Logo
শিরোনাম

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মায়ানমারে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এজন্য মায়ানমারে শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ১৪ মার্চ কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মায়ানমারের নিরাপত্তার নিশ্চিতের দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি।

প্রথমত, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এটি তাদের অধিকার, তারা বঞ্চনার শিকার।

আর দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা আরো ভালো পরিবেশ চায় ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অনেক দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে।

এই কারণে আমাদের মানবিক সহায়তার মধ্যে খাবারের রেশন কমাতে হয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। যত দেশ সম্ভব আমি কথা বলবো, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং এর থেকে আরও খারাপ পরিস্থিতি না আসে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে, এমনটি প্রত্যাশা করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে জোরালো আওয়াজ তুলবো।

কারণ সম্মানের সঙ্গে এখানে বসবাসের জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।

এর আগে, দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প পরিদর্শন করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন, বলেন এবং ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে বিমানের একই ফ্লাইটে কক্সবাজার যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




নওগাঁয় ঈদের দিন সড়কে ঝরলো এক বন্ধুর প্রাণ, ৪ বন্ধু হাসপাতালে

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ঈদের দিন সড়কে ঝরলো এক বন্ধুর প্রাণ, ৪ জন আহত। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় একজনকে ঢাকাতে প্রেরণ। পৃথক দুটি দূর্ঘটনা ঘটে নওগাঁ সদর থানাধীন বলিহার নামক স্থানে ও নওগাঁর সাপাহার থানাধীন মিরাপাড়া এলাকা নামক স্থানে।সাপাহার উপজেলার

কালাইবাড়ী টু দিঘিরহাট আঞ্চলিক সড়কের মিরাপাড়া নামক স্থানে ঈদের দিন সোমবার বেলা ১১টারদিকে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহিন আলম (১৭) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়। এদূর্ঘটনায় একই মোটরসাইকেলে থাকা 

আহসান আলী (১৭) ও জামিরুল হোসেন (১৭) নামে আরো দুই বন্ধু আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাপাহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর আহসান আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত শাহিন আলম হলেন, পোরশা উপজেলার পশ্চিম হরিপুর গ্রামের মোঃ ইব্রাহিমের ছেলে। আহতরা হলেন, সাপাহার উপজেলার আলাদীপুর গ্রামের তাহির উদ্দিনের ছেলে আহসান আলী (১৭) এবং পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামের মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে জামিরুল (১৭)। পুলিশ ও স্থানিয় সুত্র জানায়, তারা ৩ জন বন্ধু ঈদ উপলক্ষে একটি মোটরসাইকেল যোগে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। ঘোরা-ফেরা করার এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হাঁড়িয়ে সড়কের ধারে থাকা গাছের সাথে ধাক্কালেগে দূর্ঘটনাস্থলেই 

শাহিন আলমের মৃত্যু হয়। এব্যাপারে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ

আব্দুল আজিজ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৌছেছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অপরদিকে নওগাঁ সদর থানাধীন নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের বাবলাতলিমোড় বলিহার নামক স্থানে ঈদের দিন দুপুর দেরটারদিকে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দুই তরুন বন্ধু গুরুতর আহত হয়। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ও ভীমপুর তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহযোগীতায় আহত দুই জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকাতে হস্তান্তর করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, আহতরা দু'জন বন্ধু, তাদের বাসা নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে। তারা ঈদের দাওয়াত খেতে মোটরসাইকেল যোগে এক জনের নানার বাড়ি মান্দা উপজেলার বদ্দপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা দুই বন্ধু গুরুতর আহত হোন বলে জানাগেছে।তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। দূর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছেন ভীমপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র'র পুলিশ।


আরও খবর



মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জেলার জনপদ। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন রোজাদাররা। কৃষক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়ছেন।

বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ঈদে মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা জমে উঠলেও ভ্যাপসা গরমের কারণে বেলা বাড়ার সাথে সাথে লোকজন সীমিত আকার ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোর ও যারা রোজায় থাকছে না তাদেরকে শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। কেনাবেচা জমে উঠলেও অতিরিক্ত গরমের কারণে বেলা ১২টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে লোকজনের আনাগোনা খুবই সীমিত।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান তাপ প্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।


আরও খবর



ভ্যাট সিঙ্গেল রেটে একবারে আনা সম্ভব নয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আইএমএফের মূল ফোকাস ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও (অনুপাত) বাড়ানো, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরেকটু স্থিতিশীল করা, বাজেটে ঘাটতি কমানো। আমরা ভ্যাটের হার সিঙ্গেল রেটে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তবে ভ্যাট একবারে সিঙ্গেল রেটে নামিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রোববার সচিবালয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। ভ্যাট সিঙ্গেল রেটে নামিয়ে আনার বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কি? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সিঙ্গেল রেটের বিষয়ে আমরা চেষ্টা করব। তবে আমরা একবারে সিঙ্গেল রেটে পৌঁছাতে পারব না।

আইএমএফ ঋণের কিস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, দুই কিস্তির অর্থ একবারে দেবে। ওরা এখন রিভিউ করবে। আমরা ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়াব কীভাবে, মাত্র ৭ শতাংশ আছে। তারপর আমাদের ট্যাক্স কালেকশন কীভাবে করব। ট্যাস্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লিকেজ যেন না হয়।

‘বেসিকালি আইএমএফের উদ্বেগ হলো- রেভিনিউ (রাজস্ব) জেনারেশন, আমাদের বাজেট সাইজ কত হবে, ডেফিসিট (ঘাটতি) কত হবে, এগুলো নিয়ে আপাতত কথা হয়েছে। আমার সঙ্গে ডিটেইল কথা হয়নি, এনবিআরের সঙ্গে কথা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা হবে, লোন রেজুলেশন নিয়ে’ বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা, খেলাপির ঋণ আদায়, এনবিআরের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়াবো কীভাবে, কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়াব এগুলো নিয়ে আমার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সবার সঙ্গে ওরা ইন্ডিভিজুয়ালি (পৃথক) বসবে। তারপর আপনারা কয়দিন পরে জানতে পারবেন।

আইএমএফ ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ পাওয়ার বিষয়ে এর আগে আপনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। এখন আপনাদের অবস্থান কি? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আশাবাদী। ওরা বলেছে, দেখব। ওরা যাওয়ার পর ১৯ এপ্রিল আমি যাব। তারপর মে-জুনের দিকে বৈঠক হবে। এই রিভিউয়ের ওপরেই তাদের সুপারিশ।

চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ঋণের ক্ষেত্রে উনাদের মূল ফোকাস কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়ানো, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আর একটু স্থিতিশীল করা, তারপর বাজেটে ঘাটতি কমানো এগুলো মেইন ফোকাস।

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে ওরা কি বলেছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওরা বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মোটামুটি স্থিতিশীল, গতিশীল, সঠিক পথে আছে। কিন্তু রিভিউ করার পর আর একটু দেখবে। ওরা বলেছে- তারা সন্তুষ্ট, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল আছে। তবে ওরা ডিটেইল জিনিসগুলো দেখবে।

কোন বিষয়গুলোতে কম্প্রোমাইজ করতে হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি সোজাসুজি বলেছি আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার আমরা করতে চেষ্টা করছি। অলরেডি আমাদের গুড ইনটেনশন দেখিয়েছি। ওদের দিক থেকে ওদের গুড ইনটেনশন দেখাক। দেন উই এনগেজ। আমরা আলাপ করব।

ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলব।

রাজস্ব খাতে কি করতে হবে, ওরা কি চায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আমাদের জিডিপি নেপালের চেয়ে অনেক বড়, ওরা বলে নেপালের থেকে তোমাদের অনেক কম। ওদের (নেপাল) ১২-১৩ শতাংশ। ভারতে প্রায় ১৭-১৮ শতাংশ। ওরা বলছে, তোমাদের এটা (ট্যাক্স জিডিপি রেশিও কম) হওয়ার কারণ হয় নেট (আওতা) কম। লাখ লাখ লোক আছে যারা জিরো ট্যাক্সে রিটার্ন দেয়, তাদের আয় আছে কিন্তু তারা রিটার্ন দেয় না- বলেন অর্থ উপদেষ্টা।


আরও খবর



ঢাকায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি, কিউলেক্সের যন্ত্রণা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শুকনো মৌসুমেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি, স্থাপনায় পাওয়া যাচ্ছে এইডিস মশার লার্ভা, মিলছে পূর্ণ বয়স্ক মশাও।এ বছর প্রথম তিন মাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা মাথায় রেখে বর্ষার আগেই এইডিস মশার এই উপস্থিতিকে আশঙ্কাজনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এজন্য মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ঢাকার মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ২৪ মার্চ গিয়ে দেখা যায়, মশার ওষুধ ছিটাতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিল তিনজনের একটি দল। তাদের দুজন বিভিন্ন জায়গায় মশার লার্ভা খুঁজছিলেন, একজন ছিটাচ্ছিলেন ওষুধ।

তাদের মধ্যে যে দুজন লার্ভা খুঁজছিলেন তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগারের কর্মী। অন্যজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের মশক নিয়ন্ত্রণকর্মী।

মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার এই নগর সংস্থাটি নিয়মিত বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে, এজন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে তাদের।

দলটির সঙ্গে লালকুঠির প্রথম কলোনির ১৫টি বাসায় গিয়ে ফেলে রাখা কলসি, পানি জমিয়ে রাখার ড্রাম এবং পানির মিটারে এইডিস মশার লার্ভা দেখা গেছে। ওইসব বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, বেশিরভাগ পাত্রেই লার্ভা জমেছে তাদের অসচেতনতায়।

কলোনির একটি টিনশেড বাসায় থাকা বটগাছের নিচে একটি কলসি রাখা। দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় ওই কলসিতে পানি জমে আছে। আর তাতে জমে জন্মেছে এইডিস মশার লার্ভা।

সে বাসার একজন ভাড়াটিয়া বলেন, বাড়িওয়ালা বটগাছের নিচে ওই কলসি রেখেছেন। পরিষ্কার করা হয়নি হয়তো, এ কারণে মশা ডিম পাড়ছে হয়তো।

ওই কলোনির আরেকটি বাড়িতে পানি রাখার দুইটি ড্রামে এইডিস মশার লার্ভা পান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে আসা এই কর্মীরা। ওই বাড়ির মালিকের মেয়ে ডায়না আক্তার বলছিলেন, এলাকার লাইনে ঠিকমত পানি আসে না। এজন্য পানি জমিয়ে রাখতে হয়।

রাত ৩টা-৪টার দিকে পানি আাসে। প্রতিদিন বালতিতে পানি ভরি, থালাবাসন ধোয়ার কাজে তা ব্যবহার করি। পানি তো ঢাকনা দিয়ে রাখি। এরপরও মশা সেখানে ডিম পাড়ল কীভাবে বুঝতে পারছি না। ঢাকনা দিয়ে রাখলেও লার্ভা পাওয়া যায়

প্রথম কলোনির ২২৭/ডি নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির উঠানে রাখা একটি বড় বালতিতে পানি জমানো। পানি জমে আছে আরেকটি ছোট বালতিতেও। পরীক্ষা করে দুটি বালতিতেই এইডিস মশার লার্ভা পান জরিপে আসা কর্মীরা।

যাদের ঘরের বালতিতে লার্ভা পাওয়া গেছে তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি।

ওই বাড়ির আরেকটি বাসার বাসিন্দা হেনা বেগম বলেন, আমাদের বাসায় কোনো মোটর নাই, এজন্য টেনে পানি আনা যায় না। সাপ্লাইয়ের যে পানি আসে তা বালতিতে জমাইয়া রাখতে হয়। এ কারণে মনে হয় মশা ডিম পাড়ছে।

ওই এলাকায় মশার উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে মো. তরিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, বাসায় প্রচুর মশা। রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। মশার কয়েল জ্বালাই, মশারি টানাই, তাও কামড়ায়, বেশি কামড়ায় বাচ্চাদের।

মশার গতিপ্রকৃতি, প্রজাতি বৈচিত্র, মৌসুমী অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ডিএনসিসি। মশা ধরার জন্য পাঁচটি অঞ্চলে ফাঁদ পাতা হয়েছে, যাকে ডিএনসিসি বলছে সেনটিনাল সাইট। একটি সাইটে লাইট ট্র্যাপ,এইডিস এক্স স্মার্ট ট্র্যাপ ও গ্র্যাভিড ট্র্যাপ- এই তিন ধরনের ফাঁদ থাকে।

লাইট ট্র্যাপে সব ধরনের পূর্ণবয়স্ক মশা ধরা হয়। এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে পূর্ণবয়স্ক এইডিস মশা এবং গ্র্যাভিড ট্র্যাপে এইডিস মশা ডিম পাড়ে, সেখান থেকে লার্ভা হয়।

প্রতি সাতদিন পর পর এসব ফাঁদ পরীক্ষা করা হয়। ফাঁদে পাওয়া মশার সংখ্যা গণনা করে ওই এলাকায় মশার উপস্থিতির একটি ধারণা নেওয়া হয়।

মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ডিএনসিসির ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারেও এই ফাঁদ বসানো হয়েছে।

২৪ মার্চ কমিউনিটি সেন্টারের ওই ফাঁদে মশা দেখতে যান মশক নিয়ন্ত্রণকর্মীরা। লাইট ট্র্যাপে শত শত মশা মরে আছে। আর এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে দুটি পূর্ণ বয়স্ক মশা পাওয়া গেছে। তবে গ্র্যাভিড ট্র্যাপে কোনো লার্ভা পাওয়া যায়নি। ফাঁদে কতগুলো মশা পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি তারা। তবে তারা জানান, সংখ্যাটি অনেক।

পরিস্থিতি কেমন

সোমবার লালকুঠি এলাকার প্রথম কলোনির ১৫টি বাড়ি পরিদর্শন করে পাঁচটি বাড়িতে ছয়টি পাত্রে মশার লার্ভা পান ডিএনসিসির কর্মীরা। হিসাব করে দেখা গেছে, এতে ওই এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ ও হাউজ ইনডেক্স ৩৩ দাঁড়ায়।

কোনো এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ ও হাউজ ইনডেক্স ১০ এর বেশি হলে সেখানে মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি আছে বলে ধরে নেন কীটতত্ত্ববিদরা।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর আহমেদ বলেন, এটা খুবই হাইলি উপস্থিতি। সামনে বর্ষায় মশা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। গত বছর চিকুনগুনিয়ায় অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এবারও ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ডিএনসিসির সঙ্গে চুক্তির থাকায় তারা জরিপের কোনো তথ্য দিতে পারবেন না। তথ্যের জন্য ডিএনসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

তবে কবিরুল বাশার বলেন, এখন বৃষ্টি নাই, এখন যদি ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ হয় বৃষ্টির সময় সেটা ৮০ হয়ে যাবে। মানে মশার উপস্থিতি থাকবে আশঙ্কাজনক।

এ কারণে বছরের শুরুতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই যদি আমরা এইডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তাহলে বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রব কম হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী দাবি করেন, গত দেড় মাস ধরে এইডিস এবং কিউলেক্স- দুই ধরনের মশার উপস্থিতিই কমেছে। এ কারণে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও কমেছে।

কিছু কিছু পকেট এলাকায় বিশেষ করে উত্তরার কিছু এলাকায় কিউলেক্স মশা কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে আমরা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তারপরও মানুষের অসচেতনতায় কিছু এলাকায় মশা জন্মাচ্ছে। অনেক বাড়িতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কর্মীদের ঢুকতেই দেওয়া হয় না, সেখানে ওষুধ দিবে কীভাবে?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শনিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া রোগীসহ চার মাসে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০২। তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০২৪ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের।

যন্ত্রণা দিচ্ছে কিউলেক্স মশা

ঢাকায় শীতের পর থেকে শুরু হয়েছে কিউলেক্স মশার উপদ্রব। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তারা অভিযোগ করেছেন, এই মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা।

ডোবা-নালা পরিষ্কার না করা এবং মশার ওষুধ না ছিটানোর কারণে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

ঢাকার ভাসানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভাসানটেক বস্তির মাঝখানের ঝিলটি কচুরিপানায় ভর্তি। এই জলাধার পরিষ্কার করা হয় না। তাই বদ্ধ পানিতে কিউলেক্স মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।

ভাসানটেক বস্তির বাসিন্দা আহমেদ আলী বলেন, বিকাল থাইকা মশার অত্যাচার শুরু হয়। কোনো জায়গায় দাঁড়ানোর উপায় থাকে না। সারাক্ষণ কানের কাছে ভনভন করে।

মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকার গৃহিনী জেমমিন আক্তার বলেন, বিকেলেই বাসায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে দিই। রাতে ঘুমানোর আগে কয়েল নিভিয়ে মশার টানিয়ে নিই। কিন্তু তারপরও মশার হাত থেকে বাঁচার উপায় থাকে না। কোনো কারণে বাইরে বের হলেই ভেতরে মশা ঢুকে যায়। বাচ্চাটাকে কামড়ায় বেশি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশার উপস্থিতি নিয়ে কোনো জরিপ করছে না। এ কারণে ওই এলাকায় বর্তমানে মশার পরিস্থিতি কী তা বোঝার উপায় নেই।

তবে গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় জরিপের ফলে দক্ষিণ সিটিতে মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

সে জরিপ অনুযায়ী, তখন দুই সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের ৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ড ছিল ৩৫টি; বাকি ২১টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)।

আসছে বর্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী প্রস্তুতি জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, কিউলেক্স মশার উপদ্রব কমে এসেছে। আর সামনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। আমরা সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছি। মশার ওষুধ ছিটানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি আমরা মানুষকে সচেতন করব।


আরও খবর



মাসজুড়ে বৃষ্টি তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় এবং কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহ চলছে, এবং কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় এর প্রভাব রয়েছে। তবে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং তাপপ্রবাহের প্রভাব ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে— রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলা, অর্থাৎ– রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, পটুয়াখালী, যশোর, কুষ্টিয়া, এবং মেহেরপুর, তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া, দিনাজপুর, নীলফামারী এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। তবে, এসব এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানিয়েছেন, সিলেটের কিছু অংশে মঙ্গলবার সারাদিন এবং বুধবার ভোর থেকে বৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে, রংপুর এবং দিনাজপুর অঞ্চলেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এসব বৃষ্টির কারণে তাপপ্রবাহ কমে যাবে এবং আবহাওয়া কিছুটা শীতল হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, দেশের অন্যান্য এলাকায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে, এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শুক্রবার, (৪ এপ্রিল) থেকে ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় আবারও দমকা হাওয়াসহ বজ্রপাত বা বৃষ্টি হতে পারে। এরপরের দুই দিনও ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ অন্যান্য অঞ্চলে বজ্রপাত এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ৫ বা ৬ এপ্রিল থেকে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে, এবং এর ফলে তাপমাত্রা কমে আসবে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, রংপুরের ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বুধবার সকালেও তিন ঘণ্টায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এপ্রিলে দেশে আরও এক বা দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং তাপমাত্রা ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। এপ্রিল মাসে দেশের আবহাওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক থাকতে পারে, কারণ তাপমাত্রা বেশিরভাগ জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা নিম্নচাপে বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে এটি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি তীব্র হতে পারে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।

এপ্রিল মাসে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি, এবং কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকতে পারে। এই মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।


আরও খবর