
দেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে
ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে মোবাইল ইন্টারনেট। ফলে বিপাকে পড়েছেন কয়েক
কোটি মানুষ। তারা ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন। যদিও দিন দুয়েক আগে চালু করা
হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা
কম। সীমিত পরিসরে চালু হওয়া এই ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সুবিধা অনেকেরই নেই।
এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে গত
সপ্তাহে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন,
রবি-সোমবারের মধ্যেই চালু হবে কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ইন্টারনেট।
প্রতিমন্ত্রী পলক আশ্বাস দিয়েছেন, রবি
সোমবারের মধ্যেই দেশে পুরোদমে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে।
তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক,
মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যাবে কি না সে
সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
এদিকে দেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে
গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি)।
জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা
না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা
মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
এর আগে, পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩
জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। কূটনীতিক পাড়া,
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাত
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও
ইন্টারনেট সেবা মিলছে।