Logo
শিরোনাম

রেমালের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত খুলনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


ঘূর্ণিঝড় রেমাল খুলনার উপকূলে আঘাত হেনেছে। রোববার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে খুলনার উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। ঝড়ো বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়াও।


খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রাত সাড়ে ১০টায় খুলনাসহ উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে।


 এখনও তাণ্ডব চলছে। কয়রা উপকূলে ১০০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ রয়েছে। আর খুলনার অন্যান্য স্থানে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। আরও ২-৩ ঘণ্টা এভাবে চলবে।



তিনি বলেন, জোয়ারের সময়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।


এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে সাইক্লোন শেল্টারে নদীর তীরবর্তী ও বিভিন্ন  গ্রামগুলোর সাধারণ মানুষ আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিচ্ছেন।



বটিয়াঘাটার জলমা সিএসএস এর স্থাপনার দায়িত্বরত সাব এ্যাসিস্টেন ইঞ্জিনিয়ার অনূপ কুমার পাল বলেন, এখানে ২০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। জলমা এলাকার শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। রাত যত গভীর হচ্ছে মানুষ ততোই আসছে। আগতদের জন্য শুকনো খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরাও খোঁজ নিচ্ছেন।


খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য খুলনার ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


আরও খবর



নির্বাচনী চাপ বাড়াতে তৎপর বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনী পথে দ্রুত হাঁটাতে তৎপর বিএনপি। এজন্য দলের পক্ষ থেকে নানা সভা-সেমিনারে ক্রমাগতভাবে নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপি মনে করে, বিপ্লব-পরবর্তী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনী কাজও চলমান রাখুক সরকার। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্যে সহসাই নির্বাচন না দেওয়ার কিছু ইঙ্গিত বিএনপির কাছে স্পষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি টেবিল টকের পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপও বাড়াতে চায়। তাতে জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও একটা পরিষ্কার বার্তা যাবে।

বিএনপি একটি সূত্র জানায়, নিজেদের পক্ষে জনমত জনমত আছে সেটি শতভাগ প্রমাণ করতে পেরেছে বিএনপি। এবারের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালির জনসমাগম দেখে দলের শীর্ষ নেতারাও বেশ আশাবাদী। সে আশাবাদকে ধরে রেখে দলটি আরো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসতে চায়। চলতি সপ্তাহের একটি স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক আগামী ডিসেম্বর মাসে একই রকম বিজয় র‌্যালি ও ১০ বিভাগে বড় জনসভার পরিকল্পনার নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাস ও ডিসেম্বরজুড়ে এই সমাবেশগুলোর আয়োজন করা হবে। দলটির নেতারা বলছেন, গত সরকারের শেষ দিকে সারা দেশে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে জন বিস্ফোরণ ঘটেছিল। গণপরিবহন বন্ধসহ সরকারের নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সভার জনসমাগম বেশ আলোচিত ছিল। কিন্তু এবারের অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে নতুন সমাবেশগুলোতে স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ইতিহাস তৈরি করতে চায় বিএনপি। এ ধরনের সমাবেশগুলোর মাধ্যমে বিএনপি দেশে একমাত্র জনবান্ধব দল এটা যেমন প্রমাণ করবে, সেই সঙ্গে দ্রুত নির্বাচনের দাবিটি আরো জোরালো হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল, পরিবর্তিত সময়ে দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসাটা বেশ চ্যালেঞ্জের। এটা নিয়ে আমাদের দলের সবাই কাজ করছেন। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সামনের নির্বাচনে ভালোভাবেই অংশ নেবে, নির্বাচিত হলে বিএনপি কী করবে এ বিষয়গুলো দেশব্যাপী তুলে ধরতে আমরা আবার তৃণমূলে যেতে চাই। সে লক্ষ্যে দলের সংশ্লিষ্ট নেতারা কাজ করছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাসেও নির্বাচনী রোডম্যাপের বিষয়টি স্পষ্ট না করায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। অন্যথায় আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হবে দলটি। গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া দুটিই সমান্তরালভাবে চলা উচিত। এজন্য সরকারকে অবিলম্বে একটি রোডম্যাপ দিয়ে সামনে এগোনো দরকার। যত দিন পর্যন্ত এই রোডম্যাপ দেওয়া না হবে, তত দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার যে শঙ্কা’ রয়েছে, সেটা কাটবে না।

নেতারা বলছেন, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারের সব কার্যক্রমের ফোকাস হওয়া উচিত নির্বাচন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই নির্বাচন নিয়ে জনমনে বিভিন্ন সময় যে শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা কাটাতে এই সরকারকে দ্রুত রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা দরকার।

বিএনপি মনে করছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা- এই দুই ইস্যুতে মাঠের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। তাই আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আরেকটি বড় র‌্যালিও করবে দলটি।

বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সম্প্রতি তিনজনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন যে, এদের মধ্যে দুজনকে নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং তারা আন্দোলন করছে। এই নিয়োগ নিয়ে বিএনপিও বিস্মিত। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ও চিন্তাভাবনা করে এদের নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া। বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা। এর আগে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে উপদেষ্টা করায় প্রশ্ন তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছিল বিএনপি।


আরও খবর



নওগাঁয় আলোচিত সুমন হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামীকে আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পত্নীতলায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কম্পিউটার ব্যবসায়ী সুমন হোসাইন (২৩) হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামী বুলবুল (৩৫) কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার ২১ নভেম্বর দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান। এর আগে ভোরে ঢাকার গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত বুলবুল হলেন, সুমন হোসাইন হত্যা মামলার মূল আসামী সে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার গাহন গ্রামের আব্দুল করিম এর ছেলে। আর হত্যার শিকার যুবক সুমন হোসাইন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিলছাড়া চকপাড়া গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিন ও শাহিদা'র ছেলে। সুমন হোসাইন পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের সুমন ফটোস্ট্যাটের স্বত্বাধিকারী। 

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, গত ১৭ নভেম্বর রাত সারে ১০টায় নিজের ফেসবুকে আইডিতে লাইভে এসে সুমন দাবি করেন বুলবুল এর কাছ থেকে সুদের উপর ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। এই ঋণের টাকা দেওয়ার সময় বুলবুল তার কাছ থেকে স্বাক্ষর করা ফাঁকা স্ট্যাম্পও নেন। সেই টাকা বৃদ্ধি পেতে পেতে ১০ লাখ টাকা হয়ে যায়। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দন্দ চলছিল এবং বুলবুল সুমনকে চাপও দিচ্ছিলেন। সেই টাকাই সুমন রাতে মহাদেবপুর উপজেলা থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তার মাঝখানে বুলবুল তার কিছু লোক দিয়ে তাকে ধাওয়া করে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন বলে লাইভে বলেন। এরপর একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ কর্মকর্তা


গাজিউর রহমান আরো জানান, এ ঘটনার পর থেকে বুলবুল পালিয়ে বেড়ান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোরে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে বুলবুল এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন। তবে তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। তারপর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের সাথে কারা কারা জড়িত এর মূল কারণ বেরিয়ে আসবে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টারদিকে নিজের ফেসবুকে আইডিতে লাইভে এসে কথা বলেছিলেন সুমন হোসাইন। সেই ৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভ ভাইরাল হয়। জানা যায়, কিছুদিন আগে তিনি নজিপুর বাসস্ট্যান্ড মজসিদ মার্কেটের বুলবুল টেলিকমের স্বত্বাধিকারী বুলবুল হোসেনের কাছ থেকে সুদের উপর ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এই ঋণের টাকা দেওয়ার সময় বুলবুল সুমন হোসাইন এর কাছ থেকে স্বাক্ষর করা ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেকের পাতা নেন। ঋণ গ্রহণের পর সুমন পর্যায়ক্রমে সুদসহ বুলবুলকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু বুলবুল সুমনের কাছ থেকে প্রথমে আরো ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন এবং পরে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেই টাকার জন্য বুলবুল সুমনকে হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছিলেন। নিরুপায় হয়ে সুমন বুলবুলের দাবি করা ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে  গত সোমবার ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় চান। বুলবুলকে টাকা দেওয়ার জন্য সুমন মহাদেবপুর থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ১৭ নভেম্বর রবিবার রাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে গ্রামের বাড়ি বিলছাড়া চকপাড়া গ্রামে ফিরছিলেন। সুমনের ভাষ্যমতে, তিনি গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে নাদৌড় মোড় এলাকায় পৌঁছালে বুলবুল এর নের্তৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সুমন পালিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে তাঁকে বাঁচানোর আকুতি জানান। ছিনতাইকারীরা তার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যার জন্য খুঁজছে বলেও দাবি করেন সুমন। লাইভে সুমন বলে যান, মহাদেবপুর থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার খবর বুলবুল ছাড়া আর কেউ জানত না। সুমনের ফেসবুক লাইভ দেখে তার গ্রামের বাড়ি বিলছাড়া চকপাড়া ও আশপাশের গ্রামের লোকজন নাদৌড় মোড়ে ছুটে আসেন। লোকজন ছুটে এসে সুমনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে উপজেলার পদ্মপুকুর বালকাপাড়া গ্রামের একটি গাছের ডালের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে বুলবুল পলাতক ছিলেন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালাল ইউক্রেন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে চালানো এই হামলায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে এবং আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।

রাশিয়া জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ২৫ মিনিটে এই হামলা চালানো হয়। আগুন দ্রুত নেভানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলায় আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটা তারা নিশ্চিত করেনি। সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারের মতো দূরে কারাচেভ শহরের কাছে একটি ডিপোতে হামলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এ ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটলো। এর আগে, গত সোমবার রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, ইউক্রেন এমন কোনো আক্রমণ চালালে তারা উপযুক্ত এবং কঠোর জবাব দেবে।

এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন পারমাণবিক নীতিমালা অনুমোদন করেছেন। এতে বলা হয়েছে, কোনো অ-পরমাণবিক রাষ্ট্র যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় এবং তাতে কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থন পায়, তবে সেটি যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওই দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




রাজাপুরে স্কুলে ঝুলছে তালা, দুই স্কুলের শিক্ষকদের শোকজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান 

ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা দেখতে পেলেন দুই স্কুলে তালা ঝুলছে। এ ঘটনায় দুই স্কুলের শিক্ষকদের ৩ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও রাহুল চন্দ। অভিযোগে জানা গেছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ইচ্ছেমত স্কুলে আসা-যাওয়া করেন ও দুপুরের পর কিছু কিছু স্কুলে ক্লাস না করিয়ে ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সত্যতা পান এবং দুই স্কুলে তালা ঝুলতে দেখে হতবাক হন। কারন দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ বুধবার দুপুর সাড়ে ৩ টার সময় গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, কর্মচারী ও কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি এবং সকল শ্রেণীকক্ষ তালাবদ্ধ ছিল। যা সরকারী বিধি ভঙ্গের সামিল। কর্তব্যকর্মে অবহেলার কারনে কেন আপনার এবং আপনার অধীনস্থ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না তার কারন আগামী ৩ তিন কার্য দিবস (১৮ নভেম্বর) মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। জানা গেছে, গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারি মাসে ৩ লাখ ৮০ হাজার  টাকা বেতন উত্তোলন করেন এবং ওই স্কুলে শিক্ষার্থী রয়েছে ২০৯ জন। এ বিষয়ে গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবিএম রিয়াদুল আলম জানান, স্কুলের ফলাফল প্রকাশ দিবস থাকায় একটানা স্ক¬াস করিয়ে ৩ টার দিকে ছুটি দেয়া হয়েছে। যথাযথভাবে শোকজের জবাব দেয়া হয়েছে। ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মুহাম্মদ ইশা জানান, শিক্ষক কম ছিল, তারা ক্লান্ত হয়ে গেছিলো। তাছাড়া বিদ্যালয়ে নারিকেল গাছ রোপনের জন্য কিছুটা আগে ছুটি দেয়া হয়েছিলো। শোকজের জবাব দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউএনও রাহুল চন্দ জানান, দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে, জবাব যুক্তিযুক্তভাবে না দিতে পাররে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মানুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



গুম-অপহরণের বিচার করা কঠিন : আসিফ নজরুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বললেন, গুম-অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা কঠিন । গত ১৫ বছরের শাসনকে কয়েক সপ্তাহে মোকাবিলা করা খুব কঠিন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গুলশানের এক হোটেলে এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইন ভলান্টিয়ার ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স এর প্রোগ্রামে একথা বলেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের সক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। গুমের শিকার পরিবারের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। আমরা সবার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুম-বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, এই সরকার সব সরকারের মতো না। আমরা কোনও পলিটিক্যাল ফিগার না। আল্লাহর রহমতে আমরা প্রত্যেকে আমাদের প্রফেশনে প্রতিষ্ঠিত। তাই আগের সরকারের পুনরাবৃত্তির প্রশ্নই আসে না।

তিনি আরও বলেন, কোনও সরকার কিন্তু গুম বা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য কমিশন গঠন করেনি। আমাদের সরকার পরিচালনায় যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই সমালোচনা করবেন।

অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, ন্যায়বিচার সবার অগ্রাধিকার। শুধু গুম বা বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার ব্যক্তির পরিবারের জন্য নয়, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার প্রত্যেকের জন্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুমের শিকার ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্য কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, এই সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, অন্তত একটা সন্ধান দিন আমাদের। আমাদের সাহায্য করুন।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪