
সারা দেশে আজ সকাল থেকে যে আষাঢ়ী
বৃষ্টি ঝরছে, তার প্রবণতা কাল থেকে বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম
মল্লিক বলেন, রবিবার থেকে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগে
ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। (ভারতের) মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা,
নাগাল্যান্ড, অরুণাচল—এসব এলাকায়ও বৃষ্টি বাড়তে থাকবে।
বৃষ্টির প্রবণতা ৩ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত থাকতে পারে।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে
৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে ফেনীতে। এই সময়ে
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫১ মিলিমিটার, ভোলা এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ১৯ মিলিমিটার
ঝরেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।
আবুল কালাম মল্লিক
বলছেন, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর এবং
মধ্যভাগে সারিসারি মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। যার ফলে দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে
মাঝারি, কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়ার এক
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য
বিরাজ করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং
সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত
দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে ও সাবধানে চলাচল করতে বলা
হয়েছে।