Logo
শিরোনাম

রাসূল সা: ও সাহাবিরা আমাদের প্রেরণার উৎস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা: এবং তাঁর সাহাবিরা আমাদের প্রেরণার উৎস। প্রিয় নবীজী সারা জীবন মানবতার কল্যাণে নিজের আরাম-আয়েশ ও ভোগবিলাস ত্যাগ করেছেন। আয়েশা রা: বলেন, রাসূল সা: এই দুনিয়া থেকে চলে গেছেন কিন্তু কখনো দুই বেলা পেট ভরে আহার করেননি। ইসলামের ত্রাণকর্তা আবুবকর রা: তার সব সম্পদ ইসলামের জন্য বিলিয়ে দেন। ইসলাম গ্রহণের সময় তার কাছে ৪০ হাজার দিরহাম ছিল। তা তিনি আল্লাহর পথে ওয়াকফ করে দেন।

একটি বর্ণনায় এসেছে আবুবকর রা: ৪০ হাজার দিনার থেকে ১০ হাজার দিনে, ১০ হাজার রাতে, ১০ হাজার গোপনে এবং ১০ হাজার প্রকাশ্যে দান করেছিলেন। খায়বারের বিজিত ভূমি মুজাহিদদের মধ্যে বণ্টন করা হলো। উমর রা: তার অংশটুকু আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করে দিলেন। ইসলামের ইতিহাসে এটাই প্রথম ওয়াকফ। তাবুক অভিযানে তিনি অর্ধেক সম্পদ রাসূল সা:-এর হাতে তুলে দেন। উসমান রা: আজীবন স্বীয় মাল ও সহায়সম্পদ মুসলমানদের কল্যাণে ব্যয় করেছিলেন। তাবুক অভিযানে এক-তৃতীয়াংশ সৈন্যের যাবতীয় ব্যয়ভার তিনি নিজ হাতে তুলে নেন। তিনি সাড়ে ৯০০ উট ও ৫০টি ঘোড়া সরববরাহ করেন। খলিফা হওয়ার পরও আলী রা:কে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সাথে লড়তে হয়েছে। তবে তার অন্তরটি ছিল অত্যন্ত প্রশস্ত। কোনো অভাবীকে তিনি ফিরাতেন না। 

 জন্য তাকে অনেক সময় সপরিবারে অভুক্ত থাকতে হয়েছে। তিনি চার দিনার থেকে এক দিনার দিনে এক দিনার রাতে, এক দিনার গোপনে এবং এক দিনার প্রকাশ্যে দান করেছিলেন।

যুবাইর ইবনে আওয়াম রা:-এর এক হাজার দাস ছিল। তিনি এগুলোর ভাড়া খাটিয়ে সবই বিলিয়ে দিতেন। তাবুক অভিযানে আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা: আট হাজার দিনার রাসূলুল্লাহর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ওমর রা: উপঢৌকন হিসেবে ৪০০ দিনার ও চার হাজার দিরহাম আবু ওবায়দার কাছে পাঠালে তিনি সব অর্থই সৈনিকদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর খাদিজা রা: তার সব সম্পদ তাবলিগে দ্বীনের লক্ষ্যে ওয়াক্ফ করে দেন। পাপিষ্ঠ লোকেরা কিয়ামতের দিন দোজখ থেকে মুক্তির জন্য তাদের পরমপ্রিয় স্বজন, এমনকি স্ত্রী, পুত্র, পরিবার-পরিজন, ভাই-বন্ধু সবাইকে, সম্ভব হলে সমগ্র বিশ্ববাসীকেও মুক্তিপণে দিয়ে দিতে কুণ্ঠাবোধ করবে না। কিন্তু সে দিন কোনো মুক্তিপণই কোনো কাজে আসবে না।মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে এসেছে একজন মানুষ যখন মারা যায় তখন তার তিনটি আমল ছাড়া অন্য সব আমল বন্ধ হয়ে যায় ১. সাদকায়ে জারিয়া; ২. উপকারী জ্ঞান ও ৩. সৎ সন্তান যে তার মা-বাবার জন্য দোয়া করে। যে মক্কাবাসী রাসূলুল্লাহকে মদিনায়ও শান্তিতে থাকতে দেয়নি সেই মক্কাবাসীর দুর্ভিক্ষের সময় তিনি তাদের জন্য খাদ্যশস্য ও ৫০০ স্বর্ণমুদ্রা নগদ পাঠিয়েছিলেন। মানবতার মহান এই আদর্শ তাঁর মৃত্যুর সময় দিনার, দিরহাম এ-ও গোলাম-বাঁদী কিছুই রেখে যাননি বরং রেখে গেছেন শুধু একটি সাদা খচ্চর। এ খচ্চরটিতে তিনি আরোহণ করতেন। আর রেখে গেছেন তাঁর যুদ্ধাস্ত্র এবং একখণ্ড জমি। সে জমিও তিনি জীবদ্দশায় মুসাফিরদের জন্য সাদকা হিসেবে ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন।’ (সহিহ আল-বুখারি)

যুগে যুগে ইসলাম ও মানবতার কল্যাণে নবী-রাসূলরা থেকে আরম্ভ করে আজ পর্যন্ত দানবীর মুসলমানরা সর্বোচ্চ আর্থিক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই তো আল্লাহর নবী দাউদ আ: উপার্জিত সম্পদকে তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য রাখতেন, এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে দান করতেন এবং অবশিষ্ট এক ভাগ ভবিষ্যতে দান করার জন্য রেখে দিতেন। মহান আল্লাহ সূরা জারিয়ার ১৯ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘ধনীদের সম্পদে রয়েছে প্রার্থনাকারী ও বঞ্চিতদের অধিকার’। তাই আমাদের সমাজে যারা বিত্তশালী আছেন তাদের কর্তব্য সঠিকভাবে জাকাত প্রদানপূর্বক সমাজের অসহায় জনগোষ্ঠীর সাহায্যে এগিয়ে আসা।

আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় দানের শর্ত তিনটিÑ পবিত্র ও হালাল ধনসম্পদ থেকে ব্যয় করতে হবে। সৎ উদ্দেশ্য ও সচ্চরিত্রবান হতে হবে। যাকে দেয়া হবে তাকে তা গ্রহণ করার উপযুক্ত হতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের পবিত্র সম্পদ থেকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার তাওফিক দান করুন।



আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




উগ্রবাদ নির্মূলে আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখগণকে এগিয়ে আসতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম, কোন ধর্মেই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের স্থান নেই। জঙ্গীরা ইসলামকে দুনিয়ার সামনে এক নিষ্ঠুর ধর্ম হিসেবে উপস্থাপনের ষড়যন্ত্র করছে। চরমপন্থীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মসজিদের ভিতরেও জিহাদ শব্দের ভুল ব্যাখ্যা করে। যারা জঙ্গীবাদ ও উগ্রবাদী কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত তারা নিজেরা ধর্মের অর্থ জানে না, কোরআনের অর্থ জানে না; জানে না জিহাদের অর্থও। অন্ধকারের এই অপশক্তিকে প্রতিরাধ করতে দেশের ধর্মপ্রাণ আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকল ধরণের প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকেও আনতে হবে সরকারের নজরদারির আওতায়। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নরসিংদী রায়পুরা আদিয়াবাদ উত্তর, আদিয়াবাদ দরবার শরিফে হযরত শাহসুফি খাজা আব্দুল আউয়াল শাহ্ চিশতী (রহঃ)'র ১৯ তম বার্ষিক ওরস শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। তিনি আরও বলেন, জঙ্গীবাদ আধিপত্যবাদীদের রাজনৈতিক ও প্রভুত্ব কায়েমের হাতিয়ার। জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রতিহিংসা ও একে অপরের উপর আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্ধকারের অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, জঙ্গীবাদী কর্মকান্ড শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে ঘটছে। বরং বিশ্বে তা বেশি হারেই ঘটছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা, মানবতা বিরোধী শক্তি, প্রকৃত ধার্মিকতার বিরোধিতা, ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রভাব ও মাদ্রাসা শিক্ষার একটি অংশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে দেশে জঙ্গীবাদ প্রসারিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মাহফিলে আলোচক ছিলেন, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, হাফেজ মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী মাইজভাণ্ডারী প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।


আরও খবর



বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সাত দিনের মধ্যে দুইবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশ। আর গত ৯০ দিনে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার ৫০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।

বিশ্বে ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় আছে ঢাকা। বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবুও কোনো সরকারই এ দুর্যোগে ক্ষতি কমাতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট-বড় মাত্রার এসব ভূমিকম্প সামনের বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে। আর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চেয়ে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই ভূমিকম্পে তিব্বতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতও কেঁপে ওঠে। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে প্রায়ই এই অঞ্চল কম্পিত হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূকম্পনের সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোটোখাটো কম্পন দেশটিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা নির্দেশ করে। এ ছাড়াও দুর্যোগ সূচকে বিশ্বের ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। সবশেষ বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হয়েছে ১৯১৮ সাল। এর কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের মধ্যে এবং যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন। গত ৭৫ বছরে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হয়নি, ফলে শিগগিরই একটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার টেকটোনিক প্লেট গেছে। গত শত শত বছর এসব প্লেটে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। ফলে এই প্লেটে সঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিনের শক্তি। হঠাৎই এটি ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। আর এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে লাখ লাখ প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে ঢাকা। বুয়েট ও সরকারের একটি যৌথ সমীক্ষায় দেখা যায়, সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যেখানে তৈরি হবে সাত কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘৭ মাত্রার ভূমিকম্প যদি সীমান্ত এলাকায় হয় তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে কারণ ঢাকার ভবনগুলো বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘আমাদের দেশের আশপাশ দিয়ে তিনটি টেকটোনিক প্লেট গেছে। যেগুলোর সংযোগস্থল সীমান্তের আশপাশে। আমাদের অবস্থান ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটে, আমাদের উত্তরে হিমালয় পড়েছে ইউরেশিয়ান প্লেটে আর আমাদের পূর্বে হচ্ছে মিয়ানমার মাইক্রো প্লেট। সবগুরো প্লেটই আমাদের কানেক্টেড এবং সক্রিয়। এগুলোর মুভমেন্ট আছে। প্লেটগুলো প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার মুভমেন্ট করে। অর্থাৎ, আমার প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মুভমেন্ট করছি। একইভাবে পুরো পৃথিবীও মুভ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে শুধু ইক্যুইপমেন্টস আছে। শুধু ইক্যুইপমেন্টস দিয়ে হবে না। কারণ, ভবন মেরামত না করলে ভবন চাপা পড়ে মানুষ মারা যাবেই। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের অপরিকল্পিত লাইন ঢাকা শহরে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সময় কমছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, আগামী ১ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে সারাদেশে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সময় দুই ঘণ্টা কমছে।

পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট তিন ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

সিএনজি স্টেশনগুলোর মালিকদের অনুরোধ এবং সিএনজি চালকদের আন্দোলন-ধর্মঘটকে বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




তুরাগ এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬)-এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার আগে ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থীরা।

অন্যদিকে গাজীপুরে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার বিচার ও ইজতেমা ময়দান জুবায়েরপন্থীদের বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন জুবায়েরপন্থীরা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মুলাইদের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ অবরোধ করেন জুবায়েরপন্থীরা। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়েছে।

এদিকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে সকাল থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকাল বেলাল (৬০) ও বগুড়ার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (৬৫)। সংঘর্ষে আহত ৪০ জন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

এদিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ছাড়ার পর সরকার ওই মাঠের দায়িত্ব নেবে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাদ অনুসারী মাওলানা রেজা আরিফ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নির্বাচনে ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না কমিশন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বললেন, কাজ করতে গিয়ে কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করবে না।

রোববার (৫ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫ উপলক্ষে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সিইসি বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল কমিশন করবে না।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত বলেও মনে করে কমিশন। এসময় ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।

নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে তার সবটুকুই করবে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অসচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটার সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে। ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ সেখান থেকে এবার বেরিয়ে আসতে পারবে কমিশন। মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল তা কমে এসেছে, মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে তা এবার কাজে লাগানো হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫