Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

রমজান মাস জুড়ে ইফতারি বিতরণ করবে ইউনিয়ন পরিষদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

রমজান মাস জুড়ে ইফতারি বিতরণ করবে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ। 

রোজার প্রথম দিনই নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ২শ' দুঃস্থের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হয়েছে। 

শুক্রবার ২৪ মার্চ বিকেলে সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে এসব ইফতারি বক্স বিতরণ করেন মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ও তরুন সমাজ সেবক সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল। এসময় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি সদস্য শিহাব রায়হান, মাসুদ রানা, বদিউল আলম, আব্দুল মান্নান, ইউনুস আলী, বাদশা আলী, আজিজার রহমান, ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

তরুন সমাজ সেবক ও চেয়ারম্যান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অনেকেই সমস্যার মধ্যে আছেন। তাদের সহযোগী হবার জন্য সকল ইউপি সদস্যের সাথে আলোচনা করে আমরা প্রতিদিন দুঃস্থ রোজাদারদের ইফতার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে দু’শর বেশি মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এর ছাদে বসে খাওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে। 

তিনি এব্যাপারে সকলের দোওয়া কামনা করেন।


আরও খবর



অধিকাংশ লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বিভিন্ন রুটে স্বল্প দূরত্বের পরিচিত যান হিউম্যান হলার-লেগুনা বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুটপারমিট ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলেও প্রভাবশালী রাজনীতিকদেরমদতেআর পুলিশের আস্কারায় লক্কড়ঝক্কড় অবস্থায় বছরের পর বছর বীরদর্পে রাজপথে চলছে বিপজ্জনক এই যান পুরাতন মাইক্রোবাস কেটে লেগুনায় রূপান্তর করা এসব যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণও 

ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে, এসবের স্টিয়ারিংও রয়েছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের হাতে। যাদের হেলপারও কোমলমতি শিশু। লেগুনা মালিক-শ্রমিকরা এক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করছেন না। শিশুশ্রম বিষয়টিও বেমালুম কেয়ারই করছে না শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তবে কাগুজে তৎপরতা কিছুটা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। 

ছাড়া দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম হলেও নিয়ে কোনো ভূমিকাই দেখা যাচ্ছে না পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের। নিয়মনীতি মেনে না চলা এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নজিরও খুবই কম। যার অন্যতম কারণ এসব লেগুনার মালিকানায় রয়েছেন খোদ পুলিশ সদস্যরাও। গতকাল দৈনিক বাংলা মোড়ে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় দুই কনস্টেবলের সাথে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)  

তারা জানান, রাজনৈতিক নেতা, প্রতিবন্ধী, সাংবাদিক পুলিশের মালিকানায় চলছে রাজউক ভবনের সামনে থেকে বাসাবো-খিলগাঁও রুটের লেগুনা। রুটপারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই; জানা থাকলেও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। কোনো একটি লেগুনা আটকালেই সাংবাদিক, না হয় রাজনৈতিক নেতা কিংবা খোদ পুলিশ অফিসাররাও ফোন দিচ্ছেন। চা খাওয়ার দাওয়াত দিচ্ছেন। 

তবে প্রতিদিন দৈনিক বাংলা মোড়ে ফকিরাপুল মোড়ে দুটি করে লেগুনা রেকার করা হয়। রেকার বিল নিয়ে আবার ছেড়েও দেয়া হয়। সরকারের রাজস্বের যোগান হলেও অনিময়মের মধ্য দিয়েই চলার কারণ রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ সাংবাদিকদের মালিকানা। রাজউক ভবন থেকে খিলগাঁও-বাসাবো রুটে যে কটি লেগুনা চলছে এর মধ্যে ১৫টি সাংবাদিকের, পুলিশের মালিকানায়ও প্রায় ২০-৩০, বাকি সব রাজনৈতিক নেতাদের, প্রতিবন্ধীদের। ঢাকার অন্যান্য রুটেও একই অবস্থা বলে বলছেন তারা। 

ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা প্রাপ্তবয়স্ক চালকদের কাগজপত্র তল্লাশি করতে দেখা গেলেও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্বিকার। পুলিশের সামনে দিয়েই যানবাহনের স্টিয়ারিংয়ে বসে মাঝে মাঝে যাত্রীবাহী লেগুনা নিয়েই অপ্রাপ্তবয়স্করা মেতে উঠছে গতির লড়াইয়েও। ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দায়িত্বশীল দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, অনেক সময় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদেরও এসব লেগুনায় যাতায়াত করতে দেখা যায়

বেশ কিছু দিন ধরে সরেজমিন ঘুরে ঢাকার রাস্তায় চলাচল করা অধিকাংশ লেগুনাতেই দেখা গেছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। যারা ওস্তাদের দেয়া ট্রেনিংয়ের ভিত্তিতেই স্টিয়ারিং ধরেছে বলে জানায়। আর এই ট্রেনিং তাদের কাছে বিআরটিএর লাইসেন্সের চেয়েও মূল্যবান। বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই চালকের আসনে বসা এসব বালক চালকদের সহযোগীও কোমলমতি শিশুরা। ঢাকায় সরকারি হিসাবে বৈধ প্রায় পাঁচ হাজার লেগুনার স্টিয়ারিংয়ে বসে আছে অন্তত ১০ হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। সংখ্যার ৬০ শতাংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া প্রতিটি লেগুনায় রয়েছে একজন করে হেলপার। সে হিসাবে ১০ হাজার হেলপারের মধ্যে হাজারই অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং কোমলমতি শিশুও রয়েছে । 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক হয়, সেখানে ১৩-১৪ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোররাই বনে যাচ্ছে চালক-হেলপার। যারা মানুষের সাথে সঠিক আচরণ কীভাবে করতে হয় তাও বুঝে না এখনো। আর এদেরই কাজে লাগাচ্ছে লেগুনা সংশ্লিষ্টরা। যেখানে আন্তর্জাতিকভাবেই শিশুশ্রম নিষিদ্ধ।     

বাংলাদেশে শ্রম অধিদপ্তরের কলকারখানা পরিদর্শকরা যেসব প্রতিষ্ঠানে শিশুশ্রমিক আছে বা যেসব মালিকরা শিশু শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু প্রক্রিয়াও এখন কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।হানিফ খোকন বলেন, ‘শিশুশ্রমের ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ। ঢাকায় লেগুনাচালক অপ্রাপ্তবয়স্ক কেবল তাই না, বিভিন্ন সিএনজি গ্যারেজে মিস্ত্রি হিসেবেও কাজ করছে শিশু-কিশোররা। ছাড়া ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ, লেদ আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতেও যারা কাজ করে তাদের বয়সও সর্বোচ্চ ১০-১২ বছর। শিশুশ্রমে জর্জরিত আমাদের দেশ। ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক ড্রাইভাররাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেগুনার চালক-হেলপার নেয়। রাস্তায় ঘুরাফেরা করে এমন শিশু-কিশোরদের তারা ধরে এনে স্টিয়ারিংয়ে বসাচ্ছে। 

ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কাজ করছে দৈনিক ২০০ টাকার লোভ, আর নিয়োগ দেয়া চালকের ভাবনায় থাকছে প্রফেশনাল কাউকে নিলে দিতে হবে বেশি বেতন খাবার খরচ। বাড়তি খরচ এড়াতেই ২০০ টাকায় শিশু-কিশোর দিয়ে লেগুনা চালাচ্ছে তারা। 

তিনি আরও বলেন, লেগুনাগুলো চলে দৈনিক জমায়। গাড়িগুলোও খুবই লক্কড়ঝক্কড়। প্রাপ্তবয়স্ক অভিজ্ঞ চালকরা এসব চালাতেও চায় না। যারা লাইসেন্স পায়নি, অপ্রাপ্তবয়স্ক বা হেলপারি করত ঝুঁকি উপেক্ষা করেই তাদের হাতেই স্টিয়ারিং দিচ্ছে তারা। ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থারও ব্যর্থতা রয়েছে, শ্রম অধিদপ্তরেরও অবহেলা আছে। অন্যথায় লেগুনা কিংবা গণপরিবহনে শ্রম আইনের এমন বরখেলাপ হতে পারে না

এদিকে অদক্ষ হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনার প্রবণতাও বাড়ছে। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওস্তাদের কাছ থেকে ড্রাইভিং শেখা অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা যাত্রী পরিবহন করে পুলিশের নাকের ডগায়। সড়কে চলাচলরত অবস্থায় লাইসেন্সের বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক ডিভিশনের। তাদের দায়সারা দায়িত্ব পালনের কারণেও এসব বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। একাধিক অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পুলিশ থামায়, পরে ছেড়েও দেয়। 

যাত্রীরা বলছেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা নিজের মতো গাড়ি চালায়। কোনো কিছুর ধার ধারে না। এদিকে নিজেদের দক্ষতার কথা জানান দিয়ে এসব চালকদের ওস্তাদরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, অভিজ্ঞ সিনিয়রদের না দিয়ে কম বয়স্কদের দিয়ে বেশি আয় করার জন্য গাড়ি চালান তারা। যদিও কম বয়সি চালকরা কিছুটা অসতর্কতার সাথে চালায় বলেও স্বীকার করছেন তারা। ভবিষ্যতে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ের হাল ধরার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই কোমলমতি শিশু হেল্পাররাও। সব জেনেও কেন উঠেন এমন প্রশ্নের জবাবে যাত্রীরা বলছেন, বাধ্য হয়েই লেগুনায় উঠছেন তারা।  

পরিবহন বিশেষজ্ঞ . মো. শামসুল হক বলেন, ‘অদক্ষ, অবৈধ চালক দিয়ে যখন চালানো হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই এরা যানজটের দিকে লক্ষ করবে না, নিরাপত্তার ইস্যুটিও লক্ষ করবে না। তাদের নজর রাস্তায় থাকে না, নজর থাকে যাত্রীর দিকে। রাজধানীতে অধিকাংশ লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা। যাদের না আছে লাইসেন্স, না আছে সংকেত সম্পর্কে কোনো ধারণা। অদক্ষ চালকের কারণেই দেশে আশঙ্কাজনক হারে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

এদিকে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চাইল্ড লেবার ইউনিট শিশুদের জন্য ট্রাক বা টেম্পো বা বাস হেলপারের কাজটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২০১৩ সালে একটি তালিকা প্রণয়ন করে। সেখানে বলা হয়, সরাসরি রৌদ্রের মাঝে ট্রাক বা টেম্পো বা বাস হেলপার হিসেবে কাজ করার কারণে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির ধোঁয়া সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়মিত খাবার গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এসব শিশু-কিশোরদের। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা, পাকস্থলিতে ঘা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, মূত্রনালীতে সংক্রমণ এবং শারীরিক মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে বলেও উল্লেখ করা হয়। 

এসব থেকে পরিত্রাণ মোটকথা, শিশুশ্রম বন্ধের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা প্রণয়নের পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দিনে দিনে খাতে শিশু-কিশোরদের সংশ্লিষ্টতা বেড়েই চলেছে। এসবের তদারকিতে যেন এক ধরনের অনীহা প্রকাশ পাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। তবে সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদেরউপানুষ্ঠানিক শিক্ষাদক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণপ্রদানের মাধ্যমে শিশুশ্রম নিরসনে বিকাশের মাধ্যমে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বৃত্তি মেধাবৃত্তি বিতরণ করবে বলে বিকাশের সাথে একটি চুক্তি করে। এক লাখ শিশুর জন্য এই প্রকল্প। 

গণপরিবহনে নিয়োজিত শিশু-কিশোরদের জন্য পৃথক কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব . সেলিনা আক্তার বলেন, ‘এদের জন্য আলাদা করে কিছু নেই। যেসব এনজিও নিয়ে কাজ করছে তারা তালিকা দিচ্ছে। আমরা দেখছি। তবে আলাদা করে কিছু নেই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় তারাও পড়বে

 


আরও খবর



হজ গাইডদের সর্তক করলেন ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় একজন হজ গাইড নয়। আপনার পরিচয় আপনি বাংলাদেশী। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে। আপনার কারণে দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান হানি যেন না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকবেন।

শনিবার (০৯ মার্চ) রাজধানী ঢাকার আশকোনায় হজ অফিসে সরকারি হজ গাইড প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সর্তকতা বার্তা দেন।

হজ পালনের ফজিলত তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সুস্থ ও সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর উপর হজ আদায় করা ফরজ। ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হজের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। প্রত্যেক হজযাত্রী যাতে সহীহ্ ও শুদ্ধভাবে হজ পালন করতে পারে সে বিষয়ে হজ গাইডদের সর্বদা সোচ্চার থাকতে হবে। হজ গাইডদের গাফলতির কারণে একজন হজযাত্রীর হজ পালনে বিঘ্ন ঘটে এর বর্তাবে হজ গাইডের ওপরেই।

হজ গাইডদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আপনাদেরকে দক্ষ হজ গাইড হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের প্রতিটি অধিবেশনে শতভাগ মনোযোগী থাকবেন। হজের নিয়ম কানুন, হুকুম-আহকাম ও ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে প্রশিক্ষকদেরকে বারবার জিজ্ঞাসা করতে হবে। প্রশিক্ষণ যথাযথভাবে গ্রহণ করলেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, ইনশাল্লাহ।

ধর্মমন্ত্রী হজ গাইডদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনি হলেন আপনার দলের হজযাত্রীদের জিম্মাদার, পথ প্রদর্শক ও পরামর্শক। হজযাত্রীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। হজ যাত্রা শুরুর পর থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত নিজ দলের হজযাত্রীদের কাছে সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে। হজের আরকান-আহকাম এবং সফরের যাবতীয় বিষয়াদি সম্পর্কে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মো. ফরিদুল হক খান বলেন, দক্ষ হজ গাইড গড়ে তুলতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন প্রশিক্ষণার্থীই যাতে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ধীরে শেখে এমন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।


আরও খবর



উচ্চ শুল্কের কারণে খেজুরের দাম বাড়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

উচ্চ ডিউটির (শুল্ক) কারণে খেজুরের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, খেজুর আমদানিতে উচ্চ ডিউটি না থাকলে অনেক কম দামে খেজুর বিক্রি করা যেত। এ কারণে প্রায় দুই থেকে তুন গুণ বেশি দাম বেড়ে গেছে। অথচ যারা ডিউটি নির্ধারণ করেন তাদের কোনো দায় হয় না। দায় হয় সরকারের অথবা ব্যবসায়ীদের।

তিনি আরও বলেন, ১১০ টাকা কেজি দরে খেজুর আমদানি করে শুল্ক দিতে হয় ১৪০ টাকা। বাজারে তা বিক্রি করতে হয় ২৫০ টাকায়। এ কারণেই খেজুরের দাম এত বেশি। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই শুল্ক যুক্ত করা হয়েছে। অথচ ২০২২-২৩ অর্থবছর এক কেজি খেজুরে মাত্র ১০ টাকা শুল্ক দিয়েছি।

এ খেজুর ব্যবসায়ী বলেন, ৩৫ বছর ধরে খেজুর আমদানি করি, কখনো শুল্ক দিতে হয়নি। আমি এখন খেজুর আমদানি করলাম ৯০০-১০০০ মার্কিন ডলারে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কনটেইনার খেজুরের জন্য ২৫০০ ডলার এবং হিমায়িত কনেটেইনারে খেজুরের জন্য ৪০০০ ডলার শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে খেজুরের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান বলেন, রমজানে ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস, মসলা ইত্যাদির দাম বাড়লে রেস্তোরাঁ মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এ বিষয়ে এফবিসিসিআই উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আশ্বস্ত করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হলে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয় উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা পর্যায়ে পণ্যের মূল্যের ক্ষেত্রে যাতে অস্বাভাবিক পার্থক্য না হয় সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

এসময় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মাহবুবুল আলম।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রমজান ইবাদতের মাস। আপনারা সারা বছর ব্যবসা করেন, রমজান মাসেও করবেন। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে উৎসব উপলক্ষে ছাড় দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও তেমন হতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী পণ্যের বেশি দাম রাখবেন না। আপনারা রমজান মাসে ন্যায্য লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সতর্ক আছেন। তাই এদিক সবাইকে সাবধান হতে হবে।

রমজানে বাজার মনিটরিং প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমিও একমত। পুলিশ দিয়ে বাজার মনিটরিং করানো হোক, তা আমি চাই না। বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিটরিং করলেই হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকি না করলে ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। এটা আমরা চাই না। কাজেই আমি প্রতিটি বাজার কমিটিতে অনুরোধ করবো, আপনারা তদারকি কার্যক্রম জোরদার করেন।

সমাপনী বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, অসাধু কোনো ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই নাই। তাদের বিরুদ্ধে সবসময় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি এফবিসিসিআই থেকেই এবার বাজার মনিটরিং করা হবে।

এর আগে সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন মিল মালিক, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এবং মালিকরা।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে উল্লেখ করে ভোগ্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন পণ্যের উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

এদিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠতে যাচ্ছে উল্লেখ করে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, এর ফলে আসন্ন রমজানে বাজারে পেঁয়াজের সংকট হবে না।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




নওগাঁয় র‌্যাবের অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা সহ দু'জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার 

অভিনব কায়দায় প্রাইভেট কারের ভেতর বিপুল পরিমান গাঁজা লুকিয়ে নিয়ে বহনকালে নওগাঁয় প্রাইভেট কারে র‌্যাবের তল্লাশি' ২০ কেজি গাঁজা সহ দু'জন আটক।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল শুক্রবার দিনগত রাত পনে ৮ টারদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা ও প্রাইভেট কারে তল্লাসি চালিয়ে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ বরিশাল জেলার মুলাদি থানার

উত্তর পাতারচর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার এর ছেলে

সোহরাব কাজী (৫০) ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার সাতগাও গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে মোহন হোসেন (৩৩) কে আটক করেন। র‌্যাব আরো জানায়, আটককৃত আসামী সোহরাব একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে এবং তার সহযোগী মোহন দীর্ঘদিন যাবত  সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে প্রাইভেট কার-এ বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ কে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে আসছিলো এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, গত কয়েকদিন ধরে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর গোয়েন্দা দল সোহরাব ও মোহন এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করেন এবং ঘটনার দিন ও সময় অভিনব কায়দায় প্রাইভেট কারের সিটের পিছনে বিশেষ ভাবে তৈরিকৃত বক্সের ভেতর লুকিয়ে গাঁজা বহনকালে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসায়ী সোহরাব ও মোহনকে নওগাঁর রাণীনগর থানাধীন রেলগেট এলাকা থেকে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল আটক করেন।


আরও খবর



৩৮ টাকা দরে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ পাঠাবে ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে বাংলাদেশের জন্য। প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল । ডিসেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর বিশেষ বিবেচনায় ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন।

ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে পেঁয়াজ কেনাও শুরু করেছে সরকার। শিগগিরই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পাঠানো হবে এই পেঁয়াজ।

রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সময় কাল এখনও জারি থাকায় সরকারি উদ্যোগেই এসব পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এদিকে ভারতের বেরসরকারি পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, একদিকে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যদিকে রমজান মাসের জেরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের পুরোনো ক্রেতা বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতে চোরাকারবারিদের মাধ্যমে প্রতিদিন পেঁয়াজ পাচার হচ্ছে ভারত থেকে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ইস্যুতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। সেই চিঠিতে তারা বলেছেন, গত ৮ ডিসেম্বরের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে যত পেঁয়াজ ছিল, তার প্রায় ৫০ শতাংশই চোরা পথে দেশের বাইরে গিয়েছে।

এই অভিযোগের যথার্থতা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে। কারণ পেঁয়াজের রাজধানী বলে পরিচিত রাজ্য মহারাষ্ট্রে পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে সর্বনিম্ন ৭ রুপি থেকে সর্বোচ্চ ১৬ রুপি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করছে ১০ থেকে ২০ রুপির মধ্যে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েকদিন আগে অবশ্য এই দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল।

মহারাষ্ট্রের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী দেশটির সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসকেম খেদ জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের এত দাম, কিন্তু ভারতের কৃষক কিংবা ব্যবসায়ীদের তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না।

এনসিইএলের অধীন সংস্থা হর্টিকালচার এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (হেপা) প্রেসিডেন্ট অজিত শাহ ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়। প্রতি বছরেই মার্চ-এপ্রিল মাসে (আন্তর্জাতিক) বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেয়। এতদিন ভারতীয় পেঁয়াজ এই ঘাটতি সামাল দিতো। সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে এ বছরের তিন মাসে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ পৌঁছায়নি, সেজন্যই এ ঘাটতি।

তবে মে মাসে মিসর-তুরস্ক থেকে পেঁয়াজের চালান আসা শুরু হবে। সেসময় দামও স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।

 


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪