রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ‘নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ’
প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার
(২৪ অক্টোবর) জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।
মূলত,
১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হওয়ার বার্ষিকী হিসেবে ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস
পালন করা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যসহ সনদে স্বাক্ষরকারীদের
সংখ্যাগরিষ্ঠের দ্বারা এই প্রতিষ্ঠাকালীন নথি অনুমোদনের মাধ্যমে এদিন
আনুষ্ঠানিকভাবে অস্তিত্ব লাভ করে জাতিসংঘ।
দিবসটি
উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি ‘জরুরি মনোযোগ’
দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্য (মিয়ানমার)
বা গাজায় যারা অব্যাহতভাবে নিপীড়ন, উৎখাত ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার
হচ্ছেন, আমরা তাদের উপেক্ষা করতে পারি না।
সম্প্রতি
নতুন করে আসা ৪০ হাজার রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশে বর্তমানে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা
আশ্রয় নিয়ে আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বেসামরিক শিশু, নারী ও
পুরুষদের রক্ষায় জাতিসংঘের চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়। একইসঙ্গে
গাজা ও লেবানন এবং বৃহত্তর অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিতে সংলাপেরও তাগিদ দেয়।
তিনি
বলেন, এই দিনে বাংলাদেশ তার অভিন্ন স্বার্থে আরও ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব
গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
একইসঙ্গে সবার জন্য মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে।
জাতিসংঘ
দিবস উপলক্ষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘ
পরিবারের সব নারী ও পুরুষকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং জাতিসংঘ সনদের আদর্শের
প্রতি তার (বাংলাদেশের) অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। সেইসঙ্গে তিনি একটি
ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে জাতিসংঘকে আরও
অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ ও প্রতিক্রিয়াশীল করতে এর সংস্কারেরও আহ্বান জানান।