Logo
শিরোনাম

রোজা উপবাস নয় ইবাদত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

আজ তৃতীয় রোজা। পবিত্র রমজানুল মোবারক আমাদের জন্য বড় রহমত। রোজা কখনোই অন্য ধর্মাবলম্বীদের মতো উপবাস নয়। কারণ এটি একটি প্রকৃত ইবাদত। একটা ঢাল। ঢাল যেমন যুদ্ধের মাঠে মানুষকে সুরক্ষা দেয়, বাঁচায়। কীভাবে বাঁচায়? আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যুদ্ধের মাঠে ঢাল যেমন তোমাদের রক্ষাকারী, সাওমও তেমনি জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল।’ (নাসায়ি শরিফ)।

আমরা জানি, বিভিন্ন ধর্মে অনশন বা উপবাসের নিয়ম আছে। এসব কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই। সনাতন ধর্মে তিন পদ্ধতিতে তারা উপবাস করে। স্বল্পানশন, অর্ধানশন ও পূর্ণানশন। সাধারণত স্বল্পানশন, অর্ধানশনে সব ধরনের খাবার খাওয়া যায়। তবে পূর্ণানশন একটু ব্যতিক্রম। এতে সব ধরনের খাবার ও পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হয়। তবে সেটা একান্তই উপবাস। সেসব উপবাসেও হয়তো স্বাস্থ্যগত উপকার আছে। ইসলাম উপবাসকেন্দ্রিক একটা ইবাদতের ঘোষণা দিয়েছে। এটা নিতান্তই কেবল উপবাস নয়। নির্ধারিত করা হয়েছে রোজার প্রতিটি বিধিবিধান। যে কেউ রোজা রাখলেই হবে না। কেবল প্রাপ্তবয়স্ক হলেও হবে না। হতে হবে সুস্থ। বিশেষত নারীরা ঋতুকালীন রোজা রাখতে পারবেন না। পরে কাজা করবেন। নবীজি রোজা পালনের ক্ষেত্রে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে নানা রকম পার্থক্য ঘোষণা করেছেন। সুবহে সাদেক থেকে পানাহার, যৌন সম্ভোগ বন্ধ রেখে সূর্যাস্তের সময় ইফতার করতে হবে। ইফতারেও বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়। সময়মতো ইফতার করাটা সুন্নত। ইফতার নিয়ে নবীজি (সা.) বলেন, ‘দীন বিজয়ী হবে, যতক্ষণ মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে। কারণ ইহুদি-নাসারারা ইফতার বিলম্ব করে।’ (আবু দাউদ শরিফ)।

সাহরিও বড় পার্থক্য। কারণ অন্য ধর্মের লোকরা যে সাওম পালন করে, তাতে সাহরি নেই। এটি নবীজির ভাষ্যেও উঠে এসেছে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আমাদের ও আহলে কিতাবিদের রোজার মাঝে পার্থক্য হলো সাহরি গ্রহণ।’ (মুসলিম শরিফ)।

যা হোক, ইসলাম ধর্মের রোজা ইবাদত। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ রোজায় অভাবী মানুষের হৃদয়ের সঙ্গে মেশা যায়। এটা অন্য কোনো উপায়ে বোঝা যায় না। সিয়াম সাধনায় সত্যিই এক আল্লাহর বান্দা আরেকজনের প্রতি সহমর্মী হয়ে ওঠে। দয়াপ্রবণতা জাগ্রত হয়। অন্যকে ভালোবাসতে শেখায়। আল্লাহতায়ালা আমাদের সিয়ামের সঙ্গে সঙ্গে অন্যের প্রতি স্নেহপরায়ণ ও শ্রদ্ধাশীল হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।

লেখক : সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক


আরও খবর



সৌদির ওমরাহ-ওয়ার্ক ভিসা ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিত থাকবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের আবেদনকারীদের ওয়ার্ক ও ওমরাহ ভিসা প্রদানে সাময়িক স্থগিতাদেশ সৌদি আরব। পারিবারিক ভিসা প্রদানেও জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। গত ৩১ মে থেকে কার্যকর হওয়া এই আদেশ বলবৎ থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যতীত স্থগিতাদেশের আওয়তায় পড়া বাকি ১৩টি দেশ হলো পাকিস্তান, ভারত, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন এবং মরক্কো।

সেই সঙ্গে পারিবারিক ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ওয়ার্ক ভিসার মতো এসব আদেশও এই ১৪টি দেশের ওপর ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে এ স্থগিতাদেশ। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩০ জুন পর্যন্ত নতুন কোনো ওয়ার্ক ভিসা বা ওমরাহ ভিাস প্রদান করা হবে না, এমনকি ৩১ মে’র আগে যারা ভিসা পেয়েছেন এবং এখনও সৌদিতে আসেননি— স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকাকালে সৌদিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তারা বাধার সম্মুখীন হতে পারেন।

মূলত হজযাত্রীদের আগমন এবং হজ শেষে তাদের সৌদি থেকে বিদায় নেওয়া নির্বিঘ্ন এবং ঝামেলামুক্ত রাখতেই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৪ জুন শুরু হয়েছে চলতি বছরের হজযাত্রা, শেষ হয়েছে ৭ জুন। হাজিদের একটি বড় অংশই জুনের শেষ নগাদ সৌদি থেকে বিদায় নেবেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব দেশের নাগরিকরা সৌদি ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাদের মধ্যে এই ১৪টি দেশের আবেদনকারীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ভিসা নীতিতেও বদল এনেছিল সৌদি আরব। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে এই দেশগুলোর নাগরিকদের এখন থেকে ‘সিঙ্গল এন্ট্রি’ ভিসা প্রদান করা হবে। অর্থাৎ ওই ভিসা দেখিয়ে এক বারই সে দেশে প্রবেশ করতে পারবেন ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের নাগরিকেরা। ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন।

অভিযোগ, এত দিন ১৪টি দেশের কিছু বাসিন্দা সৌদির ভিসা (মাল্টিপল এন্ট্রি) নিয়ে হজের সময় নাম অন্তর্ভুক্ত না করিয়েই মক্কায় চলে যেতেন। এর ফলে সেখানে ভিড় বাড়ত।


আরও খবর



শিক্ষার মান উদ্বেগজনকভাবে খারাপ হয়ে গেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

গণতন্ত্র যেমন অধিকার ঠিক তেমনি এটা দায়িত্ব এবং দেশ-জাতি-জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতাও বটে। গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে আমরা যেমন অধিকার, নির্বাচন ও নিরাপত্তা চাই। তেমনি গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে আমাদের দেশ-জাতি-জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা পূরণের বিষয়েও সচেতনতা প্রয়োজন। দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র সত্যিকারের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে পারে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রিভার ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে এত আন্দোলন, বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থান হলেও শিক্ষার মান আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার, নির্বাচন, অন্য অধিকার, ছাত্রদের অধিকার চাই। শুধু গণতন্ত্র হলেই তো হবে না, সেই গণতন্ত্রকে বুঝতে হবে। গণতান্ত্রিক যেমন অধিকার আছে, গণতন্ত্রের তেমন দায়িত্বও আছে। সেই দায়িত্ব পালন করলেই গণতন্ত্র সত্যিকারের অর্থেই একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে পারবে।

জাতির পুনর্গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এ জাতি পুনর্গঠন করতে গেলে আমাদের ছাত্রদের তৈরি করতে হবে। তারা যেন সব ক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ দিতে পারে।

তিনি বর্তমান বিশ্বকে ‘প্রতিযোগিতামূলক’ উল্লেখ করে বলেন, ‘এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলে কিন্তু জ্ঞানের প্রতিযোগিতা করতে হবে। এখন তো আরও কঠিন হয়েছে। টেকনোলজি এমন এক জায়গায় চলে গেছে যে টেকনোলজিতে যদি আমরা কোপ-আপ করতে না পারি, তাহলে আমরা পিছিয়ে যাবো।

দেশের শিক্ষার মান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সারা দেশেই শিক্ষার মান উদ্বেগজনকভাবে খারাপ হয়ে গেছে। কে দায়ী, সেদিকে না গিয়ে আমি বলতে চাই, সামগ্রিকভাবেই মান কমেছে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রকে সুন্দর করতে হলে, একটা সুন্দর জাতি নির্মাণ করতে হলে, আপনাকে অবশ্যই লেখাপড়া করতে হবে। লেখাপড়ার কোনও বিকল্প নাই। এ ছাড়াও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ করতে হবে। খেলাধুলা করতে হবে। শারীরিক যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে কাজ করতে হবে এবং প্র্যাকটিস করতে হবে। লেখাপড়ায় যেমন প্র্যাকটিস করতে হবে, খেলাধুলাতেও প্র্যাকটিস করতে হবে।

শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেন গাফিলতি না করে, আপনারা কোনও কম্প্রোমাইজ করবেন না। ছাত্রদের কাছ থেকে ঠিকমতো পড়া বুঝে নেবেন এবং তারা যেন বোঝে, সেই জিনিসটা আপনারা নিশ্চিত করবেন। জ্ঞানের কোনও বিকল্প থাকতে পারে না।


আরও খবর



বিশ্বব্যাপী কমেছে খাদ্যের দাম, জানাল এফএও

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, মে মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ০.৮ শতাংশ কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনি জাতীয় পণ্যের দাম।

৬ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাতে সিনহুয়া জানায়, খাদ্যমূল্য সূচকের সবচেয়ে বড় উপাদান—শস্য ও খাদ্যশস্যের দাম মে মাসে ১.৮ শতাংশ কমেছে। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে ভালো ভুট্টার ফলন এবং বৈশ্বিকভাবে গমের চাহিদা কমেছে।

তবে ইন্দিকা চালের চাহিদা ও মার্কিন ডলারের মূল্য পতনের কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তা সত্ত্বেও সামগ্রিক সূচকের ওপর তা প্রভাব ফেলেনি।

মে মাসে মাংসের দাম বেড়েছে ১.৩ শতাংশ। গরু, খাসি ও শূকরের মাংসের চাহিদা বাড়ায় এই প্রবণতা দেখা গেছে।

বিশেষ করে জার্মানিতে পা ও মুখের রোগের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় দেশটির বাজারে চাহিদা বাড়লে শূকরের মাংসের দাম বেড়ে যায়। তবে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের শঙ্কায় মুরগির মাংসের চাহিদা কমেছে।

এদিকে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ০.৮ শতাংশ। এশিয়ার চাহিদার কারণে মাখনের দাম রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে, ফলে পনির ও গুঁড়া দুধের দামও বেড়েছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনির দামে।

উদ্ভিজ্জ তেলের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, যদিও এটি এখনো গত বছরের তুলনায় ১৯.১ শতাংশ বেশি। পাম, রেপসিড, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম কমে গেছে—এর পেছনে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা কমে যাওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে এফএও।

এদিকে খাদ্য ও পানীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি অনিশ্চিত থাকায় চিনির দাম কমেছে ২.৬ শতাংশ। সূত্র : ইউএনবি


আরও খবর



ডিসিপ্লিন মেনে চললে যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 |

Image

সবাই ডিসিপ্লিন মেনে চললে ও ধৈর্য ধরে কাজ করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানজট উভয়ই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। উপদেষ্টা রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং যানজটও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করবো- গাড়ি চালানো, কোরবানির পশুর ট্রাক আনা-নেয়া, পথচারীদের রাস্তা পারাপার সবক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলবেন। এবং অন্যদেরকেও নিয়ম মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করবেন। তবে সড়কে যেমন শৃঙ্খলা বজায় থাকবে, একইভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, এবার সব পরিবহণ চার্ট অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত রেটে ভাড়া আদায় করছে। এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে অনেক গরুর গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করছে এবং বৃষ্টিও হচ্ছে। তাই ঢাকার প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টগুলোতে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমাদের ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে। খুব শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

উপদেষ্টা বাস টার্মিনালে উপস্থিত যাত্রীদের সাথে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন ও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়েছে কিনা- তা যাচাই করেন। যাত্রীরা বিদ্যমান ভাড়ার হার ও ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরে উপদেষ্টা রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, এবার কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। কোরবানির পশুর দামও তুলনামূলক যৌক্তিক। আমি বলবো, অন্যান্য বারের তুলনায় দাম একটু কম রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভোক্তা বা ক্রেতারা সুবিধা পাচ্ছে। তিনি বলেন, ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে কোনো নিরাপত্তার ঘাটতি নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। এটাকে অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আরও উন্নতি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু রয়েছে। গরুর কোনো সংকট নেই। কোরবানির পশু কিনতে কারো কোনো সমস্যা হবে না।

এছাড়াও উপদেষ্টা রাজধানীর মিরপুর ও কাফরুল থানা এবং মিরপুরে অবস্থিত পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পরিদর্শন করেন।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




পুতিন সম্পূর্ণ উন্মাদ হয়ে গেছেন : ট্রাম্প

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর ‘খুশি নন’। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আকাশ হামলার পর এমন মন্তব্য করলেন তিনি। ২৬ মে রাতে নিউ জার্সিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিনকে ‘উন্মাদ’ বলে অভিহিত করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘তার কী হয়েছে? তিনি অনেক মানুষ হত্যা করছেন। পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাকে অনেকদিন ধরে চিনি, সব সময় তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন সে শহরে রকেট ছুড়ছে এবং মানুষ হত্যা করছে, এটা আমার একদম পছন্দ নয়।

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে লেখেন, পুতিন ‘সম্পূর্ণ উন্মাদ হয়ে গেছেন’।

ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলেছি, সে পুরো ইউক্রেন চায়, কেবল একটা অংশ নয় এবং হয়তো সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে, কিন্তু যদি সে সেটা করে, তাহলে সেটি রাশিয়ার পতনের কারণ হবে!

এর আগে সাম্প্রতিক রুশ হামলা নিয়ে ওয়াশিংটনের ‘নীরবতা’ পুতিনকে উৎসাহিত করছে বলৈ মন্তব্য করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি মস্কোর ওপর ‘জোরালো চাপ’ বা আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানান।

এমন কথা বলায় জেলেনস্কিকে নিয়েও কঠোর মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি যেভাবে কথা বলছেন, তাতে তিনি নিজের দেশের কোনও উপকার করছেন না।

জেলেনস্কি সম্পর্কে ট্রাম্প আরো বলেন, ‘তার মুখ থেকে যা কিছু বের হয়, তা সমস্যার কারণ হয়। আমি এটা পছন্দ করি না এবং এটা বন্ধ হওয়া উচিত।


আরও খবর