Logo
শিরোনাম

রহমত, মাগফিরাত, মুক্তি ও শান্তির মাস রমজান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

স্বাগত পবিত্র মাহে রমজান। রহমত, মাগফিরাত, মুক্তি ও শান্তির বার্তা নিয়ে এলো সাধনার মাস রমজান। রমজান আরবি মাসের নবম মাস। এটিকে পবিত্র মাস হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। রমজান সব মানুষের জন্যই রহমতস্বরূপ। মানবিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা থাকে এ মাসে। মানুষ চাইলে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে পারে। অফুরন্ত রহমতের বারিধারায় নিজেকে ধুয়ে মুছে পবিত্র করে তুলতে পারে। ইবাদতের ফল্গুধারায় যেন আমরা হারিয়ে যেতে পারি—এজন্যই আমলের তাৎপর্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রমজান মাসের। মূলত বান্দার আল্লাহর দিকে ফেরা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ফাফিররু ইলাল্লাহ। আল্লাহর দিকেই ফিরে এসো।’

পেছন থেকে কোনো বাঘ তাড়া করলে মানুষ যেমন নিজেকে বাঁচাতে চায়, তেমনি আল্লাহর দিকে ভেগে ভেগে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আল্লাহর দিকে ফেরার গুরুত্বপূর্ণ সময় এই রমজান মাস। একবার কেউ যদি আল্লাহর পরিচয় পেয়ে যায়, আল্লাহর ভালোবাসায় আত্মনিমগ্ন হয়- তাকে আর কেউ ফেরাতে পারে না।

আদতে মানুষের জীবনে রহমতের ছায়া, রহমতের কোমল পরশ একান্ত জরুরি। রহমত দিয়েই শুরু পবিত্র রমজান। রহমতের আবহাওয়ার শক্তিও অনেক বেশি। রহমতের বারিতে যেন ধুয়ে নেয় আমাদের গাঁ-গেরাম। শহর-বন্দর। রহমতবর্ষণের ঢলে হারিয়ে যায় বিশ্বের প্রতিটি মুমিন। কী অনাবিল সুখ এসে তাকে আপন করে নেয়। এই রকমের সুখণ্ডতৃপ্তি আর কোথাও পায় না সে। পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম রহমতের ১০ দিন। বান্দাকে রহমতের বৃষ্টিতে স্নাত করতেই আল্লাহর এই আয়োজন। রহমতের বৃষ্টি জীবন আলোকময় করার জন্য বড় প্রয়োজন। জীবন রাঙাবার জন্য বড় প্রয়োজন। জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি এনে দিতে পারে রহমতের এই রূপালি আবাহন।

রোজার প্রশিক্ষণ এমন সুচারুরূপে গ্রহণ করে বান্দা—কোনো কিছুই তাকে এ বিধিবিধান পালনে বাধা দিতে পারে না। সে ইচ্ছা করলেই পারে খেয়ে ফেলতে কিন্তু খায় না। লুকিয়ে খেতে গেলেও সে আল্লাহর কথা স্মরণ করে। ফিরে আসে। এটা একজন অনুগত মানুষের খণ্ডচিত্রই বটে। এই প্রশিক্ষণ আর কোথাও নেই। রহমতের বারিধারায় স্নাত বলেই আল্লাহর এই বান্দার আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনে সচেষ্ট হয়।

রহমতের ১০ দিন শুরু না হতেই সমাজে রহমতের প্রভাব চোখে পড়ে। স্বচক্ষে দেখা যায়। কী পরিমাণ পরিবর্তন হয়েছে রহমতের আবহে। মানুষ সবকিছুতে সংযত হয়। সংযমী হয়। বেচাকেনায়, কথা বলায়, চলায়—ফলে গোটা সমাজেই রহমতের ধারা প্রবাহিত হয়। রহমতের অনন্য বরকত ছড়িয়ে পড়ে।

রোজার প্রতিদান সরাসরি মহান আল্লাহ দেবেন বলে মানুষের আগ্রহও এর প্রতি অনেক। এক হাদিসে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আস-সাওমুলি ওয়া আনা আজজি বিহ’ অর্থাৎ রোজা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় রহমতস্বরূপ এই ঘোষণা। বান্দার অনেক কাছের হয়ে ঘোষণাটি দিয়েছেন তিনি।

মিনকুম মারিজা বাক্য উল্লেখ করে মহান আল্লাহ রুগ্ণ ব্যক্তির রোজাকে বাধ্য করে দেননি। পরে রোজা পালনের ভিত্তিতে সুযোগ করে দিয়েছেন। রোজা রাখতে যার কঠিন কষ্ট হয় অথবা রোগ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তার জন্যই রোজা কাজা করার পদ্ধতি। পরে একসময় রোজা আদায় করে নিতে পারবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে রোগীর প্রতি রহমতের ছায়াই বলা চলে।

শরীয়তের দৃষ্টিতে যে মুসাফির, সে ইচ্ছা করলেই রোজা কাজা করতে পারে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা ‘আও আলা সাফারিন’ বলে মুসাফিরকে রোজা কাজা করার সুযোগ দিয়েছেন। এটা অবশ্যই শুধু বাড়ি থেকে বের হলেই চলবে না। কেউ পাঁচ দশ মাইল দূরে গিয়েই সফরের রুখ্সত তথা রোজা থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করতে পারবে না। মাইলের হিসাবে ৪৮ মাইল দূরত্বে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ১৫ দিনের চেয়ে কম সময়ের জন্য যিনি রওনা দেবেন, তিনি মুসাফির বলে গণ্য হবেন। যেহেতু মুসাফিরের রাস্তায় প্রচুর কষ্ট সহ্য করেই পথ চলতে হয়, তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসাফিরের প্রতি রহমতস্বরূপ রোজার রুখ্সতের বিধান করে দিয়েছেন। শুধু তাই না, নামাজেও রুখ্সত দিয়েছেন। বিপদে পড়লে সে জাকাতও গ্রহণ করতে পারবে।

রোজায় প্রতিটি পরিবারে শান্তি ফিরে আসে। কলহ কম হয়। ঝগড়াও কম হয়। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সহনশীল হয়। পরিবারের সব সদস্যের মধ্যেই আলাদা একটা সহনীয় মানসিকতার সৃষ্টি হয়। তাই বিবাদ কমে যায়। পরিবারে শান্তি ফিরে আসে। একে অপরের প্রতি টানও বহু গুণে বেড়ে যায়। রোজার এই রহমতের ছায়া একান্তই পারিবারিক জীবনের প্রশান্তির পাঠশালা।

রোজার প্রথম দশক রহমতের। দ্বিতীয় দশক মাগফেরাতের। তৃতীয় দশক নাজাতের। রহমত কেবল এই ১০ দিনেই আমাদের জন্য থাকে না। সারা জীবনই রহমতের এই আভা মন রাঙিয়ে রাখে। রহমতের বৃষ্টিতে মনের ময়লা ধুয়ে যাক। ফিরে আসুক পরিচ্ছন্ন সুন্দর স্বনির্ভর একটি জীবন। এটাই প্রত্যাশা। আমিন।


লেখক : সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক


আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দৈনিক কালবেলা অনলাইনে  প্রকাশিত "লেনদেন ছাড়া ফাইল পড়ে না পাসপোর্ট অফিসে" সংবাদটি ভিত্তিহীন ও সঠিক নয় বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন গাইবান্ধা  আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক প্রতিবাদী বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন প্রকৃতপক্ষে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সকল সরকারি নীতিমালা ও প্রতিটি সেক্টরের কাজ মনিটরিং করে সম্পূর্ণ করে থাকেন। পাসপোর্ট এর কোন কাজে কখনো অনিয়ম হয়নি অথচ সংবাদে মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সুনাম বিনষ্ট করা হয়েছে।

সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে যাদের বক্তব্য নিয়েছেন তারা কখনো কোন পাসপোর্ট করতে অফিসে আসেননি। 

গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।


আরও খবর



৭ বছর পর সমাবেশে বক্তব্য দেবেন বেগম জিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর সমাবেশে বক্তব্য দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বিএনপি প্রধান। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দেড় থেকে দুই হাজারের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত থাকবেন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের কয়েকজন নেতা বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করা হবে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বিএনপি প্রধান।

গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্য দিয়ে এক যুগ পর সেনাকুঞ্জের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কারারুদ্ধ হওয়ার পর এটিই ছিল খালেদা জিয়ার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া।

ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় তাদের পাশাপাশি চেয়ারে বসে কথা বলতে দেখা যায়।

দীর্ঘ অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ায় খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সামরিক কর্মকর্তা এবং বিশিষ্টজনরাও তার উপস্থিতিতে উচ্ছ্বসিত হন।

বিএনপি নেত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর একে একে বিশিষ্টজনেরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




দেশের দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের দুই বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ ছাড়া দিনের তাপমাত্রাও কমতে পারে বলে সরকারি সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সেইসঙ্গে এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সমান্য কমতে পারে।

আগামীকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

বৃহস্পতিবারও (৯ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এই কয়েকদিন মধ্যরাত থেকে সকাল সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিসের বার্তায় বলা হয়েছে। বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে বলা হয়েছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাতা সদস্য নিয়ে বিরোধ, মারপিটে আহত-৪

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image



শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমি না দিয়েও ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য হওয়ার দাবী করাকে কেন্দ্র করে স্থানিয় চেরাগপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক শাহাজান গংয়ের মারপিটে আহত হয়েছেন রাজু আহমেদ জুয়েল, সাজু, হাবিব ও উৎসব নামে ৪ যুবক। নেক্কার জনক এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী সকাল সারে ১০ টারদিকে ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ভেতর। মারপিটের ঘটনাটি জানাজানি হলে, শাহাজানের শাস্তির দাবী করে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী- অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের বই দেওয়ার দিন স্থানিয় চেরাগপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাজানকে দাওয়াত না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ওই বিদ্যালয়ের জমির দাতা হিসাবে নিজেকে দাবী করেন। এরপর আজ মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী ওই বিদ্যালয়ের জমির প্রকৃত দাতা আব্দুল রাজ্জাক মাস্টারের স্বজনেরা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাধান শিক্ষককে তাদের দলিল দেখানোর সময় খবর পেয়ে শাহাজান তার দলবল (শাকিব, শামিম, আরাফাত, রহুল, সালাম) সহ আরো কয়েক জনকে সাথে নিয়ে লাঠিসোটা সহ বিদ্যালয়ের অফিসের ভেতরে থাকা প্রকৃত জমি দাতার স্বজনদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং প্রধান শিক্ষিকাকে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করবে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী আজ বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন করেন। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, শাহাজান বলেন, আমি তাদের মারপিট করিনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা। তারা আমার ভাবির কাথায় ইট মেরে মারান্তক জখম করেছে, আমার ভাবি নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন, শাহজাহন ও রুহুল এসে আমাদের মেডামকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে ও হুমকি দিয়ে বলেন, আপনি মেয়ে মানুষ না হলে এতোক্ষনে আপনাকে পিটিয়ে সরাইতাম, আপনি মেয়ে মানুষ হয়ে বেঁচে গেলেন। এখনো সময় আছে নিজে থেকেই বদলী নিয়ে সরে পরেন, না হলে আপনার চাকুরি খাব। ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্চিতা রানী সরকার বলেন, শাহজাহান আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে চাকুরিচুত করার হুমকি দেন। শাহজান গংয়ের হুকমিতে আমি ও অপর শিক্ষকরা সবাই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রযে়ছি। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করাহলে চেরাগপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হারুন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান, তার ছোট ভাই ইউনিয়ন জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ মোঃ শামিম এবং তার আরেক ছোট ভাই যিনি, নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা দাবী করেন তারা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাধান শিক্ষকের কাছে দাতা সদস্য হিসাবে দাবী করলে প্রধান শিক্ষক তাদের (কাগজ) দলিল দেখাতে বলেন। এরপর আজ মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি প্রকৃত জমি দাতার ছেলেসহ স্বজনরা জমির দলিল (কাগজ) সহ বিদ্যালয়ের অফিস রুমে গিয়ে শিক্ষকদের দেখানোর সময় ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান এর নের্তৃত্বে বেশ কয়েক জন বিদ্যালয়ের অফিসের মধ্যে ঢুকে জমি দাতার ছেলে ও স্বজনদের মারপিট সহ শিক্ষককে গালিগালাজ ও হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, এক পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে এবং অন্য পক্ষও অভিযোগ দেওয়ার জন্য এসেছে। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



বিএনপি-জামায়াতের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি মামুনুল হকের

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপি-জামায়াতকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকবে। বিএনপি ও জামায়াতের কারণে তার যদি ব্যত্যয় ঘটে- জাতির কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। সেটা হলো আল্লাহর দ্বীনকে বিজয় করা। ইসলামিক রাজনৈতিক দলগুলোর অভিন্ন লক্ষ্য ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। এতে ইসলামিক দলগুলোর আলাদা স্বকীয়তা থাকতে পারে। এটি প্রতিটি সংগঠনের বৈশিষ্ট্য। তবে খেলাফত প্রতিষ্ঠায় কারও ভিন্নতা থাকতে পারে না।  তিনি বলেন, ‘আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এ জন্য ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে অতীতের তিক্ততা পেছনে ফেলে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে চাই। বাস্তবতা সামনে রেখে আমাদের ঐক্যের ভিত গড়ে তুলতে হবে।

মামুনুল হক আরও বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের অভিন্ন শত্রু ভারত। তাদের আধিপত্যবাদ রুখে দিতে হবে। এ জন্য ইসলামিক দলগুলোর অভিন্ন ভূমিকাও দরকার। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বাদশ অধিবেশনের উদ্বোধন করেন খেলাফত মজলিসের উপদেষ্টা ও সাবেক আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমিরে মজলিস আব্দুল বাছিত আজাদ। 


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫