক সমঝোতা এবং মিল মহব্বত রয়েছে যা বাংলাদেশে বিরল । 

মরহুম আকিজ উদ্দিনের এক ছেলে সংসদ সদস্য ছিলেন । আরেক ছেলে নাসিরের শ্বশুর এবং শ্যালকও এমপি ছিলেন । যশোর জেলায় এই পরিবারের যে জনপ্রিয়তা, এবং গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে সেক্ষেত্রে দেশের সব বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য  সব সময়ই আগ্রহী ছিল এবং এখনো আছে ! 

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়  - সাধারণত দুর্বল প্রার্থীরা দলের নমিনেশনের জন্য ফন্দি ফিকির, দলবাজি এবং দালালী করে । কিন্তু দল সব সময়ই  ভালো প্রার্থী খুঁজতে থাকে । সেই দিক থেকে শেখ বসির সব দলের জন্য কাঙ্ক্ষিত এমপি প্রার্থী ! তাঁর পক্ষে বিজয়ী হয়ে পূর্ণ মন্ত্রী হওয়া তেমন কোন সমস্যা ছিলো না ! কিন্তু তিনি সব সময়ই প্রত্যক্ষ রাজনীতি বিমুখ ছিলেন এবং নিজের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ! 

সুতরাং শেখ বসির কেন উপদেষ্টা হতে গেলেন তা আমার মাথায় ধুকছে না ! আমি যতোটুকু জানি তা হলো - বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের জন্য ডঃ ইউনুস একজন সৎ, দায়িত্বশীল এবং সফল ব্যবসায়ী খুঁজছিলেন ! অনেককে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন - সবাই দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ! অন্য দিকে দেশের কুখ্যাত কয়েকজন লুটেরা ঐ পদে নিয়োগ লাভের জন্য নানাভাবে তদবির করেছেন । কিন্তু ডঃ ইউনুস ওসবের নিকট মাথা নত করেননি ! 

শেখ বসিরকে পাট মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে । কেউ কেউ এটাকে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট বলার চেষ্টা করেছেন । কারন শেখ বসির এবং তাঁর পরিবার দেশের সবচেয়ে বড় এবং সফল পাটকল গুলোর মালিক । যারা সমালোচনা করছেন - তারা হয়তো দেশের পাট শিল্প, পাট মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি এবং পাটের বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ নন ।আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে দেউলিয়া এবং সমস্যা ভারাক্রান্ত মন্ত্রনালয়ের নাম পাট মন্ত্রণালয় এবং এই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীদেরকে সবাই করুণার দৃষ্টিতে দেখে এবং সুযোগ পেলে ঠাট্টা মশকরা করে ! 

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, দেশের কোন বাক্তিগত পাটকলের সঙ্গে এই মন্ত্রনালয়ের তেমন কোন সম্পর্ক নেই । বরং বাক্তিগত খাতে যারা সফল পাটকলের মালিক হয়েছেন তারা মন্ত্রনালয়ের বদদোয়া নিয়েই বেড়ে উঠেছেন । কারন - মন্ত্রনালয়ের সব কল বন্ধ , সীমাহীন দায়দেনা এবং চলতি ব্যয় মেটানোর জন্য তাদেরকে অর্থ মন্ত্রনালয়ের গালি খেতে হয় এবং খোটা শুনতে হয় - শেখ বসিররা যদি পারেন তবে তোমরা পারোনা কেন ! 

উল্লেখিত অবস্থায়, শেখ বসির যদি পাট মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন করতে না পারেন তবে বর্তমানে দ্বিতীয় কোন বাক্তি নেই যিনি এই মন্ত্রনালয়ের যন্ত্রণা দুর করতে পারেন । অন্যদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি যে ভালো কিছু করতে পারবেন তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই !


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪