Logo
শিরোনাম

রমজানে স্বস্তি ফেরাতে বেশকিছু পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেশকিছু পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পণ্যগুলোর তালিকায় রয়েছে- সরিষার তেল, আটা, ময়দা, ডাল, এলপি গ্যাস, বিস্কুট, লবণ ও গরম মসলাসহ আরও কিছু পণ্য।  সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। সরিষার তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্যের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো- বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল- জাতীয় খাদ্যশস্য।

শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসেও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। যারা নিজেরা আমদানি করে নিজেরাই ভোক্তার কাছে বিক্রি করেন, তারা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।

ওই পণ্যগুলোতে ভ্যাট সুবিধা পেতে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে- ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিলসহ বেশ কিছু শর্ত।


আরও খবর



বাংলাদেশেও ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ভূমিকম্প মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ নির্দেশনা :

গত ২৮ মার্চ ২০২৫, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুইটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুইটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪। ফলে উক্ত দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমতাবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির নিমিত্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে ফায়ার সর্ভিস।

নির্দেশনাগুলো হলো: (১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা; (২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; (৩) সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা; (৪) ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ যথা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা; (৫) ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা; (৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নাম্বারসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা; (৭) ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা; (৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায় এবং (৯) সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।

এছাড়াও যেকোনো তথ্যের জরুরি প্রয়োজনে ০১৭২২৮৫৬৮৬৭ মোবাইল নাম্বার ও ১০২ হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর



প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা নিধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নদীর অভয়াশ্রম এলাকা মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স, জনপ্রতিনিধি, জেলে নেতা ও জেলেদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছেন জেলা প্রশাসক ও মৎস্য অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসন।

এছাড়া নদী উপকূলীয় জেলেপাড়া ও মৎস্য আড়তগুলোতে জাটকা না ধরার জন্য সচেতনতামূলক সভা, লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার। মাছ ধরা বন্ধে নদীর সীমানায় বসানো হয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা টাস্কফোর্স এবং কোস্টগার্ডের ক্যাম্প। তবে এতেও থামছে না জাটকা নিধন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা মাছ নিধন। বিষয়টি শিকারও করেছেন জেলে ও মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলেছেন, অপপ্রচার চালাচ্ছেন জেলে ও আড়তদাররা।

দিনের আলোয় নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেলেও রাতের আঁধারে সরকার ঘোষিত অভয়াশ্রম থাকছে মৎস্য শিকারি জেলেদের দখলে। ভোরের আলোয় মেঘনা নদীর তীরে সারি সারি নৌকায় ভর্তি ভেজা জাল লক্ষ্য করা গেছে।

মেঘনা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক জেলে নৌকায় ভেজা জাল পরিষ্কার করছেন। দূরে কিছু নৌকা তখনও মাছ ধরায় ব্যস্ত। কিছু নৌকা থেকে পাইকাররা মাছ উঠাচ্ছেন বাজারে বিক্রির জন্য।

উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের মালোপাড়া-সংলগ্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। দুপুরে আমিরাবাদ মৎস্য আড়তে গিয়ে একই চিত্র দেখার মেলে। আড়তে অসংখ্য পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতার কোলাহল। মাছ বেচাকেনার দামদরের কাজে ব্যস্ত সবাই। খানিকটা দূরে অপেক্ষমাণ কয়েকটি পিকআপ ভ্যান। সেসব ভ্যানে করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাবে জাটকা ইলিশ।

মতলব উত্তরের জেলে ইসমাইল, মালেক বেপারী, আরশাদ প্রধান, রমিজ ছৈয়ালসহ একাধিক জেলে জানান, তারা মৎস্য অফিসে ইমান আলীর মাধ্যমে টোকেন নিয়েছেন। এ টোকেন দিয়ে তারা নদীতে মাছ ধরেন। টোকেন ছাড়া নদীতে মাছ ধরতে নামলে প্রশাসন তাদের জেল-জরিমানা করে।

উপজেলার ষাটনল এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা ফুলচান বর্মনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, জেলেদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থান দিতে না পারলে সরকারের উদ্দেশে বাস্তবায়ন হবে না।

উপজেলার এখলাসপুর, আমিরাবাদ, বাবুবাজার ও কালিরবাজার আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা বলেন, মাছ না ধরলে মানুষ না খেয়ে মরবে। জেলেরা আছে খুবই অভাব অনটনে। জাল দিয়ে মাছ ধরে চলে তাদের সংসার। তাই আমরা সবকিছু ম্যানেজ করেই বাজার চালিয়ে যাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে ইমান আলী বলেন, টাকা নিয়ে টোকেন দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত জেলেদেরকে তাদের মতো করে নদীতে নামায় আড়তদাররা।

রাতে মেঘনা নদী জেলেদের দখলে থাকে আপনারা কি রাতে অভিযান করেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, ফোর্স কম। তাই রাতে অভিযান পরিচালনা করতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।

মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, আমরা নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যারা আইন অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। জেলেদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা সঠিক নয়।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে মৎস্য বিভাগকে আরো আন্তরিক হতে হবে।


আরও খবর



ইসলামী ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি ব্যাংক করা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করতে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় চলছে এবং এ বিষয়ে আইনি ও নৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, যারা অর্থ পাচার করেছেন, তাদের জীবন কঠিন করে দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ অর্থ পাচার করার সাহস না পায়।

বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

গভর্নর আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি বড় ইসলামী ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে অনেকগুলো ছোট ইসলামী ব্যাংক রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই সমস্যাগ্রস্ত। এসব ব্যাংককে একীভূত করে শক্তিশালী দুটি ব্যাংক গড়ে তোলা হবে এবং ব্যাংক খাতে সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক সমর্থন প্রয়োজন হবে।

এ সময় তিনি জানান, ব্যাংক খাতের সমস্যাগুলোর সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করার কাজ চলছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে এবং তদারকি বাড়ানোর জন্য নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যাতে ব্যাংক খাতের সমস্যা আগে থেকে জানা যায় এবং তা সমাধান করা যায়।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, যেসব ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে, সেখানে আমানতকারীদের স্বার্থে পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে এবং এসব ব্যাংকের পর্ষদে যোগ্য পরিচালক নির্ধারণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সমস্যাগ্রস্ত বেশিরভাগ ব্যাংক মূলধনের ঘাটতিতে রয়েছে এবং সেগুলোর অবস্থাও খুবই খারাপ। এসব ব্যাংক সংস্কারের জন্য কয়েক বছর সময় লাগবে। রাজনীতির পালাবদল হলেও এসব সংস্কারের সমর্থন প্রয়োজন হবে।


আরও খবর



সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যেকোনো নির্বাচনের আগে অবশ্যই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, একটি হচ্ছে খুনিদের বিচার, এ দৃশ্যমান হতে হবে; আর একটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার- এই দুটি ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।

আজ শনিবার লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু এটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সুষ্ঠ নির্বাচন চাই, কালো টাকা ও পেশীশক্তির প্রভাবযুক্ত নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। সেজন্য অবশ্যই নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে।

ভারতের সঙ্গে সম্প্রীতি, শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী হিসেবে বসবাসের দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা ভালো থাকলে তারাও ভালো থাকবে। আমাদের ভালো কেড়ে নিলে ভারতকে চিন্তা করতে হবে তারা ভালো থাকবে কিনা।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনো কিছু কু-রাজনীতক চাঁদাবাজি-দখলবাজি করছে। এ সময় জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও কাজের ব্যবস্থা করবে বলে জানান তিনি।পাশাপাশি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ লালমনিরহাটের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

দেশবাসীর উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন চাই না। টুকরা টুকরা জাতি চাই না। আমরা মাইনরিটি মেজরিটি শব্দই শুনতে চাই না।এখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও বলেছে এই কথাগুলো বলে বলেই আমাদের শোষণ করা হয়েছে। আমরাও চাই না।

তিনি বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই দেশকে গড়ে তুলব। নারীদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তারা নিরাপদভাবেই ঘরে থাকবেন, বাইরে যাবেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। যুবকদের হাত কাজের হাতে পরিণত করব। সেই অপেক্ষায় আছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য জীবন দেব, তবুও দেশের সার্বভৌমত্ব দেব না। কারও লাল চোখের দিকে আর আমরা তাকাব না। আমাদের দিকে যদি কেউ লাল চোখ তুলে তাকায় তাও আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারও হাতে বন্দী হওয়ার জন্য না। বরং সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই বৈষম্যহীন মানবিক সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, এটা কী আপনারা সবাই চান যেদিন এই দেশে ইনসাফ ন্যায়বিচার কায়েম হবে। আমরা সেই দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য আপনাদের ভালবাসা দরকার, দোয়া চাই, সহযোগিতা চাই, ইতিবাচক সমালোচনাও চাই।আমরা বিভেদহীন জাতি চাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি নিয়ে সামনে এগুতে চাই।

এর আগে জনসভায় যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে দলের কর্মী-সমর্থকরা সকাল থেকে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে এসে উপস্থিত হন।জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কালেক্টরেট মাঠ ছাড়াও শহরের অপর একটি মাঠে মহিলাদের জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়।

জেলা জামায়াতে ইসলামির আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। এ ছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দও এ সময় জনসভায় বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



বাবা ভান্ডারীর ওরশে লাখ লাখ ভক্তের ঢল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি'র চেয়ারম্যান  শাহজাদা ডঃ সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আলহাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,আউলীয়া কেরামদের মত ও পথই সঠিক পথ। তিনি বলেন,মাজার ভেঙে নয়, বরং আউলীয়া কেরামদের প্রতি মহব্বতই এনে দিতে পারে শান্তি ও সম্প্রীতি। উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছে ওলি,আউলীয়া,সূফী, সাধকরা।মাজার পন্থীরা কখনো দেশের অশান্তি কামনা করেনা।

৪ এপ্রিল (শুক্রবার)জুম্মার নামাজে খুতবায় তিনি এসব কথা বলেন। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে হযরত গাউসুল আজ সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারী (ক:) ৮৯ তম শরীফ উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আশেকানের ঢল নামে।

৫ এপ্রিল শনিবার ২২ চৈত্র ওরশ শরীফের প্রধান ও শেষ দিবস। আখেরি  মোনাজাত পরিচালনা করবেন, বাবাভাণ্ডারী'র( ক:) প্রভাব প্রপৌত্র, দরবারের সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম শাহ সুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (ম:জি:আ)

ওরশ শরীফকে কেন্দ্র করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডরীয়াসহ  ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া শরিফ , গাউসুল আজম বাবাভাণ্ডারী (ক:) রওজায় নতুন গিলাপ ছড়ানো,ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক, মাদক, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণ সচেতনতায় ক্যাম্পিং,ওয়াজ, মিলাদ,ছেমা- কাওয়ালী, তবরুক বিতরণ।


আরও খবর