Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

রোজায় পানিশূন্যতা মুক্ত থাকার ৭ উপায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোজায় দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। ফলে এমনিতেই মানুষ পানিশূণ্যতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন। তার ওপর এ বছর চৈত্র মাসের দীর্ঘ ও উত্তপ্ত দিনের বেলা রোজা রাখতে গিয়ে পনিশূন্যতায় ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট সাজ্জাদ হোসেন বলছেন, পানিশূন্যতার কারণে হার্ট রেট কিংবা প্রেশার কমে গুরুতর বিপত্তি হতে পারে।

‘যারা রোজা পালন করেন তাদের রোজা পালনের সাথে সাথে পানিশূন্যতা যেন কোনো ভাবে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের। নিয়মিতো যথেষ্ট পানি পান করলে তারা এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন, বলছিলেন তিনি।

ঢাকার বেসরকারি ফরাজি হাসপাতালের পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি বলছেন এবার রোজার সময়টায় গরম পড়বে বেশি। এ কারণে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে অবশ্যই পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে এবং ফিট থাকার জন্য দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে।

‘ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করতে হবে। একই সাথে শরীরচর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে যারা তারাবি নামাজ পড়েন সেটি তারা নিয়মিত পড়লে উপকৃত হবেন, বলছিলেন তিনি।

তার মতে ইফতার থেকে আরম্ভ করে সেহরি পর্যন্ত এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যেসব খাবারে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। অনেকেই ইফতারের পর আর খেতে চান না। এটি ঠিক নয়। রাতের খাবার খেতে হবে পরিমিত মাত্রায় এবং সেহরিও খেতে হবে। তাহলে পানির ঘাটতি কম হবে।

রোজার সময় যারা রোজা পালন করেন তাদের দিনের বেলায় পানাহারের সুযোগ নেই বলে দীর্ঘ সময় পানি পান করতে পারেন না। অন্যদিকে ঘাম, প্রস্রাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রচুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এ কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন ও পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি উভয়ই বলছেন যে, শরীর ফিট রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং এর আর কোনো বিকল্প নেই। তবে সাধারণ সময়ে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত এক গ্লাস পানি খাওয়া উচিত একজন ব্যক্তির। ফলে তিনি যদি রোজা করেন তাহলে দিনের সময়টুকুতে না খাওয়া পানি তাকে ইফতার থেকে সেহরির সময়কালে গ্রহণ করতে হবে।

চিকিৎসকরা সাধারণত বয়স, উচ্চতা ও ওজন ভেদে এক ব্যক্তিকে দিনে বার থেকে ষোল গ্লাস পর্যন্ত পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

পানিশূন্যতা কেন হয়
•দীর্ঘ সময় ধরে পানি না পান করার কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে;
•খাবার তালিকায় পানিসমৃদ্ধ খাবার না রাখা;
•জ্বর বা ডায়রিয়ার মতো অসুস্থতাজনিত কারণে;
•অতিরিক্ত ভাজা পোড়া জাতীয় খাবারের কারণেও পানিশূন্যতা হতে পারে;
•ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান না করা;
•ইফতারের পর অতিমাত্রায় চা কফি খেলে;
•অতিরিক্ত রোদ বা গরমে থাকার কারণে।

পানিশূন্যতার লক্ষণ
চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন বলছেন শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে জিহ্বা দেখে সহজে বোঝা যায় কারণ জিহ্বা শুকিয়ে যায়।

এছাড়া অনেকের চোখ গর্তে চলে যায় এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। তাছাড়া শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা তেরি হয়।

‘পানিশূন্যতার কারণে হার্ট রেট ও প্রেশার কমে যেতে পারে," সাজ্জাদ হোসেন।পানিশূন্যতা থেকে মুক্ত থাকবেন কিভাবে

চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন ও পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি পানিশূন্যতা থেকে মুক্ত থাকার জন্য করনীয় সম্পর্কে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।

•ইফতার ও সেহরির মধ্যকার সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করা;
•সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া;
•ইফতারে ফলের রস ও ফলের পরিমাণ বেশি রাখা;
•সরাসরি রোদে না যাওয়া;
•অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া;
•প্রয়োজনে ডাবের পানি বা খাবার স্যালাইন পান করা;
•হালকা শরীর চর্চা করা;

পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি বলছেন অনেকেই পানি পান করতে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বের করা ঠাণ্ডা পানি খেয়ে থাকেন যা মোটেও ঠিক নয়।

‘অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের চা পানের অভ্যাস আছে তারা দুধ চায়ের বদলে রং চা পান করতে পারেন পরিমিত মাত্রায়। আর পর্যাপ্ত পানির পাশাপাশি খাবারে লাউ, কুমড়ো বা পেঁপে জাতীয় খাবার বেশি রাখলে শরীর পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাবে, বলছিলেন তিনি।

তবে শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত গোসল এবং চোখে মুখে বারবার পানি দেয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন অনেকে।

এরপরেও শরীরে কোনো সমস্যা বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত বলে মনে করেন সাজ্জাদ হোসেন।


সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

বালুচরে শীতের পাঞ্জাবি-কটি

বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23




নওগাঁয় সিএনজি'র ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সিএনজি চালিত অটো বাইকের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী সজ্ঞয় মন্ডল (৪৯) নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ৯ টারদিকে মারাযান।মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকেলে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার চেংকুড়ি মোড় নামক স্থানে। স্থানিয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকেলে নওহাটামোড় (চৌমাশিয়া) বাজারের লেদ-কারখানা ব্যবসায়ী সুমন ও রিমন এর বাবা বাগধানা গ্রামের  সজ্ঞয় মন্ডল নিজ বাড়ি থেকে বাইসাইকেল যোগে এসিআই কোম্পানীতে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে পৌছালে এসময় বে-পরোয়া গতীতে আসা সিএনজি চালিত একটি অটো বাইক তার বাইসাইকেলে সজোড়ে ধাক্কাদিলে সে ছিটকে মহাসড়কের উপর পড়ে মারান্তক আহত হোন। এসময় স্থানিয় লোকজন সিএনজি চালিত অটোবাইক টি আটক পূর্বক নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশের হেফাজতে দেন এবং তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক সাথে সাথে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করলে ঐ দিন সন্ধার পরই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে পরের দিন সোমবার সকাল ৯ টারদিকে মারাযান। 


আরও খবর



মেট্রোরেলে স্টেশন কন্ট্রোলার হিসেবে নিয়োগ পেলেন মাভাবিপ্রবির সুমন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুমন মিয়া। একই বিভাগ থেকেই  স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন শেরপুর সদর উপজেলার বলাইরচর ইউনিয়নের  আব্দুল হামিদের  ছেলে মো. সুমন মিয়া। সুমনের এই সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকলেই অনেক আনন্দিত। স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নানা চড়াই-উতরাই পার করে আজ (শনিবার) তিনি মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন  বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি  মো হৃদয় হোসাইন। 

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হওয়ার পর অনুভূতি কেমন? 

সুমন: বাংলাদেশের জন্য মেট্রোরেল যেমন স্বপ্নের মতো, ঠিক তেমনি মেট্রোরেল আমার কাছেও একটা স্বপ্ন। আমি নিজে মেট্রোরেলের একটি স্টেশনের কন্ট্রোলার, এটা ভেবে এখনই বেশ আনন্দ লাগছে। এখন মূল কাজ সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলারদের বেতন স্ট্রাকচার কেমন ? 

সুমন: সর্বসাকুল্যে মেট্রোরেল স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে প্রতি মাসে বায়ান্ন হাজার সাতশত  টাকা পাবো। চাকুরীটি মূলত ১০ম গ্রেডের। যার বেসিক বত্রিশ হাজার টাকা। এর সাথে ৬০% বাড়ি ভাড়া ও ১৫০০ টাকা মেডিকেল বিল যুক্ত হবে।

প্রশ্ন: কর্মজীবনে আপনি স্টেশন কন্ট্রোলারদের স্থানটি কেন বেঁছে নিলেন? 

সুমন: আমার জীবনের একটা প্রধান লক্ষ্য ছিল হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন করে সহজভাবে জীবন ধারণ করা এবং বাবা মাকে খেদমত করা। আমি মনে করি মেট্রোরেল ই বাংলাদেশের একটি সেক্টর, যার মাধ্যমে হালাল উপায়ে একটা স্মার্ট সেলারি দিয়ে বাবা মার খেদমত সহ সহজভাবে জীবন ধারণ করা সম্ভব। তাই আমি  আমার  কর্মজীবনে মেট্রোরেলকেই বেছে নিয়েছি। মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত এবং  একই সাথে আনন্দিত এই ভেবে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শি নেতৃতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুতগামী পরিবহনের অংশ হতে পেরেছি। 


প্রশ্ন: মেট্রোরেল স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে ট্রেনিং এর সুযোগ-সুবিধা কেমন?

সুমন: প্রাথমিকভাবে ঢাকায় উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিশেষ ট্রেনিং  নিবে বলে আমাকে জানানো  হয়েছে। এখানে মেট্রোরেলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাপানের মিতসুবিশি-কাওয়াসাকি কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা ট্রেন পরিচালনার কারিগরি ও প্রায়োগিক নানা প্রশিক্ষণ দিবেন। এরপর তিনি দিল্লি মেট্রোরেল একাডেমিতে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে। প্রয়োজনে ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিদের জাপানেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কর্তৃপক্ষের বলে আমি জানতে পেরেছি। 

প্রশ্ন: আপনার স্বপ্নপূরনের গল্পটি জানতে চাই?

সুমন: এটি এক অনন্য স্বপ্ন পূরণের পথচলা। এই স্বপ্ন পূরণে অনেকের অবদান ছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম আমার মা-বাবা এবং আমার জীবন ট্রেনের একমাত্র যাত্রী ফারজানা আক্তার লাবণ্য ( স্ত্রী)। যাদের অনুপ্রেণা আর সাহস ছিল আমার জীবনের একমাত্র পথচলা। ছোটকাল আমার মায়ের দিকনির্দেশনা আর বাবার মেশিনের ফয়েলের মত শক্তিই ছিল একমাত্র পাথেয়। আমার বাবা একজন কৃষক এবং মা গৃহিণী। আমার বাবার ইচ্ছে ছিল আমার ছেলেদের  যেন আমার মত কঠোর পরিশ্রম করতে না হয়। তাই তার জীবনের সবকিছু দিয়ে আমাদের লেখা করিয়েছেন। আমি তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছেলে ছিলাম। আমি আমার  তিন ভাইয়ের মধ্য পড়ালেখায় তুলনামূলকভাবে ভাল ছিলাম। তাই আমার আব্বু আম্মুর ইচ্ছে ছিল আমি যেন ভাল কিছু করতে পারি। তাই ছোট থেকে আমি বাবা মার ইচ্ছে পূরণে ছিলাম অটল। বাবা মার সর্বোচ্চ ইচ্ছা পূরণ না করতে পারলেও অনেকটাই পেরেছি। আমি চাকরিটা পেয়ে যখন আমার আব্বু আম্মু কে ফোন দিয়েছি তারা শুনে কান্না করে দিয়েছে। এই কান্না দু:খের কান্না নয় বরং সুখের কান্না বটে এবং  একই সাথে তারা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমি মেট্রোরেলের মত দ্রুতগামী পরিবহনের অংশ হতে পেরেছি। আমার জীবনের পথ চলার আরো একটি মানুষের অবদান অত্যন্ত অনস্বীকার্য সে হল আমার জীবনের ট্রেনের একমাত্র যাত্রী আমার অর্ধাঙ্গিনী। আমি অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েই বিয়ে করি। আমি যখন বিয়ে করি তখন আমার হাতে নিজের বলে কোনো টাকা ছিল না। আব্বু নিজে টাকা দিয়ে একটা শাড়ি কিনে দেয়। সেটাই ছিল আমার পক্ষ তাকে দেওয়া একমাত্র উপহার। তবুও চার বছরে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। বলেনি তুমি আমাকে কিছু দেওনি। আমার চরম হাতাশার দিনের যাদের সবসময় কাছে পেয়েছি তাদের অন্যতম আমার মা এবং আমার অর্ধাঙ্গিনী। এমনও সময় ছিল যে চাকরির পরিক্ষায়  আমি সিলেক্টড হয়নি তাই নিজের নিজের প্রতি বিরক্ত। কিন্তু আমার অর্ধাঙ্গিনী তখন আমাকে বলতো এত হতাশ হচ্ছো কেন আল্লাহ চায়নি তাই হচ্ছে না, আমি বিশ্বাস করি তুমি পারবে। আরও বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমার জন্য উত্তম কিছুই রাখছে। আমি তখন নিজেকে আরো নতুন ভাবে আবিষ্কার করতাম। আবার নতুন উদ্দীপনা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করতাম। বলা চলে আমার অর্ধাঙ্গিনী ছিল সাগরে ভাসমান আমার জীবনের ভেলা।তার এবং আমার বাবা মার অনুপ্রেরণায় আজ আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের শুভ সূচনা করতে পেরেছি। 

প্রশ্ন : মেট্রোরেল এর স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে ক্যারিয়ার গড়ার উদ্দেশ্য কিছু বলবেন?  

সুমন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর এক প্রকল্প মেট্রোরেল। তিনি সব সময় দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত, পরিবেশবান্ধব ও দ্রুতগামী এ মেট্রোরেলের প্রতিটি কোচ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করেছে। ক্যারিয়ার হিসাবে মেট্রোরেলকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। এর স্যালারি স্ট্রাকচারও বেশ ভালো। যা দিয়ে সাচ্ছন্দ্যে পরিবার নিয়ে হালাল ভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুই বীর মুকিক্তযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানির অভিযোগে  ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মোরেলগঞ্জ উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সানকিভাঙ্গা গ্রামের মো. শাহ আলম হাওলাদার, সাবেক কমান্ডার মো. তৈয়েবুর রহমান সেলিম, এ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন, স্কুল শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান নাসিরসহ ৪ পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ৬০-৭০ বছর পূর্বে থেকে তাদের পৈত্রিক সূত্রে ভোগ দখলীয় .২৩ শতক জমি প্রতিবেশি লিয়াকত হোসেন হাওলাদার ও তার স্ত্রী বহিরাগত লোকজন নিয়ে দখলের চেষ্টা করে মাটি কেটে ভেড়িবাঁধ দেয়। এতে তাদের ফসলী জমির কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি স্বাধন করে। লিয়াকত আলী এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে মসজিদের জমি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমি ইতোমধ্যে দখলের চেষ্টা করছে। এলাকার সাধারণ মানুষকে একের পর এক হয়রানি করে আসছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলে স্কুল শিক্ষক কামরুজ্জামান নাসিরকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি লিয়াকত হাওলাদারের হয়রানির হাত থেকে উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।  


আরও খবর



নওগাঁয় মুঘল আমলের একটি মসজিদ এর সন্ধান মিলেছে

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নিভূত পল্লী হাতি-মন্ডলা গ্রামে মুঘল আমলের শেষের দিকের পুরাতন এক মসজিদ এর সন্ধান মিলেছে। বর্তমানে এ মসজিদটি এক নজর দেখতে সেখানে শত শত মানুষ-জন ভীড় করছেন। তাদের ভীড়ে এলাকায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ঐ গ্রাম এলাকা। এরি মাঝে কেউ একটি কুরআন মাজিদ তার পার্শ্বে রেখে দেন, যেটা সে সময়ের বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তবে এ মসজিদ টি মুঘল আমলের শেষের দিকে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেখানে প্রাপ্ত কুরআন মাজিদ সম্প্রতি সময়ের বলে নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টডিয়ান মোঃ ফজলুল করিম। 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এ পুরাকীর্তি মসজিদটি সন্ধান পাওয়ার আগে এখানে দীর্ঘদিন ধরে নানা ঝোপ-জঙ্গলে বেষ্টিত হয়ে অযত্ন অবহেলায় অরক্ষিত হয়ে পড়ে ছিলো। বর্তমানে এর আশেপাশের জমি কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। বর্তমান কবর স্থানটি সংস্কারের জন্য বন-জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করতে গেলে এটি মসজিদ বলে জানতে পারে স্থানীয়রা। বর্তমানে এটি ভেঙ্গে গেছে তার পার্শ্বে পড়ে আছে সেই মসজিদ এর একটি গুম্ভজ। এর পার্শ্বে একটি স্তম্ভ ভাঙ্গা ভাঙ্গা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়াও ঐ গ্রামে একই সাদৃশ্য আরো দু'টি পুরাকৃর্তীর নিদর্শন দেখা গেছে। বর্তমানে সন্ধান পাওয়া এ মসজিদের নতুন নামকরণ করা হয়েছে "আলনূর জামে মসজিদ"। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি উঠেছে নতুনভাবে সদ্য আবিষ্কৃত সর্ব প্রাচীন এ মসজিদের।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আলম বলেন, আমি এই জায়গা পরিষ্কার করতে গেলে ভেঙে যাওয়া ওই মসজিদের ধারে একটি কুরআন শরীফ পাই। এটি কোন সময়ের তা আমার জানা নেই। সেই কুরআন শরীফটি সেখানে রেখে দিয়েছি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টডিয়ান মোঃ ফজলুল করিম বলেন, স্থাপনাটির কারুকাজ, ইটের গাঁথুনি, ইটের সাইজ, নকশা ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য দেখে এটিকে মোগল আমলের শেষ দিকের স্থাপনা বলে মনে হয়। তবে স্থাপনাটির ভিতরে রেখে যাওয়া কোরআন শরীফটি অতি সম্প্রতি কালের ছাপানো বলেই মনে হয়। বিদ্যমান স্থাপনাটির দক্ষিণে ভেঙে যাওয়া স্থাপনাটি সম্ভবত মসজিদ ছিল। যার উপরের গম্বুজটি ভেঙে নিচে পড়ে আছে।


আরও খবর



মানুষের কল্যাণে যারা কাজ করছেন তাদের সম্মান দিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীরবে-নিভৃতে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পুরস্কারে সম্মানিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতে পারে।

তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ও অন্যান্য এলাকায় নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে চলেছেন, তাদের খুঁজে বের করে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করার জন্য। তাদের জন্য নয়, বরং জনগণের কল্যাণের জন্য। কারণ, তারা কখনোই সামনে আসেন না বা আসতে চান না। নিজস্ব উদ্যোগে বা স্বপ্রণোদিত হয়ে যারা মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অবদান রেখে যাচ্ছেন, তাদেরকে পুরস্কৃত করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় কথা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদানকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যারা স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই পুরস্কার প্রাপ্তির ফলে মানুষের জন্য কাজ করা ও দেশের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে আরো অনেকে অনুপ্রাণিত হবেন এবং দেশের কল্যাণে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।

সরকারপ্রধান তাঁর ভাষণে বিগত ১৫ বছরের দেশ শাসনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি বাংলাদেশের সেই হারানো গৌরব আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর যে মর্যাদা বাংলাদেশ অর্জন করেছিল এবং ৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যা হারিয়ে যায়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় রেখে যান। সেখান থেকে আমরা আরো এক ধাপ উত্তরণ ঘটিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিতে পেরেছি। ২০২৬ সাল থেকে যা কার্যকর হবে। আজ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। জয় বাংলা আবার ফিরে এসে এখন আমাদের জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস বিকৃতির যত চক্রান্তই হোক না কেন আজকের নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চায়, বুঝতে চায়। সেই প্রেরণা নিয়েই সামনের দিকে চলতে চায় এবং জীবনকে গড়ে তুলতে চায়। আর এটাই আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় আশার বাণী।

এরআগে গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পুরস্কার প্রাপ্তরা হচ্ছেন: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসা বিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিক উজ জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজ বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন পুরস্কার বিতরণী পর্বটি সঞ্চালনা করেন এবং পুরস্কার বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ বিজয়ীদের পক্ষে মোহাম্মদ রফিক উজ জামান অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিক লেখকসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কভিড-১৯ পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে নিষেধাঞ্জা ও পাল্টা নিষেধাঞ্জায় বিশ^ব্যাপী খাদ্য পণ্য ও পণ্য পরিবহনের মূল্যবৃদ্ধিতে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতিতে কৃচ্ছতা সাধন এবং দলের নেতা-কর্মীসহ সামর্থ্যবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য আমরা এই রমজান মাসে মানুষের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সকলকে আহ্বান করেছি ইফতার পার্টি না করে ইফতার সাধারণ মানুষের মাঝে আপনারা বন্টন করেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইফতার পার্টি করা বড় কথা নয়, মানুষকে দেওয়াই বড় কথা। কাজেই, আমরা খাওয়ার বিষয়টা বাদ দিয়ে দেওয়ার দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। মানুষের যাতে কোনো রকম কষ্ট না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ রেখেছি। এই সময় ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রাপ্তিতে এক কোটি কার্ড করে দেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, আজ ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের সেই কালরাতে গণহত্যার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, 'আর যারা সেই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতি জাতির ঘৃণা প্রকাশ করছি।'

শেখ হাসিনা এসময় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনকে 'গণহত্যা' উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে। আমরা ফিলিস্তিনিদের সাথে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ মানুষের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনে না। কারণ, যুদ্ধকালীন অবস্থা কী রকম হয় তা আমরা জানি, আমরা ভূক্তভোগী।

তিনি জাতির পিতার রেখে যাওয়া পররাষ্ট্র নীতি 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এর উল্লেখ করে মিয়ানমারের ১০ লাখের অধিক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান এবং প্রতিবেশির সঙ্গে সংঘাতে না জড়িয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টার উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ শান্তি প্রিয় দেশ। তারপরও দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশের অভ্যন্তরে অনেকে অগ্নিসন্ত্রাস,খুন-খারাবি-অনেক কিছু করে থাকে। কাজেই তাদের সুমতি হোক, সেটাই আমরা চাই। কারণ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে একটি দেশ যে উন্নতি করতে পারে তার প্রমাণ আমরা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের কাছে সম্মানিত। কারণ, তাঁরা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছিলেন। কাজেই তাদের সম্মান দেওয়া এবং আমাদের এই গৌরবটা যেন হারিয়ে না যায় আমরা তার ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারদের সদস্যদের ভাতা, গৃহহীনদের জন্য বীর নিবাস তৈরিসহ তাঁর সরকার প্রদেয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দল মত নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য স্থির করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। স্বাধীনতার মাসে এটাই আমাদের প্রত্যয়। দেশবাসীকে স্বাধীনতা ও জাতিয় দিবসের শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর