Logo
শিরোনাম

রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন, সেপ্টেম্বরে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসার সূচনা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সাতদিনে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড গড়েছে।

রবিবার প্রবাসী আয়ের তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তথ্যানুযায়ী, প্রথম সাত দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৫৪ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ হাজার ৫৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রবাসীরা প্রতিদিন প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন কোটি ৭৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৩৩ মার্কিন ডলার। আগের মাস আগস্টে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল হাজার ৩৭ লাখ ৯২ হাজার ৩৩৩ ডলার। আর আগের বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল কোটি ৪৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৩৩ ডলার।

তথ্য বলছে, করোনা পরবর্তী যাবৎ কালের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম সাত দিনে।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রবাসীরা সংহতি জানিয়ে প্রবাসী আয় কমিয়ে দেয়। এজন্য জুলাই মাসসহ আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয় কমে যায়। আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ দেশত্যাগের পর প্রবাসীদের অর্থ পাঠানো প্রবাহ বেড়ে যায়। এর ফলে আগস্ট মাসে প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ের এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।

তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সাতদিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোরা মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর বিদেশে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সালাম দেওয়ার ফজিলত

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আমরা কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কবরবাসীদের সালাম দিয়ে যাই। এই সালামের ফজিলত যে কত ব্যাপক তা আমাদের কারো কারো জানা থাকলেও সবার হয়তো জানা নেই।

আসুন একটু জেনে নেয়া যাক।


আপনি রাস্তা দিয়ে একা বা কারো সাথে কথা বলতে বলতে হাঁটছেন অথবা গাড়িতে চড়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে যাচ্ছেন। হঠাৎ আপনার দৃষ্টি থেমে গেলো রাস্তার পাশের কোনো কবর বা কবরস্থান দেখে। 

মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো...

''আসসালামু আ'লাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর''

অর্থঃ হে কবরবাসী! আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

ঠিক সেই সময়ে  হয়তো সেই কবরবাসী ছিলো আযাবের ফেরেশতাদের অধীনে! আল্লাহর  নির্দেশে যারা মারাত্মক আঘাতে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছিলো সেই কবরবাসীর দেহকে!


কি আশ্চর্য!!

আপনার কয়েক সেকেন্ডর এই দুয়াতে আল্লাহর আরশ থেকে নির্দেশ এলো তার শাস্তি থামিয়ে দিয়ে তার উপর শান্তি বর্ষণ করার। সাথে সাথেই তার কবর আযাব বন্ধ হয়ে কিছু সময়ের জন্য তার ওপর শান্তি বর্ষিত হলো। 

প্রতিটি জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর তাই অনেক বছর পর আজ আপনিও এখন অন্ধকার কবরের বাসিন্দা। হয়তো আপনার উপরেও চলছে এখন আযাবের ফেরেশতাদের মারাত্মক আঘাত। হঠাৎ করেই তারা আঘাত করা বন্ধ করে দিলো। কিছু সময়ের জন্য আপনি সুকুন পেলেন। 

আপনার মনে পড়ে গেলো ওই যে সেই দিনগুলোর কথা যেদিন আপনি রাস্তার পাশের কবর দেখে এই ছোট্ট দুয়াটি করে যেতেন। আজ সেভাবেই কোনো এক পথিকেরও আপনার কবর দেখে মায়া হলো। আপনার মতো তিনিও সেই ছোট্ট দুয়াটি পড়ে আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য আযাব থেকে মুক্তি দিলেন।


আপনি যে দুয়া করবেন তা আপনার জন্যও আল্লাহ ফিরিয়ে দিবেন। কেননা আল্লাহ প্রতিটি ভালো কাজের জন্য উত্তম পুরস্কার দান করেন!


প্রতিদিন আমরা এভাবে কত কবর পার করি। অথচ ভুলেই যাই এরাও একদিন আমাদের মতো দুনিয়ায় বিচরণ করতো। দৈনিক রাস্তা পার হতে ততক্ষন কবর দেখে দুয়া করুন, যতক্ষন আপনি আপনার কবরের আযাব থেকে মুক্তি পেতে চান।


আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই ছোট্ট আমলের তৌফিক দিন।


আরও খবর



২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টা থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব নদ-নদী ও সাগরে জারি থাকবে এ নিষেধাজ্ঞা।

এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণক্রয়-বিক্রয় ও নিষিদ্ধ থাকবে এবং একইসঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে

এদিকে পদ্মা-মেঘনা পাড়ের অর্ধলক্ষাধিক জেলেরা জাল-নৌকা তীরে উঠিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে জেলেরা। সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি জানান জেলেরা

চাঁদপুর সদর উপজেলা হরিনাঘাট মেঘনা পাড়ের জেলে বাবুল ও লোকমান হোসেন বলেনআমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানি। কিছু কিছু জেলে মানে না। ২২ দিন মাছ ধরতে পারবো না কিন্তু পরিবার নিয়ে কীভাবে দিন কাটেসেই খবর কেউ রাখে না। আমাদের যে চাল দেয়তা দিয়ে কিছুই হয় না। চালের সঙ্গে আনুষঙ্গিক জিনিস লাগেসেই খরচ কীভাবে পাবো

চাঁদপুর নদীকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবু কাউছার দিদার বলেনবিগত বছরের মতো এবারো ডিম ছাড়াল অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আশা করছি বিগত বছরের ৫২.৪% স্পেন রেট ছিলতা এই বছরেরও সমসাময়িক কিংবা বেশি হতে পারে। ইলিশের প্রাপ্যতা বৈরী আবার কারণে কম ছিল। যার কারণে জেলেরা আশানুরূপ ইলিশ পায়নি। আশা করছি- ইলিশের ২২ দিন বন্ধের পরপরই বিগত বছরের মত কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাবে

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেনঅন্য বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালিত হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো জেলে যাতে নদীতে নামতে না পারে এবং ইলিশ আহরণ করতে না পারে। আমরা কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশে অতিরিক্ত সদস্য রাখা হবে। এছাড়া এবার সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছেযাতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় মনিটরিং করে। পাশাপাশি এবার রোবার স্কাউটকে এই কাজে যুক্ত করা হবে।

ডিসি বলেনজেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে যে চাল দেয়া হয় এর বাইরে কোনো আর্থিক সহায়তার সুযোগ নেই। আমরা শুধুমাত্র চালই বরাদ্দ পেয়েছি। জেলেরা যে আর্থিক সহায়তার দাবি করেনআমরা ভবিষ্যতে এই বিষয় নিয়ে কথা বলবোযাতে তাদের জন্য কিছু করতে পারি


আরও খবর



উসকানিদাতা কবি-সাংবাদিকদের বিচার হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

কবি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বযারা ফ্যাসিবাদে জড়িত ছিলেন কিংবা গণহত্যায় উসকানি দিয়েছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ও জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, মামলাগুলো সরকার করছে না, জনগণের জায়গা থেকে করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি এবং আশ্বস্ত করেছি যে এই মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত করা হবে। অভিযোগ না থাকলে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে

তিনি আরও বলেন, গতকালও প্রেসক্লাব ও সচিবালয় সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে বসেছি। আমি বলেছি, যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয় থাকে, তথ্য মন্ত্রণালয়ে তার বিষয়ে বিস্তারিত পাঠাবেন। আমরা দেখবো

নাহিদ ইসলাম বলেন, পাশাপাশি এটাও বলেছি, কেবল সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিক ও কবি পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবেন না। যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বৈধতা উৎপাদনে কাজ করেছেন, লেখনী ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করেছেন, গণহত্যার পক্ষে কাজ করেছেন, উসকানি দিয়েছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে

সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের গুজব সেল নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে ফ্যাক্টচেকিং বিষয়টি আরও শক্তিশালী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছি

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, জননিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়, আমরা যেহেতু একটি জরুরি পরিস্থিতিতে আছি, দেশ পুনর্গঠন করা লাগছে, সেহেতু সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পুলিশ বাহিনীকে সম্পূর্ণ রিফর্ম (সংস্কার) করে আরও শক্তিশালী ও আস্থার জায়গায় নিয়ে এসে তাদের মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ দুই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট হয়েছিল, সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। যেহেতু গেজেটের বিধিমালা ছিল না। সেই ধারাবাহিকতায় সেটিকে অনুসরণ করেই সিনেমা জগতে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য আপৎকালীন একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করেছিলাম

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ২০২৩ সালে যেহেতু একটি আইনের গেজেট হয়ে গেছে, সেটি পর্যালোচনা করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সেন্সর যে শব্দটি সেটিকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের যে ২০২৩ সালের আইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন সেই আইন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডটাকে পুনর্গঠন করব


আরও খবর



এই সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অনেক রক্তের বিনিময়ে, লাখো কোটি জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের কোনো কোনো কার্যক্রম সকলের কাছে হয়তো সাফল্য হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারে। কিন্ত এই সরকারের ব্যর্থতা হবে আমাদের সকলের ব্যর্থতা। বাংলাদেশের পক্ষের গণতন্ত্রকামী জনগণের ব্যর্থতা। এটি আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে। সুতরাং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না, বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার বিএনপির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশ থেকে নানা রকমের উসকানিতেও জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাতে নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতার কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সে ব্যপারে তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম সংস্কারের লক্ষ্যে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের পক্ষের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। তবে ঘোষিত এই ৩১ দফাই শেষ কথা নয়। বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র কিংবা রাজনীতি, সকল ক্ষেত্রেই সংস্কার কার্যক্রম একটি ধারাবাহিক এবং চলমান প্রক্রিয়া। সুতরাং রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির আরও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন পরিমার্জনকেও বিএনপি স্বাগত জানায়

তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন, একটি উন্নত এবং নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আরও নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে, তাতেও দোষের কিছু নেই। কারণ শেষ পর্যন্ত জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে সমর্থন জানাবে কিংবা কাকে সমর্থন দেবে না। এ কারণেই, বিএনপি বারবার জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছে। বিএনপি মনে করে, একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র-রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সঙ্গে জনগণের প্রতক্ষ্য অংশীদারিত্ব তৈরি হয়

তারেক রহমান বলেন, গণঅভ্যুত্থান কিংবা সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে রাজনীতির মাঠে নানারকম কথা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এটি একটি স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য রীতি। প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করবেন এটিই স্বাভাবিক। এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, ফৌজদারি অপরাধের বিচার যেমন বিচারিক আদালতে হয় ঠিক তেমনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা রাজনৈতিক আচরণের বিচার হয় জনগণের আদালতে

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধুই রাষ্ট্র ক্ষমতার হাতবদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মনে রাখা প্রয়োজন রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি। সুতরাং আমার আহ্বান- কোনো প্রলোভন কিংবা উসকানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র এবং সমাজের নেতৃত্ব দানের জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখুন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কার কার্যক্রমের পথ ধরে নির্বাচনী রোডম্যাপে উঠবে দেশ। সুতরাং আসুন- আমরা সবাই কাজের মাধ্যমে জনগণের বিশ্বাস ভালোবাসা অর্জন করি। জনগণের সঙ্গে থাকি। জনগণকে সঙ্গে রাখি

তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, যারা আহত হয়েছেন, হাত পা চোখ হারিয়েছেন কিংবা চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ আজীবন তাদের এই আত্মত্যাগ এবং অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। হতাহতদের প্রতিটি পরিবারের প্রতি অবশ্যই রাষ্ট্র যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। লাখো শহীদের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র-রাজনীতি শাসন প্রশাসন হওয়ার কথা ছিল গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল। অথচ গত ১৫ বছর বাংলাদেশে মাফিয়া শাসন চালু করা হয়েছিল। দেশে বিদেশে পলাতক স্বৈরাচার বিনাভোটের সরকারের পরিচয় হয়ে উঠেছিল গভর্নমেন্ট অব দ্য মাফিয়া, বাই দ্য মাফিয়া, ফর দ্য মাফিয়া

তিনি বলেন, এই মাফিয়া চক্র দেশকে সর্বক্ষেত্রে ভঙ্গুর করে দিয়েছিল। দেশকে সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর ঋণ নির্ভর এবং পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাফিয়া চক্র দেশের ব্যাংকগুলো দেউলিয়া করে দিয়েছে। গত দেড় দশকে দেশ থেকে ১৭ লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার করে দিয়েছে। ৫ আগস্টের পতিত স্বৈরাচারের বেপরোয়া দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ বর্তমানে ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশে আজ যে শিশুটি জন্ম নিয়েছে কোনো কারণ ছাড়াই সেই শিশুটিরও মাথা পিছু ঋণ কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা


আরও খবর



বকশীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামী হয়ে লাপাত্তা চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামী হয়ে এখন লাপাত্তা মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারনে ব্যাহত হচ্ছে পরিষদের সকল স্বাভাবিক কার্যক্রম। ফলে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে একাধিকবার বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার সকালে চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে ইউএনও’র মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেম্বাররা।  

জানা যায়, ক্ষমতাচুত্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ ও আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েন মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান। সরকার পতনের পর ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন এই চেয়ারম্যান। এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। পরে ছাত্রদের ৮ দফা দাবি লিখিত ভাবে মেনে নিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন। এরপর তার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে টানা কয়েকদিন আন্দোলন হয় তার বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধ জনতা পরিষদে তালাও লাগিয়ে দেন। কোন ভাবেই চেয়ারম্যানকে পরিষদে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে ঘোষনা দেন তারা। সময়ের সাথে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শিথিল হলেও ভয়ে এখন তিনি পরিষদে যান না। ফলে প্রতিদিন পরিষদে সেবার জন্য এসে ফিরে যান অনেকেই। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২২ জুলাই পুলিশের গুলিতে মারা যান বাবু ছালাম (২৬) নামে এক যুবক। সে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মিয়া পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। এই ঘটনায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বাবু ছালামের বাবা তোফাজ্জল হোসেন। মামলায় মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানসহ নামীয় ৪৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয় ১০০-১৫০ জনকে। মামলার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে একেবারে লাপাত্তা চেয়ারম্যান। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকছে। এতে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম দারুনভাবে ব্যহত হচ্ছে। ফলে নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষ। রোববার চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন,বেশিরভাগ সময় চেয়ারম্যান ঢাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে আসলেও সরকার পতনের পর তিনি আর পরিষদে আসেননি। চেয়ারম্যান না থাকায় জন্ম নিবন্ধন,মৃত্যু সনদ,পরিচয় পত্র পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন কাজও। 

এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহীন মিয়া বলেন,সাধারণ মানুষ দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এভাবে পরিষদ চলতে পারে না। তাই চেয়ারম্যানের অপসারনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। 

ইউপি সচিব মো.সুলতান মাহমুদ বলেন,চেয়ারম্যান পরিষদে না আসলেও তিনি নিয়মিত অফিস করেন। চেয়ারম্যান তাকে বলেছেন কোন কাজে স্বাক্ষরের প্রয়োজন হলে ফোনে তাকে জানাতে। তিনি যেখানেই থাকেন তার লোক মারফত তিনি তা সমাধান করবেন। 

এ ব্যাপারে মেরুরচর ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন,সরকার পতনের পর থেকেই পরিষদে যেতে পারেন না চেয়ারম্যান। হত্যা মামলার আসামী হয়ে তিনি এখন পলাতক রয়েছেন। নাগরিক সনদ,জন্ম সনদ,ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন কাজে এলাকাবাসী দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 


নিয়মিত অফিসে না বসলেও কোন কাজেই ব্যাঘাত ঘটছে না এবং ইউপি সচিবকে সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া আছে জানিয়ে মুঠোফোনে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন,তার বিরুদ্ধে মামলা ষড়যন্ত্রমুলক। হয়রানি করতেই মামলায় আসামী করা হয়েছে তাকে। আইনীভাবেই মামলা মোকাবেলা করবেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন,কিছুদিন যাবত তিনি শারিরীক ভাবে অসুস্থ্য। ইউএনওকে মৌখিকভাবে অবহিত করে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন তিনি।  

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত বলেন, চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মেম্বারদের দেয়া অভিযোগের কপি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিবেন।


আরও খবর